পাকা কাঁঠালের উপকারিতা অপকারিতা!
কাঁঠাল আমাদের দেশের জাতীয় ফল। মানুষের দেহে সুস্থ থাকার জন্য যত পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন তার প্রায় সব পুষ্টি কাঁঠালের মধ্যে আছে৷ কাঁঠালের পুষ্টি উপাদান এর জন্য অনেকেই কাঁঠাল কে গরীবের খাদ্য এবং পুষ্টির রাজা বলে থাকেন। কাঁঠাল কাচা পাকা সব ভাবেই খাওয়া যায়। কাঁঠাল খাওয়ার পরে এর বিচিও রান্না করে পিঠা বানিয়ে খাওয়া যায়। কাঁঠালের বৈজ্ঞানিক নাম Artocarpus heterophyllus এবং ইংরেজিতে Jackfruit বলা হয়। কাঁঠাল এমন একটি ফল যার প্রতিটি অংশই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই আর্টিকেলে জানতে পারবেন পাকা কাঁঠালের যত গুনাগুন সেই সাথে পাকা কাঁঠালের অপকারিতা।
নিম্নে পাকা কাঁঠালের উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন।
পাকা কাঁঠালের পুষ্টি উপাদান-
পুষ্টিবিদদের মতে, পাকা কাঁঠাল পুষ্টিতে পরিপূর্ণ একটি ফল। মানব দেহের জন্য যত পুষ্টি প্রয়োজন তার সবই আছে পাকা কাঁঠালে। যেমন- বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি- ১, বি -২, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার, প্রোটিন, আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাংগানিজ, কপার আয়রন সহ বিভিন্ন রকমের পুষ্টি ও খনিজ পাওয়া যায়৷ শুধু তাই নয় প্রোটিন, শর্করা, বিভিন্ন রকমের ভিটামিনের ভান্ডার হচ্ছে পাকা কাঁঠাল। আসুন জেনে নেয়া যাক পাকা কাঁঠালের পুষ্টি উপাদান এবং পরিমান-
প্রতি ১০০ গ্রাম পাকা কাঁঠালে নিম্নে বর্নিত পুষ্টি উপাদান রয়েছে-
- ক্যালরি: ৮৯
- প্রোটিন: ১.৪ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট: ২১.৫ গ্রাম
- ফাইবার: ২.৮ গ্রাম
- চিনি: ১৮.২ গ্রাম
- ভিটামিন সি: ৬ মিলিগ্রাম
- ভিটামিন এ: ১১৪ আইইউ
- ভিটামিন বি৬: ০.১ মিলিগ্রাম
- পটাসিয়াম: ২৫৭ মিলিগ্রাম
- ম্যাগনেসিয়াম: ১৮ মিলিগ্রাম
- ক্যালসিয়াম: ১৮ মিলিগ্রাম
- আয়রন: ০.৪ মিলিগ্রাম
- প্যানটোথেনিক এসিড (বি৫) ০.২৩৫
- ফোলেট ২৪ মাইক্রোগ্রাম এবং অন্যান্য উপাদান।
কাঁঠালের উপকারিতা
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
পাকা কাঁঠাল হচ্ছে উচ্চমানের আ্যন্টিঅক্সিডেমট সমৃদ্ধ একটি ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা একিবারে দূর্বল কাঁঠাল খেলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়।
উচ্চরক্তচাপ কমায়
যাদের উচ্চরক্তচাপ সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত কাঁঠালে খেলে উচ্চরক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। পাকা কাঁঠালে থাকা সোডিয়াম ও পটাশিয়াম ইলেকট্রোলাইট ব্যালেন্সকে ঠিক রাখে। যার ফলে উচ্চরক্তচাপ সমস্যা থাকলে দূর হয় বা নিয়ন্ত্রনে আসে।
পাকা কাঁঠাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে
পাকা কাঁঠাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে পর্যাপ্ত পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় , ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, যারা নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খায় তাদের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। আরেকটি গবেষনায় দেখা গেছে নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খেলে মেয়েদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়।
তবে বলা রাখা প্রয়োজন যে, পাকা কাঁঠালের ক্যান্সার প্রতিরোধের ফলাফল এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সুগার নিয়ন্ত্রণ করে
কাঁঠালের মধ্যে গ্লাইসেমিক নামে সূচক কম থাকে যার ফলে রক্তে শর্করার পরিমান বাড়তে পারেনা। যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে তারা পাকা কাঁঠাল খেলে কোনো সমস্যা হয়না। যদিও পাকা কাঁঠালে অনেক মিষ্টি থাকে৷ বরং পাকা কাঁঠাল খেলে ডায়াবেটিস রোগীর সুগার লেভেল স্বাভাবিক থাকে।
আ্যমিনিয়া প্রতিরোধ করে
মহিলাদের মধ্যে রক্ত স্বল্পতা রোগ অনেক বেশি দেখা দেয়। প্রতিমাসে পিরিয়ড এর কারনে মেয়েদের শরীর থেকে প্রচুর ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায় যার কারনে রক্ত স্বল্পতা বা আ্যমিনিয়া রোগ দেখা যায়। পাকা কাঁঠালে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন, মিনারেল, কপার, ম্যাংগানিজ, ভিটামিন এ, সি, ই যা শরীরে রক্তের পরিমান বাড়াতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত কাঁঠাল খেলে কারো রক্তস্বল্পতা রোগ থাকলে দূর হয়।
চোখের জন্য পাকা কাঁঠাল উপকারি
পাকা কাঁঠালে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন যা চোখের জন্য অনেক উপকারি। বিটা ক্যারোটিন এর অভাবে চোখে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হয়। কিন্তু কোনো ব্যক্তি যদি নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খায় তাহলে তার চোখের অসুখ কম হয়। পাকা কাঁঠালে থাকা ক্যারোটিন চোখের কর্নিয়ার জন্য অনেক উপকারি।
পাকা কাঁঠাল হাড়ের জন্য উপকারি
পাকা কাঁঠালে হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পুষ্টি উপাদান উপস্থিত থাকায় হাড়ের জন্য অনেক উপকারি। পাকা কাঁঠালে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার, জিংক উপস্থিত রয়েছে যা হাড়কে মজবুত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যাদের হাড় অনেক দূর্বল বা ক্ষয় হয়েছে তাদের নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খাওয়ালে হাড় মজবুত হবে এবং হাড় ক্ষয় হয়ে যাওয়া রোধ হবে৷
পাকা কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
পাকা কাঁঠাল কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কারন পাকা কাঁঠাল ফাইবারের খুব ভাল উৎস। যারা দীর্ঘ দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগছেন তারা পাকা কাঁঠাল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। পাকা কাঁঠালে থাকা উপস্থিত ফাইবার খাবারের সাথে মিশে জেলির মত এক ধরনের পদার্থ তৈরি করে। এই বিশেষ পদার্থটি পাচনতন্ত্রের মধ্য দিয়ে দ্রুত খাবার কে সরিয়ে দিতে সাহায্য করে। এছাড়াও কাঁঠালে থাকা ফাইবার পানি শোষন করে মলকে নরম করে এবং মলকে বেড়িয়ে আসতে সাহায্য করে। ফাইবার মলে দূষিত পদার্থের পরিমান বাড়িয়ে মলকে ভারি করে। যার ফলে খুব সহজে মল বেরিয়ে আসতে পারে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
আলসারের সমস্যা কমায়
পাকা কাঁঠালে বিশেষ ধরনের একটি উপাদান রয়েছে যা আলসার কমাতে সাহায্য করে। এই উপাদানটির নাম ম্যালিক এসিড। ম্যালিক এসিড আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট জাতীয় একধরনের পদার্থ যা পাকস্থলীর শ্লেষ্মাকে রক্ষা করে। এছাড়াও এই পদার্থটি পাকস্থলিতে থাকা ক্ষতিকর এসিড থেকে শ্লেষ্মাকে রক্ষা করে। এছাড়াও পাকা কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি আলসার রোধ করতে সাহায্য করে।
হৃদরোগের ঝুকি কমায়
পাকা কাঁঠাল হৃদরোগের ঝুকি কমাতে সাহায্য করে। মুলত উচ্চরক্তচাপ হৃদরোগের জন্য দায়ী। পাকা কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। যখন উচ্চরক্তচাপ কমে যায় তখন হৃদরোগের ঝুকি কমে যায়। কাঁঠালের মধ্যে যে ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে তা হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
ত্বক ভাল রাখে
নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খেলে ত্বক ভাল থাকে। কারন পাকা কাঁঠাল খেলে ত্বকে রোদ কোনো ক্ষতি করতে পারেনা। রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক কে রক্ষা করে পাকা কাঁঠাল। কাঁঠালের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকের সুস্থতায় বিশেষ অবদান রাখে। তাই ত্বকের নিয়মিত যত্নে পাকা কাঁঠাল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
পাকা কাঁঠাল ওজন নিয়ন্ত্রন করে
পাকা কাঁঠাল খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। তাই পাকা কাঁঠাল খেলে ক্ষুধা লাগেনা। যারা ওজন নিয়ন্ত্রন করতে চায় তাদের পাকা কাঁঠাল খেলে অন্য খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। ফলে শরীরে বাড়তি ক্যালরী জমতে পারেনা। তাই তাড়াতাড়ি ওজন কমে যায়।
পাকা কাঁঠাল বয়সের ছাপ দূর করে
পাকা কাঁঠাল বয়সের ছাপ দূর করতে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে থাকা উপস্থিত উপাদান ত্বকের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাতে সাহায্য করে। ফলে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় না। ত্বকে বলিরেখা কালো দাগ থাকলে বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বয়স্ক দেখায়। পাকা কাঁঠাল খেলে মুখের বলিরেখা দূর হয়। ত্বক উজ্বল ও ঝকঝকে হয়। তাই নিয়মিত কাঁঠাল খেলে ত্বকের সব সমস্যা দূর হয়৷ রূপবিশেষজ্ঞদের মতে, “কাঁঠাল খাওয়ার পাশাপাশি মুখে ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যায়।”
মানসিক সমস্যা কমাতে সাহায্য করে
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ” পাকা কাঁঠাল মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।” পাকা কাঁঠাল খেলে মানসিক সমস্যা দূর হয়। মন প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে। টেনসন ও নার্ভাসনেস কমাতে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে ভিটামিন সি থাকে। ভিটামিন সি মানসিক সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি শরীরে সেরোটোনিন নামক হরমোন তৈরি করতে সাহায্য করে এবং এই হরমোনটি মানসিক অস্থিরতা কমাতে সাহায্য করে।
পাকা কাঁঠালে থাকা ভিটামিন বি৬ মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে। ভিটামিন বি৬ ভাল ঘুম হতে সাহায্য করে। আর ভাল ঘুম শারিরীক ও মানসিক ভাবে ঘুম হতে সাহায্য করে।
পাকা কাঁঠালে পটাশিয়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
পাকা কাঁঠাল রাত কানা রোগ দূর করে
পাকা কাঁঠালে থাকা ভিটামিন এ রাত কানা রোগ সারাতে সাহায্য করে। যাদের রাত কানা রোগ আছে তাদের নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খাওয়ালে এই রোগ কমার সম্ভাবনা থাকে।
দাতের মাড়ি শক্ত করে
পাকা কাঁঠাল দাতের মাড়ি শক্ত করতে সাহায্য করে। পাকা কাঁঠালে থাকা ভিটামিন সি দাতের মাড়ির জন্য অনেক উপকারি।
শিশু স্বাস্থের জন্য উপকারি
ছয় মাস বয়সের পর থেকে শিশুদের ক্ষুধা অনেক বেড়ে যায়। তাই মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি পাকা কাঁঠাল খাওয়ালে শিশুর ক্ষুধা কমে যায়। ক্ষুধা মেটানোর পাশাপাশি শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য যে সকল ধরনের প্রয়োজনীয় উপাদান দরকার তা কাঁঠাল থেকে পাওয়া যায়।
ক্লান্তি দূর করে
নিয়মিত পাকা কাঁঠাল খেলে ক্লান্তি দূর হয়। বাইরে থেকে এসে শরীর ক্লান্ত লাগলে এক কাপ পাকা কাঁঠালের রস খেলে শরীরের ক্লান্তি দূর হয়।
বার্ধক্যজনীত দূর্বলতায়
বয়স বাড়ার সাথে সাথে শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে যায়। তাই ক্লান্তি বা দূর্বলতা দূর করতে নিয়মিত কাঁঠালের রস খাওয়া যেতে পারে।
অরুচি দূর করতে সাহায্য করে
যাদের খাবারের প্রতি রুচি থাকেনা। তারা নিয়মিত কাঁঠাল খেলে রুচি ফিরে পাবেন। কাঁঠালের সাথে সামান্য দুধ মিশিয়ে খেলে রুচি ফিরে আসে। খাবারের প্রতি অনিহা ভাব দূর হয়।
জ্বর সর্দি দূর করে
পাকা কাঁঠাল জ্বর সর্দি দূর করতে সাহায্য করে। অনেকের ধারনা জ্বর হলে পাকা কাঁঠাল খেলে জ্বর আরো বেশি বেড়ে যায়। এই ধারনা পুরোপুরি ভুল। কাঁঠাল খেলে জ্বর সর্দি দূর হয়। কারন কাঁঠালের রয়েছে রোগ প্রতিরোধ বাড়ার আশ্চর্য ক্ষমতা।
চর্ম রোগ দূর করে
পাকা কাঁঠাল চর্ম রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
কাঁঠালের অপকারিতা
কাঁঠাল উপকারি একটি ফল হলেও এর বেশ কিছু ক্ষতিকর দিক আছে। যেমন-
পাকা কাঁঠাল বদহজম এর কারন
যাদের খাবার খুব সহজে হজম হতে চায়না তাদের পাকা কাঁঠাল খেলে বদহজম হতে পারে। কারন কাঁঠাল হজম হতে অনেক সময় লাগে। তাই যাদের হজম শক্তি কম তারা খেলে পেটে সমস্যা দেখা দেয়। মুলত কাঁঠালে আমিষের পরিমান বেশি থাকায় হজম হতে বেশি টাইম নেয়।
পাকা কাঁঠাল ডায়াবেটিস রোগিদের না খাওয়াই ভাল
ডায়াবেটিস রোগিদের পাকা কাঁঠাল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেন চিকিৎসকেরা। কারন পাকা কাঁঠাল খেলে অনেক সময় ডায়াবেটিস এর লেভেল বেড়ে যেতে পারে। তাই চিকিৎসকরা পাকা কাঁঠাল খেতে নিষেধ করেন ডায়াবেটিস রোগিদের।
শেষ কথা
বাংলাদেশে যত উপকারি ফল রয়েছে কাঁঠাল তাদের মধ্যে অন্যতম।
পুষ্টিবিদ রওনোক জাহান বলেন, ” কাঁঠালে প্রচুর পরিমানে আশ থাকে যা শরীরের বাউয়েল মুভমেন্টেকে সহায়তা করে।” কাঁঠালের মধ্যে হলুদ অংশ ভিটামিন এ তে ভরপুর। পাকা কাঁঠাল নানান ভিটামিনে ভরপুর থাকে যার ফলে কাঁঠাল খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তবে কাঁঠাল কখনোই পরিমানে বেশি খাওয়া উচিৎ না। কারন বেশি কাঁঠাল খেলে পেটে হজম সমস্যা হয় এবং অনেক সময় অতিরিক্ত গরম লাগে। তাই কাঁঠাল সঠিক নিয়মে খেতে হবে৷ যাতে করে উপকারের বদলে অপকার না হয়৷
Also Read: ডায়েবেটিস রোগির খাদ্যতালিকা