Dreamy Media BD

হুমায়ূন আহমেদকে কেন অনন্য লেখক বলা হয়?

হুমায়ূন আহমেদ

বিংশ শতাব্দীর জনপ্রিয় বাংলা কথা সাহিত্যিকদের মধ্যে অন্যতম একজন হলে হুমায়ূন আহমেদ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর তাকেই একমাত্র অন্যান্য শ্রেষ্ঠ লেখক বলে গণ্য করা হয়। তিনি একাধারে  ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, ছোট গল্পাকার এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। ছোট থেকে বড় প্রায় সকল বয়সের মানুষই তার লেখা বই পড়তে পছন্দ করে। এমনকি আজ পর্যন্ত তিনি যে কয়টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন সবগুলোই মানুষের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে। জনপ্রিয় এই লেখক ২০১২ সালের ১৯শে জুলাই মৃত্যুবরণ করে। কিন্তু মৃত্যুর পরেও তিনি বইপ্রেমী সকল মানুষের মনে এক বিশেষ জায়গা নিয়ে আছেন। এখনো বইমেলাতে মানুষজন তার বই কিনতে ভিড় জমায়। শতকরা ১০০ জন মানুষের মধ্যে প্রায় ৮০ জন মানুষেরই পছন্দের লেখকের তালিকায় এই মানুষটির নাম রয়েছে। আজ সকলের পছন্দের এই অনন্য লেখক সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাবো। তাই আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন:

 

হুমায়ূন আহমেদের জন্মস্থান

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণার মহকুমার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম শহীদ ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মাতার আয়েশা ফয়েজ। তার পিতা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার উপ-বিভাগীয় পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন। 

 

হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্য জীবনের সূচনা

হুমায়ূন আহমেদের বাবাও তার মতো সাহিত্যনুরাগী মানুষ ছিলেন তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি করতেন। বগুড়াতে থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন, গ্রন্থের নাম দ্বীপ নেভা যার ঘরে। তার মা’র তেমন লেখালেখির অভ্যাস না থাকলেও শেষ জীবনে একটি আত্মজীবনী গ্রন্থ রচনা করেছিলেন যার নাম ‘জীবন যে রকম’। তার পরিবারে সাহিত্যমনস্ক আবহাওয়া ছিল। তার ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবাল দেশের একজন শিক্ষাবিদ এবং কথাসাহিত্যিক।আর ছোট ভাই আহসান হাবীব রম্য সাহিত্যিক এবং কার্টুনিস্ট। তার তিন বোন হলেন মমতাজ শহিদ,সুফিয়া হায়দার, ও রোকসানা আহমেদ। 

 

হুমায়ূন আহমেদের নাম বদল

তার রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা থেকে জানা যায় যে ছোটকালে হুমায়ূন আহমেদের নাম রাখা হয়েছিল শামসুর রহমান; ডাকনাম কাজল। তার পিতা (ফয়জুর রহমান) নিজের নামের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রাখেন শামসুর রহমান। পরবর্তীতে আবার তিনি নিজেই ছেলের নাম পরিবর্তন করে ‌হুমায়ূন আহমেদ রাখেন। হুমায়ূন আহমেদের ভাষায়, তার পিতা ছেলে-মেয়েদের নাম পরিবর্তন করতে পছন্দ করতেন। তার ছোট ভাই মুহম্মদ জাফর ইকবালের নাম আগে ছিল বাবুল এবং ছোটবোন সুফিয়ার নাম ছিল শেফালি। ১৯৬২-৬৪ সালে চট্টগ্রামে থাকাকালে হুমায়ুন আহমেদের নাম ছিল বাচ্চু।তার দাদা আজিমুদ্দিন আহমেদের বাবার নাম জাঙ্গির মুনশি। জাঙ্গির মুনশির এলাকায় পীরসাহেব হিসেবে খ্যাতি ছিল। তার দাদার বাড়ি মৌলভী বাড়ি নামে পরিচিত ছিল। হুমায়ূন আহমেদ তার বড় মামা ফজলুল করিমের কাছ থেকে তিনি ছবি আঁকা শেখেন।

 

হুমায়ূন আহমেদের বিবাহ জীবন

হুমায়ূন আহমেদ ১৯৭৩ সালে গুলতেকিন খান কে বিয়ে করেন।এই দম্পতির ১ ছেলে এবং ৩ মেয়ে   । বড় মেয়ের নাম নোভা আহমেদ, মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ এবং ছোট মেয়ে বিপাশা আহমেদ। তার বড় ছেলের নাম নুহাশ হুমায়ূন।অন্য আরেকটি ছেলে  অকালে মারা যায়। তিনি তার নাম রেখেছিলেন রাশেদ হুমায়ূন। ১৯৯০ খৃস্টাব্দের মধ্যভাগ থেকে শীলা আহমেদের বান্ধবী এবং তার বেশ কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা জন্মে।এই কারনে  পারিবারিক অশান্তির সৃষ্টি হয়।এভং ২০০৫ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ হয় এবং ঐ বছরই তিনি শাওনকে বিয়ে করেন।এই ঘরে তাদের তিন সন্তান জন্মগ্রহণ করে। প্রথম ভূমিষ্ঠ কন্যা টি মারা যায়, যার নাম ছিলো লীলাবতী। তার স্মরণে নুহাশ পল্লীতে একটি জলাধারের নাম ‘লীলাবতী’, যার পাশেই একটি এপিটাফে দুটি চরণ উল্লেখ রয়েছে—“নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে/রয়েছো নয়নে নয়নে”। আর  ছেলে সন্তানদের নাম  হচ্ছে নিষাদ হুমায়ূন ও নিনিত হুমায়ুন।

 

হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু

হুমায়ূন আহমেদ জীবনের শেষসময়ে ঢাকার ধানমন্ডির ৩/এ রোডে একটি বাড়িতে বসবাস করতেন। তার খুব ভোর বেলা ওঠার অভ্যাস ছিল ভোর থেকে সকাল ১০-১১টা অবধি লিখতেন । মাটিতে বসে লিখতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন।  অবসর সময়ে ছবিও আঁকতেন।২০১‌১ সালের সেপ্টেম্বের মাসে সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসার সময় তার দেহে মলাশয়ের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর তিনি নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তবে টিউমার বেশি ছড়িয়ে না পড়ায়  তার চিকিৎসা প্রাথমিকভাবে সম্ভব হলেও অল্প সময়ের মাঝেই তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। ১২ দফায় তাকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল। অস্ত্রোপচারের পর তার কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে শরীরে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তার তার অবস্থা অবনতির দিকে যায়। মলাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস চিকিৎসাধীন ছিলেন।২০১২ সালের ১৯শে জুলাই   তিনি নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এরপর দেশে এনে তাকে নুহাশ পল্লীতে দাফন করা হয়।

 

হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস

  • দ্বৈরথ 
  • নক্ষত্রের রাত 
  • আজ চিত্রার বিয়ে
  • আমরা কেউ বাসায় নেই 
  • আমাদের সাদা বাড়ি 
  • আমার আছে জল
  • আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি 
  • আশাবরী
  • আসমানীরা তিন বোন
  • আয়নাঘর
  • ইস্টিশন 
  • উড়ালপঙ্খী 
  • এই বসন্তে 
  • অচিনপুর 
  • অনিল বাগচির একদিন 
  • অন্ধকারের গান
  • অন্যদিন 
  • অপরাহ্ন 
  • অপেক্ষা 
  • অমানুষ 
  • অরণ্য 
  • আকাশ জোড়া মেঘ 
  • আগুনের পরশমণি 
  • আজ আমি কোথাও যাব না 
  • এই মেঘ, রৌদ্রছায়া 
  • এই শুভ্র এই 
  • এইসব দিনরাত্রি 
  • একজন মায়াবতী 
  • একটি সাইকেল এবং কয়েকটি ডাহুক পাখি 
  • একা একা 
  • একি কাণ্ড! 
  • এপিটাফ 
  • কবি 
  • কালো যাদুকর 
  • কিছুক্ষণ 
  • কুটু মিয়া 
  • কৃষ্ণপক্ষ 
  • কে কথা কয়
  • কোথাও কেউ নেই 
  • গৌরীপুর জংশন 
  • চক্ষে আমার তৃষ্ণা 
  • চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক 
  • চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস 
  • ছায়াবীথি 
  • ছেলেটা 
  • জনম জনম 
  • জলপদ্ম 
  • জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল
  • জোছনা ও জননীর গল্প
  • জয়জয়ন্তী 
  • তিথির নীল তোয়ালে 
  • তেতুল বনে জোছনা 
  • তোমাকে 
  • দারুচিনি দ্বীপ 
  • দি একসরসিস্ট 
  • দিঘির জলে কার ছায়া গো 
  • দিনের শেষে 
  • দুই দুয়ারী 
  • দূরে কোথাও
  • দেয়াল 
  • নন্দিত নরকে 
  • নবনী 
  • নলিনী বাবু B.Sc
  • নির্বাসন
  • নীল অপরাজিতা
  • নীল মানুষ 
  • নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ 
  • নৃপতি (নাটক) 
  • পাখি আমার একলা পাখি
  • পারুল ও তিনটি কুকুর 
  • পিপলী বেগম 
  • পুতুল
  • পেন্সিলে আঁকা পরী 
  • পোকা
  • প্রথম প্রহর 
  • প্রিয়তমেষু 
  • ফেরা 
  • বহুব্রীহি 
  • বাদল দিনের দ্বিতীয় কদম ফুল
  • বাদশাহ নামদার 
  • বাসর 
  • বৃষ্টি ও মেঘমালা 
  • বৃষ্টি বিলাস 
  • বোতল ভূত 
  • ভয়ংকর ভুতুড়ে
  • মধ্যাহ্ন 
  • মন্দ্রসপ্তক 
  • মাতাল হাওয়া 
  • মীরার গ্রামের বাড়ি
  • মৃণ্ময়ীর মন ভালো নেই 
  • মৃন্ময়ী
  • মেঘ বলেছে যাব যাব 
  • শ্রাবণমেঘের দিন 
  • সবাই গেছে বনে 
  • সমুদ্র বিলাস
  • সম্রাট 
  • সাজঘর
  • সানাউল্লাহর মহাবিপদ 
  • সূর্যের দিন 
  • সে ও নর্তকী 
  • সেদিন চৈত্রমাস
  • সৌরভ 
  • ১৯৭১ 
  • মেঘের ওপর বাড়ি 
  • মেঘের ছায়া 
  • ম্যাজিক মুনশি 
  • যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ 
  • যদিও সন্ধ্যা 
  • রজনী 
  • রুমালী
  • রূপা
  • রূপার পালঙ্ক)
  • রূপালী দ্বীপ রোদনভরা এ বসন্ত 
  • লিলুয়া বাতাস 
  • লীলাবতী 
  • শঙ্খনীল কারাগার 
  • শুভ্র 
  • শুভ্র গেছে বনে
  • শ্যামল ছায়া 

 

হুমায়ূন আহমেদের সেরা ১০ কবিতা

  • বাবার চিঠি
  • সংসার
  • বাসর
  • গৃহত্যাগী জ্যোৎস্না
  • তিনি
  • অশ্রু
  • কাচপোকা
  • রাশান রোলেট
  • কব্বর

 

হুমায়ূন আহমেদের বই সমূহ

হুমায়ূন আহমেদের মোট বইয়ের সংখ্যা হচ্ছে ২৪২ টি।

হুমায়ূন আহমেদের বইসমূহ,

  • তারা তিন জন
  •  এপিটাফ
  • রূপা
  • কৃষ্ণপক্ষ
  • সাজঘর
  • বাসর
  • গৌরীপুর জাংশান
  •  নৃপতি (নাটক)
  • বহুব্রীহি
  •  আশাবরি
  • দারুচিনি দ্বীপ
  •  শুভ্র
  • নক্ষত্রের রাত
  •  আমার আছে জল
  • কোথাও কেউ নেই
  •  আগুনের পরশমণি
  • শ্রাবণ মেঘের দিন
  • আকাশ জোড়া মেঘ
  • শূন্য
  •  ওমেগা পয়েন্ট
  •  ইমা
  •  অমানুষ (অনুবাদ)
  • অপেক্ষা
  • মেঘ বলেছে যাবো যাবো
  •  দ্বিতীয় মানব
  •  ইস্টিশন
  • নন্দিত নরকে
  • শঙ্খনীল কারাগার
  • Flowers of Flame(অনুবাদঃ শঙ্খনীল কারাগার)
  • এইসব দিনরাত্রি
  •  জোছনা ও জননীর গল্প
  •  মন্দ্রসপ্তক
  •  দূরে কোথাও
  •  সৌরভ
  • নি
  • ফেরা
  • মধ্যাহ্ন (২ খণ্ড একত্রে)
  • মাতাল হাওয়া
  •  শুভ্র গেছে বনে
  • ম্যজিক মুনসি
  • একটি সাইকেল ও কয়েকটি ডাহুক পাখি
  • দাঁড় কাকের সংসার মাঝে  তবো দেখা পাই
  • আমরা কেউ বাসায় নেই 
  • মেঘের ওপারে বাড়ি 
  • বাদশাহ নামদার
  • রাক্ষক খোক্কস এবং ভোক্ষস
  • পিপলী বেগম
  • আজ চিত্রার বিয়ে
  • এই মেঘ, রৌদ্রছায়া
  • তিথির নীল তোয়ালে
  •  নবনী
  • জলপদ্ম
  • ৯০দশকের ৫টি উপন্যাস
  • শ্রেষ্ঠ প্রেমের উপন্যাস
  • আয়নাঘর
  • আমাদের শাদা বাড়ি
  • In Blissful Hell
  • A Few Youths In The Moon
  • চাঁদের আলোয় কয়েক জম যুবক
  • জলকন্যা
  • শ্রেষ্ঠ গল্প
  • এলেবেলে
  • যশোহা বৃক্ষের দেশে
  •  স্বপ্ন ও অন্যান্য (মঞ্চ নাটক সমগ্র)
  • হুমায়ূন ৫০
  • পরীর মেয়ে মেঘবতী
  •  বোকাভু
  • ছেলেটা
  • রূপার পালঙ্ক
  • অদ্ভুত সব উপন্যাস
  • জোৎস্নাত্রয়ী
  • কানী ডাইনী
  • বৃষ্টি বিলাস
  • যদিও সন্ধ্যা
  •  মৃন্ময়ী
  • তেঁতুল বনে জোছনা
  • কুটু মিয়া
  •  হুমায়ূন আহমেদের হাতে ৫টি নীলপদ্ম
  • ৮০দশকের ৫টি উপন্যাস
  • ৭০দশকের ৫টি উপন্যাস
  • আসমানীরা তিন বোন
  • নীল মানুষ
  •  উড়াল পঙ্খি
  • একজন মায়াবতী
  •  রজনী
  • শ্যামল ছায়া
  • এই শুভ্র ! এই
  • আমি এবং কয়েকটি প্রজাপ্রতি
  • দিনের শেষে
  • একা একা
  • ভূতসমগ্র
  • অচিনপুর
  • আজ আমি কোথাও যাবনা
  • প্রথম প্রহর
  • ছোটদের জন্য এক ব্যাগ হুমায়ূন বোকা রাজার স্বর্ণের সিংহাসন
  • টগর এন্ড জেরী
  • ব্যাঙ কন্যা এলেং
  •  কাক ও কাঠ গোলাপ
  • অরণ্য
  • এই বসন্তে
  • লীলাবতী
  •  লিলুয়া বাতাস
  • কে কথা কয়?
  • To the woods Dark & Deep হুমায়ূনআহমেদ (সবাইগেছেবনে)অনুবাদ :ফারিহাসুলতানা
  • Gouripur Junctionহুমায়ূনআহমেদ (গৌরিপুরজংশন)অনুবাদ :শফিক-উল-করিম
  • Equation Fihaহুমায়ূনআহমেদ (ফিহাসমীকরণ)অনুবাদ :নুহাশ হুমায়ুন
  • দিঘির জলে কার ছায়া গো
  • আনন্দ বেদনার কাব্য
  • নির্বাচিত গল্প
  • নির্বাচিত কিশোর উপন্যাস
  • গল্পসমগ্র
  • কিশোর সমগ্র
  • আমার প্রিয় ভৌতিকগল্প
  • বাদল দিনের প্রথম কদমফুল
  • বাদল দিনের দ্বিতীয় কদমফুল
  •  প্রিয় ভয়ংকর
  •  কিছুক্ষণ
  •  প্রিয় পদরেখা
  • সূর্যের দিন
  •  যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁ
  •  দুই দুয়ারী
  • মহাপুরুষ
  •  মঞ্চ নাটক ১৯৭১
  • মীর খাইয়ের অটোগ্রাফ
  •  হুমায়ূন ৬০
  • হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী-১
  • হুমায়ূন আহমেদ রচনাবলী-২
  •  বৃক্ষকথা
  •  আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রণ
  •  গল্পপঞ্চাশৎ
  •  মানবী
  •  নির্বাচিত সায়েন্স ফিকশন
  •  হুমায়ূন আহমেদর রচনাবলী-৩
  •  হুমায়ূন আহমেদর রচনাবলী-৪
  • আয়োময়
  •  চক্ষে আমার তৃষ্ণা
  •  রূপালী দ্বীপ
  • পাখি আমার একলা পাখি
  • নলিনীবাবু Bsc
  •  মৃন্ময়ীর মন ভালো নেই
  •  কবি
  • ভূত ভূতং ভূতৌ
  • জনম জনম
  • অনন্ত নক্ষত্র বীথি
  • মীরার গ্রামের বাড়ি
  • সুমদ্র বিলাস
  •  দ্বৈরথ
  •  ১৯৭১
  •  স্বনির্বাচিত উপন্যাস
  •  পঞ্চকন্যা
  • এসো করো স্নান
  • বন বাতাসী
  • কালো জাদুকর
  • বৃষ্টি ও মেঘমালা
  • মেঘের ছায়া
  • উদ্ভট গল্প
  • Love You All
  • সায়েন্স ফিকশান সমগ্র (১মখ)
  • উপন্যাস সমগ্র (১মখণ্ড)
  •  উপন্যাস সমগ্র (২য়খণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৩য়খণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৪থ খণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৫মখণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৬ষ্ঠখণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৭মখণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৮মখণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (৯মখণ্ড)
  • উপন্যাস সমগ্র (১০মখণ্ড)
  • পুতুল
  • বোতলভূত
  • তোমাদের জন্য রূপকথা
  • মুক্তিযুদ্ধেরউপন্যাসসমগ্র
  • নীল অপরাজিতা
  • জয়জয়ন্তী
  • প্রিয়তমেষু
  • Ants & Other Stories
  • নীল হাতী
  • এংগা, বেংগা, চেংগা
  • মজার ভূত
  • আরো বই
  • ধাঁধার জবাব
  • মজার ছেলেবেলা
  • হুমায়ূন (১৫)
  • ভয়ংকর ভুতুড়ে
  • তুমি আমায় ডেকে ছিলে ছুটির নিমন্ত্রনে
  • অন্ধকারের গান
  • অপরাহ্ন
  • সে ও নর্তকী
  • অন্যদিন
  • তোমাদের জন্য ভালবাসা
  • নির্বাসন
  • চৈত্রের দ্বিতীয় দিবস
  • ছায়াসঙ্গী
  • নয় নম্বর বিপদ সংকেত
  • গৃহত্যাগী জোছনা
  • বৃষ্টি ও জোছনা
  •  সেই মেয়েটি
  • তিনি ও সে
  • ভালবেসে যদি সুখ নাহি
  • তিন পুরুষ
  • অন্য ভুবন
  • রাজার কুমার নিনিত
  • স্বপ্ন ও অন্যান্য (নাটক সমগ্র)
  • ছোটদের সেরা গল্প
  •  হলুদ পরী১৯৪. বনের রাজা
  • ভুত মন্ত্র
  • একি কাণ্ড!
  • ছবি বানানোর গল্প
  • সানাউল্লার মহাবিপদ
  • বিরহগাথা – ১
  • বিরহগাথা – ২
  • বিরহগাথা – ৩
  • দি একসরসিস্ট
  • সম্রাট
  • ভৌতিক অমনিবাস
  • নিশিকাব্য
  • জল জোছনা 
  • পোকা
  • ছায়াবীথি
  • পারুল ও তিনটি কুকুর
  • অদ্ভুত সব গল্প
  • চেরাগের দৈত্য এবং বাবলু
  • রুমালী
  • অনিল বাগচীর একদিন
  • জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাই স্কুল
  • তোমাকে
  • মেঘ বলে চৈত্রে যাব
  • শীত ও অন্যান্য গল্প -১
  • রোদন ভরা এই বসন্ত
  • নুহাশ এবং আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগ
  • ইরিনা
  • কুহক
  • পেন্সিলে আঁকা পরী

 

হুমায়ূন আহমেদের সবচেয়ে জনপ্রিয় বই

দেবী

হুমায়ূন আহমেদের দেবী
হুমায়ূন আহমেদের দেবী

দেবী বইটি ১৯৮৫ সালে  প্রকাশিত হয়। বইটি হুমায়ুন আহমেদের অন্যতম সৃষ্টি মিসির আলী সিরিজের বই। ইতোমধ্যে হয়ত অনেকেই এই উপন্যাসের অবলম্বনে রচিত চলচ্চিত্রটি দেখে ফেলেছে। কিন্তু বইটি পড়লে আপনি আরো বিস্তারিত ভাবে ঘটনা গুলো অনুধাবন করতে পারবেন। দেবী উপন্যাসের মাধ্যমেই হুমায়ূন আহমেদ প্রথম মিসির আলী পাঠকের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। মিসির আলী একজন অতি সাধারণ মানুষ। যিনি মানুষের মন নিয়ে প্রচুর পড়ালেখা করেন এবং মাঝে মাঝে অতিপ্রাকৃতিক বা অলৌকিক বিষয়ের ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেন। দেবী উপন্যাসে দেখা যায় রানু নামের এক নববিবাহিত মহিলার অলৌকিক ক্ষমতা ও মানসিক সমস্যার সমাধানের জন্য তার স্বামী আনিস মিসির আলীর স্মরণাপর্ন হন। এই সমস্যা কে এবং সেটির সমাধানের চেষ্টাকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের ঘটনাবলী সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু এই অলৌকিক শক্তির উৎস আসলে কোথায়? রানু কিভাবে এই শক্তি পেল? এই সব বেপার জানতে হলে আপনাকে দেবী বইটি পড়তে হবে।

 

হুমায়ূন আহমেদের সেরা উপন্যাস

নন্দিত নরকে

নন্দিত নরকে
হুমায়ূন আহমেদের নন্দিত নরকে

নন্দিত নরকেতার হুমায়ূন আহমেদের প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস। যা ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয় মাসিক ‘মুখপাত্র’ নামে একটি সংকলনে। এরপর আহমদ ছফা উপন্যাসটি পুস্তকাকারে প্রকাশের উদ্যোগ নেন। উপন্যাসটি তখন খান ব্রাদার্স অ্যান্ড কোং কর্তৃক গ্রন্থাগারে প্রথম প্রকাশিত হয়।একটি নিম্নবিত্ত পরিবারের দু:খ ও কষ্টের বিষাদ বর্ণনা আছে ‘নন্দিত নরকে’। পরিবারে চার ভাই-বোনের মধ্যে বড় মেয়ে রাবেয়া বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। রাবেয়াকে ঘিরেই পুরো গল্পের পটভূমি। এছাড়া এ গল্পে আছে মা, বাবা, ভাই, বোন, শফিকসহ অনেকেই।

 

জীবনী নিয়ে উক্তি হুমায়ূন আহমেদ 

১)পৃথিবীতে নিজে ভালো থাকতে চাইলে স্বার্থপর হয়ে যাও আর মানুষের কাছে ভালো থাকতে চাইলে নিঃস্বার্থ হয়ে যাও।

২) অনুপস্থিতিকে অন্ধকার বলে। তেমনি কষ্ট বলেও কিছু নেই, সুখের সাময়িক অনুপস্থিতিকে কষ্ট বলে। 

৩)পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিনে-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সেজন্যই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটা। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রং এই তিনের মিশ্রণ। 

৪) এ জগতে যুক্তিহীন কিছু ঘটে না। অযুক্তি হল অবিদ্যা। এ পৃথিবীতে অবিদ্যার স্থান নেই। 

৫)মানুষ নিজেকে লুকিয়ে রাখতে পছন্দ করে। সে চায় অন্যরা তাকে খুঁজে বের করুক। 

৬) আবেগ প্রবণ মানুষ খুব বোকা হয়ে থাকে। তারা খুব সহজেই মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই তারা প্রতারিত হয় বেশি, কষ্টও পায় বেশি। ”

৭)একজন মানুষকে সত্যিকারভাবে জানার উপায় হচ্ছে তার স্বপ্নটা জানা। 

৮)প্রতিটা মানুষের জীবনে কষ্ট আছে শুধুতা প্রকাশ করার পদ্ধতি ভিন্ন। নির্বোধরা প্রকাশ করে চোখের পানি দিয়ে আর বুদ্ধিমানরা প্রকাশ করে মৃদু হাসি দিয়ে। 

৯)আমাদের মধ্যে সম্মান করা এবং অসম্মান করার দুটি প্রবণতাই প্রবলভাবে আছে। কাউকে পায়ের নীচে চেপে ধরতে আমাদের ভালো লাগে, আবার মাথায় নিয়ে নাচানাচি করতেও ভালো লাগে। 

১০) সেই বেশী হাসে, যে গোপনে কাঁদে । সেই বেশী নিজেকে হ্যাপি দেখায়, যে নীরবে একা থাকে। সেই বলে সুখের কোন অভাব নেই, যার জীবনে কষ্ট ছাড়া আর কিছু নাই। ”

১১) অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দূর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ। 

১২)কল্পনা শক্তি আছে বলেই সে মিথ্যা বলতে পারে । যে মানুষ মিথ্যা বলতে পারে না, সে সৃষ্টিশীল মানুষ না, রোবট টাইপ মানুষ।

১৩) খুব বুদ্ধিমান মানুষদের এটা একটা সমস্যা। নিজেদের তৈরি কথা ছোট ছোট ফাঁদে তারা নিজেরা ধরা পড়ে। 

১৪) মানুষ হবার অনেক যন্ত্রণার একটি হচ্ছে, যা বলতে প্রাণ কাঁদে তা কখনো বলা হয় না। 

১৫)আয়না দেখলে আয়নার সামনে দাড়াতে ইচ্ছা করে । খুবই ক্ষুদ্র ইচ্ছা এবং নির্দোষ ইচ্ছা । তবু অতি ক্ষুদ্র ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে নেই। একবার প্রশ্রয় দিলে সব ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিতে মন চাইবে। 

১৬)মিথ্যা বলা মানে আত্মার ক্ষয়। জন্মের সময় মানুষ বিশাল এক আত্মা নিয়ে পৃথিবীতে আসে। মিথ্যা বলতে যখন শুরু করে তখন আত্মার ক্ষয় হতে থাকে। বৃদ্ধ বয়সে দেখা যায়, আত্মার পুরোটাই ক্ষয় হয়ে গেছে। 

১৭)সাধারন হওয়াটা একটা অসাধারন বিষয়, সবাই সাধারন হতে পারে না। 

১৮)এই পৃথিবীতে চোখের জলের মতো পবিত্রতো আর কিছু নেই । এই পবিত্র জলের স্পর্শে সব গ্লানি- সব মালিন্য কেটে যায়। 

১৯) তুমি দশটি সত্য এর মাঝে একটি মিথ্যা মিশিয়ে দাও, সেই মিথ্যাটিও সত্য হয়ে যাবে কিন্তু তুমি দশটি মিথ্যার মাঝে একটি সত্য মিশাও, সত্য সত্যই থেকে যাবে আর মিথ্যা হবে না। সত্য আসলেই সুন্দর। 

২০)হারিয়ে যাওয়া মানুষ ফিরে আসলে সে আর আগের মত থাকে না। কেমন জানি অচেনা অজানা হয়ে যায় । সবই হয়তো ঠিক থাকে কিন্তু কি যেন নাই, কি যেন নাই। 

২১) অনেক কিছুই বই পড়ে শেখা যায় না। যে কোনোদিন মিষ্টি খায় নাই, সে কি কোনো বই পড়ে বুঝতে পারবে মিষ্টির স্বাদ কী ! যে কোনোদিন লাল রঙ দেখে নাই, বই পড়ে সে কি বুঝবে লাল রঙ কী ? 

২২) মানুষের মন বিচিত্র জিনিস। সমস্ত নক্ষত্রপূঞ্জে যে জটিলতা ও রহস্য তার থেকেও রহস্যময় মানুষের মন। 

২৩) বিবাহ এবং মৃত্যু এই দুই বিশেষ দিনে লতা-পাতা আত্মীয়দের দেখা যায়। সামাজিক মেলামেশা হয়। আন্তরিক আলাপ আলোচনা হয়। 

২৪) শিকল দিয়ে কাউকেই বেঁধে রাখা হয় না । তারপরেও সব মানুষই কোনও – না – কোনও সময় অনুভব করে তার হাত – পায়ে কঠিন শিকল । শিকল ভাঙতে গিয়ে সংসার – বিরাগী গভীর রাতে গৃহত্যাগ করে । ভাবে ,মুক্তি পাওয়া গেল । দশতলা বাড়ির ছাদ থেকে গৃহী মানুষ লাফিয়ে পরে ফুটপাতে । এরা ক্ষণিকের জন্য শিকল ভাঙার তৃপ্তি পায়। 

 

প্রেম নিয়ে হুমায়ূন আহমেদের উক্তি

১)সবাই তোমাকে কষ্ট দেবে, তোমাকে শুধু এমন একজনকে খুঁজে নিতে হবে যার দেয়া কষ্ট তুমি সহ্য করতে পারবে।

২)ভদ্র ছেলেদের জন্য মেয়েদের মনে কখনও প্রেম জাগে না। যা জাগে সেটা হল সহানুভূতি।

৩) যুদ্ধ এবং প্রেমে কোনো কিছু পরিকল্পনা মতো হয় না।

৪) প্রেমিকাবিহীন তরুণের পৃথিবীতে বেঁচে থাকা, ঘাসবিহীন মাঠে গরুর পায়চারির মতো।

৫) ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে বিয়ে না হওয়াটাই বোধ হয় ভালো। বিয়ে হলে মানুষটা থাকে ভালোবাসা থাকে না। আর যদি বিয়ে না হয় তাহলে হয়তো বা ভালোবাসাটা থাকে, শুধু মানুষটাই থাকে না। মানুষ এবং ভালোবাসা এ দুয়ের মধ্যে ভালোবাসাই হয়তো বেশি প্রিয়।

৬) কাউকে প্রচণ্ডভাবে ভালোবাসার মধ্যে এক ধরনের দুর্বলতা আছে। নিজেকে তখন তুচ্ছ এবং সামান্য মনে হয়। এ ব্যাপারটা নিজেকে ছোট করে দেয়।

৭)বাস্তবতা এতই কঠিন যে কখনও কখনও বুকের ভেতর গড়ে তোলা বিন্দু বিন্দু ভালোবাসাও অসহায় হয়ে পড়ে।

৮)ভালোলাগা এমন এক জিনিস যা একবার শুরু হলে সব কিছুই ভালো লাগতে থাকে।

৯) এই পৃথিবীতে প্রায় সবাই, তার থেকে বিপরীত স্বভাবের মানুষের সঙ্গে প্রেমে পড়ে।

১০)পৃথিবীতে অনেক ধরনের অত্যাচার আছে। ভালোবাসার অত্যাচার হচ্ছে সবচেয়ে ভয়ানক অত্যাচার। এ অত্যাচারের বিরুদ্ধে কখনও কিছু বলা যায় না, শুধু সহ্য করে নিতে হয়।

১১)ভালোবাসাবাসির জন্য অনন্তকালের প্রয়োজন নেই, একটি মুহূর্তই যথেষ্ট।

১২) ভালোবাসা যদি তরল পানির মতো কোনো বস্তু হতো, তাহলে সেই ভালোবাসায় সব পৃথিবী তলিয়ে যেত। এমনকি হিমালয় পর্বতও!

১৩) অল্প বয়সের ভালোবাসা অন্ধ গণ্ডারের মতো। শুধুই একদিকে যায়। যুক্তি দিয়ে, বুদ্ধি দিয়ে, আদর দিয়ে এ গণ্ডারকে সামলানো যায় না।

১৪)দরিদ্র পুরুষদের প্রতি মেয়েদের একপ্রকার মায়া জন্মে যায়, আর এই মায়া থেকে জন্মায় ভালোবাসা।

১৫)হয়তো আমরা আমাদের চারপাশের সবার কাছে থেকে প্রচুর ভালোবাসা পেয়ে থাকি, কিন্তু কোনো ভালোবাসা পিতামাতার ভালোবাসার মতো নয়”।

১৬)পাওয়া ভালোবাসাগুলো সব সময় সত্যি মনে হয়, পাবার পর কত জন মূল্য দিতে পারে?

১৭)একটা মেয়ের ভালবাসাকে আমি যুদ্ধের ট্যাংকের মতো মনে করি। সত্যিকার প্রেমিক-প্রেমিকা ট্যাংকের কঠিন বর্মের ভেতর থাকে। কোনো চরাই-উত্রাই ট্যাংককে আটকাতে পারে না”।

১৮)করুণাও এক ধরনের ভালোবাসা, তবে তা ক্ষতিকারক ভালোবাসা। এই ভালোবাসা মানুষকে অসুস্থ করে দেয়”।

১৯)যখন কেউ কারও জন্য কাঁদে, সেটা হলো আবেগ। যখন কেউ কাউকে কাঁদায়, সেটা হলো প্রতারণা। আর যখন কেউ কাউকে কাঁদিয়ে নিজেও কেঁদে ফেলে, সেটাই হলো প্রকৃত ভালোবাসা

২০)ভালোবাসাবাসির ব্যাপারটা হাততালির মতো। দুটা হাত লাগে। এক হাতে তালি বাজে না। অর্থাৎ একজনের ভালোবাসায় হয় না।

 

কষ্ট নিয়ে উক্তি হুমায়ূন আহমেদ 

১) কষ্ট মানুষকে পরিবর্তন করে, আবার কষ্টই মানুষকে শক্তিশালী করে।

২)প্রতিটি দুঃসংবাদের সঙ্গে একটি করে সুসংবাদ থাকে

৩)মানুষ ট্রেইনের মত এক লাইনে চলে। তবে বিশেষ ঘটনার পর নতুন লাইন পাওয়া যায়।

৪) সব মানুষের জীবনেই অপূর্ণতা থাকবে। অতি পরিপূর্ণ যে মানুষ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে ও অতি দুঃখের সঙ্গে তার অপূর্ণতার কথা বলবে। অপূর্ণতা থাকে না শুধু বড় বড় সাধক ও মহা পুরুষদের।

৫) চাঁদের বিশালতা মানুষের মাঝেও আছে, চাঁদ এক জীবনে বারবার ফিরে আসে, ঠিক তেমন মানুষ প্রিয় বা অপ্রিয় যেই হোক, একবার চলে গেলে আবার ফিরে আসে।

৬)মেয়েদের চরিত্রের একটা বিশেষ দিক হল, যেই মুর্হূতে তারা অপর পক্ষের আগ্রহ টের পায়, সেই মুর্হূতে তারা দপ করে নিভে যায়।

৭) সরাসরি চোখের দিকে তাকিয়ে কেউ মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা বলতে হয় অন্যদিকে তাকিয়ে। 

৮)টাকার অভাবে ভালোবাসা মারা যায়, কিন্তু টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনা যায় না।

৯)পৃথিবীতে আসার সময় প্রতিটি মানুষই একটি করে আলাদিনের প্রদীপ নিয়ে আসে…কিন্তু খুব কম মানুষই সেই প্রদীপ থেকে ঘুমন্ত দৈত্যকে জাগাতে পারে।

১০)সমুদ্রের জীবনে যেমন জোয়ার-ভাটা আছে, মানুষের জীবনেও আছে। মানুষের সঙ্গে এই জায়গাতেই সমুদ্রের মিল।

 ১১)বয়সকালেই মানুষ ছোট খাট ভুল করতে থাকে। ছোটখাটো ভুল করা যখন অভ্যাস হয়ে যায় তখন করে বড় ভুল।

১২)মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষগুলোই ধরণীর আসল রূপ দেখতে পায়।

১৩) বড় বড় ব্যাপারগুলি সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় কিন্তু তুচ্ছ ব্যাপারগুলি চোরকাঁটার মত কিছুতেই তাড়ানো যায় না।

১৪)না বলতে পারাটা খুব বড় গুণ। বেশিরভাগ মানুষ ‘না’ বলতে পারে না। এতে তারা নিজেরাও সমস্যায় পড়ে, অন্যদেরও সমস্যায় ফেলে।

১৫)পৃথিবীতে আনন্দ এবং দুঃখ সব সময় থাকবে সমান সমান। বিজ্ঞানের ভাষায় আনন্দের সংরক্ষণশীলতা। একজন কেউ চরম আনন্দ পেলে, অন্য জনকে চরম দুঃখ পেতে হবে।

১৬) ভালোবাসা খুব অদ্ভুত জিনিস। ভালোবাসা কখনো হারায় না। কখনো নষ্ট হয় না। কোনো না কোনভাবে থেকেই যায়।

১৭) মনের তীব্র ব্যাথা কমানোর একটি উপায় হচ্ছে কিছু লেখা। যে লেখা ব্যক্তিগত দুঃখকে ছড়িয়ে দেয় সবদিকে।

১৮) অধিকাংশ মানুষ কল্পনায় সুন্দর, অথবা সুন্দর দুর থেকে। কাছে এলেই আকর্ষণ কমে যায়। মানুষই একই। কারো সম্পর্কে যত কম জানা যায়, সে তত ভাল মানুষ।

১৯) মানুষ হয়ে জন্মানোর সবচেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে মাঝে মাঝে তার সবকিছু পেছনে ফেলে চলে যেতে ইচ্ছা করে, কিন্তু সে যেতে পারে না। তাকে অপেক্ষা করতে হয়। কিসের অপেক্ষা তাও সে ভালমতো জানে না।

২০)এক সাথে কখনো সবাইকে সুখী করা সম্ভব না। আপনি কখনই পারবেন না। কাউকে না কাউকে অসন্তুষ্ট রাখতেই হবে। আর তাতেই মনে হয় নিজের গোটা পৃথিবীর একটা প্রান্ত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

২১) কিছু মানুষ জীবনে আসে ক্ষনিকের জন্য, হঠাৎ চলে যায় ঘুর্নিঝড়ের মতো, ধ্বংস করে দিয়ে যায় মনের ঘরবাড়িকে।

২২)দুঃসময়ে কোনো অপমান গায়ে মাখতে হয় না

২৩) পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ সম্ভবত কষ্ট পাবার জন্যই জন্মায়। উঁহু টাঁকা পয়সার কষ্ট নয়, মানসিক কষ্ট।

২৪)কেও কারও মত হতে পারে না। সবাই হয় তার নিজের মত। তুমি হাজার চেষ্টা করেও তোমার চাচার বা বাবার মত হতে পারবে না। সব মানুষই আলাদা।

২৫) বিপদ যখন আসে একটার পর একটা আসে। বিপদরা পাঁচ ভাইবোন। এদের মধ্যে খুব মিল। এই ভাইবোনরা কখনো একা কারো কাছে যায় না। প্রথম একজন যায়, তারপর তার অন্য ভাইবোনরা উপস্থিত হয়।

 

পুরস্কার ও সম্মাননা

হুমায়ুন আহমেদ তার জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন। বাংলা কথাসাহিত্য অবদান রাখার জন্য তিনি ১৯৭৩ সালে লেখক শিবির পুরস্কার লাভ করেন। বাংলা উপন্যাসে  অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি মাইকেল মধুসূদন  পদক লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ শিশু একাডেমী পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯০ সালে তিনি হুমায়ুন কাদের স্মৃতি পুরস্কার লাভ করেন। তিনি জয়নুল আবেদীন স্বর্ণপদকও লাভ করেন। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অন্যান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ১৯৯৪ সালে দেশের দ্বিতীয় বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।

১৯৯২ সালে শঙ্খনীল কারাগার চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার বিভাগে তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। এরপর ১৯৯৪ সালে আগুনের পরশমণি চলচ্চিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা বিভাগে তিনটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৯ সালে শ্রাবণ মেঘের দিন চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র ,শ্রেষ্ঠ কাহিনীকার ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।

হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস তৌকির আহমেদ অবলম্বনে নির্মিত দারুচিনি দ্বীপ(২০০৭) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকর বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত প্রিয়তমেষু (২০০৯) চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ কাহিনী কার বিভাগে বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন। ২০১২ সালে ঘেটুপুত্র কামাল চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালক এবং শ্রেষ্ঠ নাট্যকর বিভাগে দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস অবলম্বনে মোরশেদুল ইসলাম নির্মিত অনিল বাগিচার একদিন চলচ্চিত্রের জন্য তিনি ৪০ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার মরণোত্তর শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচিয়তার পুরস্কার লাভ করেন।

 

সবশেষে,

 হুমায়ূন আহমেদ আমাদের মাঝে তার অনন্য কীর্তির জন্যই বেঁচে আছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তার বইয়ের প্রতি মানুষের আসক্তি যেন বেড়ে চলছে। মৃত্যুর পরেও এই লেখকের জনপ্রিয়তা কোন অংশেই কমে যায়নি। হুমায়ূন আহমেদ একজন উনার মত লেখক হয়তো আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাইতো তিনি অনন্য লেখক। আশা করি আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লেগেছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 

আরও পড়ুনঃ 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents