Dreamy Media BD

অপারেটিং সিস্টেম কি? | উইন্ডোজ – লিনাক্স – আইওএস – অ্যান্ড্রয়েড এর আদ্যোপান্ত

অপারেটিং সিস্টেম কি

অপারেটিং সিটেম সম্পর্কে মজার একটি তথ্য হল , আপনি যে এই আর্টিকেল টি পড়ছেন , নিশ্চই কোন না কোন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।  যদি ফোন থেকে পড়েন তাহলে নিশ্চই এন্ড্রোইড বা এইওএস থেকে আর কম্পিউটার হলে লিনাক্স বা উইন্ডোস থেকে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।আমারা বেশিরভাগ মানুষ অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে না জানলেও এটি প্রতিদিন ব্যাবহার করি , এমনকি আপনার হাতের স্মার্ট ওয়াচ , ঘরের টিভি বা প্রাইভেট কার পর্যন্ত অপারেটিং সিস্টেম বেবহার করে।  আজকের এই লেখায় আমরা জন্য বিভিন্ন প্রকার অপারেটিং সিস্টেমের আদ্যোপান্ত নিয়ে।

অপারেটিং সিস্টেম (operating system) কি

এক কথায়, অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যারের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী। এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ব্যবহারকারীদের জন্য একটি ইন্টারফেস প্রদান করে।

সোজা ভাষায়, অপারেটিং সিস্টেম আমাদের চোখে দেখে  কম্পিউটার বা মোবাইল ডিভাইস নিয়ন্ত্রন করর ক্ষমতা দেয়।

অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে, আমাদের  কম্পিউটার হ্যাকারদের মত টাইপ করে কমান্ড দিয়ে চালাতে হত, আর স্মার্ট ফোনের কথা ত চিন্তাই করা যেত না।

অপারেটিং সিস্টেম কাকে বলে | সংজ্ঞা 

অপারেটিং সিস্টেম কে বিভিন্ন ভাবে সজ্ঞায়িত করা যায়, এর মধ্যে জনপ্রিয় দুটি সংজ্ঞাঃ

অ্যাব্রাহাম সিলবারসচাটজ, পিটার গ্যালভিন এবং গ্রেগ গ্যাগনের লেখা “অপারেটিং সিস্টেম: কনসেপ্ট অ্যান্ড প্রিন্সিপালস” বইয়ের সংজ্ঞা:

 “অপারেটিং সিস্টেম এমন একটি প্রোগ্রাম যা কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং কম্পিউটার হার্ডওয়্যারের মধ্যে একটি মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ করে। ”

উইকিপিডিয়ার সংজ্ঞা অনুসারে অপারেটিং সিস্টেম হলো একটি সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটার ও সফটওয়্যার এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামের জন্য সাধারণ সেবা সরবরাহ করে

অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজ কি

অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান কাজগুলো হল:

  • মোবাইল বা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে নিয়ন্ত্রণ করা। যেমন প্রসেসর, মেমোরি, হার্ড ডিস্ক, এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস গুলো নিয়ন্ত্রণ করে।
  • ব্যবহারকারীদের জন্য* ইন্টারফেস তৈরি করা।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এর জন্য পরিষেবা প্রদান করা।

ইন্টারফেসঃ হল কোন কিছু ভিজুয়াল প্রদর্শন। যেমন, আপনার ফোনের ক্যামেরার জন্য কোন সাটার নেই, কিন্তু স্কিনে ক্যামেরা বাটন এ ক্লিক করে ছবি তোলা যায়। অপারেটিং সিস্টেম এই সুবিধা দিয়ে থাকে।

অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ

অপারেটিং সিস্টেমের কোন নিধারিত প্রকারভেদ নাই, প্রতিনিয়ত পরয়জনে নতুন নতুন ও এস বানানো হয়ে থাকে। তবে মুলত এটি দুই প্রকারের হয়ঃ

  • মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম
    • উইন্ডোজ
    • ম্যাক ওএস
    • লিনাক্স
  • কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম
    • অ্যান্ড্রয়েড
    • আইওএস

অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া কম্পিউটার ও মোবাইল ব্যবহার করা প্রায় অসম্ভব। অপারেটিং সিস্টেম বানানোর আগে, শুধুমাত্র বিশেষজ্ঞরা গবেষণা গারে কম্পিউটার ব্যবহার করত।

বিল গেটস ও স্টিভ জব’স অপারেটিং সিস্টেম এর তরিতে অনেক অবদান রেখেছেন, এই সম্পর্কে আরও জানতে এই লেখা দুটি পড়তে পারেন।

আরও পড়ুনঃ

কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম

কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম (OS) হল  সিস্টেম সফটওয়্যার যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে ইন্টারফেস হিসেবে কাজ করে।

কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমকে মুলত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

  • গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেম
  • টেক্সট ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম

গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমঃ যে সব অপারেটিং সিস্টেম দর্শনের মাধ্যমে ব্যাবহার করা যায়। গ্রাফিক্যাল অপারেটিং সিস্টেমগুলোর কিছু উদাহরণঃ

  • Windows: Microsoft দ্বারা তৈরি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।
  • macOS: Apple দ্বারা তৈরি একটি অপারেটিং সিস্টেম যা Macintosh কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহৃত হয়।
  • Linux: একটি বিনামূল্যের এবং ওপেন-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম।

টেক্সট ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেমঃ কমান্ড দিয়ে বেবহারিত হয়, প্রোগ্রামার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারদের কাছে জনপ্রিয়।

  • Unix: একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম।
  • DOS: প্রাচীন জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম যা IBM PC কম্পিউটারগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছিল।

windows উইন্ডোজ কি?

উইন্ডোজ হল একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) ভিত্তিক জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম যা মাইক্রোসফট দ্বারা তৈরি । এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে একটি ইন্টারফেস তৈরি করে।

উইন্ডোজ কি ধরনের সফটওয়্যার?

উইন্ডোজ একটি অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে সংযোগকারী হিসেবে কাজ করে। এটি কম্পিউটারের সমস্ত হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর কার্যকারিতা পরিচালনা এবং সমন্বয় কারীর কাজ করে। সিস্টেম দারা এটি ব্যাবহার হয় বলে, একে সিস্টেম সফটওয়্যারও বাল হয়।

উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য

  • গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস: উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের গ্রাফিক্স এবং আইকন ব্যবহার করে কম্পিউটার ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
  • গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস: উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের গ্রাফিক্স এবং আইকন ব্যবহার করে কম্পিউটার ব্যবহার করার সুবিধা দেয়।
  • হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেস: উইন্ডোজ হার্ডওয়্যার অ্যাক্সেস বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে , তাই ব্যবহারকারী রা ওয়েবক্যাম, ক্যামেরা , স্ক্যানার , স্পিকার ইত্যাদি এর সাহায্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
  • সফটওয়্যার অ্যাক্সেস: উইন্ডোজ সফটওয়্যার অ্যাক্সেস ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। যেমন: কম্পিউটারের মাক্রোসফ অফিস, এন্টিভাইরাস বা ফটোশপ সফটওয়্যার গুলি ব্যবহার করতে উইন্ডোস আমাদের সাহায্য করে।
  • ব্যবস্থাপনা: উইন্ডোজ সিস্টেম রিসোর্স গুলি, যেমন মেমরি, প্রসেসর এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইস গুলোর ব্যাবস্থাপক হিসাবে কাজ করে।
  • নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা: উইন্ডোজ সিস্টেমকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য সংয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রদান করে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ভার্সন/ সংস্করণ গুলি

মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ১ থেকে ১১ পর্যন্ত সব ভার্সন এক নজরে:

সংস্করণ সাল ফিচার
উইন্ডোজ 1.0 ১৯৮৫
  • প্রথম গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) ব্যবহার করে যা কম্পিউটারের জগতে বিপ্লব এনেছিল ।
  • মাল্টিটাস্কিং
  • উইন্ডোজ অ্যাপ্লিকেশন
  • ফাইল ম্যানেজার
  • কন্ট্রোল প্যানেল
  • ক্লিপবোর্ড
  • এমএস-ডস এক্সিকিউটিভ
উইন্ডোজ 2.0 ১৯৮৭
  • উন্নত জিইউআই ফিচার
  • মাল্টিটাস্কিং এর উন্নত সুবিধা
  • নতুন অ্যাপ্লিকেশন উন্মুক্ত, যেমন পেইন্ট ব্রাশ এবং রাইট ক্লিক
  • আরো বেশি হার্ডওয়্যার ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা
উইন্ডোজ 3.0 ১৯৯০
  • 3D এফেক্টস সহ নতুন জিইউআই
  • প্রোগ্রাম ম্যানেজার
  • অবজেক্ট লিংকিং এবং এম্বেডিং (ওএলই)
  • ভার্চুয়াল মেমোরির সুবিধা
উইন্ডোজ 3.1 ১৯৯২
  • TrueType ফন্ট
  • মাল্টিমিডিয়া সমর্থন
  • নেটওয়ার্কিং সমর্থন
  • উন্নত কর্মক্ষমতা
উইন্ডোজ 3.11 ১৯৯২
  • বাগ ফিক্স
  • নতুন হার্ডওয়্যার ডিভাইস সমর্থন
উইন্ডোজ 95 ১৯৯৫
  • স্টার্ট মেনু এবং টাস্কবার সহ নতুন জিইউআই
  • প্লাগ এবং প্লে সমর্থন
  • অন্তর্নির্মিত ইন্টারনেট সমর্থন
  • 32-বিট আর্কিটেকচার
উইন্ডোজ 98 1998
  • Active Desktop সহ উন্নত জিইউআই
  • ওয়েব ইন্টিগ্রেশন
  • নতুন হার্ডওয়্যার ডিভাইস সমর্থন, যেমন USB এবং DVD
উইন্ডোজ ME ২০০০
  • Windows Movie Maker এবং Windows Media Player সহ নতুন জিইউআই
  • System Restore সুবিধা
  • Home Networking Wizard সুবিধা
উইন্ডোজ 2000 ২০০০
  • উন্নত নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা
  • Active Directory সুবিধা
  • একাধিক প্রসেসর সমর্থন
উইন্ডোজ XP ২০০১
  • উইন্ডোজের সবচেয়ে জনপ্রিয় সংস্করণ গুলির অন্যতম।
  • লুনা থিম সহ নতুন জিইউআই
  • Fast User Switching
  • ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কিং সমর্থন
  • নতুন হার্ডওয়্যার ডিভাইস সমর্থন, যেমন ডিজিটাল ক্যামেরা এবং MP3 প্লেয়ার
উইন্ডোজ ভিস্তা ২০০৭
  • উইন্ডোজ XP এর একটি উন্নত ভার্সন।
  • Aero থিম সহ নতুন জিইউআই
  • Windows Defender
  • Windows Search
  • Parental Controls
উইন্ডোজ 7 ২০০৯
  • এটি উইন্ডোজ এর সবচেয়ে জনপ্রিয় ভার্সন।
  • Aero ইন্টারফেস
  • জম্প লিস্ট
  • টাস্কবার প্রিমিয়ার
  • Aero স্ন্যাপ
  • উইন্ডোজ ডিফেন্ডার
  • উইন্ডোজ মিডিয়া প্লেয়ার
  • উইন্ডোজ ফটো ভিউয়ার
  • উন্নত কর্মক্ষমতা
  • উন্নত হার্ডওয়্যার সমর্থন: টাচস্ক্রিন এবং মাল্টি-কোর প্রসেসর সহ একটি বিস্তৃত পরিসর হার্ডওয়্যার ডিভাইস ব্যাবহারের সুবিধা দেয়।
  • নতুন অ্যাপ্লিকেশন: পেইন্ট, স্নিপিং টুল, ক্যালকুলেটর।
উইন্ডোজ 8 ২০১২
  • মেট্রো থিম সহ নতুন জিইউআই যা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য অস্বস্তিকর ছিল।
  • Windows Store
  • Start screen
  • টাচ সমর্থন
উইন্ডোজ 8.1 ২০১৩
  • স্টার্ট বোতাম সহ উন্নত জিইউআই
  • Windows Search উন্নতি
  • Internet Explorer 11
  • নতুন অ্যাপ্লিকেশন, যেমন OneDrive এবং OneNote
উইন্ডোজ 10 ২০১৫
  • স্টার্ট মেনু সহ নতুন জিইউআই
  • Microsoft Edge ব্রাউজার
  • Cortana ভার্চুয়াল সহকারী
উইন্ডোজ 11 ২০২১
  • নতুন ইউজার ইন্টারফেস: সেন্টার্ড টাস্কবার এবং স্টার্ট মেনু সহ।
  • উইজেট: ইন্টারনেট থেকে সর্বশেষ খবর, আবহাওয়া, এবং অন্যান্য তথ্য প্রদর্শন।
  • স্ন্যাপ লেআউট: উইন্ডোগুলো বিভিন্ন আকারে দ্রুত সাজানোর জন্য।
  • টিম ইন্টিগ্রেশন: মাইক্রোসফট টিম অ্যাপের সাথে একীভূত।
  • অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সমর্থন
  • ডাইরেক্ট স্টোরেজ
  • অটো HDR
  • VRR সমর্থন
  • উইন্ডোজ হ্যালো ফর বিজনেস
  • উইন্ডোজ ডিফেন্ডার সিস্টেম গার্ড

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেম

লিনাক্স একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যা সাধারণত ডেস্কটপ, সার্ভার, মোবাইল ডিভাইস এবং ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি কার্নেল যা অন্যান্য সফটওয়্যার এর সমন্বয়ে তৈরি।

লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের বৈশিষ্ট্য

লিনাক্সের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

  • ওপেন সোর্স: লিনাক্সের সোর্স কোড বিনামূল্যে পাওয়া যায় এবং যে কেউ এটি পরিবর্তন এবং ডেভেলপ করতে পারে।
  • নিরাপদ: লিনাক্স সাধারণত অন্যান্য অপারেটিং সিস্টেমের তুলনায় বেশি নিরাপদ।
  • ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত: লিনাক্স ব্যবহারের জন্য কোন লাইসেন্স ফি প্রয়োজন হয় না।
  • বহুমুখী: লিনাক্স বিভিন্ন ধরণের হার্ডওয়্যার চালানো যায়।

এটি হ্যাকার , প্রগ্রামার ও ডেভেলপার দের কাছে অনেক জনপ্রিয়।

ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম

ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম হল একটি গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেস (GUI) বেইজ অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল ইনক. দ্বারা তৈরি এবং বাজারজাত করা হয়েছে। এটি অ্যাপলের ম্যাক কম্পিউটারের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে যা অ্যাপলের ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ওয়ার্ক স্টেশন এবং সার্ভার সহ বিভিন্ন ধরণের ম্যাক ডিভাইসে চালানো যায়।

ম্যাক অপারেটিং সিস্টেম বৈশিষ্ট্য

ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমের কিছু প্রধান বৈশিষ্ট্য হল:

  • ইউনিভার্সাল কন্ট্রোল: একই মাউস এবং কীবোর্ড দিয়ে একাধিক ম্যাক এবং আইপ্যাড নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
  • সাইডকার: এর সাহায্য আইপ্যাডকে ম্যাকের অতিরিক্ত ডিসপ্লে হিসাবে ব্যবহার করা যায়।
  • কনটিনিউইটি: ম্যাক, আইপ্যাড এবং আইফোনের মধ্যে নিরবচ্ছিন্নভাবে স্যুইচ করার সুবিধা আছে।
  • এয়ারড্রপ: অন্যান্য ম্যাক এবং iOS ডিভাইসের সাথে ফাইল দ্রুত এবং সহজে শেয়ার করা যায়।
  • হ্যান্ডঅফ: একটি ম্যাক ডিভাইসে কোন কিছু করলে অন্য ডিভাইসে সেটিকে আবার সম্পাদনা করা যায়।
  • আই মেসেজ: গ্রুপ চ্যাট এবং এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সহ একটি মেসেজিং অ্যাপ।
  • সিরি: ম্যাক নিয়ন্ত্রণ করতে, তথ্য পেতে এবং বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে একটি ভার্চুয়াল সহকারী।
  • মেটাল: পারফরম্যান্স সুবিধা প্রদানকারী একটি গ্রাফিক্স API।

মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম 

এতক্ষণ আমরা জানলাম, কম্পিউটার/ডেক্সটপ/পিসি/ল্যাপটপ এর অপারেটিং সম্পর্কে, এবার আমরা জানব, মোবাইল অপারেটিং সম্পর্কে। আদতে, প্রতিটি মোবাইল এক একটা মিনি কম্পিউটার, এদের কাজ করার প্রক্রিয়া প্রজুক্তিগত ভাবে একই।

একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম (ওএস) হল  মোবাইল ডিভাইসে ব্যবহার করার জন্য বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম, যা ডিভাইসের হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে একটি ইন্টারফেস প্রদান করে, ফলে ব্যবহারকারীরা মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করতে এবং অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।

এখন পর্যন্ত অনেকগুলি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম তৈরি হয়েছেঃ

  •  অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম
  • আইওএস বা আইফোন অপারেটিং সিস্টেম
  • নোকিয়া সিমবেন
  • ব্ল্যাকবেরি OS
  • উইন্ডোজ ফোন ওএস
  • হ্যামবেলড

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম | মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম

অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেন-সোর্স মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা গুগল দ্বারা তৈরি, এটি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, যা বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের ৯০% এরও বেশি স্মার্টফোনে ব্যাবহার হয়।

অ্যান্ড্রয়েড মুলত একটি লিনাক্স-ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম,অর্থাৎ এটি লিনাক্স কার্নেল ব্যবহার করে। অ্যান্ড্রয়েড মাল্টি-টাচ ইন্টারফেস ব্যবহার করে যার ফলে ব্যবহারকারীরা আঙ্গুল দিয়ে ডিভাইস পরিচালনা করতে পারে। আর এটি ব্যাবহার করা খুব সহজ, ছোট থেকে বড় যে কেউ ব্যাবহার করতে পারে। প্লে স্টোরে অনেক প্রকারের ফ্রি অ্যাপ পাওয়া যায়, এটিও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তার প্রধান একটি কারন।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর কিছু তথ্যঃ  

  • অ্যান্ড্রয়েডের তৈরির কাজ ২০০৩ সালে শুরু হয়। গুগল ডেভেলপার অ্যান্ড্রু রুবিনের একটি কোম্পানির তখন ডার্ক স্টার অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইন্টারঅ্যাকটিভ এ কাজ করতেন।
  • ২০০৫ সালে, গুগল ডার্ক স্টার কে  $৫০ মিলিয়ন ডলারে কিনে নেয় এবং অ্যান্ড্রয়েড এর গবেষণা আরও ত্বরান্বিত করে।
  • অ্যান্ড্রয়েড ২.৫ বিলিয়ন ও বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছে।
  • অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ হল অ্যান্ড্রয়েড ১৩, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশিত হয়।

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম কি ধরনের প্লাটফর্ম?

অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম একটি মোবাইল প্লাটফর্ম। এটি মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়। তবে বর্তমানে,

অ্যান্ড্রয়েড বিভিন্ন ধরণের ডিভাইসে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে রয়েছে স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, টিভি, স্মার্টওয়াচ এবং গাড়ি।

 আইফোন অপারেটিং সিস্টেম | মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম

আইফোন অপারেটিং সিস্টেম, যা আইওএস নামেও পরিচিত । এটিও একটি মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম যা অ্যাপল ইনকর্পোরেটেড দ্বারা তৈরি এবং বাজারজাত করা হয়। এটি মূলত আইফোন স্মার্টফোন এবং আইপ্যাড ট্যাবলেট ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়। আইওএস একটি বন্ধ-সোর্স (ক্লোজ সোর্স) অপারেটিং সিস্টেম, অর্থাৎ এটি শুধুমাত্র অ্যাপল দ্বারা অ্যাক্সেস এবং পরিমার্জন করা যায়।

আইওএস অপারেটিং সিস্টেম এর কিছু তথ্যঃ

  • Face ID, Touch ID: আধুনিক লকিং সিস্টেম।
    • Siri: ভয়েস দিয়ে নিয়ন্ত্রন।
  • Apple Pay: ডিজিটাল পেমেন্ট।
  • AirDrop: ফাইল শেয়ারিং।
  • iMessage: ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং।
  • নিরাপত্তা: এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন এবং অ্যাপ স্টোর ভেরিফাইড।
  • সামাজিক মিডিয়া integration: Facebook, Twitter, Instagram সহ সামাজিক মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সাথে সমন্বয় করা।

 অন্যান্য জনপ্রিয় | মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম

আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড বাদে আরও কিছু অপারেটিং সিস্টেম আছে নকিয়া, ব্ল্যাকবেরি এবং অন্যান্য ফোনের জন্য ব্যবহৃত কিছু মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হল:

  • নকিয়া সিমবেন: সিমবেন,  নকিয়া দ্বারা তৈরি এবং বাজারজাত করা একটি ক্লোজ-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটি মূলত নকিয়ার স্মার্টফোনগুলো তে ব্যবহৃত হয়।
  • ব্ল্যাকবেরি OS: ব্ল্যাকবেরি OS এটিও একটি ক্লোজ-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম। এটিও মূলত ব্ল্যাকবেরি স্মার্টফোনগুলিতে ব্যবহৃত হয়। শুরুর দিকে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও বর্তমানে এটি হারিয়া গিয়েছে।
  • উইন্ডোজ ফোন ওএস: মূলত উইন্ডোজ স্মার্টফোন গুলোর জন্য ইন্ডোজ ফোন ওএস তৈরি হয়।
  • হ্যামবেলড: হামবেলড, এন্ড্রয়েড এর মত একটি ওপেন-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম।  হ্যামবেলড ওএস Linux kernel-এ ভিত্তি করে তৈরি।
  • ফেডারা: এটিও একটি ওপেন-সোর্স অপারেটিং সিস্টেম যা রিচার্ড স্ট্রোমার তৈরি করেছিলেন।

বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম

বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হল অ্যান্ড্রয়েড। এটি মূলত স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি অন্যান্য ডিভাইস, যেমন টিভি, স্মার্ট ওয়াচ এবং গাড়িতেও ব্যাবহার করা হয়।

২০২৩ সালের হিসেবে, বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন নব্বই শতাংশ এর বেশি মোবাইলে  অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যাবহার হয়, যা সংখ্যায় প্রায় ২৫০ কোটির বেশি। অ্যান্ড্রয়েডের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হল আইওএস। যা মূলত আইফোন স্মার্টফোন এবং আইপ্যাড ট্যাবলেট ডিভাইসগুলিতে ব্যবহৃত হয়।

অন্যদিকে,

কম্পিউটারের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হল মাইক্রোসফট উইন্ডোজ। বিশ্বের নব্বই শতাংশ এর বেশি ব্যক্তিগত কম্পিউটারে এটি ব্যবহৃত হয়। আর, উইন্ডোজ এর ভার্সনগুলির মধ্যে উইন্ডোজ সেভেন, সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিল।

শেষ কথা | অপারেটিং সিস্টেম

আজকের এই লেখায় আমারা মুলত সকল প্রকার অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আলোচনা করেছি। যা কম্পিউটার বিজ্ঞানের বা মাধ্যমিকের ছাত্র ছাত্রী, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষায় জন্য প্রয়জনীয় বিভিন্ন তথ্য সম্পূর্ণ।  এই জাতীয় আরও লেখা পড়তে চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে। নিয়মিত আপডেট পেতে পপ নোটিফিকেশন অন করে দিন। ধন্যবাদ।

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents