Dreamy Media BD

কম্পিউটারঃ এক যাদুর বাক্সের পরিচিতি

কম্পিউটারঃ এক যাদুর বাক্সের পরিচিতি

কম্পিউটার (Computer) হলো আধুনিক দুনিয়ার সেরা উদ্ভবন এটি এমন এক জাদুর বাক্স, যেখানে সব কিছুরই দেখা মেলে ও সমস্যার সামাধান পাওয়া যায়। কম্পিউটার কি করতে পারে, সেটা বলার বা বর্ণনা করার প্রয়োজন নেই, সেটা সবাই জানে। কিন্তু এই যাদুর বক্সের অনেক কিছুই আমাদের নানা নেই,  আমাদের আজকের লেখাটি, জাদুর বাক্স কম্পিউটার নিয়ে।

কম্পিউটার কাকে বলে

সহজ ভাষায়, কম্পিউটার একটি অত্যাধুনিক ইলেকট্রিক যন্ত্র, যা গাণিতিক ডেটাকে গ্রহন , সম্পাদন ও সংরক্ষণ করতে পারে। ল্যাটিন শব্দ Computare থেকে ইংরেজি Computer শব্দটির উৎপত্তি। যার বাংলা অর্থ, “গণনাকারী যন্ত্র”।

কম্পিউটারের জনক

চার্লস ব্যাবেজ (Charles Babbage) কে কম্পিউটারের জনক বলা হয়। চার্লস ব্যাবেজ ছিলেন একজন ব্রিটিশ গণিতবিদ এবং ইঞ্জিনিয়ার।  তার জীবনের সেরা কাজ “ব্যাবেজ ইঞ্জিন” এর আবিষ্কার। ১৮৩০ সালে তিনি “ব্যাবেজ ইঞ্জিন” আবিষ্কার করেন।  অনেকে একটাকে “এনালিটিক ইঞ্জিন” বলেও ডাকেন।

ব্যাবেজ ইঞ্জিন গাণিতিক সমীকরণের সাহায্য গণনার কাজ করতে পারত, তবে তিনি এটি শেষ করে যেতে পারেন নি।  এটিকে কম্পিউটারের প্রথম আদর্শ প্রোটোটাইপ হিসাবে গণ্য করা হয়।

প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার এর নাম

বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হলেন অ্যাডা অগাস্টা লাভলেস বায়রন। তিনি ছিলেন ইংরেজ গণিতবিদ এবং উদ্ভাবক চার্লস ব্যাবেজের সহকারী ও বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের মেয়ে। তিনি ব্যাবেজের তৈরী ডিফারেন্স ইঞ্জিন এবং অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনের জন্য অ্যালগরিদম লিখেছিলেন। তার এই কাজকে কম্পিউটারের প্রথম প্রোগ্রাম বলে বিবেচনা করা হয়।

কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে ?

কম্পিউটারের কাজ অনেক জটিল গাণিতিক ও ইলেকট্রিক প্রক্রিয়া সম্পাদনের মধ্যে দিয়ে হয়ে তাকে , তবে পুরো প্রক্রিয়াকে তিনভাগে ভাগ করা হয় :

ইনপুট: কীবোর্ড/ মাউস/মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা ইত্যাদি ইনপুট ডিভাইস এর সাহায্য ইনপুট নেয়।

প্রসেসিং: ইনপুট ডিভাইস এর সাহায্য প্রাপ্ত ডেটাকে গাণিতিক প্রক্রিয়ায় কাজ সম্পাদন করে।

আউটপুট: প্রসেসিং কৃত ডেটা কে মেমোরিতে সংরক্ষণ করে ও আউটপুট ডিভাইস (মনিটর) এর সাহায্য ফলাফল প্রদর্শন করে।

কম্পিউটার পরিচিতি

কম্পিউটারের সাব্দিক অর্থ “গণনাকারী যন্ত্র”  কিন্তু কম্পিউটার আর কেবলমাত্র একটি গণনাকারী যন্ত্র নয়।  আমাদের জাতীয় জীবনে এমন কোন কাজ নাই যার সাথে কম্পিউটার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত নয়।  আর কম্পিউটারের এই কাজগুলি করার জন্য , হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার একসাথে কাজ করে।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার পরিচিতি

কম্পিউটার অনেক প্রকার হার্ডওয়্যারের সমষ্টি। তাদের মধ্যে উলেক্ষযোগ্য কিছু হল:

প্রসেসর: প্রসেসর হল কম্পিউটারের মস্তিষ্ক। এটি ডেটা প্রসেস করে এবং কম্পিউটারের অন্যান্য হার্ডওয়্যার গুলিকে নিয়ন্ত্রণ করে।

মেমরি: মেমরি হল কম্পিউটারের সংরক্ষণাগার। এটি প্রোগ্রাম, ডেটা এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষণ করে। র্যাম হল টেম্পোরারি মেমোরি। প্রসেসরের সহযোগী হিসাবে কাজ করে।

স্টোরেজ ডিভাইস: স্টোরেজ ডিভাইসগুলি দীর্ঘমেয়াদী তথ্য সংরক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: হার্ড ডিস্ক, অপটিক্যাল ড্রাইভ , ফ্ল্যাশ ড্রাইভ বা পেনড্রাইভ।

ইনপুট ডিভাইস: ইনপুট ডিভাইসগুলি ব্যবহারকারীর কাছ থেকে তথ্য প্রবেশ করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন, কীবোর্ড, মাউস, স্ক্যানার ও মাইক্রোফোন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আউটপুট ডিভাইস: আউটপুট ডিভাইসগুলি কম্পিউটারের তথ্য প্রদর্শন করার জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন: মনিটর, প্রিন্টার এবং স্পিকার ।

মদারবোর্ড: মাদারবোর্ড হল কম্পিউটারের প্রধান সার্কিট বোর্ড। এটি প্রসেসর, মেমরি, স্টোরেজ ডিভাইস এবং ইনপুট/আউটপুট ডিভাইসগুলিকে সংযুক্ত করে।

পাওয়ার সাপ্লাই: পাওয়ার সাপ্লাই কম্পিউটারকে  বৈদুতিক শক্তি সরবরাহ করে।

কেস: কেস হল কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার গুলি এর মধ্যে থাকে।

কম্পিউটার সফটওয়্যার পরিচিতি

কম্পিউটার সফটওয়্যার হল  ইন্সট্রাকশন, ডেটা এবং প্রোগ্রাম এর সমষ্টি যা কম্পিউটারকে  নির্দিষ্ট কাজ করতে সাহায্য করে। সফটওয়্যার ছাড়া কম্পিউটার জীবন ছাড়া মানুষের মতো , কোন কাজেই করতে পারে না।

কম্পিউটার এ  দুই প্রকার সফটওয়্যার আছে:

  • সিস্টেম সফটওয়্যার: এটি কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার এবং অন্যান্য সফটওয়্যারের মধ্যে যোগাযোগ এবং সমন্বয়সাধন করতে সাহায্য করে। অর্থাৎ যে সফটওয়্যার গুলি কম্পিউটার নিজেই বেবহার করে।  যেমন, অপারেটিং সিস্টেম, ড্রাইভার এবং অন্যান্য নিরাপত্তা প্রোগ্রাম।
  • অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার: যে সফটওয়্যার ইউজার ব্যবহার করে কাজ করে।  যেমন আমরা লেখার জন্য ওয়ার্ড, ছবি এডিট করতে ফটোশপ  ব্যবহার করি।

কিছু বহুল পরিচিত সফটওয়্যার এর উদাহরণ:

অপারেটিং সিস্টেম: উইন্ডোজ, ম্যাকওএস, লিনাক্স

ওয়ার্ড প্রসেসিং সফটওয়্যার: মাইক্রোসফ্ট ওয়ার্ড, ওপেন অফিস ওয়ার্ড

স্প্রেডশিট সফটওয়্যার: মাইক্রোসফ্ট এক্সেল, ওপেন অফিস স্প্রেডশিট

গ্রাফিক্স সফটওয়্যার: অ্যাডোবি ফটোশপ, গ্নু ইমেজ ম্যানিপুলেটার (জিআইএম)

গেমিং সফটওয়্যার: গেমেরিয়া, স্টিম

আরও পড়ুনঃ বিল গেটস এর জীবনী

কম্পিউটার কত প্রকার

কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ অনেকভাবেই করা যায়, তার মধ্যে উলেখযোগ্য কিছু হল:

কাজ করার প্রক্রিয়ার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

  • ক্লাসিক্যাল কম্পিউটার: শুরু থেকে বর্তমান পর্যন্ত সকল ডিজিটাল কম্পুটার এর শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত।  যা ০ ও ১ ভিত্তিক ডিজিট এর সাহায্য কাজ করে।
  • কোয়ান্টাম কম্পিউটার: কম্পিউটারের সর্বাধুনিক ও  দ্রুততম ভার্সন।  কোয়ান্টাম ফিজিক্স এর সর্বাধুনিক ধারণায় এই কম্পুটার তৈরী , এটি কাজ করার ক্ষেত্রে একটি মাত্র ডিজিট বেবহার করে।  এই একটি ডিজিট একই সময়ে ০ বা ১ হতে পারে।

আকারের ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারের আকার অনুযায়ী কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:

  • সুপার কম্পিউটার: সুপার কম্পিউটার হল সবচেয়ে বড় ও শক্তিশালী কম্পিউটার। এগুলো অত্যন্ত জটিল ও বড় আকারের সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, মহাকাশ গবেষণা, পারমাণবিক গবেষণা, ইত্যাদি।
  • মেইনফ্রেম কম্পিউটার: মেইনফ্রেম ও একটি কম্পিউটার হল বড় আকারের কম্পিউটার। এগুলো একসাথে অনেক ব্যবহারকারীকে সেবা প্রদান করতে পারে। যেমন, ব্যাংকিং, বিমান পরিবহন, সরকারি কার্যক্রম, ইত্যাদি।
  • মিনি কম্পিউটার: মিনিকম্পিউটার হল মেইনফ্রেম কম্পিউটারের চেয়ে ছোট আকারের কম্পিউটার।
  • পারসোনাল কম্পিউটার (পিসি): পিসি হল ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত কম্পিউটার। এগুলো আকারে ছোট ও দামে সাশ্রয়ী। যেমন, শিক্ষা, গবেষণা, ব্যবসা, বিনোদন, ইত্যাদি কাজে ব্যবহারের কম্পিউটার।

 

ব্যবহার ভিত্তিতে কম্পিউটারের শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারের ব্যবহার অনুযায়ী কম্পিউটারকে চার ভাগে ভাগ করা যায়:

  • ডেস্কটপ কম্পিউটার: ডেস্কটপ কম্পিউটার হল পিসির একটি সাধারণ ধরন। এগুলো সাধারণত একটি টেবিল বা ডেস্কের উপর রাখা যায় , তাই এগুলিকে ডেস্কটপ কম্পিউটার বলে।
  • ল্যাপটপ : ল্যাপটপ হল পিসির একটি বহনযোগ্য ভার্সন। এগুলো ব্যবহারকারীর কোলে (ল্যাপ) এ বসিয়ে ব্যবহার করা যায়।
  • নেটবুক কম্পিউটার: নেটবুক কম্পিউটার হল ল্যাপটপ কম্পিউটারের একটি ছোট ও হালকা ধরন। এগুলো সাধারণত ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
  • স্মার্টফোন: স্মার্টফোন হল একটি বহনযোগ্য কম্পিউটার যাতে ইন্টারনেট, ফোন, ক্যামেরা, ইত্যাদির সুবিধা রয়েছে।

সংজ্ঞার উপর ভিত্তি করে আমাদের ব্যবহৃত সকল ইলেকট্রিক ডিভাইসে একটি কম্পিউটার , হোক সেটা ওয়াসিং মেশিন বা ক্যালকুলেটর।

 

কম্পিউটারের অন্যান্য শ্রেণীবিভাগ

কম্পিউটারকে আরও অনেক ভাবে ভাগ করা যায়। যেমন,

অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী: কম্পিউটারকে অপারেটিং সিস্টেম অনুযায়ী ভাগ করা যায়। যেমন, উইন্ডোজ কম্পিউটার, ম্যাক কম্পিউটার, লিনাক্স কম্পিউটার, ইত্যাদি।

কম্পিউটার এর ৫ টি প্রজন্ম
কম্পিউটার এর ৫ টি প্রজন্ম

কম্পিউটারের প্রজন্ম কয়টি

কম্পিউটারের ব্যাবহারিত প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারকে ৫ টি প্রজন্মে ভাগ করা হয়।

  • প্রথম প্রজন্ম (১৯৪০-১৯৫৬): প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহার করত। এগুলো ছিল অত্যন্ত বড়, ভারী, এবং ব্যয়বহুল। এগুলোর গতিও ছিল খুব কম। প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল এনিঅ্যাক, ইউনিভ্যাক আই, এবং মার্ক আই।
  • দ্বিতীয় প্রজন্ম (১৯৫৬-১৯৬৩): দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ট্রানজিস্টর ব্যবহার করত। এগুলো ভ্যাকুয়াম টিউব ব্যবহারকারী কম্পিউটারের তুলনায় অনেক ছোট, হালকা, এবং কম ব্যয়বহুল ছিল। এগুলোর গতিও ছিল তুলনামূলক বেশি। দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আইবিএম 1401, আইবিএম 1620, এবং ডিজিটাল ইকোনোমিটার ইআরএস-101।
  • তৃতীয় প্রজন্ম (১৯৬৪-১৯৭১): তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট (IC) ব্যবহার করত। এগুলো দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও ছোট, হালকা, এবং কম ব্যয়বহুল ছিল। এগুলোর গতিও ছিল অনেক বেশি। তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, আইবিএম 360, আইবিএম 370, এবং ডিজিটাল ইকোনোমিটার PDP-11।
  • চতুর্থ প্রজন্ম (১৯৭১-বর্তমান): চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি মাইক্রোপ্রসেসর ব্যবহার করে। এগুলো তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের তুলনায় আরও ছোট, হালকা, এবং দাম অনেক কম। এগুলোর গতিও আগেরগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল আইবিএম পিসি, অ্যাপল ম্যাকিনটোশ, এবং মাইক্রোসফ্ট উইন্ডোজ। বর্তমানে বেবহারিতে বেশিভাগ কম্পিউটারই চতুর্থ  প্রজন্মের।
  • পঞ্চম প্রজন্ম (বর্তমান থেকে ভবিষ্যৎ): পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করবে। এগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমস্যা সমাধান করতে পারে। পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলি এখনও জোবেষণা পর্যায়ে আছে, পুরোপুরি বাজারে ছারে নি।

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কি

এটি এমন একটি ব্যবস্থা যা দুই বা ততোধিক কম্পিউটাকে একসাথে যুক্ত করে।ফলে, এই কম্পিউটারগুলি একে অপরের সাথে তথ্য , ফাইল, ও ডেটা  আদান-প্রদান করতে পারে, এবং একসাথে একই রিসোর্স বা অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে।

 

কম্পিউটার নেটওয়ার্কের বিভিন্ন ধরন রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:

 

লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক (LAN): একই ভবনে বা কমপ্লেক্সে অবস্থিত কম্পিউটারগুলিকে সংযুক্ত করে।

মেট্রোপলিটন এরিয়া নেটওয়ার্ক (MAN): একটি শহর বা শহরতলীতে অবস্থিত কম্পিউটারগুলিকে সংযুক্ত করে।

ওয়ার্ল্ডওয়াইড ওয়েব (WWW): বিশ্বব্যাপী অবস্থিত কম্পিউটারগুলিকে সংযুক্ত করে।

জালের মতো কম্পিউটার গুলি একে অপারের সাথে সযুক্ত থাকে বলে , একে ইন্টারনেট বা অন্তজাল বলে।

বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার

বাংলাদেশের প্রথম কম্পিউটার ছিল আইবিএম ১৬২০ সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার। এটি ছিল তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম কম্পিউটার। কম্পিউটার টি ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের, পরমাণু ঢাকা কেন্দ্রে স্থাপন করা হয়েছিল।

এই কম্পিউটারটিতে ছিল ৬০,০০০ ট্রানজিস্টর এবং এটি ৬০,০০০ ডিসিসিএল (ডেসিমাল কম্পিউটিং ইউনিট) গতিবেগে চলত। এটি মূলত জটিল গবেষণা কাজে  ব্যবহৃত হত।

বাংলাদেশে কম্পিউটারের ব্যবহারের সূচনা ষাটের দশকে শুরু হলেও, নব্বই-এর দশকে তা জনপ্রিয়তা লাভ করে।

কম্পিউটার কিছু মজার ও অজানা তথ্য

  • প্রথম কম্পিউটারটির ওজন ছিল ৩০ টনের বেশি।
  • প্রথম কম্পিউটার মাউসটি ছিল কাঠের তৈরি।
  •  বিশ্বের সবচেয়ে  সহজ কিন্তু বেশি ব্যবহৃত কম্পিউটার পাসওয়ার্ড হল “১২৩৪৫৬”।
  •  ১৯৭১ সালে প্রথম কম্পিউটার ভাইরাস তৈরি হয়েছিল।
  •  বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত কম্পিউটারটির নাম ফুগাকু এবং এটি জাপানে অবস্থিত।
  •  ১৯৯১ সালে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম কম্পিউটার ওয়েবক্যামের ব্যবহার করা হয়।
  •  প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার ছিলেন অ্যাডা লাভলেস নামে একজন মহিলা।
  •  বিশ্বের বৃহত্তম কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হল ইন্টারনেট।
  •  ১৯৫৮ সালে “টেনিস ফর টু” নামে প্রথম কম্পিউটার গেম তৈরি হয়েছিল।
  •  ১৯৯৫ সালে “টয় স্টোরি” নামে প্রথম কম্পিউটার-অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র মুক্তি পায়।
  •  ১৯৯৭ সালে গ্যারি কাস্পরোভকে পরাজিত করে প্রথম কম্পিউটারটি মানবকে দাবায় পরাজিত করে  ডিপ ব্লু কম্পিউটার।
  •  ১৯৬১ সালে প্রথম কম্পিউটার-জেনারেটেড ইমেজ (সিজিআই) তৈরি হয়।
  •  ১৯৫৬ সালে প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রোগ্রাম তৈরি হয়েছিল।
  •  ২০১৪ সালে ইউজিন গুস্টম্যান নামে প্রথম কম্পিউটার, টিউরিং পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়
  • ১৯৮৪ সালে প্রথম কম্পিউটার-চালিত গাড়ি তৈরি হয়
  •  ১৯৬১ সালে প্রথম কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত রোবট তৈরি হয়
  • ১৯৫৭ সালে প্রথম কম্পিউটার-জেনারেটেড সঙ্গীত তৈরি হয়

আমাদের বর্তমান আধুনিক পৃথিবী কম্পিউটারের ভিত্তির উপরে দাঁড়িয়ে।  এমন কোন ক্ষেত্র নেই যেখানে কম্পিউটারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভূমিকা নাই।  কিন্তু দিনে দিনে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি , সভ্যতার এই মহান আবিষ্কারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই আমাদের উচিত কম্পিউটারকে শুধুমাত্র মানবতার কল্যানে ব্যবহার নিশ্চিত করা।

লেখাটি ভালো লাগলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে, আরও লেখা পড়ুনঃ

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents