কিভাবে নবজাতক শিশুর যত্ন নিতে হবে!
একটা মেয়ে যখন প্রথমবারের মত মা হয় তখন তার খুশির সীমা থাকেনা। কিন্তু নতুন মা অনেক আতংকিত হয় কিভাবে নতুন অতিথির যত্ন নিতে হবে। নিজের মা দাদি নানীর উপরেও ভরশা করতে পারেনা। কারন মা দাদিরা অনেক কিছু না জেনে ভুল করে বসে। তাই নতুন মায়ের তার নবজাতক কে নিয়ে টেনসনের শেষ থাকেনা৷ কিভাবে যত্ন নিবে, কিভাবে খাওয়াবে এরকম হাজারো প্রশ্ন। শিশুকে সুস্থ রাখতে এবং তার বয়সের সাথে শারিরীক মানসিক পরিবর্তনের জন্য অনেক যত্ন এবং জ্ঞানের দরকার হয়। পশ্চিমা দেশ গুলোতে দম্পতিরা মা বাবা হওয়ার জন্য এক বছর বা কয়েক মাস আগে থেকে প্রস্তুতি নেয় নিজেকে ভাল প্যারেন্ট হিসেবে গড়ার জন্য৷ কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত আমাদের দেশের মানুষ অনেক শিক্ষিত হলেও প্যারেন্টিং এর ব্যপারে তেমন কোনো ধারনা থাকেনা।
তাই আজকের এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন কিভাবে সঠিক উপায়ে নবজাতক শিশুর যত্ন নিবেন-
মায়ের পরিচ্ছন্নতা
নবজাতকের যত্ন নেয়ার আগে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। একজন মাকে সারাক্ষন নবজাতকের পাশে থাকতে হয় তাই সব সময় নিজেকে পরিষ্কার রাখতে হবে। প্রতিবার শিশুকে কোলে নেয়ার আগে নিজের হাত ভাল করে পরিষ্কার করে নিতে হবে৷ পাশে সব সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে৷ শিশুকে কোলে নেয়ার আগে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত স্প্রে করে কোলে নিতে হবে। সব সময় পরিষ্কার জীবানু মুক্ত পোশাক পরতে হবে৷ ব্রেষ্ট ফিডিং করার কারনে পোশাকে গন্ধ হয় তাই দিনে তিন থেকে চারবার পোশাক পরিবর্তন করা উচিৎ। তাহলে নবজাতককে সহজে জীবানু আক্রমন করতে পারবেনা। আর পরিবারের অন্য কেউ যদি কোলে নিতে চায় তাদেরও হাত স্যানিটাইজার দিয়ে স্প্রে করতে হবে৷
নবজাতকের খাবার
নবজাতককে কখনোই ছয় মাসের আগে বাইরের কোনো খাবার দেয়া যাবেনা। মায়ের বুকেই যথেষ্ট নবজাতকের জন্য। নবজাতক বা শিশুদের সঠিক সময়ে খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার। তাই সময় মত খাওয়াতে হবে। নবজাতকদের প্রতি দুই বা তিনঘন্টা পর পর খাওয়ানো উচিৎ। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন একজন নবজাতককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত বার বার খাওয়ানো উচিৎ। মায়ের দুধে শিশুর পুষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সকল উপাদান রয়েছে যা শিশুর শারিরীক এবং মানসিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। মায়ের দুধে শর্করা, প্রোটিন, খনিজ, চর্বি সহ অনেক উপাদান থাকে। এই উপাদান গুলো শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
অনেক সময় মায়েদের দুধ বের হয়না সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া শিশুকে বাইরের খাবার কখনো খাওয়াবেন না৷
বেবি বার্প বা ঢেকুর তোলানো
শিশু যখন খায় তখন খাবারের সাথে বাতাস ভিতরে প্রবেশ করে। এগুলো পেটে গ্যাসের সৃষ্টি করে যার ফলে গ্যাসের সৃষ্টি হয়। শিশুর পেটের গ্যাস বা বাতাস বের করার জন্য ঢেকুর তোলাতে হয়। শিশুর গ্যাস দুইভাবে বের করা যেতে পারে। একটি উপায় হচ্ছে শিশুকে প্রতিবার খাওয়ানোর পর উপুর করে পিঠে আলতো করে চাপড়াতে হবে। অন্য উপায় হচ্ছে শিশুকে বুকে নিয়ে শিশুর মাথা কাধে নিয়ে পিঠে আলতো করে থাপ্পড় দিলে পেটের গ্যাস বের হয়ে যাবে৷ গ্যাস ঠিকমত বের না হলে নবজাতকের পেটেও ব্যথা হয়। তাই নিজে না পারলে প্রয়োজনে অন্যকে দিয়ে গ্যাস বের করতে হবে।
নবজাতকের জিহবা পরিষ্কার
নবজাতক সব সময় দুধ খাওয়ার কারনে নবজাতকের জিহবায় এক ধরনের সাদা ময়লা হয়। সাদা এই আস্তরকে বলা হয় ওরাল থ্রাস। ওরাল থ্রাস যদি পরিষ্কার করা না হয় তাহলে জিহবায় ঘা হতে পারে। তাই শিশুর জিহবা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। জিহবা পরিষ্কার করার জন্য অথবা ওরাল থ্রাস দূর করার জন্য পরিষ্কার সুতি নরম কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘসতে হবে। সপ্তাহে এক বা দুই দিন করে নিয়মিত জিহবা পরিষ্কার করে দিতে হবে।
নবজাতকের নখ ছোট করতে হবে
নবজাতকের নখ খুব দ্রুত বড় হয়। তাই নিয়মিত নবজাতকের নখ কেটে দিতে হবে। অনেক সময় নিজের নখ দিয়ে নিজেকেই জখম করে ফেলে নবজাতক। বাচ্চার নখ কাটার জন্য গোসলের পরে বাচ্চার নখ কেটে দেয়া অনেক সুবিধাজনক। কারন গোসলের পর বাচ্চার নখ অনেক নরম হয়। নখ কাটার জন্য বেবি নেইলকাটার পাওয়া যায়৷ বেবি নেইল কাটার দিয়ে খুব সহজে বাচ্চার নখ কাটা যায়। নখ কাটার আগে নেইলকাটার ভাল করে ধুয়ে তারপর নখ কেটে দিবেন।
শিশুর চোখের যত্ন
শিশুর চোখে খুব ময়লা হয়। তাই নিয়মিত সকালে এবং দুপুরে এবং রাতে শিশুর চোখ পরিষ্কার করে দিতে হবে৷ শিশুর চোখ পরিষ্কার করার জন্য নরম সুতি কাপড় ভিজিয়ে আলতো করে শিশুর চোখ মুছে দিতে হবে।
শিশুর নাক কান পরিষ্কার
শিশুদের নাকে এবং কানে ময়লা জমে। নিয়মিত কান ও নাক পরিষ্কার করে দিতে হবে। গোসলের সময় পাতলা নরম সুতি কাপড় দিয়ে যতদূর সম্ভব পরিষ্কার করে দিতে হবে। অনেকে কটনবার দিয়ে শিশুর কান নাক পরিষ্কার করে দেয়৷ এটা কখনোই করা উচিৎ নয়। কারন কটনবার দিয়ে পরিষ্কার করালে শিশুর কানে বা নাকে ব্যথা পেতে পারে এমনকি রক্তপাতও হতে পারে।
শিশুর শরীর ম্যাসাজ
শিশুর শরীর ম্যাসাজ করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারন ভালভাবে ম্যাসাজ করলে শিশুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ভাল মানের লোশন বা বেবি অয়েল দিয়ে শিশুর পুরো শরীর ভালকরে ম্যাসাজ করতে হবে। নিয়মিত শরীর ম্যাসাজ করলে শরীরে কোনো ব্যথা হয়না। শিশুর ঘুম ভাল হয়।
সূর্যের তাপ লাগানো
নবজাতক এর শরীরে নিয়মিত সূর্যের তাপ লাগানো উচিৎ। সূর্যের তাপ লাগানোর সময় যতদূর সম্ভব শরীর খুলে রেখে শরীরে তাপ লাগাতে হবে। সাধারণত খুব সকালে এবং সন্ধ্যার আগের রোদে ভিটামিন ডি থাকে। তাই প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলের মিষ্টি রোদ শরীরে লাগাতে হবে। রোদে থাকা ভিটামিন শিশুর শরীরের হাড় গঠনে সহায়তা করে এবং শরীরে ক্যালসিয়াম যোগায়।
নবজাতকের গোসল
নবজাতককে প্রতিদিন সঠিক সময়ে গোসল করাতে হবে। শিশুকে বারটার আগে গোসল করানোই ভাল। গোসলের পনের মিনিট আগে শিশুর পুরো শরীরে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করে দিতে হবে। পনের মিনিট পর শিশুকে গোসল করাতে হবে। গোসল করানোর আগে শিশুর সব জামা কাপড়, সাবান, লোশন, গামছা রেডি করতে হবে। শিশুর গোসলের জন্য কখনোই গরম পানি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। নরমাল পানি দিয়ে গোসল করাতে হবে।
অনেকে বাচ্চাদের গোসল করাতে গেলে কান দিয়ে পানি ঢুকান। তাই বাচ্চাকে গোসল করার ব্যপারে সাবধান থাকতে হবে৷ এমন ভাবে গোসল করাতে হবে যেন কান দিয়ে পানি ঢুকতে না পারে। বাচ্চার গোসল কখনো মিস দেয়া উচিৎ নয়। নিয়মিত গোসল করাতে হবে৷
গোসলের সাবান
নবজাতককে কখনো বড়দের সাবান দিয়ে গোসল করানো উচিৎ নয়। বাজারে বাচ্চাদের জন্য অনেক ভাল ভাল সাবান বা বেবি ওয়াশ পাওয়া যায়৷ বাচ্চার জন্য সেরকম ভাল ব্র্যান্ডের কোনো সাবান কিনে গোসল করাতে হবে। গোসলে অনেকে বাচ্চার শরীর পরিষ্কার করার জন্য শক্ত কাপড় দিয়ে গা ঘসে দেয়। বাচ্চার শরীর অনেক নরম তাই কখনো শক্ত কাপড় দিয়ে শরীর ঘসে দেয়া উচিৎ নয়। হাতে বডি ওয়াশ বা সাবান নিয়ে আলতো করে মুছে দিলে শরীরের ময়লা চলে যাবে।
গোসলের পরে শিশুর যত্ন
গোসলের পরে শিশুর শরীরে ভাল মানের লোশন মাখাতে হবে৷ শিশুদের জন্য ভাল মানের লোশন এবং ময়েশ্চারাইজার পাওয়া যায়। তাই বাজার থেকে ভাল ব্র্যান্ডের লোশন বা ময়েশ্চারাইজার মাখাতে হবে।
শিশুর ডায়াপার
শিশুকে ডায়াপার পরানোর ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া উচিৎ। শিশুরা প্রতিদিন কমপক্ষে চার থেকে পাচটি ডায়াপার পরানো উচিৎ। ডায়াপার কখনোই বেশি সময় পরিয়ে রাখবেননা। প্রস্রাব পায়খানা করার সাথে সাথে ডায়াপার চেঞ্জ করিয়ে দিতে হবে। ডায়াপার বেশিক্ষন ধরে পরিয়ে রাখলে শিশুর ঠান্ডা লাগতে পারে। তাই কখনোই ডায়াপার বেশিক্ষন পরিয়ে রাখা উচিৎ নয়। ডায়াপার পরার কারনে অনেক সময় শিশুদের র্যাশ দেখা দেয়৷ শিশুর র্যাশ দূর করার জন্য অনেক ফাংগাল ক্রিম পাওয়া যায়। শিশুর র্যাশ হলে ক্রিম ব্যবহার করালে ফাংগাস দূর হবে৷
নবজাতকের পোশাক বাছাই এবং যত্ন
শিশুর পোশাক সঠিক ভাবে বাছাই না করলে শিশুর শরীর খারাপ হতে পারে। কোন সময়ে কোন ধরনের পোশাক পরানো উচিৎ সেই বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিৎ। গরমের সময় শিশুর জন্য পাতলা সুতি কাপড় নির্বাচন করুন। বাচ্চাদের কাপড়ে অনেক সময় পুথির কাজ করা থাকে। সেই ধরনের পোশাক না কেনাই ভাল। কারন পুথির কাজের পোশাক পরলে শিশুর শরীরে ব্যথা পেতে পারে। শীতের সময় ভারী পোশাক কেনার ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকতে হবে। সারাক্ষন ভারী পোশাক পরিয়ে রাখা উচিৎ নয়। ঘুমানোর আগে এবং দুপুর বেলায় ভারী পোশাক খুলে দিতে হবে।
শিশুর নতুন পোশাক কিনলে আগে বাসায় এনে ভাল করে ওয়াশ করতে হবে। তারপর রোদে ভালকরে শুকিয়ে শিশুকে পরাতে হবে।
শিশুর পোশাক প্রতিদিন ডেটল বা স্যাভলন দিয়ে ওয়াশ করতে হবে৷ কখনোই একই কাপড় ওয়াশ করা ছাড়া পরানো যাবেনা।
শিশুকে সঠিক পজিশনে শোয়ানো
শিশুর সুস্থতার জন্য শিশুকে সঠিক পজিশনে শোয়ানো গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৭০ থেকে ৯১ সাল পর্যন্ত হাজার হাজার শিশু মৃত্যুবরন করেছিল শিশুকে সঠিক পজিশনে না শোয়ানোর জন্য। তাই জানতে হবে কিভাবে শিশুকে সঠিক ভাবে শোয়াবেন। বাচ্চাদের কখনো উপুড় করে শোয়ানো উচিৎ নয়। শিশুকে চিত করে ঘুম পারাতে হবে৷ এক কাত করে বাচ্চাকে শোয়াবেন না। কারন কাত হলে বাচ্চা পরে যেতে পারে। এমন ভাবে শোয়াতে হবে যাতে বাচ্চার শরীর বিছানার সাথে লেগে থাকে।
টামি টাইম করা (Tummy time)
শিশুদের কে প্রতিদিন কয়েকবার উপুর করে রাখতে হবে। শিশুকে উপুড় করে শোয়ানোকে টামিটাইম বলা হয়। উপুরে করে শোয়ালে এতে শিশু হাত দিয়ে ভর করে ওঠার চেষ্টা করে ফলে শিশুর মাংসপেশি শক্ত হয় এবং খুব দ্রুত হামাগুড়ি দিতে পারে। টামিটাইম শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তবে খেয়াল রাখতে হবে টামিটাইম করানোর সময় শিশু যেন পরে না যায়।
নবজাতকের আশেপাশে ধূমপান
অনেক বাবা আছেন যারা বাচ্চার সামনে ধূমপান করে। এমনটি কখনোই করতে দেয়া যাবেনা। কারন সিগারেট এর ধোয়া শিশুর ফুসফুসে ক্ষতি করতে পারে। এমনকি শিশু মৃত্যুবরন করতে পারে। যারা ধূমপান করেন এমন ব্যক্তির সাথে শুইলেও শিশুর মৃত্যুর সম্ভাবনা থাকে। শিশুর আশেপাশে যারা থাকে তাদের ধূমপান করতে দেয়া যাবেনা।
নবজাতকের ঘুমানোর সময় সতর্কতা
শিশু যখন ঘুমাবে তখন শিশুর আশেপাশে কোনো কাপড়, বালিশ বা খেলনা রাখা যাবেনা। কারন ঘুমানোর সময় এগুলো দূর্ঘটনাক্রমে শিশুর মুখ ঢেকে দিতে পারে। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই শিশু ঘুমানোর সময় আশেপাশে কোনো জিনিস রাখা যাবেনা। খেয়াল রাখবেন শিশু ঘুমানোর সময় যেন শরীর খুব গরম বা ঠান্ডা না হয়।
নবজাতকের ব্যয়াম
অনেকেই জানেন না যে নবজাতক কে ব্যয়াম করাতে হয়। নকবজাতক কে ব্যয়াম করালে নবজাতকের শরীর গঠনে এবং বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- শিশুকে উপুড় করে রাখলে শিশু হাতে ভর করে ওঠার চেষ্টা করে। এতে হাত পায়ের পেশি শক্ত হয়।
- শিশুর হাত পা একখানে নিয়ে মুঠো করে ছেড়ে দিতে হবে৷ এভাবে কয়েক বার করতে হবে।
- শিশুকে চিত করে শুইয়ে দিয়ে দুই পা একখানে করে আলতো করে টিপে দিতে হবে।
নবজাতক কে চিনি/ গরুর দুধ খাওয়ানো
দুই বছরের আগে কখনোই বাচ্চাদের গরুর দুধ,লবন বা চিনি খাওয়ানো উচিৎ নয়। বাচ্চার জন্য এটা অনেক ক্ষতিকর। তাই নকবজাতককে কখনোই গরুর দুধ, লবন চিনি খাওয়ানো যাবেনা।
শিশুকে কখন হাসপাতালে নিবেন
- যখন শিশুর ঘুম দেরীতেও ভাংবেনা
- শিশুর শরীরে যখন অনেক জ্বর বা তাপমাত্রা বেড়ে যাবে।
- শিশুর খিচুনি হলে।
- শ্বাস নেয়ার সময় বুকের খাচা দেবে গেলে।
- ঠিকমত খেতে না পারলে বা বাচ্চা খাওয়ার পর বারবার বমি করলে।
কোন পজিশনে নবজাতককে খাওয়াতে হবে
অনেকেই জানেননা সঠিক পজিশনে শিশুকে কিভাবে ব্রেষ্ট ফিডিং করাতে হয়। শিশুকে সঠিক পজিশনে খাওয়ানোর নিয়ম হচ্ছে ৪৫ ডিগ্রি আ্যংগেলে শিশুকে ধরে খাওয়াতে হবে৷ শিশুর মুখ এমনভাবে ব্রেষ্টে লাগাতে হবে যাতে ব্রেষ্টের কালো অংশ পুরোটাই যেন শিশুর মুখে যায়। কখনোই শিশুকে শুয়ে ব্রেষ্ট ফিডিং করানো যাবেনা।
নবজাতক দুধ না পেলে কি করবেন
- দুধ না পেলেই শিশুকে বারবার শিশুর মুখে ব্রেষ্ট লাগাতে হবে। ঘনঘন ব্রেষ্ট লাগালে দুধের পরিমান বেড়ে যায়।
- মাকে কখনোই দুশ্চিন্তা করা যাবেনা। কারন চিন্তা করলে দুধ কম উৎপন্ন হয়।
- তরল জাতীয় খাবার যেমন দুধ, স্যুপ জাতীয় খাবার খেতে হবে৷ প্রস্রাবের কালার দেখে বোঝা যায় মা ঠিকমত তরল খাচ্ছে কি না৷ তাই প্রস্রাবের কালার হলুদ হলে বুঝবেন ঠিকমত তরল খাওয়া হচ্ছেনা।
- মাকে পর্যাপ্ত পরিমান ঘুমাতে দিতে হবে।
আজকের শিশুরাই আগামি দিনের ভবিষ্যত। তাই শিশু শারিরীক এবং মানসিক দুইভাবেই যেন ভালভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে সেই ব্যপারে সচেতন হতে হবে৷ শিশু অসুস্থ হলে আতংকিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে৷ অযথা বাইরের কারো কুসংস্কার কোনো কথা বিশ্বাস করবেন না। শিশুর শারিরীক এবং মানসিক স্বাস্থের পাশাপাশি নিজের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থের যত্ন নিতে হবে।
Read more : ২ মাসের গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা