চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (Chittagong Medical College) দেশের দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ হিসাবে যাত্রা শুরু করে। এখানে ৫ বছর মেয়াদি স্নাতক এমবিবিএস ও বিডিএস কোর্স এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে এম.ডি.এম.এস. এমফিল, ডিপ্লোমা, এমপিএইচ চালু আছে। প্রতি শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্স ২২০ জন ও ডেন্টাল কোর্স ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৫৭ সালে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের চট্রগ্রাম শহরের পাঁচশাইশ এ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু করে। সেসময়ের পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এটির উদ্ভবন করেন।
তবে এটি মেডিকেল স্কুল হিসাবে ১৯২৭ সালে কার্যক্রম শুরু করেছিল। চট্রগ্রাম মেডিকেল স্কুল তখন ৪ বছর মেয়াদি এলএমএফ ড্রিগ্রি প্রদান করতো। মাত্র ৭৬ জন শিক্ষার্থী ও ২৬ জন শিক্ষক দিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে দেড়হাজার শিক্ষার্থী ও শতাধিক শিক্ষক আছেন। চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়েছিল মাত্র তিনটি বিভাগ নিয়ে বর্তমানে এখানে ৫৮ টি বিভাগ আছে। রোগীর সেবাদানের জন্য আছে ২২০০ শয্যার হসপিটাল ।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে “কালচারাল মেডিকেল কলেজ ” নামে ডাকা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজচমেক (CMC) প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৫৭ সাল |
|
প্রতিষ্ঠাতা | তৎকালীন পাকিস্থান সরকার |
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
নীতিবাক্য | “শিখতে আসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও” |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় , বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিসিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক সাহেনা আক্তার, এমবিবিএস, ডিজিও, এফসিপিএস (গাইনী) |
পরিচালক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান। |
শিক্ষক (সংখ্যা) | ২৫৪ জন |
শিক্ষার্থী (সংখ্যা) | ১৫০০ + (প্রতি বছর ২৩০ জন ভর্তির সুযোগ পান) |
ইন্টার্ন (সংখ্যা) | ১৫০ জন |
কর্মকর্তা ও কর্মচারী | শতাধিক জন নার্স ও আট শতাধিক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী |
স্নাতক কোর্স | ২ টি এমবিবিএস ও ডেন্টাল |
স্নাতকোত্তর কোর্স | ৪০ টি |
ঠিকানা | কে. বি. ফজলুল কাদের রোড, পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম |
যোগাযোগ নম্বর |
০১৮১৯৬৩২০১৩ |
হট লাইন |
০১৭১১১৯৮৫১৬ |
ইমেইল | cmc@ac.dghs.gov.bd |
ওয়েবসাইট | http://cmc.gov.bd |
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ১০ তলা বিশিষ্ট নতুন একাডেমিক ভবন নির্মান হয়েছে , এখানে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুমে প্রজেক্টরসহ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৪টি লেকচার গ্যালারি, ৩০ টি টিউটেরিয়াল রুম, ২ টি ব্যবচ্ছেদ রুম, ৭টি ল্যাবরেটরি, ১টি ফরেনসিক মর্গ রয়েছে । চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হাসপাতাল ভবনে ৩৭ টি ওয়ার্ডে ২২০০ শয্যায় রোগীর সেবা প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা
প্রতিবছর ২২০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ও ৬০ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে বর্তমানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ৪০টি বিষয়ে শিক্ষাক্রম চালু রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান সহ উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজে গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। সারাদেশে মম্মেলিত পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে নিজ নিজ পছন্দ বাচাই করতে হয়, সাধারণত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার জন্য সেরা ৫০০ এর মধ্যে রেজাল্ট থাকতে হয়।
২০২৩ সালের জন্য, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯.০ থাকতে হবে। পার্বত্য জেলার প্রার্থী বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে আগত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই জিপিএ ৮.০। তবে কোন পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ এর চেয়ে কম হলে শিক্ষার্থী আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাছাড়া এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ থাকতে হবে।
বিদেশ থেকে পরীক্ষা
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ’এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তি হতে আগ্রহী হলে, তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি এবং ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার। আবেদনপত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বিদেশি নাগরিকদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা এবং ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা
একটি আবেদনের মাধ্যমে সকল মেডিকেল কলেজে আবেদন করা যায়। আবেদন এবং প্রবেশপত্র গ্রহণের পরে শিক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষায় (এমসিকিউ) অংশগ্রহণ করতে হয়। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষার সময়সীমা ১ ঘন্টা। আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ১০০ নম্বর। পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে ৩০, পদার্থবিদ্যা থেকে ২০, রসায়ন থেকে ২৫, ইংরেজি থেকে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিষয় থেকে ১০টি প্রশ্ন থাকে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। তাই এখানে ভর্তির জন্য বেশি অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভর্তি ফি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই ভর্তি ফি দিয়ে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের অন্যান্য খরচ বহন করতে হয়। যেমন, থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ। এই খরচের পরিমাণ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার মেয়াদ, থাকার ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে।
সাধারণভাবে, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই খরচের মধ্যে থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রথম বর্ষের জন্য একটি মানব কঙ্কাল কিনতে হয়, জা কিনতে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অনুষদ, বিভাগ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ মেডিকেল কলেজ। কলেজটিতে তিনটি অনুষদ এবং ৪০ টি বিভাগ রয়েছে।
অনুষদ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে তিনটি অনুষদ রয়েছে:
- চিকিৎসা অনুষদ
- স্নাতকোত্তর অনুষদ
- ডেন্টাল অনুষদ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিভাগ
চিকিৎসা অনুষদের অধীনে ১৩টি বিভাগ রয়েছে:
- এনাটমি
- ফিজিওলজি
- বায়োকেমিস্ট্রি
- প্যাথলজি
- মাইক্রোবায়োলজি
- ভাইরোলজি
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ফার্মাকোলজি
- মেডিসিন
- সার্জারি
- ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা
স্নাতকোত্তর অনুষদের অধীনে ৯টি বিভাগ রয়েছে:
- মেডিসিন
- সার্জারি
- ধাত্রীবিদ্যা ও স্ত্রীরোগবিদ্যা
- শিশুরোগ
- চক্ষুবিজ্ঞান
- নাক, কান, গলা ও ঘাড়ের রোগ
- রোগ বিদ্যা
- চিকিৎসা পদার্থবিদ্যা
- চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান
ডেন্টাল অনুষদের অধীনে ৪টি বিভাগ রয়েছে:
- ওরাল সার্জারি
- পেরিওডন্টোলজি
- অ্যানডোডন্টোলজি
- প্রস্টোডোন্টোলজি
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের কোর্স ও বিষয়
চমেকের কোর্স ও বিষয়গুলি নিম্নরূপ:
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নিম্নলিখিত কোর্সগুলি চালু রয়েছে:
স্নাতক
- এমবিবিএস ও বিডিএস (৫ বছর মেয়াদী)
স্নাতকোত্তর
- এম. ডি. (৩-৫ বছর মেয়াদী)
- এম. এস. (৩-৫ বছর মেয়াদী)
- এমফিল (২ বছর মেয়াদী)
- ডিপ্লোমা (১-২ বছর মেয়াদী)
- এমপিএইচ (২ বছর মেয়াদী)
যে বিষয়গুলি পড়ান হয়
প্রথম বর্ষ
- অ্যানাটমি
- ফিজিওলজি
- বায়োকেমিস্ট্রি
- প্যাথলজি
- মাইক্রোবায়োলজি
দ্বিতীয় বর্ষ
- ফার্মাকোলজি
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ফরেনসিক মেডিসিন
- সার্জারি
- ওষুধবিজ্ঞান
তৃতীয় বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
চতুর্থ বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
পঞ্চম বর্ষ
- ইন্টার্নশিপ
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আবাসিক হল
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)-এর পাঁচটি আবাসিক হল রয়েছে। এগুলি হল:
ছাত্রদের জন্য – স্নাতক
- মেইন বয়েজ হোস্টেল
- লুৎফুস সালাম ছাত্রাবাস
- হাফিজুল্লা বসির ছাত্রাবাস
ছাত্রীদের জন্য – স্নাতক
- কান্তা ছাত্রী নিবাস
- ডাঃ দিলরুবা ছাত্রীনিবাস।
এছাড়াও ইন্টার্ণ ডাক্তারদের জন্য
- ডাঃ মিজান ছাত্রাবাস ও
- ডাঃ জান্নাত ইন্টার্ণ ছাত্রী নিবাস।
প্রতিটি হলের নিজস্ব একটি ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, জিম এবং খেলার মাঠ রয়েছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরী
১০ তলা নতুন একাডেমিক ভবনের দ্বিতীয় তলায় তলায় অবস্থিত শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লাইব্রেরির নাম হলঃ “শিমু লাইব্রেরি”। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরীটি অনেক সমৃদ্ধ লাইব্রেরী । এখানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ের উপর বই, জার্নাল এবং অন্যান্য প্রকাশনার বিসাল কালেকশন রয়েছে। লাইব্রেরীটিতে একটি কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে যেখানে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে রিসার্চ করতে পারে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পরিচালিত গবেষণা
চমেকের গবেষণা বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়। চমেকের কিছু উল্লেখযোগ্য গবেষণার মধ্যে রয়েছে:
- সংক্রামক রোগের নতুন প্রতিরোধমূলক ও চিকিৎসামূলক প্রযুক্তি গবেষণা
- মানসিক স্বাস্থ্যের নতুন চিকিৎসার উপায়
চমেকের কিছু গবেষণার ফলাফল আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও, ঢামেকের গবেষকরা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সম্মেলনে তাদের গবেষণা উপস্থাপন করেছেন।
পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণাধর্মী কাজ ও গবেষণার বিস্তৃতির জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে রিসার্চ ক্লাব।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংগঠন
সন্ধানী
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছাত্র সংগঠন “সন্ধানীর” পথচলা।
সন্ধানী রোগীদের সেবায় যে যে কাজগুলি করেন –
- দরিদ্র রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ
- টিকাদান কর্মসূচি
- মরণোত্তর চক্ষুদান
- কর্ণিয়া ট্রান্সপ্লান্ট
- থ্যালাসেমিয়া প্রকল্প
- নিয়মিত রক্তদানকারীদের সম্মাননা প্রদান
- শীতার্তদের জন্য বস্ত্র সংগ্রহ ইত্যাদি।
চমেকসু
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদ (চমেকসু) যাত্রা শুরু শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায় ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং কলেজ প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন রচনাকারী সংগঠন হিসাবে কাজ করা।
চমেকসু একটি গৌরবময় ইতিহাসের অধিকারী। এটি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চমেকসু ছাত্রদের কল্যাণে কাজ করে এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উন্নয়নে অবদান রাখে।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট প্রাক্তনী
দেশের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত অনেক সূর্যসন্তানের জন্ম দিয়েছে , দেশ বিদেশে যারা আর্তমানবতার সেবায় নিয়েজিত আছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের অনেক ছাত্রের গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম:
চমেকের প্রাক্তনিদের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ
- লেফটেন্যান্ট ডাঃ কে বি এম এনামুল হক ( ৮ম প্রজন্ম)
- আবু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন চৌধুরী (৯ম প্রজন্ম)
- মোঃ জাকির হোসেন খান (১২ তম প্রজন্ম)
- কাজী সাদিক হাসান ( ১৪তম প্রজন্ম)
চমেকের প্রাক্তনী, দেশসেরা চিকিৎসক গন ও অন্যান্য পেসায়
- প্রফেসর ডাঃ প্রাণ গোপাল দত্ত
- প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ আতিকুল হক
- শিশুতোষ গ্রন্থকার ও শিশুবিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডাঃ প্রণব কুমার চৌধুরী
- সাহিত্যিক ও লেখক ডাঃ শাহাদুজ্জামান
তথ্যসূত্রঃ
- http://cmc.gov.bd/page/teachers
- “মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবদান চিকিৎসকদের | banglatribune.com”
- জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- http://cmc.gov.bd/single/notice/137
- মেডিকেলের ছাত্ররাই ভাষা আন্দোলনের অন্যতম সূচনাকারী”।
Also Read : Dhaka Medical