Dreamy Media BD

জেনে নিন কাঁচা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা!

কাঁচা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঁচা মরিচের উপকারিতা ও অপকারিতা!

কাঁচা মরিচ ঝাল জাতীয় সবুজ রঙের একটি সবজি। কাঁচা মরিচ রান্নার কাজে নিত্যদিন ব্যবহৃত হওয়া একটি উপাদান। এমন কোনো রান্না নেই যেটা কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না করা যায়। তাই খাবারের স্বাদ বাড়াতে যুগ যুগ ধরে রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবেনা যে রান্নায় কাঁচা মরিচ ব্যবহার করেনা। তরকারির বাইরেও কাঁচা মরিচ ব্যবহার করা হয়। কেউ সালাদ বানিয়ে খায় আবার কেউ শাকের সাথে আস্ত কাঁচা মরিচ চিবিয়ে খেতে ভালবাসে। কাঁচা মরিচ শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না এর রয়েছে হাজারো গুনাগুন। অনেকেই জানেন না কাঁচা মরিচ এর হাজারো গুনাগুন এর কথা।  তাই আজকের আর্টিকেলে কাঁচা মরিচ এর উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করা হবে। 

কাঁচা মরিচ এর পরিচয়

কাঁচা মরিচ এর বৈজ্ঞানিক নাম Capsicum annuum. এটি Solanaceae গোত্রের একটি উদ্ভিদ। কাঁচা মরিচ বিভিন্ন রঙের হয়ে থাকে। যেমন লাল, সবুজ, হলুদ, কমলা ইত্যাদি রঙের হয়। কাঁচা মরিচ এর পুষ্টি উপাদান

কাঁচা মরিচ পুষ্টিকর একটি খাবার। এর মধ্যে ভিটামিন, খনিজ, আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট সহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান রয়েছে।  নিম্নে কাঁচা মরিচের পুষ্টি উপাদান বর্ননা করা হলো-

  • ক্যালরি ২৪ গ্রাম
  • প্রোটিন ১.২ গ্রাম
  • কার্বোহাইড্রেট ৬.২ গ্রাম
  • ফ্যাট ০.১ গ্রাম
  • ভিটামিন সি ১৫০ মি.গ্রা.
  • ভিটামিন এ ২০০ IU
  • পটাশিয়াম ১৯৮ মি.গ্রা. 
  • ক্যাপসাইসিন ০.০০১ – ১০ মিলিগ্রাম। ( ঝালের মাত্রা নির্ভর করে) 

কাঁচা মরিচ এর মধ্যে ভিটামিন সি এর পরিমান সব থেকে বেশি পাওয়া যায়৷ একজন ব্যক্তির দৈনিক ভিটামিন সি এর প্রয়োজনের ১৫০% কাঁচা মরিচ থেকে আসে। 

কাঁচা মরিচ এর উপকারিতা

চোখের সুস্থতায় কাঁচা মরিচ

কাঁচা মরিচ চোখ সুস্থ রাখতে সাহায্য করে৷ যখন শরীরে  ভিটামিন সি এর অভাব বা ঘাটতি দেখা দেয় তখন চোখের কোষ গুলো ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকালে দ্বারা আক্রান্ত হয়। যার কারনে চোখের কোষ নষ্ট হয়ে যাওয়া, চোখে কম দেখা সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা যায়।  কিন্তু কাঁচা মরিচ নিয়মিত খাওয়ার ফলে এতে থাকা ভিটামিন সি এর প্রভাবে চোখের কোষ গুলো ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকাল থেকে রক্ষা পায়। এছাড়াও কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টি শক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন এ রেটিনা এবং মকুলায় রঙ্গক তৈরি করতে সাহায্য করে। 

কাঁচা মরিচ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

কাঁচা মরিচ শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে উপস্থিত ভিটামিন ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য উপাদান গুলো শরীরে রোগ জীবানুর সংক্রমণ হতে বাধা দেয়। বেশিরভাগ সময়ে আমরা রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরে সচেতন হই। কিন্তু আমরা যদি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য সচেতন হই তাহলে সহজে কোনো রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারবেনা। তাই নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়ার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো যেতে পারে। 

ত্বকের সুস্থতায় কাঁচামরিচ

কাঁচা মরিচ শুধু শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো বা রোগ দূর করেনা,  বরং সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাঁচা মরিচ সাহায্য করে থাকে। কাঁচা মরিচে উপস্থিত অনুজীব গুলো ত্বকের জীবানু মেরে ফেলে। যার কারনে ত্বকে কোনো প্রকার বলিরেখা উঠতে পারেনা। ফলে ত্বক উজ্বল দেখায়। কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি ত্বকের সুস্থতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

কাঁচা মরিচ হজম শক্তি বাড়ায়

কাঁচা মরিচ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে ক্যাপসাইনিন নামক একটি উপাদান উপস্থিত রয়েছে যা হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এই উপাদান এর জন্য হজম প্রক্রিয়া উন্নত হয়। এই উপাদানটি পাচন তন্ত্রের পাচক রসের উপাদান বাড়িয়ে দেয় পেট এর হজম প্রক্রিয়ার গতিবিধি লক্ষ্য করে৷ যার ফলে পেটের অসুখ যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য,  গ্যাস বা বদহজম দূর করে৷ তাই নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে বদ হজম সমস্যা দূর হয় সাথে পেটের যত অসুখ আছে।

কাঁচা মরিচ ফুসফুস সুস্থ রাখে

নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে ফুসফুস সুস্থ থাকে। কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইনিন নামক উপাদান ফুসফুসের রক্ত প্রবাহকে সঠিক ভাবে চলাচল করতে সাহায্য করে। ফুসফুসের কোষ গুলোকে উন্নত করতে সাহায্য করে।  কাঁচা মরিচ নিয়মিত খেলে ফুসফুসে কোনো জীবানু আক্রমন করতে পারেনা। ফুসফুস কে ক্ষতিকর সংক্রমন থেকে রক্ষা করে এবং ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। গবেষনায় দেখা গেছে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে কাঁচামরিচ। 

কাঁচামরিচ হাড় সুস্থ রাখে 

কাঁচা মরিচ হাড় সুস্থ রাখতে সাহায্য করে৷ নতুন রক্ত কোষ তৈরির মাধ্যমে হাড়কে শক্তিশালী করে গড়ে তোলে। 

বয়স ধরে রাখে

কাঁচা মরিচ নিয়মিত খেলে ত্বক সুস্থ থাকে। ত্বকের বলিরেখা দূর হয় ফলে ত্বক অনেক উজ্বল ও প্রানবন্ত দেখায়। রূপবিশেষজ্ঞদের মতে,  কাঁচা মরিচ বয়স ধরে রাখতে জাদুর মত কাজ করে। 

মেদ কমাতে সাহায্য করে

কাঁচা মরিচ বাড়তি মেদ কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ এবং অন্যান্য উপাদাম গুলো মেটাবলিজমকে উন্নত করে যার ফলে ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। ক্যাপসাইনিন এর প্রভাবে মেদ জমতে পারেনা। মেদ কোষ গুলোকে ভেঙ্গে ফেলে। 

মন ভাল রাখে

কাঁচা মরিচ খেলে মস্তিষ্কে এনডোরফিন নামক হরমোন বেড়ে যায়। এই হরমোন উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে এনডোরফিন হরমোনের প্রভাবে মন ভাল থাকে। যাদের সামান্য কারনে মন খারাপ হয়ে যায় তারা কাঁচামরিচ নিয়মিত পরিমিতভাবে খেতে পারেন। 

পাকস্থলীর ক্যান্সার রোধ করে

কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইনিন নামক উপাদান পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। তাই কাঁচা মরিচ খেলে এই উপাদান এর প্রভাবে পাকস্থলীর ক্যান্সার প্রতিরোধ হয়। 

লালা গ্রন্থিকে সক্রিয় করে

কাঁচা মরিচ খেলে ঝাল অনুভুত হয়। যার ফলে প্রচুর লালা উৎপন্ন হয়। আর এই লালার কারনে খাবার ভালভাবে চিবিয়ে খেতে সাহায্য করে৷ ভালভাবে খাবার চিবিয়ে খেলে সেই খাবার দ্রুত হজম হয়। 

হার্ট সুস্থ রাখে

কাঁচা মরিচ হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এখন ছোট থেকে বড় সব বয়সী মানুষের হার্টের অসুখ হতে দেখা যায়। হার্ট সুস্থ রাখতে নিয়মিত কাঁচা মরিচ খাওয়া যেতে পারে। কাঁচা মরিচে যে সকল উপাদান আছে তা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সেই উপাদান গুলো রক্তের খারাপ কোলেস্টেরল কে কমাতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচ পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইড কে নিয়ন্ত্রনে রাখে। ব্লাড ক্লট হতে বাধা দিতে সাহায্য করে কাঁচামরিচে থাকা উপস্থিত উপাদান গুলো। যার ফলে সহজে হার্ট এট্যাক হতে পারেনা। 

কাঁচা মরিচ সাইনাস দূর করে

কাঁচা মরিচ সাইনাস দূর করতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইনিন নামক উপাদানটি শরীরে বিভিন্ন উপকার সাধন করে থাকে। কাঁচা মরিচ খেলে ব্রেনে রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়৷ যার কারনে সাইনাসের ইনফেকশন সমস্যা কমে যায়। তাই যদি আপনার বা পরিচিত কারো সাইনাসের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত কাঁচা মরিচ খান সাইনাসের সমস্যা দূর হবে। কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি,  বিটা ক্যারোটিন আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। 

শরীর ঠান্ডা রাখে

কাঁচা মরিচ শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত গরমে কাঁচা মরিচ খেলে কাঁচা মরিচ পরবর্তীতে ঘামের সাথে বের হয়ে শরীর কে ঠান্ডা রাখে। কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসিনিন নামক উপাদান স্বাদ গ্রন্থিকে এক্টিভ করে মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস অংশকে সচল করে। মুলত এ জন্যই শরীরের তাপমাত্রা কমে যায়। 

কাঁচা মরিচ রক্ত পরিষ্কার করে

কাঁচা মরিচ রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। কাঁচা মরিচে থাকা ক্যাপসাইনিন শরীরে টক্সিন পদার্থ দূর করে শরীরের রক্ত পরিষ্কার করে। নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত দূষন রোধ করা যেতে পারে। 

রক্তজমাট বাধার প্রবনতা কমায়

প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খেলে রক্ত জমাট বাধার সমস্যা দূর হয়। অনেকেরই রক্ত জমাট বাধার সমস্যা রয়েছে। তারা নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে সমাধান পেতে পারেন। 

ঘা শুকাতে সাহায্য করে

কাঁচা মরিচে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ঘা শুকাতে সাহায্য করে। তাই শরীরের  কাটাছেঁড়া সমস্যা, অপারেশনের পরে কাঁচা মরিচ খেলে ঘা শুকিয়ে যায়। অনেক দিনের পুরনো ঘা শুকিয়ে যায় কাঁচামরিচ খেলে। 

জ্বর সর্দি প্রতিরোধ করে

কাঁচা মরিচ জ্বর সর্দি প্রতিরোধে সাহায্য করে। কারন কাঁচা মরিচের ভিটামিন সি ভাইরাস মেরে ফেলে ফলে জ্বর সর্দি দূর হয়। 

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে

নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন করে। ফলে শরীরে ইনসুলিনের পরিমান বৃদ্ধি হয়। ডায়াবেটিস রোগিদের শরীরে শর্করার পরিমান অনেক বেশি থাকে, নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। ফলে ইনসুলিন এর পরিমান হ্রাস পায়। তাই রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রন এবং ইনসুলিনের পরিমান বাড়াতে নিয়মিত কাঁচা মরিচ খেলে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ হয়। 

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রন করে

কাঁচা মরিচ অন্যান্য উপকার সাধনের পাশাপাশি ব্লাড প্রেসার সমস্যা রোধ করে৷ কাঁচা মরিচে থাকা ভিটামিন সি,  বায়োফ্লাভিনয়েড উপাদান থাকার কারনে রক্তনালী গুলোকে শক্তিশালী করে। যার কারনে সঠিক ভাবে রক্ত চাপ ওঠা নামা নিয়ন্ত্রন করে। 

কাঁচা মরিচ স্বাস্থের জন্য ভাল

কাঁচা মরিচ স্বাস্থের জন্য অনেক উপকারি একটি উপাদান৷ কাঁচামরিচে থাকা ভিটামিন এ, সি,  আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, শরীরের ক্ষতিকারক রোগ জীবান্য প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। 

কাঁচা মরিচের অপকারিতা

কাঁচা মরিচ উপকারি একটি খাবার হলেও এর বেশ কিছু অপকারিতা রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক কাঁচামরিচের কি কি অপকারিতা রয়েছে – 

অন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়

অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে অন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়। অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে অন্ত্রের গতিবিধি অনেক বেশি বেড়ে যায়৷ যার কারনে ডাইরিয়া সহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। 

গ্যাষ্ট্রিক সমস্যা হয়

অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা হয়ে থাকে। যদি কারো গ্যাষ্ট্রিকের অতিরিক্ত সমস্যা থাকে তাহলে কাঁচা মরিচ খেলে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা আরো বেশি বেড়ে যেতে পারে। 

কাঁচা মরিচ খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে

অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে অনেক সময় পেটে ব্যথা হয়। ক্যাপসাইনিন  অতিরিক্ত ঝাল জাতীয় একটি উপাদান। তাই অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে পেট ও অন্ত্রের শ্লেষ্মা ঝিল্লিকে অনেক বেশি উত্তেজিত করে।যার কারনে পেটে ব্যথা হয়। 

পাইলসের সমস্যায় কাঁচামরিচ খাওয়া যাবেনা

যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে তাদের কাঁচামরিচ খাওয়া যাবেনা। ক্যাপসাইনিন এর প্রভাবে কাঁচা মরিচ খেলে মলদ্বারে ব্যথা বা জ্বালা হতে পারে। অতিরিক্ত কাঁচা মরিচ খেলে পাইলসের সমস্যা আরো প্রকট হতে পারে। কাঁচামরিচ বেশি খাওয়ার ফলে অনেক সময় রক্তপাত বেড়ে যেতে পারে। 

কাঁচামরিচ খেলে বমি হতে পারে

অনেক সময় বেশি কাঁচামরিচ খেলে বমি হতে পারে৷ গ্যাসের সমস্যা বেড়ে যাওয়ার কারনে মাথা ধরা এবং বমি বেড়ে যেতে পারে। 

কাঁচামরিচ সবার কাছে অত্যন্ত একটি পছন্দের খাবার। কাঁচামরিচের গুনাগুন এবং স্বাদের জন্য সবাই পছন্দ করে থাকে। অনেকে তরকারিতে খাওয়ার পাশাপাশি বাড়তি কাঁচামরিচ খেয়ে থাকেন। কাঁচামরিচ উপকারি খাবার হলেও অনেক সময় অতিরিক্ত খাওয়ার কারনে শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। তাই কাঁচামরিচ খাওয়ার সময় কখনোই অতিরিক্ত খাওয়া যাবেনা৷ খাওয়ার সময় সাবধান থাকতে হবে। নিয়ম মেনে পরিমিত কাঁচামরিচ খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকারি এই কাঁচামরিচ। 

কাঁচা মরিচ রান্না করা ভাল না কাঁচা খাওয়া ভাল? 

কাঁচা মরিচ রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা কাঁচা মরিচ খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কারন রান্না করে কাঁচা মরিচ খেলে এর মধ্যে থাকা গুনাগুন কমে যায়, ভিটামিন সি এর পরিমান কমে যায়৷ তাই কাঁচামরিচ ভেজে বা রান্না করে খাওয়ার চেয়ে কাঁচা খেলেই বেশি উপকার পাওয়া যায়। প্রতিদিন কাঁচা কাঁচা মরিচ খাওয়ার অভ্যাস করুন। 

Also Read : সাবুদানার উপকারিতা অপকারিতা! 

 

 

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents