ডার্ক ওয়েবকে বলা হয়, ইন্টারনেট জগতের আইসবার্গ (যেসব ভাসমান বরফের চাইয়ের ধাক্কায় টাইটানিক ডুবেছিল)। কেননা, আইসবার্গের মত ডার্ক ওয়েব ও 90% শতাংশ বা তারও বেশি , আমাদের সাধারণ দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকে।
ডার্ক ওয়েব, আমরা যে সাধারন ওয়েব ব্যবহার করি তার থেকে ৫০০ গুন বড়।
ডিজিটাল দুনিয়ার অপরাধের স্বর্গরাজ্য এই ডার্ক ওয়েব, এহেন অপরাধ কর্মকাণ্ড নেই যা এখানে হয় না। মাদকের হোম ডেলিভারি, বন্দুক থেকে হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন, বিস্ফোরক তৈরির টিউটোরিয়াল, ভয়ংকর নৃশংস গেম, এমনকি মানুষ মারার জন্য কিলার পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া যায়।
তবে চাইলেই ইন্টারনেটের এই অন্ধকার জগতে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না। কিভাবে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে হয় ও ডার্ক ওয়েব নিয়ে নানাবিধ তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। আপনি যদি প্রযুক্তি প্রেমী হয়ে থাকেন। তাহলে ডার্ক ওয়েবের এই অ্যাডভেঞ্চার জগতে আপনাকে স্বাগতম।
ডার্ক ওয়েবকে বলা হয়, ইন্টারনেট জগতের আইসবার্গ (যেসব ভাসমান বরফের চাইয়ের ধাক্কায় টাইটানিক ডুবেছিল)। কেননা, আইসবার্গের মত ডার্ক ওয়েবও 90% শতাংশ বা তারও বেশি , আমাদের সাধারণ দৃষ্টিসীমার বাইরে থাকে।
ডার্ক ওয়েব, আমরা যে সাধারন ওয়েব ব্যবহার করি তার থেকে ৫০০ গুন বড়।
ডিজিটাল দুনিয়ার অপরাধের স্বর্গরাজ্য এই ডার্ক ওয়েব, এহেন অপরাধ কর্মকাণ্ড নেই যা এখানে হয় না। মাদকের হোম ডেলিভারি, বন্দুক থেকে হেলিকপ্টারের ইঞ্জিন, বিস্ফোরক তৈরির টিউটোরিয়াল, ভয়ংকর নৃশংস গেম, এমনকি মানুষ মারার জন্য কিলার পর্যন্ত ভাড়া পাওয়া যায়।
তবে চাইলেই ইন্টারনেটের এই অন্ধকার জগতে আপনি প্রবেশ করতে পারবেন না। কিভাবে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে হয় ও ডার্ক ওয়েব নিয়ে নানাবিধ তথ্য নিয়ে সাজানো হয়েছে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি। আপনি যদি প্রযুক্তি প্রেমী হয়ে থাকেন। তাহলে ডার্ক ওয়েবের এই অ্যাডভেঞ্চার জগতে আপনাকে স্বাগতম।
ডার্ক ওয়েব কি
ডার্ক ওয়েব ইন্টারনেটের সেই অংশ, যা কেবলমাত্র বিশেষ ব্রাউজারের সাথে এক্সেস করা যায় এবং সাধারণ ব্রাউজার সার্চ রেজাল্টে ডার্ক ওয়েব কে ইনটেক্স করে না। ডার্ক ওয়েব ডিপ ওয়েবের একটা অংশ। ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রাউজার হলো টর।
ডার্ক ওয়েবে ইউজারদের প্রাইভেসি কোন ভাবেই প্রকাশ করা হয় না। চাইলেও কাউকে ট্রাক করা যায় না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এটি হয়েছে অপরাধীদের আড্ডাখানা।
অনভিক্ষ মানুষের ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ না করাই উচিত, এখানে যে কোন প্রকারের কর্মকাণ্ডই পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের আইনে অবৈধ।
ডার্ক ওয়েবের ইতিহাস
এই শতাব্দীর শুরুতে, ২০০০ সালে অফিসিয়াল ভাবে ডার্ক ওয়েব কার্যক্রম শুরু করে। ইয়ান ক্লার্ক, ফ্রিনেট এর সাথে যৌথভাবে ডার্ক ওয়েব তৈরি করেন।ডার্ক ওয়েব তৈরির উদ্দেশ্য কিন্তু অনেক মহান ছিল।
প্রথমত: সরকার কর্তৃক মানুষের উপর নজরদারি প্রতিরোধ করা
দ্বিতীয়ত: সাইবার হামলা থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের নিরাপদ রাখা।
আর এই দুইয়ের সম্ভব হয়েছিল, কারণ ডার্ক ওয়েবে ব্যবহারকারীকে কোনভাবেই ট্রাক বা অনুসরণ করা যায় না।
অপরদিকে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের সবচেয়ে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন বা সফটওয়্যার, টর। এটি ২০০২ সালে ইউএস নেভাল রিচার্জ একাডেমি দ্বারা তৈরি হয়। ২০০৪ সালে আমেরিকার সরকার টরকে ওপেন সোর্স করে (যে কেউ এই প্রজেক্ট এর সোর্স কোড দেখতে ও নিজের মত পরিমার্জন করে ব্যবহার করতে পারেন)। তারপর থেকে এটি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান টর ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত হয়।
ডার্ক ওয়েব কিভাবে তৈরি
কম্পিউটার অন্যান্য সব সার্ভিস বা সফটওয়্যারের মত এটিও বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা ও ফ্রেমওয়ার্ক দিয়ে তৈরি। তবে এখানে অনেক উন্নত মানের সিকিউরিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। ইন্টারনেটে ডার্ক ওয়েবের কৌশল সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, পিএসপি, পাইথন সি, সি++ , ডার্ট ইত্যাদি প্রোগ্রামিং ভাষা দিয়ে ডার্ক ওয়েব ডেভলপ করা হয়েছে।
আর ডেটাবেসের জন্য MySQL বা PosthreSQL ব্যবহার হতে পারে। ইউজার টু সার্ভার যোগাযোগের জন্য HTTPS নিরাপদ কমিউনিকেশন প্রটোকল ব্যবহার করা হয়েছে। লেনদেনের জন্য, ক্রিপটো কারেন্সি পেমেন্ট গেটওয়ে দেওয়া আছে।
এটি প্রতিনিয়তই আপডেট করা হয়, নতুন নতুন টেকনোলোজি ও সফটওয়্যার প্রকৌশল প্রয়োগ করা হয়।
ডার্ক ওয়েব বা ডিপ ওয়েব কি একই জিনিস?
না! দুটোই ভিন্ন জিনিস। অনেকেই ডার্ক ও ডিপ ওয়েবের মধ্য গুলিয়ে ফেলেন। শুরুতেই বলা হয়েছে, ডার্ক ডিপ ওয়েবের একটা অংশ। যদিও ব্যবহারকারীরা প্রায়শই, একে অপরের বিকল্প হিসেবে ডার্ক ও ডিপ ওয়েব ব্যবহার করে কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য আছে।
ডার্ক ও ডিপ ওয়েব এর পার্থক্য সমূহ
- ডিপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব অপেক্ষা অনেক বড় ও বিস্তৃত।
- ডার্ক ওয়েব, ডিপ ওয়েব এর কেবলমাত্র ০.০১% ফাংশনালিটি ধারণ করে।
- ডিপ ওয়েবের সার্ভিস সমূহ যেমন ব্যাংকিং, ইমেইলের জন্য লগইন এর প্রয়োজন হয়।
- কেবলমাত্র স্ট্যান্ডার্ড ওয়েব ব্রাউজার দিয়েই ডিপ ওয়েব প্রবেশ করা যায়।
- ডিপ ওয়েব, ডার্ক ওয়েব তুলনায় কিছুটা নিরাপদ।
- ডার্ক ও ডিপ ওয়েব, ইন্টারনেট জগতের দুটি ভিন্ন ধারণা।
ডার্ক ও দীপ ওয়েব এর মধ্যে সাদৃশ্য গুলো
- ডার্ক ও ডিপ ওয়েব, www এর অংশ।
- ডার্ক ও ডিপ ওয়েব, সাধারণ সাধারণ সার্চ ইঞ্জিন দ্বারা ইনডেক্স হয় না।
- ডার্ক ও ডিপ ওয়েবের কনটেন্টগুলো সাধারণ মানুষ দেখতে পারে না।
- ডার্ক ও ডিপ ওয়েব, ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধরনের সফটওয়্যার প্রয়োজন হয়।
- উভয়েই অবৈধ কার্যক্রমের জন্য অপরাধীদের কাছে জনপ্রিয়।
ডার্ক ওয়েব ও ক্রিপ্টোকারেন্সি
সাধারণত ইন্টারনেটে আমরা অনলাইন কেনাকাটা করে, ক্রেডিট কার্ড বা টাকায় পেমেন্ট করি। ডার্ক ওয়েবে কেনাকাটা ইলিগ্যাল জিনিসের। যেমন মাদক, অস্ত্র, বিস্ফোরক বা অন্য কিছু। তাই ক্রেতা বা বিক্রেতা কেউই আসল পরিচয় দিতে চায় না।
কিন্তু তারা পেমেন্ট করে কিভাবে?
এর কারণেই ডার্ক ওয়েবে অপরাধীদের কাছে লেনদেনের জনপ্রিয় কিছু ক্রিপ্টোকারেন্সি আছে। কারণ এখানে লেনদেনের জন্য কোন প্রকার ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করতে হয় না ও ট্রাক করা যায় না। ডার্ক ওয়েবে বেশিরভাগ লেনদেন, বিটকয়েন দিয়ে হয়ে থাকে। এছাড়াও ইথিরিয়াম ও মনেরো নামের ক্রিপ্টোকারেন্সি দুটিও ব্যাপক জনপ্রিয়।
ক্রিপ্টোকারেন্সি গুলি পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্ক কাজ করে, মানে ক্রেতা ও বিক্রেতার মাঝে তৃতীয় কোন পক্ষ থাকে না।
অন্যদিকে আমাদের সাধারন মুদ্রা গুলি বিভিন্ন দেশের সরকার কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হয়। ক্রিপ্টোকারেন্সি কম্পিউটার অ্যালগরিদম দ্বারা উৎপাদন, বিপণন ও বন্টন হয় বলে, প্রতারিত ও চিহ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তাই, ডার্ক ওয়েব যদি কোন দেশ হয় সেই দেশের মুদ্রার নাম হলো বিটকয়েন বা ইথেরিয়াম। আর এই অনলাইন ভিত্তিক বিকেন্দ্রিক মুদ্রা ব্যবস্থা কে বলা হয় ক্রিপ্টোকারেন্সি।
ডার্ক ওয়েবে কিভাবে প্রবেশ করবেন
ডার্ক ওয়েব সম্পর্কে এত এত তথ্য শুনে নিশ্চয়ই আপনার এখন ইচ্ছা করছে ডার্ক ওয়েব ঘুরে আসতে। কারণ মানুষ স্বভাবতই নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি বেশি প্রতি আকৃষ্ট। চলুন ঘুরে আসি অন্ধকার জগত থেকে।
ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের আগে সতর্কতা
একটু অপেক্ষা করুন, তাড়াহুড়ো করবেন না। ডার্ক ওয়েব একটি ভয়ংকর জায়গা, এটা ব্যবহার করাও অনিরাপদ। তাই ব্যবহারের আগে নিম্নলিখিত সতর্কতা গুলো মেনে চলবেনঃ
- আপনার পরিচয় ও অবস্থান লুকানোর জন্য একটি ভাল মানের পেইড অথবা ফ্রী ভিপিএন ব্যবহার করুন
- পিসি বা ল্যাপটপ থেকে Tails অথব Whonix অপারেটিং দিয়ে টর নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে প্রবেশ করবেন।
- সিস্টেমের নিরাপত্তা সফটওয়্যার গুলির সর্বশেষ ভার্সন আপডেট করুন।
- একটি নিরাপদ search ইঞ্জিন ব্যবহার করুন যেমন: টর, DuckDuckGo।
- কখনো নিজের ব্যক্তিগত তথ্য, ব্যাংক ইনফরমেশন বা নাম ব্যবহার করবেন না।
- ডার্ক ওয়েব থেকে কখনোই কোন কিছু সরাসরি ডাউনলোড করবেন না। সবচেয়ে ভালো কোন কিছু একেবারে ডাউনলোড না করা।
- ডার্ক ওয়েবে, প্রবেশের আগে দুবার ভাবুন। যদি একান্তই প্রয়োজন হয় তখন ব্যবহার করুন।
- কোন অচেনা লিংকে ক্লিক করবেন না।
- কোথাও একাউন্ট খোলার প্রয়োজন হলে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। প্রয়োজনে পাসওয়ার্ড জেনারেটর ব্যবহার করুন।
- টর ব্রাউজারে জাভাস্ক্রিপ্ট ডিজেবল করে দিন, এতে আপনি অনেকটা নিরাপদ হয়ে যাবেন।
- কম্পিউটার, মোবাইল বা ব্যবহৃত ইলেকট্রিক ডিভাইসে ভালো মানের এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ইন্সটল করুন।
এই সকল প্রস্তুতি নেওয়া শেষ হলে, স্বাগতম! ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের জন্য আপনি প্রস্তুত।
ডার্ক ওয়েব প্রবেশের লিংক (গুগলে যেগুলো পাওয়া যায় না)
গুগলের নিরাপত্তা পলিসির জন্য, ডার্ক ওয়েবে প্রবেশের লিংক, সরারসরি এখানে দেওয়া সম্ভব নয়, এখানে কিছু ওয়েব সাইটের লিংক দেওয়া হল, যেখান থেকে আপনারা ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ করতে পারবেন।
মোবাইল দিয়ে ডার্ক ওয়েবে প্রবেশ
আগের মতই, কিছু ইথিকাল দিক বিবেচনা করে ও আমাদের সাইটের নিরাপত্তার ইস্যুতে , সরাসরি কোন উপায় বা লিংক দেওয়া হল না। কিছু লিংকঃ
ডার্ক ওয়েব হ্যাকার
ডার্ক ওয়েব হ্যাকার হল সেই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান, যারা ডার্ক ওয়েব ব্যবহার করে অবৈধ কাজকর্ম করে। বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির ওয়েবসাইট বা সফটওয়্যার সিস্টেম হ্যাক করে তারা, ডার্ক ওয়েবে ক্রিপ্টো কারেন্সিতে মুক্তিপণ আদায় করে। অনেকেই শত্রুদের বা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সার্ভিস ধ্বংস করতে ডার্ক ওয়েব থেকে তাদের বিপুল অর্থে ভাড়া করে।
আবার তারা বিভিন্ন রাষ্ট্র ও কোম্পানির গুরুত্বপূর্ণ ডাটা হ্যাক করে টাকার বিনিময়ে ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করে দেয়। বেশ কিছুদিন আগে এমন একটি হ্যাকার গ্রুপ প্রায় তিন কোটি বাংলাদেশিদের ব্যক্তিগত ডাটা বিক্রির জন্য ডার্ক ওয়েবে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল।
ডার্ক ওয়েবের অলিতে গলিতে এরা ঘাপটি মেরে থাকে। অভিজ্ঞ নতুন কোন ব্যবহারকারীকে ফিশিং লিংক বা র্যামসেয়্যার এর মধ্যে অ্যাটাক করে ব্যক্তিগত তথ্য নেয়। অনেক সময় অজান্তেই কম্পিউটার সিস্টেম প্রবেশ করে, কম্পিউটার বা মোবাইলের দখল নিয়ে নেয়।
এদের হাত থেকে নিরাপদ থাকার জন্যই ডার্ক ওয়েব ব্যবহারের সতর্ক থাকা উচিত।
আরও পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি: ভবিষ্যতে কি মানুষের স্থান দখল করে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?
ডার্ক ওয়েবে যে নিষিদ্ধ ও নৃশংস কাজগুলি করা হয়
অপরাধের লীলাভূমি ও অপরাধীর কারখানা ডার্ক ওয়েব কতটা সিংহ নৃশংস ও নিষিদ্ধ কাজ করতে পারে তার কিছু উল্লেখ করা হলো (দুর্বল হার্ড মানুষ এড়িয়ে চলুন)।
ব্ল্যাংক সুপ রুমঃ ইন্টারনেটে ভাইরাল ভিডিও বা ছবিটা হয়তো দেখে থাকতে পারেন। যেখানে দুজন মুখোশ পরা ব্যক্তি আর এক ব্যক্তিকে মাথায় হাত বুলিয়ে কিছু একটা খাওয়াচ্ছেন। যে ব্যক্তি খাচ্ছেন, তার চোখ মুখে আতঙ্ক অনবরত কেঁদে যাচ্ছেন। আর এই ভিডিও লাইভ দেখছে ডার্ক ওয়েব ব্যবহারকারীরা। আপনি জানেন ওই ব্যক্তি কি খাচ্ছে?
ওই ব্যক্তির সামনেই তার বউকে হত্যা করা হয়, এবং তার মাংস রান্না করে স্যুপ বানিয়ে তাকে খাওয়ানো হচ্ছে। এই জাতীয় অনেক নৃশংস লাইভ করা হয় এইসব ডার্ক ওয়েব স্ট্রিমিং গ্রুপে।
চাইল্ড পর্নোগ্রাফি: জনপ্রিয় বেশিরভাগ এডাল্ট ওয়েব সাইটে বা ১৮+ গ্রুপে চাইল্ড পর্ণগ্রফি নিষিদ্ধ। কিন্তু ডার্ক ওয়েবে তা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়।
নিঃসংশ গেম: এখানে কিছু অদ্ভুত ব্রিকৃত নিঃসংশ গেম আছে। অনেকটা বিগ বস রিয়েলিটি শোয়ের মত। যেখানে শিকারকে ভয়ঙ্কর বিকৃত নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়। আর কিছু মস্তিষ্ক বিকৃত মানুষ সেইসব লাইভ দেখে।
আরও যেসব কেনাবেচা হয়: মাদক, অস্ত্র, মানুষের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ, কঙ্কাল, পুরো মৃতদেহ, বিস্ফোরক দ্রব্য (এমনকি পারমাণবিক অস্ত্রের বিভিন্ন ডকুমেন্টস),মিসাইল, গ্রেনেড সহ আধুনিক যুদ্ধের প্রায় সব হাতিয়ার, বাঘের চামড়া, গন্ডারের শিং, জীবিত ও মৃত বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ইত্যাদি।
ডার্ক ওয়েব থেকে ইনকামের উপায়
ডার্ক ওয়েবে যারা সেবা প্রদান ও গ্রহণ করে, উভয়েই অপরাধী। ডার্ক ওয়েবে বৈধ কোন ইনকামের উপায় নেই। অনেকে দাবি করে, ডার্ক ওয়েবে ইথিক্যাল হ্যাকিং করে আয় করা যায়। কিন্তু ইথিক্যাল হ্যাকিং তো যে কোন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে বৈধ তার জন্য, ডার্ক ওয়েবে যেতে হবে কেন?
তাই আপনার যদি দক্ষতা থাকে, বৈধ মার্কেটপ্লেসে বৈধ ইনকাম করুন।
কেন ডার্ক ওয়েব থেকে দূরে থাকবেন
আর্টিকেলের বিভিন্ন অংশে এ বিষয়েগুলি ইতিমধ্যে পরোক্ষভাবে বলা ও আলোচনা করা হয়েছে। সবগুলি একসাথে দেখে নেওয়া যাকঃ
- এটির ব্যবহার সম্পূর্ণ রূপে অবৈধ ও নিষিদ্ধ। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশে আইনত দন্ডনীয়, অপরাধ ধরা পড়লে জেল জরিমানার সম্ভাবনা আছে।
- হ্যাকার, প্রতারক ও সাইবার ক্রিমিনাল এর চারণভূমি।
- এটা ভয়ঙ্কর, ও ভাইরাসে পরিপূর্ণ।
- প্রতারনার শিকার হলে কোন আইনি সাহায্য পাবেন না।
- বেশিরভাগ কন্টেন্ট বিকৃত ও ভয়ঙ্কর, তাই মানসিকভাবে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- ডার্ক ওয়েবের ফাঁদ ও নেশা আপনাকে সমাজ পরিবার জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে।
তাই ডার্ক ওয়েব থেকে দূরে থাকি ও নিরাপদ থাকি।
বিঃদ্রঃ আমাদের আজকের এই লেখার উদ্দেশ্য মানুষকে তথ্য দেওয়া ও সতর্ক করা। কোন ভাবেই ডার্ক ওয়েব ব্যবহারে উৎসাহিত করা নয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে, আরও লেখা পড়ুনঃ
- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি: ভবিষ্যতে কি মানুষের স্থান দখল করে নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা?
- সার্চ ইঞ্জিন কি : এক ক্লিকেই সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে
Source: