Dreamy Media BD

বিল গেটস: একজন দানবীর ধনীর গল্প

বিল গেটস একজন দানবীর ধনীর গল্প

বিল গেটস , প্রযুক্তি বিশ্বের এক জীবনটি কিনবন্দন্তী , যিনি কম্পিউটার কে গবেষণাগার থেকে মানুষের পার্সোনাল রুমে নিয়ে এসেছেন।  তাকে অনেকভাবেই বিশেষিত করা যায় , কম বয়সে উদ্যোক্তা , মাইক্রোসফ এর মতো যুগান্তকারী অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভোবক , রেকর্ড সময় ধরে থাকা পৃথিবীর সেরা ধনী। কিন্তু বেল গেটস নিজেকে হয়তো একজন দানবীর পরিচয় দিতে ভালোবাসেন , তাইতো নিজের বেশিবাগ সম্পদ অকাতরে দান করতে ভালোবাসেন।  আজকে আমরা জানব প্রযুক্তির এই বরপুত্রের জীবন ইতিহাস নিয়ে।

বিল গেটসের জীবনী (Bill Gates Biography)

বিল গেটস ১৯৫৫ সালে ওয়াসিংটন ডিসির সিয়াটলে জন্মগ্রহণ করেন।   কম্পিউটারের প্রতি তার ভালোবাসা ছিল অনেক ছোট বয়স থেকেই , তাই তো মাত্র ১৩ বছর বয়সে নিজে নিজে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখেন।

বিল গেটস এর সকল তথ্য (Bill Gates At A Glance)

 

বিভাগ তথ্য
নাম বিল গেটস
জন্ম তারিখ ২৮ অক্টোবর, ১৯৫৫
জন্মস্থান সিয়াটেল, ওয়াশিংটন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
শিক্ষা হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বাতিল)
স্ত্রী  মেলিন্ডা গেটস (সাবেক)
পরিচিত মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রাক্তন সিইও, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন
সম্পদ  ১২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০২৩)
পুরস্কার এবং সম্মাননা প্রেসিডেন্টের পদক, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নাইট কমান্ডার, ফ্রাঙ্কলিন ইনস্টিটিউটের বোয়ার পুরস্কার ফর বিজনেস লিডারশিপ, টাইম ম্যাগাজিনের কভার(১৯৯৩)
দাতব্য কাজ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
বিশ্বে প্রভাব মাইক্রোসফ্টের সাথে কম্পিউটিং শিল্পকে বিপ্লব ঘটিয়েছে, এবং বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী দাতা

বিল গেটস এর শিক্ষা (Bill Gates Education)

বিল গেটস তার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক  শিক্ষা নেন সিয়াটলের একটি প্রাইভেট স্কুল থেকে।  গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে বিল গেটস ছিল তুখোড় মেধাবী।

১৯৭১ সালের স্যাট  পরীক্ষায় তিনি ৮০০ তে ৮০০ নম্বর অর্জন করেছিলেন। মাধ্যমিক শেষেই তৎকালীন কম্পিউটার দুনিয়ার এক নম্বর কোম্পানি IBM থেকে তিনি চাকুরীর ডাক পেয়েছিলেন।  কিন্তু গেটস , চাকুরী না করে লেখাপড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

কলেজ শেষে তিনি বিশ্বের বিখ্যাত আমেরিকার অন্যতম হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।  এখানে তিনি গণিত ও কম্পিউটার বিষয়ে লেখাপড়া শুরু করেন।  পাশাপাশি তিনি দর্শন ও অর্থনীতির উপরে দুইটি অতিরিক্ত কোর্স নিয়েছিলেন।

গেটস হাভার্ড এর গণিত ক্লাব ও হাভার্ড কম্পিউটার সোসাইটির  সদস্য ছিলেন।  নিজে ছাত্র হলেও সে , হাভার্ড এর কম্পিউটার সেন্টারেও জব করতেন।  কিন্তু হাভার্টের লেখাপড়া তাকে বেশিদিন আটকে রাখতে পারে না , বন্ধু পল এলেন কে নিয়ে ড্রপ আউট হন বিল গেটস।

বিল গেটস এর ক্যারিয়ার (Bill Gates Career)

হাভার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে এর লেখাপড়া অসম্পূর্ণ রেখে গেটস তার বন্ধুকে নিয়ে শুরু করেন তাদের প্রথম বিজনেস। দুজনেই প্রতিষ্ঠা করেন মাইক্রোসফট নামের দুনিয়াকে বদলে দেওয়া এক কোম্পানির।    তাদের কোম্পানির প্রথম পণ্য ছিল একটি ইন্টারপ্রেটার।  প্রথমদিকের পার্সোনাল কম্পিউটার (আল্টাইর্ ৮৮০০) এর ব্যবহারের জন্য তারা এটা বানিয়েছিলেন।

বিল গেটস এর মাইক্রোসফট (Bill Gates and Microsoft)

ব্যবসার শুরুতেই মাইক্রোসফটকে ,  আইবিএম এর সাথে লড়াই করতে হয়েছিল।  লড়ায়ের প্রধান অস্ত্র হিসাবে বিল গেটস ও তার বন্ধু এলেন কোয়ালিটিকে বেছে নেয়।  তারা সিদ্ধান্ত নেয় তারা এমন পণ্য বানাবে যা ব্যবহারকারী সহজে ব্যবহার করতে পারবে আবার এটা অনেক সস্তা হবে।

অনেক গবেষণা করে ১৯৮১ সালে MS-DOS  নাম তাদের প্রথম অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আসেন।  যা তারা প্রতিদ্বন্দ্বী আইবিএম  এর জন্য বানিয়েছিলেন।  আইবিএম , যখন পুরু সিস্টেম কিনে নিতে চায় , তখন বিল গেটস বলেছিল , তাকে পুরু সফ্টওয়ার প্রজেক্ট এর দাম দিতে হবে না।  কিন্তু MS-DOS ইনস্টল দিয়ে যত কম্পিউটার ব্রিক্রি করবে আইবিএম , প্রতি ইউনিট এর জন্য তাকে ৩ ডলার করে দিতে হবে।  আর , এতেই বাজিমাত করে মাইক্রোসফট ও বিল গেটস।  নতুন অপারেটিং সিস্টেম  MS-DOS এতটাই সহজ ছিল যে , মুড়ি মুড়কির মত মানুষ কম্পিউটার কেনা শুরু করে।  আর আইবিএম বিক্রির সাথে সাথে পকেট ভারী হচ্ছিল বিল গেটস এর।

কিন্তু লাভ আসলেও থেমে থাকেন নি বিল গেটস , আরোও ভালো অপারেটিং সিস্টেম বানানোর দিকে মনোযোগ দেন।

কারণ MS-DOS  এর একটি সমস্যা ছিল , এর কোন গ্রাফিকাল ইন্টারফেস ছিল না।  মানুষকে হ্যাকারদের মত টাইপিং করে করে কম্পিউটার চালাতে হতো।

উইন্ডোজ – ১

১৯৮১ সালে MS-DOS  এর উন্নত ভার্সন উইন্ডোজ – ১ আসে। বর্তমানে আমরা যে উইন্ডোজ ব্যবহার করি এটা তার পূর্বপুরুষ।  এতেই প্রথম গ্রাফিকাল ইন্টারফেস আসে, মানে ব্যবহারকারী  দেখে দেখে কম্পিউটার চালাতে পারবে , এর জন্য আর শর্ট কোড মুখস্ত করতে হবে না। যা মানুষের কম্পিউটারের প্রতি আরো আগ্রহী করে তুলে।

এরপর গল্পটা সাফল্যের , এক এক করে আস্তে থাকে নতুন নতুন ফিচার নিয়ে নতুন সব ভার্সন Windows 2.0, Windows 3.0, Windows 3.1, Windows 95, Windows 98, Windows 2000, Windows Me, Windows XP, Windows Vista, Windows 7, Windows 8, Windows 8.1, Windows 10, Windows 11

বর্তমানে আমার উইন্ডোস ১১ বেবহার করছি , এর মধ্যে উইন্ডোস ৭ কে সর্বাধিক জনপ্রিয় ভার্সন বলা হয়ে থাকে।

বিল গেটস এর আরও কিছু সফল বিজনেস আছেঃ

ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্ট: মাইক্রোসফট থেকে পাওয়া মোটা অংকের টাকা দিয়ে বিল গেটস প্রতিষ্ঠা করেন এই কোম্পানি।  এই ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানিটি রেলের রাস্তা , বিদ্যুৎ , মিডিয়া ইত্যাদি সম্ভবনাময় কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতো।  এর থেকেও তিনি অনেক টাকা যায় করেন।

কাৰ্বিস: ১৯৯৫ সালে বিল গেটস এর প্রতিষ্ঠা করেন, এটি ছিল একটি ছবি/ পিকচার কেনাবেচার সিস্টেম।  ২০০৪ সালে এটিকে গেটি ইমেজ এর কাছে বিক্রি করে দেন।

TerraPower: ১৯৯৮ সালে এই কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন।  TerraPower এর উদ্দ্যেশ ছিল এমন পারমাণবিক রিয়েক্টর ডিজাইন করা যেন , যা আগের রিয়েক্টর গুলি থেকে অধিক সুরক্ষিত ও সস্তা হবে।

bgC3:  ২০০৭ সালে তিনি এই প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন , এটি  স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে, বিশ্বব্যাপী এই জাতীয় প্রতিষ্ঠান গুলিতে ইনভেস্টমেন্ট করতেন।

লেখক ও বইপ্রেমী বিল গেটস

এর বাদেও বিল গেটস লেখক হিসাবেও সফল , তার লেখা অনেক বই বেস্ট সেলার। যেখান থেকে তিনি অনেক অর্থ লাভ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কিছু বই:

  • The Business @ the Speed of Thought (1999)
  • The Road Ahead (1995)
  • “How to Avoid a Climate Disaster” (2021)

এর বাদেও তিনি বড় বড় জার্নাল ও পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখতেন।  নিজের ব্লগেও তিনি নিয়মিত লেখেন , তার গেট-নোটস নাম একটা ব্লগ আছে।

বিল গেটস বলেন , তিনি বছরে কমপক্ষে ৫০ তা বই পড়েন।  পড়া বইয়ের মধ্যে গল্প , কল্পকাহিনী ও বিজনেস জাতীয় বই বেশি থাকে।  ঘুমানোর আগে কমপক্ষে ১ ঘন্টা বই পড়া তার রোজকার অভ্যাস।

বিল গেটস কত টাকার মালিক (Bill Gates Net Worth)

৩১ বছর বয়সে ১৯৮৭ সালে বিল গেটস বিলিওনার হন । সেই সময়ের সবচাইতে কম বয়সে বিলিয়নের হবার রেকর্ড করেছিলেন , পরে মার্ক জুকারবারক ২২ বছর বয়সে বিলিয়নের হয়ে তার এই রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে।

সর্বশেষ তথ্য অনুসারে তার বর্তমান সম্পদ প্রায় ১২৯ বিলিয়ন ডলার।  বর্তমানে তিনি বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।

তার আয়ের বেশিরভাগ আসে , মাইক্রোসট কোম্পানির শেয়ার থেকে।  তিনি এই কোম্পানির 1.38% শেয়ারের মালিক।  যা তাকে, ১৯৯৫ থেকে ২০১৭ এই ২৩ বছরের মধ্যে ১৮ বছরেই বিশ্বের ধনীদের তালিকায় ১ নাম্বারে রেখেছিল।  তার সম্পত্তি প্রথম ১০০ বিলিয়নের ঘরে যায় ২০০০ সালে।

বিল গেটস ও মেরিন্ডা গেটস
বিল গেটস ও মেরিন্ডা গেটস

বিল গেটস স্ত্রী

বিল গেটসের বর্তমানে বিপত্নীক। ২০২২ সালের ৩ মে মেলিন্ডার  সাথে তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

১৯৮৭ সালে এক বাণিজ্য মেলায় তাদের দেখা হয় , ১৯৯৪ সালে তারা বিয়ে করেন।  তাদের তিন সন্তান আছে , জেনিফার , রনি এবং ফেবে।

তাদেরকে একসময় , পৃথিবীর আদর্শতম দম্পতি বলা হতো।  বিল মেরিন্ডা ফাউন্ডেশন এর মাধ্যমে তারা দুনিয়াব্যাপী মানবতার কল্যানে টাকা খরচ করেছেন।

এখনো তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ অজানা।

বিল গেটস দাতব্য

সময়ের এই সেরা ধনী ব্যক্তিটি দানের ব্যাপারে সিদ্ধহস্ত , বিশ্বের এক নম্বর ব্যাক্তি পরিচালিত দাতব্য সংখ্যা তার মাধ্যমে চলে। মানবতা-পৃথীবি রক্ষা-শিক্ষা ইত্যাদি কাজে তিনি অকাতরে অর্থ দান করেন।

 

বিল-মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন

এই ফাউন্ডেশন পৃথিবীর ব্যক্তি পরিচালিত সবচাইতে বড় দাতব্য সংস্থা।  প্রতিবছর এর বাজেট ৫ বিলিয়ন ডলার , যা পৃথিব্যাপী ১৩০ টি দেশের ১৩০০ হাজার ছোট  সংস্থা ও ১৮০০ হাজার নিজস্থ কর্মী দিয়ে পরিচালিত হয়। এর সদর দপ্তর বিল গেটস এর জন্মস্থান সিয়াটল ওয়াসিংটন ডিসি তে।

তাদের প্রধান লক্ষ্য “help all people live healthy, productive lives.”  তাদের মূলত স্বাস্থ্য, উন্ননয় ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করে থাকেন।

পৃথিবী জুড়ে এই ফাউন্ডেশন অনেক অবদান রেখেছে:

  • ১৯৯০ সালের থেকে বিশ্বের শিশু মৃত্যুহার ৫০% কমিয়ে এনেছে।
  • রোটা ভাইরাস , পোলিও ,ও নিউমোনিয়ার টিকা আবিষ্কারে ও গবেষণায় সাহায্য করেছে।
  • দারিদ্র দেশের কৃষি উন্নয়ন ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে।

এছাড়া পৃথিবী জুরে  মেয়েদের শিক্ষা , ক্ষুধা ও দারীদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।

২৭ বছরের সংসার ভেঙে যাবার পর সবাই ভেবেছিলেন বিশ্বের এক নম্বর দাতা প্রতিষ্ঠান বিল – মেরিন্ডা  ফাউন্ডেশন মনে হয় এবার শেষ হবে। বিল গেটস ও মেলিন্ডা ঘোষণা দেন যে তাদের এই বিচ্ছেদ বিল মেলিন্ডা ফাউন্ডেশন কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে না।  সব আগের মতই চলবে।

বিল গেটস কোভিড-১৯

করোনা মহামারী কালীন বেল গেটস মসিহ রূপে মানুষের সামনে দাঁড়ান।  নিজের নগদ অর্থ ও বিল – মেরিন্ডা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে প্রচুর অর্থ মানবতার কাজে ব্যায় করেন।

  • ভ্যাকসিন গবেষণা , আবিষ্কার , উন্নয়ন , ও বিতরণের কাজে প্রচুর অর্থ সহায়তা করেন।
  • COVAX ইনিশিয়েটিভ এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল দেশের ভ্যাকসিন পাওয়া নিশ্চিত করেন।
  • মধ্যম আয়ের দেশগুলিকে শক্তিশালী স্বাস্থসেবা নিশ্চিতে অনেক সাহায্য করেন।
  • যারা করোনা কালে চাকরি হারান তাদের আর্থিক সাহায্য করেন।

শুধু টাকা দিয়ে না, সচেতনার জন্যেও তিনি অনেক বক্তৃতা দেন ও কলাম লেখেন।

বিল গেটস জলবায়ু পরিবর্তন

পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন এর সচেতনতায় তিনি এক নিবেদিত প্রাণ।  তিনি তার অর্থ , ক্ষমতা ও প্রভাব এর সর্বাধিক ব্যবহার করে জলবায়ু সচেতনার জন্য কাজ করে গেছেন।

তিনি বিভিন্ন ভাবে জলবায়ু সচেতেনতা  নিয়ে কাজ করছেন:

বই লিখে:“How to Avoid a Climate Disaster” (2021) এই বইয়ে তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিজ্ঞান , ঝুঁকি ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

বক্তব্য ও সেমিনার করে : জলবায়ু সচেতনার উপর তিনি বেশকিছু সমাবেশে বক্তব্য দিয়েছেন ও বিখ্যাত কিছু সেমিনারে উপস্থিত থেকেছেন।

গবেষণায় অর্থ দিয়ে: জলবায়ুন নিয়ে গবেষণা করে এমন সংখ্যায় অনেক টাকা দান ও বিনিয়োগ করেছেন।  নবায়নযোগ্য জ্বালানি , গ্রিন এনার্জি তে অনেক বিনিয়োগ করেছেন।

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সচেতনতা : তার কারণে আমেরিকা ও পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সরকারগুলি সচেতন হয়েছে ও এর সপক্ষে অনেক আইন এনেছে।

এভাবেই তিনি জলবায়ু রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।

বিল গেটসের বাংলাদেশ ভ্রমন

৫ ডিসেম্বর ২০০৫ সালে বিল গেটস ও তার স্ত্রী , তাদের দক্ষিণ এশিয়া ভ্রমের অংশ হিসাবে, বাংলাদেশে আসেন।

তার এই ভ্রমণটি বাংলাদেশের জন্য একটি ঐতিহাসি ছিল , কেননা তার আসার মাধ্যেমেই বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃষ্টি ঘুরে যায়।  তিনি প্রথম আমেরিকান কোন মেজর কোম্পানির, প্রধান নির্বাহী হিসাবে বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে তিনি বেশ কিছু উন্নয়ন প্রজেক্ট ভ্রমণ করেন ও অনেকগুলি ক্ষুদ্র ঋন প্রকল্প ঘুরে দেখেন।

বিল গেটস এর উক্তি (Bill Gates Quotes)

তিনি একজন ভালো লেখক ও বক্তা , তার অনেক কথাই আমাদের অনুপ্রাণিত করে । তার কিছু এখানে দেওয়া হলঃ

“গরিব হয়ে জন্ম নেওয়া অপরাধ না , গরিব হয়ে মরাটা অপরাধ ” __বিল গেটস

 

“নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন না , যদি করেন , তাহলে আপনি নিজেকেই অপমান করছেন ” __বিল গেটস

 

“আপনার সবচাইতে নারাজ গ্রাহক , আপনার শেখার সবচাইতে ভালো মাধ্যম ” __বিল গেটস

 

“জীবনকে ভয় পাবেন না , এতে অভ্যস্ত  হোন” __বিল গেটস

 

“সাফল্য উদযাপন সুখের কিন্তু ব্যর্থতার শিক্ষা সবচাইতে উপকারী” __বিল গেটস

 

“বড়কিছু ঝুঁকি নেওয়া ছাড়া , বড়কিছু পাওয়া যায় না ” __বিল গেটস

 

“আমি মেধাবী বা ভাগ্যবান  নই, শুধু পরিশ্রমী” __বিল গেটস

 

“যদি মনে হয় তোমার শিক্ষক কঠিন ……….. তাহলে বসের জন্য অপেক্ষা কর ” __বিল গেটস

 

“প্রযুক্তির প্রতি আমার তেমন আগ্রহ নেই , মানুষের প্রতি আমার অধিক আগ্রহ” __বিল গেটস

 

“আমার সব কর্মীর বদলে যদি বানর বসিয়ে দেয় , সেই বানরেরা নিজেদের জন্য অপারেটিং সিস্টেম বানাবে ” __বিল গেটস

 

বিল গেটস একজন দূরদর্শী ব্যবসায়ী ব্যাক্তি।  একবার বিল গেটস কে বলা হয়েছিল , এশিয়া বা আফ্রিকার প্রায় 99% মানুষ আপনার উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেম বিনামূল্যে অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে , আপনি এর বিরুদ্ধে বেবস্থা নেন না কেন?

উত্তরে বিল গেটস বলেন , হা আমি জানি বিশ্বব্যাপী অনেক মানুষ আমার উইন্ডোস ফ্রি ব্যবহার করে , কিন্তু তারা ফ্রি ব্যবহার করে বলেই , বড় বড় ল্যাপটপ ও কম্পিউটার কোম্পানিগুলি আমাদের কাছে টাকা দিয়ে তাদের নতুন ডিভাইস এ উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেম নেয়।

বিল গেটস তার জীবনের বেশিরভাগ সম্পদ মানবতার কল্যানে দান করেছেন।  পৃথিবীর অন্যতম ধনী ব্যক্তি হলেও থাকেন খুব সাধাসিদে হয়ে।  পৃথিবীর আধুনিক সভ্ভতার ইতিহাসে তিনি নিজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এক সুউচ্চ আসনে।

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents