বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) এটি বাংলাদেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী ঢাকা শহরের লালবাগ থানার পলাশী এলাকায় অবস্থিত।কারিগরি শিক্ষা প্রসারের লক্ষে ১৮৭৬ সালে ঢাকা সার্ভে স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি পরবর্তীতে আহসানউল্লাহ স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিং এ পরিণত করা হয়। যা বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর ২০০৩ সালে নাম হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বের সকল নামি দামি প্রতিষ্ঠানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দেখা মিলে। যারা বাংলাদেশে ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় তাদের প্রথম পছন্দ থাকে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের প্রতিটি শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি তে পড়ালেখা করার। তাইতো প্রতিবছর হাজারো শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়টি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে নেয়। শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হতে পারে। আজ আমরা আর্টিকেলের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস ও এর কার্যক্রম সম্পর্কে জানব। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন:
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
১৯৪৭ সালের মে মাসে সরকার ঢাকায় একটি প্রকৌশল কলেজ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেন ও ছাত্র ভর্তির জন্য বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের শিবপুরস্থ বেঙ্গল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও ঢাকায় আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলে পরীক্ষা নেয়া হয়।১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সরকার এই কলেজটিকে অনুমোদন দেন এবং এটি তখন পুরকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, যন্ত্র প্রকৌশল, কেমিকৌশল, কৃষি প্রকৌশল ও টেক্সটাইল প্রকৌশল বিভাগে চার বছর মেয়াদী ব্যাচেলর ডিগ্রি এবং পুরকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল ও যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগে তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা প্রদান করতে শুরু করে।
তবে শেষ পর্যন্ত কৃষি ও টেক্সটাইলের পরিবর্তে ধাতব প্রকৌশল অন্তর্ভুক্ত হয়। ১৯৫৬ সালে কলেজে সেমিস্টার প্রথা চালু হয় ও নতুন পাঠ্যক্রম অনুমোদিত হয়। ১৯৫৭ সালে ডিগ্রি কোর্সে আসন সংখ্যা ১২০ থেকে বাড়িয়ে ২৪০ করা হয়। ১৯৫৮ সালে কলেজ থেকে ডিপ্লোমা কোর্স বন্ধ করে দেয়া হয়। ১৯৬২ সালের ১ জুন এটিকে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করে নাম দেয়া হয় পূর্ব পাকিস্তান প্রকৌশল ও কারিগরী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় আকার প্রতিষ্ঠিত হবার পর পরই ছাত্রদের জন্য নতুন ৩টি আবাসিক হল তৈরি করা হয়।
১৯৬২ সালেই প্রথম স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে স্থাপত্য বিভাগ গঠন করা হয়, এই বিভাগের জন্য টেক্সাস এ. এন্ড এম. কলেজের কয়েকজন শিক্ষক যোগদান করেন। এভাবে প্রকৌশল ও স্থাপত্য এই দুটি অনুষদে পুর, যন্ত্র, তড়িৎ, কেমি ও ধাতব প্রকৌশল এবং স্থাপত্য বিভাগ নিয়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৯৬৪ সালে আসন সংখ্যা ২৪০ থেকে ৩৬০ জনে বৃদ্ধি করা হয়। ওই বছরেই বর্তমানে অবস্থিত ৭ তলা পুরকৌশল ভবনটির নির্মাণ শুরু হয়। ১৯৬৯-৭০ সালে আসন সংখ্যা ৪২০ জনে উন্নীত হয়। এসময় স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদে ফিজিক্যাল প্ল্যানিং নামে একটি নতুন বিভাগ চালু হয়। এটিই পরবর্তীকালে নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে পরিণত হয়েছে।১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর এর নাম পরিবর্তন করে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় রাখা হয়।পরবর্তীতে ২০০৩ সালে এর নামকরণ করা হয় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিচিতি
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি ঢাকার পলাশী এলাকায় অবস্থিত। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ,ঢাকা মেডিকেল কলেজে ঢাকার নওয়াব খাজা আহসানউল্লাহ দেওয়া জমির উপরে গড়ে উঠেছে তাই এই তিনটি ক্যাম্পাস পাশাপাশি অবস্থিত। ক্যাম্পাসে প্রবেশ করলে পশ্চিম দিকে দেখতে পাবেন ইইই, সিএসই এবং বিএমই বিভাগের জন্য ১২ তলা ইসিই ভবন নির্মিত হয়েছে। তবে ক্যাম্পাসের মূল অংশে পুরাকৌশল,যন্ত্রকৌশল, ও আর্কিটেকচার ভবনসহ ড. রশিদ একাডেমিক ভবন উপস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলগুলো একাডেমিক ভবন থেকে হাঁটার দূরত্বে অবস্থিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন
বাংলাদেশের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসটি রাজধানী ঢাকার বুকে শহরের কেন্দ্রস্থলে ৮৩.৯ একর (৩৩.৯৫ হেক্টর) জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীর সংখ্যা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে ৬০০ জন শিক্ষক এবং প্রায় ১০০০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও বিভাগসমূহ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৬টি অনুষদের অধীনে মোট ১৮টি বিভাগ রয়েছে ।
অনুষদ | বিভাগ |
১) বিজ্ঞান অনুষদ | – পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ |
– রসায়ন বিভাগ | |
– গণিত বিভাগ | |
২) কেমিক্যাল এন্ড ম্যাটেরিয়ালস কৌশল অনুষদ | – বস্তু ও ধাতব কৌশল বিভাগ |
– কেমিকৌশল বিভাগ | |
– ন্যানোম্যাটেরিয়ালস এন্ড সিরামিক কৌশল বিভাগ | |
– পেট্রোলিয়াম ও খনিজ সম্পদ কৌশল বিভাগ | |
৩) পুরকৌশল অনুষদ | – পুরকৌশল বিভাগ |
– পানিসম্পদ কৌশল বিভাগ | |
৪) যন্ত্রকৌশল অনুষদ | – যন্ত্রকৌশল বিভাগ |
– ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন প্রকৌশল বিভাগ | |
– নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগ | |
৫) তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল অনুষদ | – তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ |
– বায়োম্যাডিকেল প্রকৌশল বিভাগ | |
– কম্পিউটার সায়েন্স ও প্রকৌশল বিভাগ | |
৬) স্থাপত্য এবং পরিকল্পনা অনুষদ | – স্থাপত্য বিভাগ |
– নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ | |
– মানবিক বিভাগ |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের যোগ্যতা
১) ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদনকারীর শিক্ষার্থীকে অবশ্যই বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ সর্বনিম্ন ৪.০০ পেতে হবে।
২) আবেদনকারী শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক মাধ্যমিক পরীক্ষায় গ্রেট পদ্ধতিতে ৫.০০ এর স্কেলে সর্বনিম্ন জিপিএ ৪.৫০ থাকতে হবে। এবং গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এই ৩টি বিষয়ে ৬০০ নম্বরের মধ্যে ন্যূনতম ৪৮০ নম্বর পেয়ে পাস করতে হবে।
৩) মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ইংরেজি ও বাংলা এই ৫টি বিষয়ের মোট জিপিএ ন্যূনতম ২২.৫০ পেয়ে পাস করতে হবে।
৪) যোগ্যতা ভিত্তিতে আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন এই ৩টি বিষয়ের মোট নম্বর এর ভিত্তিতে ১ম থেকে ১২ হাজার জন প্রার্থী ভর্তির পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত হবে।
৫)যে সকল আবেদনকারী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হবে না, তাদের আবেদনের সময় প্রদত্ত ফ্রি থেকে ২০০ টাকা সার্ভিস চার্জ কেটে নিয়ে অবশিষ্ট টাকা ফেরত দেয়া হবে।
৬)GCE A লেভেল পাস করা প্রার্থীকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য কমপক্ষে ৫টি বিষয় গণিত, পদার্থ,রসায়ন, ও ইংরেজিতে কমপক্ষে বি গ্রেট এবং GCE O লেভেলের পরীক্ষায় গণিত, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়ন এই ৩ বিষয়ের প্রতিটিতে কমপক্ষে এ গ্রেট পেয়ে পাশ করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতি
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা মূলত দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। সর্বপ্রথম টোটাল ১৮ শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করতে পারবে। বাছাই পর্বের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রথম ৬০০০ শিক্ষার্থীকে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা
প্রাক নির্বাচনী পরীক্ষা মানবন্টন | |
বিষয় | প্রশ্ন সংখ্যা |
পদার্থবিজ্ঞান-৩৩ | ১৩ |
রসায়ন-৩৩ | ১৩ |
গণিত-৩৪ | ১৪ |
লিখিত পরীক্ষার মানবন্টন | ৪০০ |
গ্রুপ ক | |
প্রশ্ন সংখ্যা | মোট নম্বর |
পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ১৩ | ১৩ |
রসায়ন প্রশ্ন ১৩ | ১৩ |
গণিত প্রশ্ন ১৪ | ১৪ |
মোট | ৪০০ |
গ্রুপ খ | |
প্রশ্ন সংখ্যা | মোট নম্বর |
পদার্থবিজ্ঞান প্রশ্ন ১৩ | ১৩ |
রসায়ন প্রশ্ন ১৩ | ১৩ |
গণিত প্রশ্ন ১৪ | ১৪ |
মোট | ৪০০ |
মুক্ত হস্তে অংকন | |
প্রশ্ন সংখ্যা | মোট নম্বর |
প্রতিটি প্রশ্নের মান ৭০ | ৩ |
দৃষ্টিগত এবং স্থানের দৃশ্য শক্তি | |
প্রশ্ন সংখ্যা | মোট নম্বর |
প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০ | ৪ |
মোট | ২৫০ |
সময় | |
গ্রুপ ক | নির্ধারিত সময় (মিনিট) |
গ্রুপ খ | নির্ধারিত সময় (মিনিট) |
ক গ্রুপের জন্য নির্ধারিত সময় | ১২০ |
খ গ্রুপের জন্য নির্ধারিত সময় | ২১০ |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন তালিকা
বিভাগ | আসন সংখ্যা |
মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৮০ |
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল | ১২০ |
বৈদ্যুতিক এবং বৈদ্যুতিন ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৯৫ |
রাসায়নিক প্রকৌশল | ৬০ |
সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং | ১৯৫ |
নৌ আর্কিটেকচার এবং মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং | ৫৫ |
উপাদান এবং ধাতব প্রকৌশল | ৫০ |
জল সম্পদ প্রকৌশল | ৩০ |
শিল্প ও উৎপাদন প্রকৌশল | ৩০ |
বায়োমেডিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
আর্কিটেকচার | ৫৫ |
নগর ও আঞ্চলিক পরিকল্পনা | ৩০ |
মোট আসন সংখ্যা: ১২৭৫
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ও আসন সংখ্যা
নাম | আসন সংখ্যা |
আহসান উল্লাহ | ৩৬৪ |
তিতুমীর | ৪৩৯ |
কাজী নজরুল ইসলাম | ৩২১ |
সাবেকুন নাহার সনি | ৪৭৮ |
শের-এ-বাংলা | ৪২০ |
সোহরাওয়ার্দী | ৪৩৬ |
ড. এম. এ. রশীদ | ৪৬৮ |
শহীদ স্মৃতি | ২০৬ |
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব | নির্মাণাধীন |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদনের নিয়ম
১) প্রথমে আপনাকে বুয়েটের ওয়েবসাইটে www.buet.ac.bd
প্রবেশ করতে হবে।
২)ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর দেখতে পাবেন সমস্ত ইউনিটের ভর্তি প্রক্রিয়া কীভাবে সম্পন্ন করা যায় সে সম্পর্কে গাইডলাইন রয়েছে। এই গাইডলাইনগুলি খুব ভাল করে পড়ুন।
৩)যে কোনও ইউনিটে ভর্তির জন্য আবেদনের জন্য বুয়েটের এই ওয়েবসাইটের apply now বোতামটি ক্লিক করুন।
৪) apply now বোতামটি ক্লিক করার পরে, আবেদনকারীকে তার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর দিতে হবে।
৫) এরপরে আপনি যে বোর্ড থেকে পাশ করেছেন তার নাম পূরণ করুন এবং ক্লিক বোতামটি ক্লিক করুন।
৬) সবশেষে তথ্যগুলো খুব ভালভাবে যাচাই করুন।এবং কনফার্ম বোতামটি ক্লিক করুন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার ফি
মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ‘ক’ ও ‘খ’ গ্রুপের জন্য যথাক্রমে (৪০০+৬০০)=১০০০/ টাকা ও (৪০০+৮০০)=১২০০/ টাকা। প্রত্যেক আবেদনকারীকে প্রাথমিক আবেদনের সময় ৪০০/ টাকা ফি দিতে হবে। পরবর্তীতে যদি মুল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয় তাহলে সম্পূর্ণ ফি প্রদান করতে হবে।
ক-গ্রুপ- প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ এবং নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ আবেদন প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা ও মূল ভর্তি পরীক্ষা বাবদ মোট ১০০০ টাকা আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
খ-গ্রুপ – প্রকৌশল ও বিভাগসমূহ, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ ও স্থাপত্য বিভাগে মোট ১২০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশপত্র ডাউনলোড ও রেজাল্ট
প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে ও রেজাল্ট জানতে এই ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন,
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকা
উপাচার্যের নাম | কার্যকাল |
এম এ রশীদ | ১ জুন ১৯৬২ থেকে ১৬ মার্চ ১৯৭০ |
মোহাম্মদ আবু নাসের | ১৬ মার্চ ১৯৭০ থেকে ২৫ এপ্রিল ১৯৭৫ |
ওয়াহিদউদ্দিন আহমেদ | ২৫ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২৪ এপ্রিল ১৯৮৩ |
আব্দুল মতিন পাটোয়ারি | ২৪ এপ্রিল ১৯৮৩ থেকে ২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ |
মুশারফ হোসেন খান | ২৫ এপ্রিল ১৯৮৭ থেকে ২৪ এপ্রিল ১৯৯১ |
মুহাম্মদ শাহজাহান | ২৪ এপ্রিল ১৯৯১ থেকে ২৭ নভেম্বর ১৯৯৬ |
ইকবাল মাহমুদ | ২৭ নভেম্বর ১৯৯৬ থেকে ১৪ অক্টোবর ১৯৯৮ |
নূরউদ্দিন আহমেদ | ১৪ অক্টোবর ১৯৯৮ থেকে ৩০ আগস্ট ২০০২ |
মোহাম্মদ আলী মুর্তুজা | ৩০ আগস্ট ২০০২ থেকে ২৯ আগস্ট ২০০৬ |
এ এম এম সফিউল্লাহ | ৩০ আগস্ট ২০০৬ থেকে ২৯ আগস্ট ২০১০ |
এস এম নজরুল ইসলাম | ৩০ আগস্ট ২০১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ |
খালেদা একরাম | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ থেকে ২৪ মে ২০১৬ |
সাইফুল ইসলাম | ২২ জুন ২০১৬ থেকে ২৩ জুন ২০২০ |
সত্য প্রসাদ মজুমদার | ২৫ জুন ২০২০ – থেকে বর্তমান |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী ৪ তলা ভবনটি টি প্রায় ২০০০ বর্গফুট জায়গা জুড়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। লাইব্রেরীটিতে রয়েছে সকল ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা। লাইব্রেরীতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে একসাথে প্রায় ২০০ জন শিক্ষার্থী বসে পড়ালেখা করতে পারবে। এছাড়াও বুয়েট লাইব্রেরীতে রয়েছে রেফারেন্স ও জার্নালের বিশাল সংগ্রহ। পাশাপাশি রিপোগ্রাফিক বিভাগ নামে একটি বিভাগ আছে যাতে রেফারেন্স বই ফটোকপি করার ব্যবস্থা রয়েছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মিলনায়তন
বুয়েট ক্যাম্পাসে ১০৩৬ আসন বিশিষ্ট একটি কেন্দ্রীয় মিলনায়তন কমপ্লেক্স রয়েছে। এই মিলনায়তটিতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত সহ সকল আধুনিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এছাড়াও আছে ১৮৬ আসন বিশিষ্ট একটি সেমিনার কক্ষ ও শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যাফেটেরিয়া। পুরো কৌশল ভবনের দ্বিতীয় তলায় ২০০ আসন বিশিষ্ট আরও একটি সেমিনার কক্ষ আছে। শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদনের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনে রয়েছে ৩৫ ও ৩৬ মিলিমিটার ফিল্ম প্রজেক্টর।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্র
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে রয়েছে একটি আধুনিক চিকিৎসা কেন্দ্র। চিকিৎসা কেন্দ্রটিতে আছে রোগ নির্ণয়ের জন্য, আল্ট্রাসনোগ্রাম, এক্সরে মেশিন ই সিজি মেশিন সহ আধুনিক স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি প্যাথলজিকাল ল্যাব আছে।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যায়ামাগার
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শরীর চর্চা এবং ইনডোর গেমস খেলার সুবিধার্থে বাস্কেটবল কোর্ট সংবলিত একটি ব্যায়ামাগার আছে। শেরেবাংলা হলের দক্ষিণ পাশে ব্যায়ামাগারটি বিশাল জায়গা জুড়ে অবস্থিত।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন সমূহ
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকল ধরনের রাজনৈতিক সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সংগঠনের ধরণ | সংগঠনের নাম |
সাংস্কৃতিক | ওরেগ্যামি ক্লাব |
আলোকবর্তিকা-বুয়েট | |
বুয়েট ড্রামা সোসাইটি | |
বুয়েট সাহিত্য সংসদ | |
মূর্ছনা | |
বিজ্ঞান | বুয়েট নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব |
সত্যেন বোস বিজ্ঞান ক্লাব | |
বুয়েট রোবোটিক্স সোসাইটি | |
বুয়েট অটোমোবাইল ক্লাব | |
বুয়েট এনার্জি ক্লাব | |
অন্যান্য | বুয়েট ডিবেটিং ক্লাব |
বুয়েট ক্যারিয়ার ক্লাব | |
বুয়েট এন্টারপ্রিনিউরশিপ ডেভেলপমেন্ট ক্লাব |
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগের ঠিকানা
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)
পূর্ব ক্যাম্পাস
ঢাকা-1000, বাংলাদেশ
ফ্যাক্স: (880 2) 8613046
PABX : (880 2) 55167100, 55167228-57
পশ্চিম পলাশী ক্যাম্পাস
ইসিই বিল্ডিং, আজিমপুর রোড
ঢাকা-1205, বাংলাদেশ
সাহায্য ডেস্ক
মোবাইল: 01797329125
(PABX):+880-2-55167100, +880-2-55167228
সবশেষে
উচ্চ মাধ্যমিক শেষ হয়ে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাচ্ছেন তাদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে অত্যাধুনিক সুসজ্জিত একটি ক্যাম্পাস ও পড়ালেখার আদর্শ মনোরম পরিবেশ। আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ ও সকল ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি কিছুটা হলে উপকৃত হয়েছে। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
Also Read : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়