মিটারের আবেদন অনুসন্ধান
মিটারের আবেদনের পর সাধারণত এক মাসের মধ্যেই অনুমোদন পাওয়া যায়। কোন কারণে এর বেশি সময় লাগলে আপনি আপনার ‘মিটারের আবেদন অনুসন্ধান’ করে বর্তমান অবস্থা যাচাই করতে পারেন। কিভাবে ঘরে বসেই অনলাইনে ‘মিটারের আবেদন অনুসন্ধান’ করবেন , তা নিয়েই আমাদের আজকের লেখাটি।
মিটারের আবেদন অনুসন্ধান এর নিয়ম
মিটারের আবেদন অনুসন্ধান খুবই সহজ প্রক্রিয়া যা নিচে বর্ণনা করা হল:
মিটারের আবেদন অনুসন্ধান করতে কি কি লাগে?
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন অনুসন্ধান করতে আপনার নিম্নলিখিত তথ্যগুলো প্রয়োজন হবে:
- আবেদনের আইডি নম্বর ও
- পিন নম্বর
এই তথ্যগুলো আপনার আবেদন পত্রে পাওয়া যাবে ।
rebpbs.com ওয়েবসাইট থেকে | মিটারের আবেদন অনুসন্ধান
মিটারের আবেদন অনুসন্ধানের প্রক্রিয়া:
- পল্লী বিদ্যুতের ওয়েবসাইটে প্রবেশ।
- আইডি ও পিন নম্বর প্রদান।
- সাবমিট করা।
- সর্বশেষ অবস্থা যাচাই।
বিস্তারিত প্রক্রিয়া ধাপে ধাপে সচিত্র বর্ণনা করা হলো।
প্রথম ধাপ: ভিসিট ওয়েবসাইট
যে কোন ব্রাউজার (যেমন, গুগল ) থেকে এই http://www.rebpbs.com লিংকে প্রবেশ করতে হবে। তাহলে নিচের মতো বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়েবসাইট টি দেখতে পারবেন। এখন থেকে উপরের মেনুবারে যেতে হবে।
দ্বিতীয় ধাপ: তথ্য প্রদান
মেনুবারের (চিত্রের মত) ‘আবেদন’ বাটনে ক্লিক করলে অনেকগুলি অপশন পাওয়া যাবে। এখানে হতে ‘আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা যাচাই ‘ বাটনে ক্লিক করতে হবে।
উপরের চিত্রে দুটি ঘর দেখা যাচ্ছে, আপনার মিটারের সর্বশেষ অবস্থা জানতে এই তথ্য দুইটি প্রদান করতে হবে।
ট্রেকিং নম্বর: অনালাইনে আবেদনের সময় দেওয়া হয়।
পিন নম্বর: এটিও অনলাইনে আবেদনের শেষ ধাপে দেওয়া হয়।
তৃতীয় ধাপ: তথ্য সাবমিট
ট্রেকিং নম্বর ও পিন নম্বর দেব পর ‘সাবমিট করুন’ বাটনে ক্লিক করুন।
চতুর্থ ধাপ: আবেদন অনুসন্ধান যাচাই
আপনার আবেদনের ট্রেকিং ও পিন নম্বর ঠিক থাকলে নিচের মতো আবেদনের অগ্রগতির একটি টাইম লাইন দেখতে পারবেন। এখানে একটি মিটারের আবেদন করা থেকে অনুমোদন পর্যন্ত সমস্থ ধাপ দেওয়া হয়েছে।
ধাপ গুলো হল:
- আবেদন করা হয়েছে
- হাউজ ওয়ারিং সম্পন্ন
- মেম্বার সার্ভিস কর্তৃক প্রাথমিক অনুমোদন
- ওয়ারিং পরিদর্শক নিয়োগ সম্পন্ন
- ওয়ারিং পরিদর্শক কতৃক পরিদর্শন সম্পন্ন
- ডিমান্ড নোট ইস্যু ও এল এম এস প্রদান
- ডিমান্ড নোটের টাকা জমা হয়েছে
- মিটার আচার সরবরাহ (সিএমও ইস্যু) হয়েছে
- লাইনম্যান নিয়োগ করা হয়েছে
- সংযোগ প্রদান করা হয়েছে
উপরের উল্লেখিত ধাপগুলিতে সবুজ টিক বা লাল ক্রস চিহ্ন থাকবে। সবগুলি সবুজ হলে আপনার মিটারের আবেদন সম্পন্ন হয়েছে।
কোন কারণে কোন একটি ধাপের ক্রস থাকলে বুঝতে হবে সেই ধাপে কোন সমস্যা হয়েছে। এভাবেই আপনি আপনার মিটারের আবেদন অনুসন্ধান করতে পারবেন।
মিটারের আবেদন অনুমনের বিলম্বের কারন ও করনীয়
মিটার পেতে দেরি হওয়ার সম্ভাব্য কারণসমূহ:
- আবেদন সঠিকভাবে করা হয়নি।
- আবেদনের ফি পরিশোধ হয়নি।
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিড়ম্বনা।
- আবেদনে ভুল তথ্য রয়েছে।
মিটার পেতে দেরি হলে করণীয়:
- মিটার আবেদনের সর্বশেষ চেক করুন।
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে ভিজিট করুন।
ধারাবাহিক প্রশ্নবলি – FAQs | মিটারের আবেদন অনুসন্ধান
অনলাইনে এই সম্পর্কিত বহুল জিজ্ঞেসিত প্রশ্ন সমূহের উত্তর আমাদের পাঠকদের সুবিধার্থে দেওয়া হলো:
নতুন মিটারের আবেদন কোন লিংকে করবো?
উত্তরঃ নতুন মিটারের আবেদন করার জন্য নিচের লিঙ্কটিতে ক্লিক করুন:
https://rebpbs.com
এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করলে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নতুন সংযোগের জন্য আবেদন ফর্মটি পাবেন। আবেদন ফর্মটি পূরণ করার পর, আপনাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের স্ক্যান কপি আপলোড করতে হবে এবং আবেদন ফি প্রদান করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন ফি কত টাকা?
পল্লী বিদ্যুতের মিটার স্থান পরিবর্তন ফি নিম্নরূপ:
- নতুন সংযোগের আবেদন ফি:
- এলটি (এক ফেজ): ১০০ টাকা
- এলটি (তিন ফেজ): ৩০০ টাকা
- এমটি: ১০০০ টাকা
- এইচটি: ১০০০ টাকা
- ইএইচটি: ২০০০ টাকা
- অস্থায়ী সংযোগের আবেদন ফি:
- এলটি (এক ফেজ): ২৫০ টাকা
- এলটি (তিন ফেজ): ৫০০ টাকা
- এমটি: ১০০০ টাকা
উল্লেখ্য, এই ফিগুলি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ওয়েবসাইটেও পাওয়া যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে সাধারণত ১৫ থেকে ৩০ দিন সময় লাগে। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সময় নিতে পারে।
প্রশ্নঃ মিটারের আবেদন করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ মিটারের আবেদন করতে যা যা লাগে:
- আবেদনকারীর নাম ও সক্রিয় মোবাইল নম্বর।
- NID বা জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর ও স্থায়ী ঠিকানা এবং সংযোগ স্থলের ঠিকানা।
- সংযোগস্থলের জমির মালিকানা তথ্য, দাগ নং ও খতিয়ান নম্বর(প্রমাণ হিসেবে খারিজের/দলিলের স্ক্যান কপি সংযুক্ত করতে হবে)।
- আবেদন ফি।
পল্লী বিদ্যুৎ কি?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ হল বাংলাদেশের একটি সরকারি সংস্থা যা গ্রামীণ অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। পল্লী বিদ্যুৎ বোর্ড (বিআরইবি) নামে পরিচিত এই সংস্থাটি ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে এই কাজটি পরিচালনা করে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি কত টাকা?
উত্তরঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটারের আবেদন ফি ১১৫ টাকা। এই ফিটি আবেদনকারীকে ক্যাশ, ব্যাংক ড্রাফট বা রকেটের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্র কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তর: পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকে পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্র পাওয়া যায়। এছাড়াও, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করা যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্র কিভাবে পূরণ করব?
উত্তর: পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন:
- আবেদন পত্রের সমস্ত তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
- আবেদন পত্রের সাথে সমস্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করুন।
- আবেদনপত্র সঠিকভাবে স্বাক্ষর করুন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্র কোথায় জমা দিতে হয়?
উত্তর: পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্র আপনার এরিয়ার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিতে হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন পত্রের সর্বশেষ অবস্থা কিভাবে জানা যায়?
উত্তর: আপনার আবেদন পত্রের অবস্থান জানতে আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়াও, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন পত্রের অবস্থান চেক করা যায়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে কি কি যোগ্যতা লাগে?
উত্তর: পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে নিম্নলিখিত যোগ্যতা লাগে:
- আবেদনকারী বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছর বা তার বেশি হতে হবে।
- আবেদনকারীর একটি বৈধ ঠিকানা থাকতে হবে।
শেষ কথা | মিটারের আবেদন অনুসন্ধান
মিটারের আবেদন অনুসন্ধান বিস্তারিত প্রক্রিয়া সচিত্র ধাপে ধাপে আমাদের এই লেখায় আলোচনা করা হয়েছে। আসা করছি, উপরক্ত প্রক্রিয়া অনুসরন করে, আপনা মিটারের আবেদন অনুসন্ধান ঘরে বসেই করতে পারবেন। লেখাটি ভালো লাগলে ও এই ধোনের আরোও প্রয়োজনীয় টিপস ট্রিক্স পেতে আমাদের ওয়েবসাইটের নোটিফিকেশন অন করে দিন এবং লেখাটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
Read more : কিভাবে খতিয়ান পর্চা অনুসন্ধান করবেন !