Dreamy Media BD

ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম

ইন্টারনেটের শুরুর সময় থেকেই ব্লগিং শুরু হয়েছে, তবে ২০০৪ সালে ওয়ার্ডপ্রেস আসার পর থেকে জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে যায়।  বর্তমানে, ফেসবুক ইউটিউব সোসিয়াল মিডিয়ার যুগেও এর চাহিদা ও জনপ্রিয়তা একটুকুও কমে নি।  আজকের এই লেখায় আমরা জন্য ব্লগিং, ব্লগার, ও ব্লগ সম্পর্কে এবং আরো জন্য কিভাবে আপনি ব্লগিং করে অনলাইন ইনকাম করতে পারেন।

ব্লগ কি? 

ব্লগ হল একটি ওয়েবসাইট যাতে নিয়মিত আর্টিকেল/কন্টেন্ট/লেখা প্রকাশ করা হয়। ব্লগের সবচেয়ে সহজ উদাহরন হল, আপনি এই ওয়েবসাইটে লেখাটি পড়ছেন, এটি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট। লেখার ধরণ ও uddesher  ভিত্তিতে অনেক প্রকার ব্লগিং ওয়েবসাইট পাওয়া যায়, তাদের মধ্যেও অন্যতম হল: 

ব্লগের প্রকারভেদ 

ব্যক্তিগত ব্লগ: একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবন বা চিন্তাভাবনা সম্পর্কে লেখা ব্লগ। উদাহরণ: gatesnotes.com (বিষের বিখ্যাত উদ্যোক্তা ও মাইক্রোসফট এর প্রতিঠাতা বিল গেটস দ্বারা পরিচালিত একটি ব্যক্তিগত ব্লগ, এখানে তিনি নিয়মিত প্রযুক্তি, ব্যবসা, এবং সামাজিক বিষয়গুলি সম্পর্কে লিখেন)

 পেশাদার ব্লগ: একটি নির্দিষ্ট শিল্প বা ব্যবসায়ের উপর দৃষ্টিআরোপ  করে লেখা ব্লগ। উদাহরণ: entrepreneur.com (এটি ব্যবসায়ীদের জন্য একটি পেশাদার ব্লগ, যেখানে তারা ব্যবসা শুরু, বাড়ানো, এবং পরিচালনা করার বিভিন্ন টিপস এবং ট্রিকগুলি শেয়ার করে) 

 নিউজ ব্লগ: সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে লেখা ব্লগ, যদিও একে অনেকেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল নামেই বেশি চিনেন। উদাহরণ: ( cnn.com একটি সংবাদ সংস্থার ব্লগ যা বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে খবর প্রদান করে) 

 ফ্যাশন ব্লগ: ফ্যাশন এবং স্টাইল সম্পর্কে লেখা ব্লগ। উদাহরণ: fashionista.com 

প্রযুক্তি ব্লগ: প্রযুক্তি সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্পর্কে লেখা ব্লগ। উদাহরণ: engadget.com ,gizmodo.com , টেক টিউনস (প্রযুক্তি সম্পর্কে নিউজ এবং রিভিউ ব্লগ) (প্রযুক্তি সম্পর্কে নিউজ এবং রিভিউ ব্লগ) 

পোর্টফোলিও ব্লগ: একজন শিল্পী, লেখক, ডিজাইনার, বা অন্য কোনও সৃজনশীল ব্যক্তির জন্য তাদের কাজকে অনলাইনে প্রকাশ করার মাধ্যম হিসাবে এই জাতীয় ব্লগ লিখেন। এর সবচাইতে জনপ্রিয় ব্যাবহার করেন ফ্রিল্যান্সার ও প্রোগ্রামমাররা, তাদের কাজের পরিচয় ও দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য পোর্টফোলিও ব্লগ তৈরী করেন।  

শিক্ষা মূলক ব্লগ: টেন মিনিট স্কুল, শিখো, সুবিন.কম ইত্যাদি।  

প্রোগ্রামিং: মিডিয়াম, ডেভ নিউজ – প্রযুক্তি ও কম্পিউটার বিষয়ে মাইক্রোব্লগ।  

প্রশ্ন উত্তর: কোরা, স্ট্যাক ওভারফ্লো – প্রোগ্রামিং বিষয়ে জনপ্রিয় ব্লগ।   

এছাড়াও ট্রাভেল, ইতিহাস, জরিপ, বিজ্ঞান ও ইত্যাদি বিষয়ে ব্লগ পাওয়া যায় । 

ব্লগার কারা? 

 আমরা ইতিমধ্যে ব্লগ সম্পর্কে জেনেছি এবার জন্য ব্লগার সম্পর্কে।  ব্লগার হলেন সেই ব্যাক্তি যিনি  ব্লগে লিখেন। ব্লগার বেশিরভাগ সময় শুধুমাত্র নিজের কাজ, চিন্তা, লক্ষ ও বিভিন্ন সামাজিক উদ্দ্যেশ নিয়ে ব্লগ লিখে থাকেন।  

ব্লগিং কি? 

উপরের লেখা থেকে ব্লগ ও ব্লগার সমন্ধে আমরা ধারণা পেয়েছি , তাই ব্লগিং বুঝতে আমাদের বিশেষ বেগ পেতে হবে না।  ব্লগাররা তাদের নিজেদের বা অন্য কোন ব্লগে কোন উদ্ধেশ্য নিয়ে যে লেখা বা কন্টেন্ট প্রকাশ করেন, এই পুরো প্রক্রিয়াকে ব্লগিং বলে। 

বেশিরভাগ ব্লগারের ব্লগিং এর প্রধান উদ্ধেশ্য পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং বা নিজের অভিজ্ঞতা বা অর্জনকে ছড়িয়ে দেওয়া।  তবে, বর্তমানে অনলাইন আয়ের জন্য ব্লগিং অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কি কি উপায়ে ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করা যায়? 

আপনি ব্লগিং করে অনেক উপায়েই যায় করতে পারেন, এখানে জনপ্রিয় কিছু উপায় দেওয়া হলো: 

গুগল এডসেন্স: গুগল এডসেন্স হল একটি বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে আপনাকে অর্থ প্রদান করে। এটি ব্লগিং আয়ের সর্বাধিক জনপ্রিয় মাধ্যম।  

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল এমন একটি কৌশল যা আপনাকে অন্য কোম্পানির পণ্য বা পরিষেবা আপনার ব্লগে প্রচার করে অর্থ আয়ের সুযোগ করে দেয়।

সরাসরি বিক্রয়: আপনি আপনার ব্লগে আপনার নিজস্ব পণ্য বা সার্ভিস সরাসরি বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

 স্পনসরশিপ: আপনার ব্লগে যখন বেশি পরিমানে ট্রাফিক আসবে এবং পরিচিত হয়ে উঠবেন, তখন বড় কোম্পানি গুলি আপনার আর্টিকেলে স্পনসরশিপ করে আয়ের উপায় করে দিবে।

মেম্বারশিপ: আপনি আপনার পাঠকদের কাছে সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে আপনার ব্লগের  এক্সক্লুসিভ কন্টেন্ট বা সার্ভিসের অ্যাক্সেস প্রদান করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন।

ব্লগার ডট কম

ব্লগার ডট কম হল গুগল পরিচালিত একটি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। এটি ১৯৯৯ সালে পাইরা লাবস দ্বারা তৈরি হয়েছিল এবং ২০০৩সালে গুগল এটিকে কিনে নেয়। ব্লগার ডট কম ব্যবহার করে, যে কেউ বিনামূল্যের ব্লগ তৈরি করতে পারেন। ব্লগারের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী WordPress. 

এছাড়াও অন্যান্য জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট বা সিএমএস গুলিঃ  ওয়ার্ডপ্রেস, জোর্ডানাস, উইক্স, সিম্পলিবিল্ড, টোডোস, ও জুমলা সবচেয়ে জনপ্রিয় CMS।

ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকামের প্রক্রিয়া 

উপরের আলোচনা থেকে আমরা ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছি যে , ব্লগিং এ কন্টেন্ট ইজ কিং এর মাধ্যমেই আমাদের যায় হয়।  তাহলে আমরা কিভাবে যায় করতে পারি ব্লগন করে সেটা এখন বিস্তারিত দেখব। 

নিস নির্বাচন করা

নিস্ হলো কোন নির্দির্ষ্ট বিষয়, যেমন আপনি যদি ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে অনেকিছু জানেন ও লেখালেখি করতে পছন্দ করেন।  তাহলে, আপনি ডিজিটাল ডিভাইস নিস্ নিয়ে কাজ করতে পারেন।  

ডোমেইন নেম 

আপনি যদি ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে কাজ করতে চান, তাহলে ভালো হয় এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত কোন ডোমেইন নেইম কেনা।  এতে ভালো এসইও সুবিধা পাওয়া যায় ও ভিউয়ারাও সহজে মনে রাখতে পারে।  

হোস্টিং কেনা 

ডোমেইন নেইম কেনার পর আপনাকে আপনার প্রয়োজন, ট্রাফিক সোর্স ও কন্টেন্ট এর ধরণের উপর ভিত্তি করে একটি ভালো মানের হোস্টিং নিতে হবে। তবে আপনি যদি ব্লগারে ব্লগিং করতে চান তাহলে ডোমেইন হোস্টিং ছাড়াই শুরু করতে পারেন। হোস্টিং কেনার সময় একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, আপনি কোন প্লার্টফর্ম ব্যাবহার করবেন, আপনার মেইন সাইটটি যদি ওয়ার্ডপ্রেস এ বানাতে চান তাহলে হোস্টিং প্রোভাইডারদের কাছে শুনে নিবেন ওয়ার্ডপ্রেস সাপোর্ট করে কিনা।

আবার যদি লারাভেল, রিয়াক্ট , ডট নেট বা অন্য কোন উপায়ে ব্লগ বানান সেটাও নিশ্চিত হয়ে নিতে হবে।    

এই তিনটি জিনিস রেডি হলে এখন আপনাকে মেইন ব্লগ তৈরির কাজ শুরু করতে হবে। 

ব্লগ কিভাবে তৈরি করে

একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরির অনেকগুলি উপায় আছে যেমন আপনি কাস্টম কোডিং করে লারাভেল , ডিজ্যাংগো বা ডট নেট দিয়ে বা ওয়ার্ডপ্রেস অথবা অন্য কোন সিএমএস দিয়ে বানাতে পারেন। এখানে আমার ব্লগার ও ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ বানানো দেখবো।    

ব্লগার দিয়ে ফ্রি ব্লগ বানানো 

ব্লগার দিয়ে একটি ফ্রি ব্লগ তৈরি করা খুবই সহজ। নিম্নলিখিত পদ্ধতি অনুসরণ করুন:

  •     একটি Google অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
  •     ব্লগার ওয়েবসাইটে যান, লিংক (https://www.blogger.com/ )। 
  •     “Create a new blog” বোতামে ক্লিক করুন।
  •     আপনার ব্লগের জন্য একটি নাম এবং একটি সাব ডোমেইন নাম লিখুন।
  •     আপনার ব্লগের জন্য একটি থিম নির্বাচন করুন।
  •     “Create” বোতামে ক্লিক করুন।

আপনার ব্লগ তৈরি হয়ে গেলে, আপনি এটিতে পোস্ট শুরু করতে পারেন। একটি নতুন পোস্ট তৈরি করতে, “Create Post” বোতামে ক্লিক করুন।

ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে ব্লগ বানানো 

ওয়ার্ডপ্রেস এর দুইটি সার্ভিস আছে , https://wordpress.com/ থেকে ব্লগার এর মতো বিনামূল্যে ব্লগ বানানো যায়।  

আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ব্লগ বানাতে চান তাহলে আপনাকে নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।  

  • ডোমেইন হোস্টিং কিনে হোস্টিং এর সাথে ডোমেইন নেইম সার্ভার যুক্ত করতে হবে।  
  • হোস্টিং এর সি প্যানেল এ প্রবেশ করে, ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করতে হবে।  
  • ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট এর ড্যাশবোর্ড এ গিয়ে, পছন্দমতো পেইড বা ফ্রি থিম দিয়ে সাইটের ডিজাইন করতে হবে।  

তারপর নিয়মিত ব্লগ লিখতে হবে।  

এই প্রক্রিয়া আপনার কাছে কিছুটা জটিল মনে হলে, এক্সপার্ট এর সাহায্য নিতে পারেন।  

ব্লগ এসইও, মনিটাইজেশন এবং আয় 

ব্লগ এসইও করা 

আপনার ওয়েবসাইট রেডি হয়ে গেলে নিয়মিত ব্লগ লিখতে হবে, কিন্তু ওয়েবসাইটে আয়ের জন্য আপনার ভালো কন্টেন্ট যথেষ্ট নয়।  আপনাকে আপনার কন্টেন্ট যত বেশি সম্ভব মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে এর জন্য ওয়েবসাইট ও কন্টেন্ট এর এসইও করতে হবে। 

ওয়েবসাইট এ সাধারণত অফ পেজ ও অন পেজ  এসইও করতে হয়।  আর ওয়ার্ডপ্রেস এর পোস্ট র্যাংক করার জন্য অনেক ফ্রি প্লাগিন পাওয়া যায়। 

ব্লগ মনিটাইজেশন ও আয় 

সাপোর্টিং অ্যাডস হল ব্লগ মনিটাইজ করার সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়। আপনি Google AdSense বা অন্য কোনও বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। বিজ্ঞাপনগুলি আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে প্রাসঙ্গিক হবে এবং আপনার পাঠকদের কাছে প্রদর্শিত হবে। যখন কেউ আপনার ব্লগের বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে, তখন আপনি একটি কমিশন পাবেন।

গুগল AdSense সব সময় পাওয়া যায় না, এখানে কিছু এর বিকল্প দেওয়া হল:

  • Media.net
  • PropellerAds
  • AdThrive
  • Amazon Associates
  • ClickBank

মনিটাইজেশন হলে, আপনি কিছু কোড পাবেন এবং সেই কোডগুলি আপনার ব্লগে ওয়েবসাইটে ইন্সার্ট করতে হবে।  তাহলে যখন আপনার ভিজিটর আপনার পোস্ট পড়বে বিজ্ঞাপন দেখার বিনিময়ে আপনার একাউতে একটা হারে টাকা যোগ হবে।  

মোবাইলে ব্লগ তৈরি

মোবাইলে ব্লগ তৈরি করা বেশ সহজ। আপনি বিভিন্ন মোবাইল ব্লগিং অ্যাপ ব্যবহার করে আপনার ব্লগ তৈরি করতে পারেন।

মোবাইল ব্লগিং অ্যাপগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • WordPress – ওয়ার্ডপ্রেস একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট নির্মাতা যা আপনি মোবাইল থেকে ব্যবহার করতে পারেন।
  • Blogger – Blogger একটি বিনামূল্যের ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যা আপনি Google-এ তৈরি করতে পারেন।
  • Medium – Medium একটি জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম যা আপনি মোবাইল থেকে খুব সহজে ব্যবহার করতে পারেন।
  • Tumblr – Tumblr একটি ছোট পোস্টের জন্য জনপ্রিয় ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এটিও আপনি মোবাইল থেকে ব্যবহার করতে পারেন।

ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম | ধারাবাহিক প্রশ্ন-উত্তর  

‘ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম’ সম্পর্কে ইন্টারনেটে সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন গুলোর উত্তরঃ 

প্রশ্ন ১: ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম কিভাবে সম্ভব?

উত্তর: ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে  বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা সম্ভব। যেমন:

  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
  • স্পনসরশিপ।
  • ডিজিটাল পণ্য বিক্রিযেমন eBooks, courses, templates, ইত্যাদি বিক্রি ।
  • পেইড প্রিমিয়াম মেম্বারশিপ।

প্রশ্ন ২: ব্লগিং এর মাধ্যমে কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব?

উত্তর: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করে ব্লগের জনপ্রিয়তা, বিষয়বস্তু, এবং মার্কেটিং কৌশলের উপর। তবে, একজন সফল ব্লগার প্রতি মাসে ১০ হাজার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারেন।

প্রশ্ন ৩: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করার জন্য কী কী করতে হবে?

বা, ব্লগ থেকে কি ধরনের আয় হয়? 

উত্তর: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত কাজ গুলো করতে হবে:

  • একটি নিস বেচে  নিয়ে এবং সেই বিষয়ে একটি ব্লগ তৈরি করা।
  • নিয়মিত ভালো মানের লেখা প্রকাশ করা।
  • ব্লগকে সঠিকভাবে মার্কেটিং করা।
  • ব্লগের লেখাগুলো এসইও করা। 
  • গুগল অ্যাডসেন্স বা অন্য কোন সাইট থেকে মনিটাইজেশন নেওয়া। 

প্রশ্ন ৪: ব্লগিং এর জন্য কোন ধরনের ওয়েবসাইট হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর: ব্লগিং এর জন্য একটি ভালো মানের ওয়েবসাইট হোস্টিং ব্যবহার করা উচিত। যেমন: Bluehost, HostGator, GoDaddy, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৫: ব্লগিং এর জন্য কোন ধরনের থিম ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর: ব্লগিং এর জন্য হালকা ভালো মানের এসইও ফ্রেন্ডলি থিম ব্যবহার করা উচিত। যেমন: Astra, GeneratePress, Elementor, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৬: ব্লগিং এর জন্য কোন ধরনের কনটেন্ট তৈরি করা উচিত?

উত্তর: ব্লগিং এর জন্য বাজারে চাহিদা ও মানুষের আগ্রহ আছে এই জাতীয় কন্টেন্ট লেখা উচিৎ। যেমন: টিউটোরিয়াল, রিভিউ, পোস্ট, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৭: ব্লগিং এর জন্য কোন ধরনের কৌশল ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর: ব্লগিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের মার্কেটিং কৌশল ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: SEO, SEM, Social Media Marketing, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৮: ব্লগিং এর জন্য কোন ধরনের সিএমএস ব্যবহার করা উচিত?

উত্তর: ব্লগিং এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা যেতে পারে। যেমন: WordPress, Blogger, Joomla, ইত্যাদি।

প্রশ্ন ৯: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য কোন ধরনের জ্ঞান বা দক্ষতা প্রয়োজন?

উত্তর: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য নিম্নলিখিত জ্ঞান বা দক্ষতা প্রয়োজন:

  • লেখার দক্ষতা
  • বিষয়বস্তু তৈরির দক্ষতা
  • অনলাইন মার্কেটিং এর দক্ষতা
  • ইংরেজি ভাষার দক্ষতা (যদি আন্তর্জাতিক ভিউয়ারের জন্য লেখা হয়)
  • পিকচার এডিটিং 
  • SEO সম্বন্ধে ধারণা 

প্রশ্ন ১০: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য কোন ধরনের ঝুঁকি রয়েছে?

উত্তর: ব্লগিং এর মাধ্যমে ইনকাম করার জন্য নিম্নলিখিত ঝুঁকি রয়েছে:

  • সময় সাপেক্ষ 
  • কপিরাইট স্ট্রাইক
  • সফল হওয়ার কোন গ্যারান্টি নেই
  • ব্লগ হ্যাকিং বা ডাউন হওয়ার

Read more : জন্ম তারিখ দিয়ে জন্ম নিবন্ধন যাচাই

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents