Dreamy Media BD

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয়ত মাধ্যমগুলোর অন্যতম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী – চাকুরীজীবি ও ফ্রিল্যান্সাররা প্যাসিভ ইনকাম সোর্স হিসাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন।  বর্তমানে টিকটক, ইউটিউব , ফেসবুক , ইন্সট্রাগ্রাম রিলস বা শর্টস এর কল্যাণে লিংক প্রমোশন বা প্রমোকোড এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।  আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি , কিভাবে কোন কৌশলে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে যায় করতে পারবেন।  

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হলো এমন এক ধরনের কৌশল যেখানে একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা বিক্রি করে এবং বিক্রির জন্য কমিশন পায়। এই কমিশন সাধারণত বিক্রির পরিমাণের একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হারে হয়ে থাকে।

ধরি, আমরা অ্যামাজন  বা দাড়াজের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করব, তাহলে অ্যামাজনে এফিলেট একাউন্ট করলে তারা একটি লিঙ্ক বা কোড দিবে। এই লিঙ্ক বা কোড আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট, সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেল বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে প্রচার করতে হবে। যখন কেউ এই লিঙ্ক বা কোডটি ব্যবহার করে পণ্য বা পরিষেবা কিনবে, তখন আমাদেরকে একটি কমিশন দেওয়া হবে। এই নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা পোস্ট এর পরবর্তী অংশে করা হয়েছে। 

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো?

আপনি যদি চান যে আমি ঘুমের মধ্যে থাকলেও আপনার একাউন্টে টাকা জমা হবে , তাহলে আপনার উচিত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা। এছাড়া এফিলিয়েট মার্কেটিং যেসব  সুবিধা রয়েছে:

কম খরচে শুরু করা যায়

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোন খরচের প্রয়োজন হয় না বা হলেও খুবই সামান্য। আপনি আপনার নিজের ওয়েবসাইট বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট (ফেসবুক পেজ , YouTube /টিকটক/ইনস্টাগ্রাম/এক্স একাউন্ট) ব্যবহার করে শুরু করতে পারেন।

কোন নির্দিষ্ট স্কিলের প্রয়োজন নেই 

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোন নির্দিষ্ট দক্ষতা বা যোগ্যতার প্রয়োজন হয় না। আপনি যদি কোন পণ্য বা পরিষেবা সম্পর্কে বিশেষ আগ্রহী হন এবং তা অন্যদের কাছে প্রচার করতে চান, তবে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারেন। আপনার একটি দারি কাটার ত্রিমার ভালো লাগতে পারে, আপনি এটা ব্যাবহারের কোন ভিডিও বানিয়ে আপনার Facebook বা YouTube এ দিতে পারেন সাথে এফিলেট লিঙ্ক যুক্ত করে। এর জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না। 

বিশ্বব্যাপী সম্ভাবনা

এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আপনি যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো পণ্য বা পরিষেবা বিক্রি করতে পারেন।

অধিক আয় 

এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে অধিক আয় করা সম্ভব। আপনার মার্কেটিং কৌশল এবং প্রচেষ্টার উপর ভিত্তি করে মাসে হাজার হাজার বা লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারেন।

নিজের ব্যবসা

এফিলিয়েট মার্কেটাররা তাদের নিজস্ব সময় এবং কাজের সময়সূচী নির্ধারণ করতে পারে, তাই আপনি নিজেই আপনার বস।

তবে মনে রাখবেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ শুধুই টাকা আর টাকা ঠিক এমনটাও নয়, যে জিনিস যত সহজ সেখান থেকে যায় তুলনামূলক কঠিন। এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধা 

  • প্রতিযোগিতা : এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি সহজ জনপ্রিয় আয়ের পথ, তাই নতুনদের শুরুতে অনেক প্রতিযোগিতা করে প্রতিষ্ঠিত হতে হয়।
  • সময়সাপেক্ষ : এফিলিয়েট মার্কেটারদের তাদের পণ্য অনলাইন বেইজ একটা মার্কেট তৈরি করতে হয়। তাই নিজের প্লার্টফর্ম এ অডিও , টেক্সট বা ভিডিও কন্টেন্ট বানিয়ে তার এসইও করতে হয়। এইসব কাজে অনেক সময় দিতে হয়। 
  •  ভবিষ্যত নেই: অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্যাসিভ ইনকামের বা উপরি আয়ের জন্য ভালো , কিন্তু একটাকে ক্যারিয়ার হিসাবে নিলে ভবিষ্যতে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।  কেননা, এখানে আয়ের কোন নির্দিষ্ট হার নেই , কোন মাসে লেখা টাকা আবার কোন মাসে একটাকাও যায় না হতে পারে।  

এছাড়াও বিভিন্ন দেশের সরকার যখন তখন এইসব সামাজিক মাধ্যম বন্ধ করে দিতে পারে।  যেমন, ভারতে টিকটক নিষিদ্ধ হবার পর অনেক মার্কেটের বিপদে পড়েছিল।  এছাড়াও কোন কারণে আপনার ওয়েবসাইট হ্যাক, YouTube  একাউন্ট বন্ধ বা ফেসবুক পেজ নষ্ট হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনার আয় বন্ধ হয়ে যাবে।  তাই , অনলাইন জগতের অভিজ্ঞ এক্সপার্টরা অ্যাফিলিয়েট মাকেটিং কে উপরি আয় বা প্যাসিভ ইনকাম হিসাবে নিতে পারেন।  

অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার জন্য যা যা প্রয়োজন?

অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং করার জন্য একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, এটার মেইন ভিত্তি কিন্তু কন্টেন্ট।  হোক সেটা কোন পিকচার , অডিও পডকাস্ট, ভিডিও কনটেন্ট বা কোন লেখা।  তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার কন্টেন্ট লাগবে আর কন্টেন্ট তৈরির জন্য যেসব জিনিস লাগে: 

ইলেকট্রিক ডিভাইস 

ব্লগিং এর মাধ্যমে  এফিলেট মার্কেটিং 

আপনি জদি ব্লগ বা ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এফিলেট মার্কেটিং করতে চান – 

ল্যাপটপ/কম্পিউটার: পোস্ট লেখার জন্য, থাম্বনেইল ইমেজ ও অন্নান্ন পিকচার ইডিট ও পোস্ট পাবলিশ ,SEO, কি ওয়ার্ড রিসার্চ ইত্যাদি কাজের জন্য। 

যদিও মোবাইলের মাধমেও করা যায় কিছু কাজ, তবে ল্যাপটপ কম্পিউটার থাকা বেশি সুবিধাজনক।  

রিলস/শর্টস বা ভিডিও কনটেন্ট এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

আপনি যদি বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে শর্টস ভিডিও বা ফেসবুক/ YouTube এর জন্য লং ভিডিও বানিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান: 

ক্যামেরা: ভালো মানের ডিএসএলআর ক্যামেরা বা মোবাইল ক্যামেরা প্রয়োজন হবে। 

সাউন্ড রেকর্ডার: ভালো মানের সাউন্ড রেকর্ডিং সিস্টেম থাকতে হবে।  

ল্যাপটপ/কম্পিউটার: ভিডিও এডিটিং  ও পাবলিশ করতে।  

পাশাপাশি লাইটিং সিস্টেম ও ভালো মানের ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে।  

এফিলিয়েট মার্কেটিং নিস

এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ হল এমন বিষয় যা মানুষের কাছে জনপ্রিয় এবং বাজারে এর চাহিদা আছে। একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আপনার কাছে অনেক পরিষ্কার হবে। যেমন এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে তাই আপনি যদি বিভিন্ন দলের জার্সি বা ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে মার্কেটিং করেন তাহলে ভালো আয় করতে পারবেন।   

এখানে কিছু জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ দেওয়া হল:

  • প্রযুক্তি পণ্য: এটি একটি জনপ্রিয় নিশ যা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় ও লাভজনক। আপনি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, টেলিভিশন, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার সহ বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লেখা বা আন বক্সিং করতে পারেন। 
  • ফ্যাশন: ফ্যাশন একটি আরেকটি জনপ্রিয় নিশ যা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য প্রচুর ইনকামের সুযোগ দেয়। আপনি অ্যামাজন  থেকে পোশাক, জুতা, গয়না, এবং অন্যান্য ফ্যাশন আইটেমগুলো আপনার প্লাটফর্মে প্রচার করতে পারেন।
  • স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস: স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস একটি ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয় নিশ। আপনি স্বাস্থ্য খাবার, জিম সরঞ্জাম, এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য এবং ফিটনেস পণ্যগুলো প্রচার করে আয় করতে পারেন।
  • ভ্রমণ: ভ্রমণ বর্তমানে একটি ট্রেন্দিং নিস, এই নিসে প্রচুর বিদেশী ভিউয়ার পাওয়া যায়। আপনি হোটেল, ফ্লাইট, এবং অন্যান্য ভ্রমণ সংস্থানগুলিকে প্রচার করতে পারেন। পাশাপাশি অ্যামাজন , আলিবাবা থেকে ভ্রমন গেজেট লিংক নিয়ে আয় করতে পারেন। 
  • বাসস্থান বা রিয়েল স্টেট: এই নিস টি তেমন জনপ্রিয় নয় তবে অনেক লাভজনক। আপনি রিয়েল এস্টেট এজেন্ট, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার, এবং অন্যান্য বাসস্থান সংস্থানগুলিকে নিয়ে কাজ করতে পারেন। এই নিসে সেল কম তবে একটি পণ্য দিয়েই ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারেন । 

পাশাপাশি মেয়েদের প্রসাধনী, পেট সপ আইটেম, গলফ, খেলার সামগ্রি, রান্নার সামগ্রি, অরগানিক ফুড এই নিস গুলিও অনেক লাভজনক। 

কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ নির্বাচন করবো? 

 আমারা ইতিমধ্যে জেনে গেছি এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ নির্বাচন অনেক গুরুপ্তপূর্ণ কারণ একক মানুষের পক্ষে একাদিক নিস্ নিয়ে কাজ করা লাভজনক নয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ নির্বাচন করার জন্য যে জিনিসগুলি বিবেচনা করবেন:

আপনার আগ্রহ: আপনি যে পণ্য প্রচার করছেন তাতে আপনার আগ্রহ থাকলে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন। যেমন, আপনার যদি মোবাইল সম্পর্কে বা ইলেকট্রিক গেজেট কম্পিউটার, ল্যাপটপ নিয়ে ভালো ধারণা থাকে তাহলে প্রযুক্তি পণ্য নিস্ নিয়ে কাজ করতে পারেন।  

বাজারের আকার: বাংলাদেশের মানুষের কাছে গল্ফ তেমন পরিচিত নয়, তাই এখানে গল্ফ নিস্ এর চাহিদা কম কিন্তু ইউরোপ বা এমেরিকায় এর অনেক চাহিদা আছে।  তাই , আপনার বেশিরভাগ ভিউয়ার যে অঞ্চল থেকে আসে সেই মার্কেটের সাইজ অনুযায়ী নিস্ নির্বাচন করবে।

প্রতিযোগিতা: নতুন মার্কেটের হিসাবে যেসব নিস্ এ প্রতিযোগিতা বেশি এড়িয়ে চলা উচিত।  কেননা আগে থেকেই সেখানে প্রতিষ্ঠিত মার্কেটের থাকার কারণে আপনি আশানুরূপ ফল পাবেন না।  

 

আশা করি এইসব বিষয় বিবেচনা করে নিস্ নির্বাচন করলে আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।  

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং জগৎ অনেক বড় এখানে অনেকভাবেই সরাসরি বা পরোক্ষভাবে আয় করা যায়। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার এখানে সবচাইতে জনপ্রিয় কিছু উপায় দেওয়া হলো:

ব্লগিং করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইনকাম 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে আয় করার সবচেয়ে প্রাচীন ও এখন পর্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম।  এখানে, মার্কেটাররা তাদের ওয়েবসাইট বা ব্লগে কোন পণ্যের রিভিউ লিখে সেখানে রেফায়েল লিংক যুক্ত করে আয় করে থাকে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায়, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ ইনকাম  

টুইটার, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে লিংক প্রমোট, রিভিউ করে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করা যায়। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া তারকা মেইন ভিডিও এর মাঝে বা ডেসক্রিপশন এ লিংক দিয়ে আয় করেন।  

ইমেইল মার্কেটিং

কর্পোরেট সার্ভিস, অডিও বুক, অনলাইন কোর্স ইত্যাদির মার্কেটিং জন্য ইমেইল মার্কেটিং এ ভালো সারা পাওয়া যায়।  এক্ষেত্রে টার্গেট অডিয়েন্স এর মেইল সংগ্রহ করে, সার্ভিসের বিস্তারিত লিখে মেইলিং করা যায়।  অনেকক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের সাবক্রিপশন থেকেও মেইল সংগ্রহ করতে পারেন।  

প্রমো কোড 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটপ্লেস গুলি তাদের বিশেষ প্রোমোটারদের জন্য প্রমোকোড অফার করে।  এই কোড আপনি আপনার ভিডিও বা পোস্টার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে যায় করতে পারেন।  

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ কিভাবে একাউন্ট খুলব? 

অনলাইনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য অ্যামাজন  ও আলিবাবা অনেক জনপ্রিয়। এখানে ধাপে ধাপে আমরা দেখবো কিভাবে অ্যামাজন  অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট খোলা যায়: 

প্রথম ধাপ: অ্যামাজন  এসোসিয়েট প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়া

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

এই লিংক (https://affiliate-program.amazon.com/ ) থেকে অ্যামাজনের অ্যাফিলিয়েট এর জন্য এসোসিয়েট এর হোমপেজে যেতে হবে। তারপর “Sign Up” বাটনে ক্লিক করতে হবে।   

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

 তাহলে এই লগইন ফর্ম টি আসবে, আপনার নতুন একাউন্ট খুলতে ”Create your Amazon account”

এ ক্লিক করতে হবে, তাহলে নিচের মত একটা ফম পাবেন। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

এখানে আপনার ইমেইল দিয়ে পাসওয়ার্ড সেট করে “Create your Amazon account” এ ক্লিক করে একাউন্ট তৈরী করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য, আপনার মেইলে একটা OTP যাবে, সেটা এখানে দিতে হবে। 

দ্বিতীয় ধাপঃ ওয়েবসাইট এর তথ্য প্রদান 

একাউন্ট তৈরির প্রথম ধাপের পর এখানে আপনার নিজের বিষয়ে তথ্য, যে ওয়েবসাইট/ ব্লগ বা সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট থেকে মার্কেটিং করতে চান, আপনার ইত্যাদি তথ্য সেটা দিতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

তৃতীয় ধাপঃ ড্যাশবোর্ড পরিচিতি 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

উপরের, দ্বিতীয় ধাপের কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হলে উপরের ছবির মত আপনার অ্যামাজন ড্যাশবোর্ড পাবেন। এখান থেকে আপনার আয়ের যাবতীয় রিপোর্ট পাবেন।

চতুর্থ ধাপঃ লিংক সংগ্রহ ও মার্কেটিং  

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

 এই ধাপে আপনি এখন অ্যামাজন এর অ্যাফিলিয়েট করার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। এসোসিয়েট একাউন্টে লগইন থাকা অবস্থায় আপনাকে অ্যামাজন মূল ওয়েবসাইট এ যেতে হবে। তাপর আপনি যে পণ্যটির মার্কেটিং করতে চান সেটা ওপেন করতে হবে।  তাহলে উপরের চিত্রের মতো মেনুর উপরে লিংক সংগ্রহের একটা প্যানেল পাবেন।  এখানে , টেক্সট এ ক্লিক করে আপনি আপনার অ্যামাজন  অ্যাফিলিয়েট লিংকটি পেয়ে যাবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়

এই লিংকটি আপনি আপনার ওয়েবসাইট , ফেসবুক বা অন্য কোন সোসিয়াল মিডিয়াতে প্রমোট করতে পারেন।  আপনার লিংকে ক্লিক করে কেউ যদি সেই পণ্য কিনেন তাহলে আপনি একটা কমিশন পাবেন। 

এখন, আপনার নিস অনুসারে আপনার সেটা পণ্যটির অ্যাফিলিয়েট লিংক সংগ্রহ করে একে প্রমোট করে আয় করতে পারবেন।

এখানে, শুধুমাত্র অ্যামাজন এর দেখানো হলেও আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট সহ অনন্যা সাইট গুলিতেও প্রায় এই একই উপায়ে একাউন্ট করতে পারবেন। 

 অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে প্রতি মাসে?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতি মাসে কত টাকা ইনকাম করা যাবে তা নির্ভর করে অনেকগুলো বিষয়ের উপর, যেমন:

  • আপনি যে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস প্রমোট করছেন তার চাহিদা কতটুকু।
  • আপনার মার্কেটিং কৌশল কতটা কার্যকর।
  • আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক কতটুকু।

শুরুতে, একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার প্রতি মাসে ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারে। তবে, অভিজ্ঞ এফিলিয়েট মার্কেটাররা প্রতি মাসে ১০ হাজার ডলার বা তারও বেশি ইনকাম করতে পারে।

মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা সম্ভব। বর্তমানে, স্মার্টফোন দিয়ে যেকোনো ধরনের কাজ করা সম্ভব। মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে নিম্নলিখিত জিনিসগুলি করতে হবে:

কি কি উপায়ে মোবাইল দিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন?

  • ব্লগিং এর সাহায্য লিংক প্রচার করে। 
  • রিলস বা শর্ট ভিডিও বানিয়ে, এর সাহায্য লিংক প্রচার করে। 
  • YouTube বা ফেসবুক পেজে বড় ভিডিও বা ব্লগ ভিডিও বানিয়ে, এর সাহায্য লিংক প্রচার করে। 
  • ইমেইল মার্কেটিং করে ।  

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা কিভাবে উত্তোলন করা যায়?

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকামের টাকা উত্তোলন এটা বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করে।সবচাইতে জনপ্রিয় অ্যামাজনয়ে আপনার একাউন্টে ৫০ দলের জমা হলে পেপাল বা সরাসরি ব্যাঙ্ক একাউন্টে টাকা আনা যায়।  আবার আলিবাবার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ১০০ ডলার হতে হবে। আপনি যে মার্কেট প্লেসে কাজ করেন না কেন, সবগুলিতেই টাকা উত্তোলন প্রায় একই এবং খুব সহজ।   

এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলা সাইট 

অনেকেই হয়তো জানেন না আপনি বাংলাদেশের বাংলা অনেকগুলি সাইট থেকে অ্যাফিলিয়েট ইনকাম করতে পারেন।  এখানে সেরা ৫ টি বাংলা সাইট দেওয়া হলো যেখান থেকে আপনারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন: 

সহজ বাই এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং 

এটি বাংলাদেশের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সবচেয়ে সেরা সাইট । এখানে, নিজের পাশাপাশি যদি অন্য কোন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারকে রেফার করা হয়, তাহলে তার যায় থেকেও ১০ শতাংশ কমিশন পাওয়া যায়।  এটি জনপ্রিয় টিকেট বুকিং সাইট সহজ.কম এর একটি ইকমার্স প্রতিষ্ঠান।  

দাড়াজ এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

বাংলাদেশের সব চাইতে জনপ্রিয় এই ই কমার্স অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা যায়।  এখানেও আপনি এই লিংকে (https://blog.daraz.com.bd/affiliate-partner-darazbd/ ) গিয়ে একাউন্ট করে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। দাড়াজ  এ প্রায় সকল ধরনের পণ্য পাওয়া যায় তাই আপনার পছন্দের নিসের পণ্য পেয়ে যাবেন। দাড়াজ  পণ্যভেদে ৫ থেকে ১০ শতাংশ হারে কমিশন দিয়ে থাকে।    

সহজ সেল এ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

দেশের বৈচিত্রপূর্ণ ইকমার্স শপগুলির একটি সহজ সেল।  এখানে প্রায় সকল প্রকারের পণ্য পাওয়া যায়।  তাই আপনার পছন্দের নিস্ নিয়ে সহজে কাজ করতে পারবেন।  এখানে আপনার ইনকামের টাকা সরাসরি বিকাশে তুলতে পারবেন।  

স্বপ্ন বাড়ি তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

এই সিটি মূলত কাপড়ের জন্য বিখ্যাত হলেও এখানে বাচ্চাদের কালেকশন, মেয়েদের প্রসাধনী ও ভালো মানের বিদেশি পণ্যের সমারোহ আছে।  স্বপ্ন বাড়ি তে কমিশনের হার মোটামুটি ভালোই ১২ থেকে ১৫ সত্যাঙ্গ এবং মাত্র ৫০০ টাকা জমা হলেই টাকা উত্তোলন করা যায়।  

 

বিডিশপ তে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

দারাজের পর দেশের দ্বিতীয় জনপ্রিয় ইকমার্স শো হলো, বিডিশপ। এটার সুবিধা হলো ক্রেতা আপনার লিংক ভিসিট করে যদি একমাস এর মধ্যে যে কোন দিন পণ্য কিনে , তাহলে আপনি তার কমিশন পেয়ে যাবেন।  পণ্যভেদে বিডিশপ ৩ থেকে ৭ শতাংশ হারে কমিশন দিয়ে থাকে।  যারা ইলেকট্রিক ডিভাইস নিস্ নিয়ে কাজ করতে চান , তাদের জন্য বিডিশপ খুব ভালো প্লার্টফর্ম হবে।  

এছাড়াও, আরো কিছু জনপ্রিয় বাংলা অ্যাফিলিয়েট মাকেটিং সাইট 

ডিয়ানা হোস্ট: অনলাইন ডোমেইন ও হোস্টিং কেনাবেচার এই ওয়েবসাইট। 

REPTO অনলাইন এডুকেশন: এটি একটি অনলাইন কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইট। 

হোস্টিং বাংলাদেশ: দেশের অন্যতম হোস্টিং সার্ভিস প্রোভাইডার। 

বহুব্রীহি: এটিও একটি অনলাইন কোর্স বিক্রির ওয়েবসাইট। 

পপুলার হোস্ট: এটিও অনলাইন ডোমেইন ও হোস্টিং কেনাবেচার এই ওয়েবসাইট

 

আশা করি উপরের আলোচনা থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ও কিভাবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন সেই সমন্ধে স্পষ্ট ধারণা পেয়েছেন।  আপনার পছন্দের একটি নিস্ বেঁচে নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ এখন আপনি নেমে পড়তে প্রস্তুত। শুভকামনা।  

Also read:  ইন্ডিয়ান ভিসা চেক করার নিয়ম 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents