বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স সমূহ
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের একটি প্রমুখ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। এটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষার জন্য ওপেন ডিস্ট্যান্স লার্নিং এবং কনটিনিউয়িং এডুকেশনের সুযোগ প্রদান করে।এটি সংস্থান বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের (UGC) অধীনে অবস্থিত একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। অনেকেই এমন আছে যারা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করে আর্থিক সমস্যা কিংবা ব্যক্তিগত সমস্যার জন্য ওই সময়ে আর পড়ালেখা করতে পারেনি। কিন্তু এখন পড়ালেখা করতে চাচ্ছেন সেই ক্ষেত্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় আপনার জন্য একটি ভালো মাধ্যম হতে পারে। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স,মাস্টার্স ও ডিপ্লোমায় বিভিন্ন কোর্স রয়েছে।বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে নিম্নলিখিত কোর্স সমূহ অফার করে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচিতি
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৯২ সালের ২০ অক্টোবর প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতিসংঘ কর্তৃক প্রণীত নিরক্ষরতা দূরীকরণ আইনের আওতায় এই বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মূলত একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় তবে এখানে অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নিয়ম-কানুন নয়। এখানে পড়ালেখার কোন বয়স সীমা নেই।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কোন কোন বিষয়ে ডিগ্রী নেওয়া যায়
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মূলত তিন ধরনের ডিগ্রী প্রদান করা হয়।
১) ৩ বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অফ আর্টস(BA) এবং ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল সাইন্স ডিগ্রি।
২) ৪ বছর মেয়াদী অনার্স ডিগ্রী।
৩)৪ বছর মেয়াদী আইন বিভাগ।
বাংলাদেশে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কোর্সগুলি
অনুষদ | কোর্স | বিস্তারিত |
শিক্ষা মানবিক অনুষদ | ব্যাচেলর অফ এডুকেশন (B.Ed) | শিক্ষাগত মনোবিজ্ঞান, শিক্ষার সমাজবিজ্ঞান, পাঠ্যক্রম এবং নির্দেশনা, শিক্ষাগত পরিকল্পনা, ব্যবস্থাপনা, শিক্ষায় মূল্যায়ন ইত্যাদি। শিক্ষার মাস্টার (M.Ed) কোর্স: শিক্ষাগত গবেষণা, শিক্ষাগত প্রশাসন ও তত্ত্বাবধান, উচ্চ শিক্ষা, দূরশিক্ষা, বিশেষ শিক্ষা ইত্যাদি। ব্যাচেলর অফ আর্টস (বিএ) কোর্স: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদি। মাস্টার অব আর্টস (এমএ) কোর্স: ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, ইসলামিক স্টাডিজ, দর্শন, ইতিহাস ইত্যাদি। |
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ | ব্যাচেলর অফ সোশ্যাল সায়েন্স (বিএসএস) | অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, জনপ্রশাসন, নৃবিজ্ঞান, নারী ও জেন্ডার স্টাডিজ ইত্যাদি। সামাজিক বিজ্ঞানের মাস্টার্স (এমএসএস) কোর্স: অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, নৃবিজ্ঞান, নারী ও জেন্ডার স্টাডিজ ইত্যাদি। |
বিজনেসস্টাডিজ অনুষদ | ব্যাচেলর অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (বিবিএ) | অ্যাকাউন্টিং, ব্যবসায়িক যোগাযোগ, ব্যবসার গণিত, ব্যবসার পরিসংখ্যান, ব্যবসায়িক নীতিশাস্ত্র, বিপণন ব্যবস্থাপনা, আর্থিক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদির নীতি। মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) কোর্স: অর্গানাইজেশনাল বিহেভিয়ার, ফাইন্যান্সিয়াল অ্যান্ড ম্যানেজারিয়াল অ্যাকাউন্টিং, হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট, মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট, অপারেশনস ম্যানেজমেন্ট, ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। |
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদ | বিজ্ঞান ব্যাচেলর (B.Sc) | গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিদ্যা, পরিবেশ বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইত্যাদি। মাস্টার অফ সায়েন্স (M.Sc) কোর্সগুলি: গণিত, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পরিবেশ বিজ্ঞান, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ইত্যাদি। |
কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন অনুষদ | ব্যাচেলর অফ এগ্রিকালচার (BAg) | মৃত্তিকা বিজ্ঞান, উদ্ভিদ রোগবিদ্যা, উদ্যানবিদ্যা, কৃষি অর্থনীতি এবং সম্প্রসারণ, প্রাণী বিজ্ঞান এবং পুষ্টি ইত্যাদি। |
স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদ | ব্যাচেলর অফ সায়েন্স ইন নার্সিং (বিএসএন) | অ্যানাটমি এবং ফিজিওলজি, মেডিকেল সার্জিক্যাল নার্সিং, প্রসূতি ও গাইনোকোলজিক্যাল নার্সিং, চাইল্ড হেলথ নার্সিং, কমিউনিটি হেলথ নার্সিং, ইত্যাদি। মাস্টার অফ পাবলিক হেলথ (এমপিএইচ) কোর্স: এপিডেমিওলজি, বায়োস্ট্যাটিস্টিকস, হেলথ এডুকেশন, হেলথ প্রমোশন, এনভায়রনমেন্টাল হেলথ, হেলথ পলিসি অ্যান্ড প্ল্যানিং ইত্যাদি। |
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা কোর্স সমূহ
১) ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং: | ২) ডিপ্লোমা ইন ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং: | ৩) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা: |
অ্যালগরিদম এবং ডেটা স্ট্রাকচার | বৈদ্যুতিক সার্কিট তত্ত্ব | জরিপ |
অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং | এনালগ ইলেকট্রনিক্স | নির্মাণ সামগ্রী এবং অনুশীলন |
কম্পিউটার নেটওয়ার্ক | ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স | গাঠনিক পর্যবেকক্ষণ |
ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম | পাওয়ার ইলেকট্রনিক্স | কংক্রিট প্রযুক্তি |
অপারেটিং সিস্টেম | মাইক্রোকন্ট্রোলার ভিত্তিক সিস্টেম ডিজাইন | পরিবহন প্রকৌশল |
৪) আর্কিটেকচারে ডিপ্লোমা: | ৫) ব্যবসায় প্রশাসনে ডিপ্লোমা: | ৬) টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপ্লোমা: |
আর্কিটেকচারাল গ্রাফিক্স | ব্যাবস্থাপনার নীতি | টেক্সটাইল কাঁচামাল এবং সুতা উত্পাদন |
স্থাপত্যের ইতিহাস | পরিচালকদের জন্য অ্যাকাউন্টিং | ফ্যাব্রিক উত্পাদন প্রযুক্তি |
বিল্ডিং উপকরণ এবং নির্মাণ | মার্কেটিং ম্যানেজমেন্ট | ডাইং এবং প্রিন্টিং প্রযুক্তি |
স্থাপত্য নকশা | মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা | পোশাক উত্পাদন প্রযুক্তি |
ভূদৃশ্য স্থাপত্য | আর্থিক ব্যবস্থাপনা | টেক্সটাইল পরীক্ষা এবং মান নিয়ন্ত্রণ |
৭) ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট: | ৮) মৎস্য ব্যবস্থাপনায় ডিপ্লোমা: |
পর্যটন শিল্পের পরিচিতি | মিঠা পানি এবং সামুদ্রিক মৎস্য জীববিজ্ঞান |
ট্রাভেল এজেন্সি এবং ট্যুর অপারেশন ম্যানেজমেন্ট | অ্যাকুয়াকালচার এবং মাছ চাষ |
হোটেল অপারেশন ম্যানেজমেন্ট | মাছ প্রক্রিয়াকরণ এবং মান নিয়ন্ত্রণ |
খাদ্য ও পানীয় পরিষেবা ব্যবস্থাপনা | মাছের খাদ্য এবং পুষ্টি |
ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট | মাছের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা |
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি
ক্রমিক নং | কোর্স নাম | মোট ক্রেডিট |
১ | ইসলামিক স্টাডিজ | ৩০ |
২ | বাংলা ভাষ্য ও সাহিত্য | ৩০ |
৩ | ইতিহাস | ৩০ |
৪ | দর্শন | ৩০ |
৫ | সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান | ৩০ |
আরও তথ্য:
১) বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বছরে মোট ৪০টি কোর্স বা ১২০ ক্রেডিট সম্পন্ন করতে হবে, যেখানে প্রতিটি কোর্সের জন্য ৩ ক্রেডিট প্রদান হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ প্রতি শিক্ষাবর্ষে যাচ্ছে এবং সর্বাধিক ৮ (আট) বছর পর্যন্ত থাকে।
২) প্রতিটি শিক্ষাবর্ষ ৬ মাসের মেয়াদি ২টি সেমিস্টারে বিভক্ত হবে, যেখানে প্রতি সেমিস্টারে ৫টি কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তবে, শিক্ষার্থী প্রয়ােজনে প্রতি সেমিস্টারে ন্যূনতম ২টি কোর্স রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং প্রতি সেমিস্টার শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ন্যূনতম যোগ্যতা
ক্রমিক নং | শাখা | যোগ্যতা |
১ | মানবিক শাখা | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ২য় বিভাগ বা জিপিএ ২.৫ (৫ এর মানের ক্ষেত্রে) জিপিএ ২.০০ (৪ এর মানের ক্ষেত্রে) এবং সকল শাখার শিক্ষার্থীই আবেদন করতে পারবে। |
২ | সামাজিক বিজ্ঞান শাখা | মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের উভয় পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বরসহ দ্বিতীয় বিভাগ বা জিপিএ ২.৭৫ (৫ এর মানে) / জিপিএ ২.২ (৪ এর মানে) এবং এখানেও সকল শাখার শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবে। |
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
বিষয় | প্রশ্ন সংখ্যা |
বাংলা | ২৫ |
ইংরেজি | ২৫ |
সাধারণ জ্ঞান – বাংলাদেশ বিষয়াবলি | ২৫ |
আন্তর্জাতিক জ্ঞান | ২৫ |
প্রতিটি বিষয়ের আসন সংখ্যা ৬০ এবং প্রতি অংশে ৪০% নম্বর পেতে হবে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করার নিয়ম
১) সর্বপ্রথম https://osapsnew.bou.ac.bd/)
– এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে। এরপর আপনি যে ভর্তি হচ্ছে চাচ্ছেন কোর্স সেখানে প্রবেশ করন।
২) এবার প্রয়োজনীয় সকল তথ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নাম্বার ও বোর্ড ইত্যাদি প্রদান করুন। এবং ফোন নাম্বারের জায়গায় একটি সচল ফোন নাম্বার প্রদান করুন।
৩)সকল তথ্য পূরণ করা শেষে SMS এর মাধমে temporary user ID ও password দিবে।
৪)এরপর Payment Option-এ ৫০০/- (পাঁচশত পঞ্চাশ) টাকা ও চার্জ/কমিশন বিকাশ/DBBL/শিওরক্যাশ-এর মাধ্যমে প্রদান করতে হবে। ট্রানজেকশন আইডি ও মােবাইল নম্বর নির্দিষ্ট স্থানে পুরণ করে Submit বাটনে ক্লিক করলে একটি SMS ও e-Email এ payment successful মেসেজ আসবে এবং Online আবেদন সম্পন্ন হবে।
৫)আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর কেবলমাত্র নির্বাচিত শিক্ষার্থীরাই লিখিত পরীক্ষার জন্য যােগ্য বলে বিবেচিত হবেন এবং তাদের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে দেয়া হবে। এছাড়াও নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মোবাইলে SMS এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পদ্ধতি
১) শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই পরবর্তী নির্দেশ ও নিয়ম অনুযায়ী ভর্তি হতে পারবে ।
২) কোর্স ফি: প্রতি কোর্স ১০৫০ টাকা।
৩) রেজিস্ট্রেশন ফি : প্রতি সেমিস্টার ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ভর্তি তথ্য
ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় সিজিপি ২.৫০ উত্তীর্ণ হতে হবে তবেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে আবেদনকারীরা যেকোনো সালে মাধ্যমিক পাস করলেও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে। এখানে পরীক্ষার্থীদের পাশের সালের ও বয়সের কোন বাধা নেই।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স কোর্স ভর্তি তথ্য
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স কোর্সটি এক বছর মেয়াদী।
সাধারণত শিক্ষার্থীদের তিনটি পাবলিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হতে পারবেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সমমান,বিএসসি, বি এ/ বি এস এস/বিকম/ এ সকল পরীক্ষায় সর্বনিম্ন ৫০% মার্ক্স নিয়ে শিক্ষার্থীদের উত্তীর্ণ হতে হবে। সর্বনিম্ন সিজিপি ২.৫০ থাকলেই সেই শিক্ষার্থী মাস্টার্সে ভর্তির আবেদনের যোগ্য।
বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্সে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
বিষয় | প্রশ্ন সংখ্যা |
মানবন্টন | ১০০ |
বাংলা | ২৫ |
ইংরেজি | ২৫ |
বাংলাদেশ বিষয় সম্পর্কে | ২৫ |
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক | ২৫ |
পাশ নম্বর সর্বনিম্ন = ৪০ মার্ক এবং প্রতিটি বিষয়ে আলাদাভাবে ১০ মার্ক পেতে হবে।
সবশেষে
আমাদের সবারই উচিত যেকোনো বয়সেই পড়ালেখা করা । পড়ালেখা করার নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই।আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যারা অভাব অনটনের কারণে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেনি। কিন্তু এখন এসেছে পড়ালেখা করতে চাচ্ছে কিন্তু কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় সে সকল শিক্ষার্থীরাই উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখা করতে পারবে। এছাড়াও এমন অনেক চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ী অথবা গৃহিনী আছেন যাদের স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা করে বড় কিছু করবে। কিন্তু কোন কারনে তারা পড়ালেখা করতে পারেনি তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনি তারা চাইলে যে কোন বয়সে এসে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা করে তাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারে।
Also read: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়