কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য (food for constipation) এক ধরনের পেটের অসুখ। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে নিয়মিত মল হয়না। সাধারণত দুই বা তিনদিন পর মল হয়, পেট ফুলে থাকে এবং অনেক সময় পেটে যন্ত্রনা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রথম দিকে ডাক্তাররা আঁশযুক্ত খাবার খেতে দেন। যদি আঁশযুক্ত খাবার খাওয়ার পরেও মল না হয় তাহলে এই অবস্থাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস, রক্তপাত এবং এনালের সমস্যা দেখা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য চিরতরে দূর করার উপায়
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার কারন
কোষ্ঠকাঠিন্য বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে।
- অনেক সময় খাদ্যতালিকায় আশ জাতীয় খাবারের অভাব দেখা দিলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
- এছাড়াও যাদের মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরন হওয়ার ইতিহাস আছে, ডায়াবেটিস এর রুগী, গর্ভবতী নারীদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
- খাদ্যনালির সমস্যা হলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
- মানসিক চাপে থাকা
- পায়খানার বেগ আসার পরেও পায়খানা না করা
- ব্যয়াম না করা অথবা সারাদিন বসে শুয়ে থাকার বদ অভ্যাস
ঔষধের পার্শ প্রতিক্রিয়া
অনেক সময় ঔষধ খাওয়ার জন্যেও কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়। কিছু ঔষধ যেমন –
- ব্যথার জন্য ঔষধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
- আয়রন জাতীয় ট্যাবলেট খাওয়া।
- ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট খাওয়া।
- কেমোথেরাপি তে ব্যবহৃত ঔষধ খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
- ছয়টার বেশি ঔষধ একদিন খেলেও কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার লক্ষন
কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে কি না কিছু লক্ষন থেকে খুব সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন। যেমন:
- পায়খানা করার সময় ব্যথা অনুভূত হওয়া
- পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়া। অর্থাৎ পেট ফোলা লাগা।
- পায়খানা শক্ত হওয়া
- পায়খানার বেগ থাকার পরেও পায়খানা না হওয়া।
- পেটে অসহ্য ব্যথা অনুভূত হওয়া, বমি ভাব।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করনীয়
বেশি করে পানি পান
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে ডাক্তাররা রুগিকে বেশি করে বিশুদ্ধ পানি পান করতে বলেন। প্রতিদিন সাত থেকে আট গ্লাস পানি পান করা উচিৎ। পানি পায়খানাকে নরম করতে সাহায্য করে। যার ফলে সহজে মলদ্বার থেকে পানি বেরিয়ে আসতে পারে।
ফাইবার জাতীয় খাবার গ্রহন
আশ সমৃদ্ধ খাবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে৷ আশ জাতীয় খাবার পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শরীরের যে জায়গায় পরিপাক ক্রিয়ার কাজ হয় সেখানে ফাইবার জাতীয় খাবার স্পঞ্জের ভূমিকা পালন করে।
ফাইবার পানি শোষণ এবং ধারন করার মাধ্যমে পায়খানায় পানি ধরে রাখে। যার কারনে পায়খানা নরম হয় সহজে বেরিয়ে আসে। আর যখন খাবারে আশ বা ফাইবার জাতীয় খাবারের অভাব হয় তখন পায়খানা শক্ত ও হালকা হয়, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দেখা দিলে বেশি পরিমানে আশ জাতীয় খাবার খেতে হবে। আশ জাতীয় খাবার যেমন ফল, শাক সবজি, ডাল, বাদাম এই জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে। আশ জাতীয় খাবার পাচন প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়।
প্রতিদিন একই সময়ে পায়খানা করার অভ্যাস করুন
প্রতিদিন একই সময়ে পায়খানা করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়না। নিয়মিত একই সময়ে পায়খানা করার অভ্যাস থাকলে অন্ত্রের অভ্যাস হয়ে যায়।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়না।
হাই কমোড ব্যবহার না করা
হাই কমোড আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হলেও পশ্চিমা সংস্কৃতির সাথে তাল মিলিয়ে আমরা সবাই হাই কমোড ব্যবহার করি৷ কিন্তু হাই কমোডে শরীরের বিভিন্ন সমস্যার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই লো কমোডে নিয়মিত পায়খানা করার চেষ্টা করুন। আর যদি হাই কমোড ব্যবহার করতেই হয় তাহলে কমোডের সামনে একটু উচু টুল রেখে সেখানে পা রেখে বসুন। এতে মলত্যাগ বা পায়খানা সহজ হবে।
নিয়মিত ব্যায়াম করা
নিয়মিত ব্যায়াম করলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা দূর হয়। ব্যায়াম করলে শরীরের পেশিশক্তি হয় সেই সাথে শরীরের পাচন প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। শরীরের নাড়িভুড়ি সচল হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়াতে চাইলে প্রতিদিন অন্তত ত্রিশ মিনিট ব্যয়াম করার অভ্যাস করুন।
গবেষণায় দেখা গেছে, “যাদের বয়স ১৯ থেকে ৬৪ তাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই ঘন্টা মাঝারি ব্যয়াম করা উচিৎ।” প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে দ্রুত হাটতে পারেন অথবা সাইকেল চালাতে পারেন। যদি আর একটু ভারী ব্যয়াম করতে চান তাহলে দৌড়াতে পারেন, দড়ি লাফ দিতে পারেন, ফুটবল খেলতে পারেন অথবা সাতার কাটতে পারেন।
মোটকথা নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। শরীরকে সারাক্ষন বসে থেকে বা শুয়ে থেকে আরাম দেয়া যাবেনা। শরীরকে ব্যয়াম বা হাটার মাধ্যমে সচল রাখলে কোষ্ঠকাঠিন্য হবেনা।
অনেকেই আছে যারা হুট করে ব্যয়াম করা শুরু করে। এটা মোটেও উচিৎ নয়৷ ব্যয়াম করার অভ্যাস না থাকলে প্রথম দিন অল্প কয়েক মিনিট হালকা ব্যয়াম দিয়ে শুরু করুন, তারপর ধীরে ধীরে সময় এবং ব্যয়ামের ধরন পরিবর্তন করুন। এভাবে আপনি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা ব্যয়ামের মাধ্যমে দূর করতে পারেন।
পায়খানার বেগ চেপে রাখা পরিহার
অনেক মানুষের অব অভ্যাস আছে যারা পায়খানার বেগ চেপে রাখে। যদি কেউ জানতো পায়খানার বেগ চেপে রাখলে কি কি ক্ষতি হয় তাহলে কেউ পায়খানার বেগ চেপে রাখতনা৷ পায়খানার বেগ চেপে রাখার জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে। পায়খানার বেগ আসলে যখন কেউ আটকে রাখে তখন পায়খানা থেকে শরীর অতিরিক্ত পানি শোষণ করে নেয়৷ তখন পায়খানা পাতলা হয়ে যায় এবং শক্ত হয়। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়ে থাকে।
মানসিক চাপ
অনেকেই শুনলে অবাক হয় যে মানসিক চাপ কোষ্ঠকাঠিন্যের কারন। মানসিক চাপ হলে আমাদের শরীরের হরমোনের তারতম্য দেখা দেয়৷ শরীরের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রক্রিয়ার ছন্দ পতন হয়। যার ফলে পরিপাক তন্ত্রের কাজ ঠিক ভাবে সম্পন্ন হয়না। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য এড়ানোর জন্য মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা জরুরী। কোনো ধরনের মানসিক সমস্যা যেমন বিষন্নতা উদ্বিগ্নতা দেখা দিলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিতে হবে৷ মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার জন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসতে পারেন অথবা পছন্দের মানুষের সাথে সময় কাটাতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে ইসবগুলের ভুসি
ইসবগুলের ভুসি কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত দুই বেলা ইসবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠবদ্ধ সমস্যা দূর হবে।
টক দই খাওয়া
টক দই কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ে সাহায্য করে। টক দইয়ে প্রোবায়োটিক নামে একটি উপাদান থাকে যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়ক। প্রোবায়োটিক হচ্ছে একধরনের উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা খাদ্য হজম করতে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। তাই যারা নিয়মিত প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খান তাদের হজম শক্তি ভাল হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়না।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাচার উপায়
- প্রতিদিন পরিমান মত পানি পান করতে হবে
- প্রতিদিনের খাবারে আশ জাতীয় খাবার রাখতে হবে৷ যেমন ঢেকি ছাটা চাল,লাল আটা, গোটা শস্য, শাক সবজি এবং ফলমুল নিয়মিত খেতে হবে।
- যদি আপনি তেল চর্বি জাতীয় খাবার খান তাহলে সেগুলো পরিমিত পরিমানে খেতে হবে।
- নিয়মিত ইসবগুলের ভুসি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা হয়না।
- নিয়মিত ব্যয়াম করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবার যেভাবে যোগ করতে পারেন-
- যারা নিয়মিত ভাত খান তারা সাদা ভাত খাওয়ার পরিবর্তে লাল চাল বা আটা যুক্ত করতে পারেন।
- প্রতিবেলার খাবারে ডাল রাখলে ফাইবারের ঘাটতি পূরন হয়।
- চেষ্টা করতে হবে প্রতিদিন কমপক্ষে একটি হলেও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখার।
- যে ধরনের ফল এবং সবজি খোসা ছাড়াই খাওয়া যায় সেগুলো খোসা না ফেলে খাওয়ার চেষ্টা করুন। কারন খোসায় প্রচুর ফাইবার থাকে।
- আস্ত ফল বা সবজিতে বেশি পরিমানে ফাইবার থাকে তাই জুস বানিয়ে খাওয়ার চেয়ে আস্ত খেলে বেশি ফাইবার পাওয়া যায়।
কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যখন ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে
- ঘরোয়া ভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার চেষ্টা করার পরেও যখন কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবেনা
- সকল নিয়ম মানার পরেও যখন কোষ্ঠকাঠিন্য হয়ে থাকে।
- পায়খানার আগে বা পরে রক্ত বের হলে।
- পায়খানা করার সময় ব্যথা হলে।
- পেট ব্যথা বা জ্বর হলে
- হুট করে ওজন কমে যাওয়া বা শরীর শুকিয়ে যাওয়া
- রক্ত শূনতা দেখা দিলে।
দীর্ঘ দিন কোষ্ঠকাঠিন্য হলে যে সমস্যা হয়
কেউ যদি দীর্ঘ দিন ধরে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে তাহলে পায়খানা মলদ্বারে আটকে যেতে পারে। যাকে যাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ফেকাল ইম্প্যাকশন বলে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বিষয়ে শেষকথা
কোষ্ঠকাঠিন্য (Constipation) হলে শুধু পায়খানা করতে সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগ দেখা দিতে পারে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষন দেখা দেয়ার সাথে সাথে চিকিৎসা করতে হবে৷ সাথে সাথে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং জটিল হলে চিকিৎসক এর শরনাপন্ন হতে হবে। চিকিৎসকেরা বলে থাকেন যে, “রোগ প্রতিকার এর চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম।” তাই রোগে আক্রান্ত হওয়ার চেয়ে সাবধান থাকতে হবে যেন রোগ আক্রান্ত না হয়। আর যদি কোনো কারনে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তাহলে নিয়ম মেনে ওষুধ বা ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে দূর করার চেষ্টা করতে হবে।
কোষ্ঠকাঠিন্য বিষয়ে ধারাবাহিক প্রশ্ন – উত্তর | FAQ on Constipation
অনলাইনে কোষ্ঠকাঠিন্য বিষয়ে সর্বাধিক জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্নের উত্তরঃ
প্রশ্ন ১: কোষ্ঠকাঠিন্য কী?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্য হল যখন মল শক্ত এবং শুষ্ক হয়ে যায়, এবং মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অসুবিধা হয়।
প্রশ্ন ২: কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ কী?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের অনেকগুলি কারণ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- অস্বাভাবিক খাদ্যাভ্যাস: পর্যাপ্ত ফাইবার এবং তরল না খাওয়া কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
- অল্প শারীরিক কার্যকলাপ: শারীরিক কার্যকলাপ মনের গতিবিধি কে উন্নত করতে সাহায্য করে।
- কিছু ওষুধ: কিছু ওষুধ, যেমন অ্যান্টাসিড, বেদনানাশক এবং স্থিতিশীল ফাইব্রিনোজেন ইনজেকশন, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
- অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা: কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা, যেমন হাইপারথাইরয়েডিজম, ডায়াবেটিস এবং মস্তিষ্কের ক্ষতি, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ হতে পারে।
প্রশ্ন ৩: কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ কী?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
- কঠিন বা শুষ্ক মল
- মলত্যাগের সময় ব্যথা বা অসুবিধা
- মলত্যাগের জন্য কঠোর পরিশ্রম
- মলত্যাগের জন্য দীর্ঘ সময় ব্যয় করা
- মলত্যাগের পরেও মলত্যাগের অনুভূতি থাকা
- পেট ফাঁপা বা পূর্ণ হওয়া
প্রশ্ন ৪: কোষ্ঠকাঠিন্য কিভাবে প্রতিরোধ করবেন?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের জন্য, নিম্নলিখিত টিপস গুলো অনুসরণ করুন:
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন, বিশেষ করে জল।
- প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খান, যেমন ফল, শাকসবজি এবং গোটা শস্য।
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
- নিয়মিত মলত্যাগ করুন।
প্রশ্ন ৫: কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা কী?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা এর কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে।
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যথেষ্ট। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- ওষুধ: যদি লাইফস্টাইল পরিবর্তনগুলি কাজ না করে, তবে ওষুধগুলি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধ গুলোর মধ্যে রয়েছে মল নরমকারী, মল পরিষ্কারক এবং ল্যাক্সেটিভ।
প্রশ্ন ৬: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোন খাবারগুলো এড়ানো উচিত?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য এড়ানো উচিত এমন খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- প্রক্রিয়াজাত খাবার
- ফাস্ট ফুড
- লাল মাংস
- দুগ্ধজাত খাবার
- পর্যাপ্ত পরিমাণে ফাইবার না থাকা খাবার
প্রশ্ন ৭: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোন খাবার গুলো উপকারী?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য উপকারী এমন খাবার গুলোর মধ্যে রয়েছে:
- ফল: আপেল, বেদানা, কমলা, আঙ্গুর, কলা, স্ট্রবেরি ইত্যাদি।
- শাকসবজি: গাজর, পালং শাক, ব্রকলি, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি।
- গোটা শস্য: ওটমি
প্রশ্ন ৮: কোষ্ঠকাঠিন্য কতদিন থাকতে পারে?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্য কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে। যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে এটি একটি স্বাস্থ্য সমস্যার লক্ষণ হতে পারে।
প্রশ্ন ৯: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোন পরীক্ষা করা হয়?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোন নির্দিষ্ট পরীক্ষা করা হয় না। তবে, যদি কোষ্ঠকাঠিন্য দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্যান্য লক্ষণগুলির সাথে থাকে, তবে আপনার ডাক্তার অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যাগুলির জন্য পরীক্ষা করতে চাইতে পারেন।
প্রশ্ন ১০: কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কোন চিকিৎসা করা হয়?
উত্তর: কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা এর কারণ এবং তীব্রতার উপর নির্ভর করে।
- লাইফস্টাইল পরিবর্তন: বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসার জন্য লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা যথেষ্ট। এই পরিবর্তনগুলির মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে তরল পান করা, প্রচুর পরিমাণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা।
- ওষুধ: যদি লাইফস্টাইল পরিবর্তনগুলি কাজ না করে, তবে ওষুধগুলি কোষ্ঠকাঠিন্য উপশম করতে সাহায্য করতে পারে। এই ওষুধ গুলোর মধ্যে রয়েছে মল নরমকারী, মল পরিষ্কারক এবং ল্যাক্সেটিভ।
- অস্ত্রোপচার: খুব বিরল ক্ষেত্রে, কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
Also Read: জ্বর কমানোর ঘরোয়া উপায়