ড্রাগন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা!
ড্রাগন ফল হচ্ছে একপ্রকার ক্যাকটাস জাতীয় ফল। এই ফল পিটাইয়া নামেও পরিচিত। ড্রাগনের উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম হচ্ছে হায়লোসেরিয়াস আনডেটাস (Hylocereus undatus)। এই ফলের উৎপত্তি প্রথম হয়েছিল আমেরিকাতে। এরপরে ২০০৭ সালে ভিয়েতনাম, ফ্লোরিডা ও থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশে এনে চাষ করা হয়। ড্রাগনের গাছে কোনো পাতা থাকেনা এবং এই গাছ ১ দশমিক ৫ থেকে ২ দশমিক ৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ফলটি বিদেশী হলেও আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় এর পুষ্টিকর উপাদান এবং লাল টুকটুকে রং এর জন্য।
ড্রাগন ফলের প্রজাতি
ড্রাগন ফল দেখতে তিন রঙের হয়। একটির বাইরের অংশ লাল এবং ভিতরের অংশ সাদা হয়। বাংলাদেশে এই প্রজাতি বেশি দেখা যায়। আরেকটির বাইরের অংশ ভিতরের অংশ দুটোই লাল রঙের হয়। একে কোষ্টারিকা ড্রাগন বলা হয় এবং অন্য আরেকটি ড্রাগন এর বাইরের অংশ হলুদ রঙের হয় এবং ভিতরের অংশ সাদা রঙের হয়।
ড্রাগন ফলের পুষ্টি উপাদান
ড্রাগন ফলে রয়েছে বিপুল পুষ্টিকর উপাদানের সমাহার। যেমন; ভিটামিন, মিনারেল, খনিজ, এবং আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট। ড্রাগন ফলে ক্যালরী অনেক কম থাকে৷ এতে রয়েছে বিপুল পরিমান ডায়েটরি ফাইবার। একটি পরিপক্ব ড্রাগনে রয়েছে ১৩৬ গ্রাম ক্যালরী, ৭ গ্রাম ফাইবার, ৩ গ্রাম প্রোটিন, আয়রন ৭%, ম্যাগনেশিয়াম ৮%, এবং ভিটামিন ৪%।
জেনে নিন বহুল জনপ্রিয় রুপসী ড্রাগন ফলের উপকারিতা এবং অপকারীতা-
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
দেহের পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি পূরনের পাশাপাশি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডায়াবেটিস এমনকি ক্যান্সারও দূর করতে সক্ষম এই অতিথি ফল ড্রাগন। আমাদের দেশে ড্রাগনের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশে অনেক এলাকায় আবাদি জমিতে ড্রাগন চাষ করে সফল হচ্ছেন কৃষক। তাই এই ফল মোটামুটি ছোট বড় সব জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। সুস্বাদু এই ফল কেটে খাওয়ার পাশাপাশি সালাদ, মিল্কশেক করেও খাওয়া যায়। আরও বিস্তারিত ভাবে , ড্রাগন ফলের উপকারিতা সমুহঃ
১.অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ
ড্রাগনে রয়েছে প্রচুর আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট। ফ্ল্যাভোনয়েড,ফেনোলিক এসিড, এবং বিটাসয়ানিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই উপাদান গুলো থাকার ফলে কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অকালে বুড়িয়ে যাওয়া এবং ক্যান্সার থেকে রক্ষা করে।
২.ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়
ড্রাগন ফল ডায়াবেটিস রুগীর জন্য অনেক উপকারী একটি ফল। ড্রাগনে প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকায় রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রনে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যখন একজন ব্যক্তি নিয়মিত ড্রাগন ফল খাবে তার ডায়াবেটিস এর ঝুঁকি কমে যাবে। আর যারা ডায়াবেটিসে ভুগছে তারা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আসবে। তাই যারা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে আনতে চান তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন।
৩.ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
বর্তমানে সারা বিশ্বে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরন করছে। মহামারী এই ক্যান্সার দূর করতে ড্রাগন ফল ভুমিকা রাখে। ড্রাগনে রয়েছে ক্যান্সার বিরোধী উপাদান যা ক্যান্সার নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে। বিশেষ করে এই উপাদান গুলো কোলন ক্যান্সার রোধে বেশি কাজ করতে সক্ষম। যাদের বংশগত ক্যান্সারের ইতিহাস আছে বা ক্যান্সারের লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে ঝুঁকি হ্রাস পাবে। এছাড়াও এই ফলে রয়েছে ভিটামিন সি যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যার ফলে ড্রাগন ফল ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে।
৪.হজমে সাহায্য করে
যাদের খাবার সহজে হজম হয়না, পেটে সারাক্ষন অসুখ লেগেই থাকে ব্যথা হয় তাদের জন্য ড্রাগন অনেক উপকারী। যাদের খাবার হজম করতে সমস্যা হয় তারা যদি নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের খাবার হজম সমস্যা দূর হয়। যেহেতু ড্রাগনে ফাইবার রয়েছে তাই এটি পরিপাক তন্ত্র সুস্থ রাখে ফলে পরিপাক ক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হতে পারে। ড্রাগন ফল দেহের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়৷ আর ব্যাকটেরিয়া হজম শক্তি বাড়ায়। তাই যারা হজমের সমস্যায় বা পেটের অসুখে ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন। কারন ড্রাগন ফল আপনার হজম শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
৫.হার্টের সুস্থতায় ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফলে রয়েছে মনোস্যাচুয়েটেড নামক একটি উপাদান। মনোস্যাচুয়েটেড উপাদান হার্ট সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ড্রাগন ফলের রয়েছে বিস্ময়কর শক্তি যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল ধ্বংস করে এবং ভাল কোলেস্টেরল এর মাত্রা বৃদ্ধি করে হার্টকে সুস্থ রাখে। বর্তমানে দেশে হার্ট এর রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং হার্ট অ্যাটাকে মৃতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে সাহায্য করতে পারে ড্রাগন। ড্রাগন ফলের বীজে রয়েছে ওমেগা থ্রি ও ওমেগা নাইন নামক ফ্যাটি এসিড যা হার্টকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। যারা হার্ট এর অসুখে ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে হার্ট এর অসুখ কমে যেতে পারে। তাই যারা নিয়মিত ড্রাগন খাবেন তাদের হার্ট সুস্থ থাকবে।
৬. ড্রাগন ফল ওজন হ্রাসে সাহায্য করে
ওজন বাড়লে শরীরে ডায়াবেটিস, হার্ট এর অসুখ, হাই প্রেসার সহ নানান জটিলতা দেখা দেয়। তাই যাদের ওজন বাড়ে তারা দুশ্চিন্তায় পরে যায় কিভাবে ওজন কমানো যায়। যারা খুব সহজে ওজন কমাতে চান তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার মাধ্যমে ওজন কমাতে পারেন। ড্রাগন ফলে ফ্যাট খুব সামান্য থাকে বলা চলে একেবারেই নেই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখলে ক্ষুধা দূর হবে আবার শরীরে বাড়তি কোনো ক্যালরীও জমবেনা। তাই ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল যুক্ত করুন।
৭. ড্রাগন ফল হাড় মজবুত করে
ড্রাগন ফল হাড় শক্ত ও মজবুত করতে সাহাযত করে। শরীরের হাড় শক্ত ও মজবুত করতে ম্যাগনেশিয়াম গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। আর ড্রাগন ফলে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাগিনেশিয়াম যা অন্যান্য ফলে পাওয়া যায় না। যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের হাড় মজবুত হয়। যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পাবেন।
৮. ব্রনের সমস্যায় ড্রাগন
ড্রাগন ফলে ভিটামিন সি থাকায় টপিকাল মলম হিসেবে কাজ করে। মুখে ব্রনের অন্যতম কারন ভিটামিন সি এর অভাব। তাই ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ব্রন সমস্যা দূর হয়। ব্রন আক্রান্ত স্থানে ড্রাগন ফল পেষ্ট করে লাগালেও ব্রন দূর হয়।
৯. ড্রাগন রক্তশূন্যতা দূর করে
শরীরে রক্তের অভাব হলে শরীর ফ্যাকাশে এবং দূর্বল হয়ে যায়। শরীরের রক্তের ঘাটতি জনিত রোগকে রক্তশ্যনতা রোগ বলা হয়৷ চিকিৎসকদের মতে, ” ড্রাগন ফল রক্তশুন্যতা দূর করে।” ড্রাগন ফলে আছে আয়রন। রঙিন ফলমূলে আয়রন বেশি পাওয়া যায়। আয়রন থাকায় ড্রাগন ফল রক্তশুন্যতা রোগ দূর হয়। তাই যাদের শরীরে রক্তের ঘাটতি আছে, হিমোগ্লোবিন কম আছে, হিমোগ্লোবিন বাড়ছেনা তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খাওয়ার জন্য খাদ্যতালিকায় রাখুন। আপনার রক্তের পরিমান বাড়িয়ে রক্তশুন্যতা থেকে রক্ষা করবে ড্রাগন ফল।
১০. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে ড্রাগন ফল
যদি আপনি রক্তচাপ সমস্যায় ভুগে থাকেন তাহলে ড্রাগন ফল খেয়ে নিস্তার পেতে পারেন। কারন ড্রাগন রক্তচাপ সমস্যায় ভূমিকা পালন করে। ড্রাগন খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রন করে। ড্রাগন ফলে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে সাহায্য করে।
যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের শরীরে ড্রাগন ফলের পটাশিয়াম রক্ত নালীকে শিথিল করে রক্ত প্রবাহকে নিয়ন্ত্রন করে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। ড্রাগনে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীকে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া থেকে বিরত রাখে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে থাকে। একটি গবেষনায় দেখা গেছে, ” রক্তচাপে আক্রান্ত রুগীরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের সিষ্টোলিক রক্তচাপ ২.৫ মিমি পারদ হ্রাস পায় এবং ডায়াষ্টোলিক রক্তচাপ ২.১ মিমি পারদ হ্রাস পায়।” তাই রক্তচাপের সমস্যায় যারা ভুগছেন তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে উপকার পেতে পারেন।
১১. ড্রাগন ফল দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
ড্রাগন ফলে বিটা ক্যারোটিন নামক উপাদান যা দৃষ্টি শক্তি ভাল রাখতে সহায়তা করে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ভিটামিন এ। ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতে সহায়ক। ড্রাগন ফল ক্যারোটিন সমৃদ্ধ একটি ফল যা ভিটামিন এ তে পরিনত হয়ে চোখের ছানি ও ম্যাকুলার ডিজেনারেশন এর ঝুঁকি কমায়। গবেষনা থেকে প্রমানিত হয়েছে যে, ম্যাকুলার ডিজেশনে আক্রান্ত রোগীরা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে রুগীদের চোখের দৃষ্টি উন্নত হয়।
১২. ড্রাগন ফল মানসিক চাপ দূর করে
ড্রাগন ফলের আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট গুনাগুন শরীরকে অক্সিডেটিভ সহ মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করে। যাদের মানসিক চাপ অনেক থাকে তারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে চাপ কমে যেতে পারে৷ এছাড়াও যাদের দীর্ঘস্থায়ী কোনো রোগ আছে সেই রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে ড্রাগন ফল।
১৩.হাইড্রেশন সাহায্য করে ড্রাগন ফল
ড্রাগন ফলে প্রচুর পানি থাকে। তাই হাইড্রেশন সাহায্য করে এই ফল।
১৪.ড্রাগন ফল ইমিউন সিষ্টেম বাড়ায়
ড্রাগন ফলে অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে। যা খেলে শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি পায়। তাই যদি কেউ নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাহলে সেই ব্যক্তির শরীর রোগের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
১৫.বয়সের ছাপ দূর করে
ড্রাগন ফল নিয়মিত খেলে ত্বক সুস্থ ও সুন্দর হয়। ত্বক কে উজ্বল করে, ত্বকের কালো দাগ দূর হয়, ফলে অনেক আকর্ষণীয় লাগে দেখতে। তাই যারা নিয়মিত ড্রাগন ফল খায় তাদের বয়সের তুলনায় দেখতে ছোট লাগে। ড্রাগন ফলে আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান থাকার কারনে বয়স বৃদ্ধি হলেও ত্বক বুড়িয়ে যায় না।
১৬. চুল পড়া রোধ করে
যাদের চুল পরা সমস্যা রয়েছে তারা নিয়মিত ড়্রাগন ফল খেতে পারেন। ড্রাগন ফলে প্রচুর পরিমান আয়রন থাকে যার কারনে যাদের চুল পরা সমস্যা রয়েছে তাদের চুল পরা রোধ হয়৷ মুলত আয়রনের ঘাটতির জন্য চুল পরা সমস্যা হয়।
১৭. ড্রাগন ফল কিডনিকে সুস্থ রাখতে সহায়ক
কিডনিতে জটিলতা হওয়ার অন্যতম কারন পটাশিয়াম ঘাটতি। অর্থাৎ শরীরে যখন পটাশিয়াম এর ঘাটতি দেখা দেয় তখন কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। কিডনিকে সুস্থ রাখতে ড্রাগনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
কারন ড্রাগন ফলে রয়েছে পটাশিয়াম যার ফলে কিডনিকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। কিডনিতে পাথর হওয়া আরো একটি সমস্যা। নিয়মিত ড্রাগন ফল খেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। তাই আপনি যদি আপনার কিডনি সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত ড্রাগন ফল খান। আর যদি আপনি বা আপনার পরিচিত কেউ কিডনি জটিলতায় ভুগেন তাহলে খাদ্য তালিকায় ড্রাগন ফল রাখুন। এতে করে কিডনির সমস্যা রোধে ড্রাগন ভূমিকা রাখতে পারে।
ড্রাগনের অপকারিতা
ড্রাগন ফল যেমন অনেক উপকারী সেই সাথে এর রয়েছে কিছু ক্ষতিকর বা অপকারী বৈশিষ্ট্য। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ড্রাগন ফলের কিছু অপকারী দিক-
১. অ্যালার্জির সমস্যা
যাদের আ্যলার্জির সমস্যা রয়েছে ড্রাগন ফল খাওয়ার পরে আ্যলার্জি বেড়ে যেতে পারে। যার ফলে অতিরিক্ত চুলকানি হতে পারে, শরীর ফুলে যেতে পারে। তাই যাদের আ্যলার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের ড্রাগন না খাওয়াই ভাল।
২. ড্রাগন খেলে ডাইরিয়া হতে পারে
ড্রাগন ফল হজম শক্তি বাড়িয়ে দেয়। ড্রাগনে থাকা ফাইবার এর কারনে হজমে সমস্যা হতে পারে এবন সেখান থেকে ডাইরিয়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
৩. ড্রাগন ফলের উচ্চ দাম
বিদেশী ফল হওয়ায় এবং সবখানে চাষ না হওয়ার কারনে ড্রাগনেদ দাম অনেক বেশি। যার কারনে সাধারন মানুষ কিনে খেতে পারেনা।
৪. সীমিত প্রাপ্যতা
সব জায়গায় চাষ না হওয়ার কারনে অনেক সময় চাহিদা থাকার পরেও কিনতে পাওয়া যায়না। আর পাওয়া গেলেও তাজা ড্রাগন ফল তেমন পাওয়া যায়না।
৫. ওষুধের সাথে মিথষ্ক্রিয়া
যারা নিয়মিত ওষুধ খান তারা ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর কাছ থেকে পরামর্শ নিবেন। কারন ড্রাগন ফল অন্যান্য ওষুধের সাথে মিশে দেহের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
আমাদের শেষ কথা
ড্রাগন ফল পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি ফল। নানা রকম ভিটামন, আয়রন ক্যালসিয়াম থাকায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সক্ষম। প্রতিদিনের খাবারে ফল হিসেবে ড্রাগন যোগ করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এই টুকটুকে ফলটি দেখতে যেমন সুন্দর, এর বিস্ময়কর উপকারীতার জন্য যেমন সবাই বিস্মিত হয়। শুধু উপকার যেমন করে পাশাপাশি এই ফলের রয়েছে কিছু অপকারো । তাই আপনি যদি নিয়মিত ওষুধ খান ড্রাগন ফল খাওয়ার আগে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিৎ।
also Read: কি খেলে টিউমার ভালো হয়