জন্ম নিবন্ধন সংশোধন
জাতীয় পরিচয় পত্র হাতে পাওয়ার আগ পর্যন্ত যেকোনো ব্যক্তির কাছে জন্ম নিবন্ধনের কপি অবশ্যই থাকতে হবে। তবে এই জন্ম নিবন্ধন সংশোধন এর আবেদন করার সময় কিছু ভুল ত্রুটি থেকে যেতে পারে। তবে জন্ম নিবন্ধন এর কপি অবশ্যই সঠিক হতে হবে। কারণ এই জন্ম নিবন্ধনের উপর ভিত্তি করে পরবর্তীতে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করা হয়।
এছাড়াও বিদ্যালয়ের পরীক্ষাগুলোর সার্টিফিকেট জন্ম নিবন্ধনের উপর ভিত্তি করেই হয়ে থাকে। জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করার জন্য পূর্বে অনেক কাটখড় পোড়াতে হতো। কিন্তু বর্তমানে জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন অনলাইনের মাধ্যমেই খুব দ্রুত সম্পাদন করা যায়।
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধনের আবেদন করার তিন থেকে চার দিনের মধ্যে এটা ঠিক করা যায়। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জন্ম নিবন্ধনের ভুল সংশোধন করার উপায় এবং সহজ নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারব।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন
অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য প্রবেশ করুন এই লিংকে:
https://bdris.gov.bd/br/correction
তবে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার জন্য আপনাকে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন করা রয়েছে। অনলাইনে জন্ম নিবন্ধনের সনদ না থাকলে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করা যায় না।
তাই যদি সংশোধন করার প্রয়োজন হয় তাহলে প্রথমে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইনে করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সংশোধন আবেদন অনলাইনে করার জন্য কিছু সাধারণ নিয়ম রয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক:
ধাপ ১
আবেদন করার কাজ শুরু করার জন্য প্রবেশ করুন এই লিংকে:
https://bdris.gov.bd/br/correction
এই লিংকে প্রবেশ করার পর যেখানে জন্ম নিবন্ধন এর অপশন রয়েছে সেই অপশনে ক্লিক করুন। এখানে ক্লিক করার পর অপশন আসবে “জন্ম নিবন্ধনের তথ্য সংশোধন আবেদন” এই অপশনে ক্লিক করুন। জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত যাবতীয় যত কাজ আছে সব এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
ধাপ ২
লিংকে প্রবেশ করার পর আপনার সামনে দুইটি অপশন আসবে। দুইটি অপশন এর মধ্যে প্রথম অপশনে আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদের নাম্বার প্রবেশ করাতে হবে। নাম্বারটি অবশ্যই সঠিক হতে হবে। এবং এই নাম্বারকে আপনার ব্যক্তিগত পরিচিতি নাম্বার বলা হয়ে থাকে।
এবং দ্বিতীয় আপনার জন্ম তারিখ উল্লেখ করতে হবে। জন্ম তারিখ কি অবশ্যই সঠিক হতে হবে। চেষ্টা করবেন জন্ম নিবন্ধনে আপনার যে জন্ম তারিখ দেওয়া আছে সেই তারিখের সাথে যেন মিল থাকে। মিল না থাকলে সেটি গ্রহণযোগ্য হবে না।
সরাসরি টাইপ করে দেওয়া ছাড়াও জন্ম তারিখ অপশনে যে ক্যালেন্ডার থাকবে সেই ক্যালেন্ডার থেকেও আপনার জন্ম তারিখ, যে মাসে জন্ম এবং যে সালে জন্ম তা সিলেক্ট করতে পারবেন। তথ্য দেওয়া হয়ে গেলে “অনুসন্ধান” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৩:
এই তথ্যগুলো দেওয়া হয়ে গেলে আপনি ওই পেজে আপনার ব্যক্তিগত কিছু তথ্য দেখতে পারবেন।
এবার এই তথ্যগুলো ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন। এই তথ্যগুলো যদি আপনার দেওয়া তথ্যের সাথে পুরোপুরি মিলে যায় কিনা তা খেয়াল রাখুন। যদি তথ্যগুলো পুরোপুরি মিলে যায় এবং সঠিক থাকে তাহলে “নির্বাচন করুন” এই বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৪:
“নির্বাচন করুন” এই বাটনে ক্লিক করার পর আপনার সব তথ্য ঠিক আছে কিনা তা যাচাই করার জন্য একটি অপশন আসবে। অপশনটির নাম হল “আপনি কি নিশ্চিত”। আপনি যদি তথ্যগুলোর বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে থাকেন তাহলে “কনফার্ম” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ৫:
কনফার্ম করার পর আপনার সামনে একটি পেজ আসবে। এই পেজটিতে নিবন্ধন কার্যালয়ের ঠিকানা চাওয়া হবে। এবং সেই পেজে আপনি কোন দেশের নাগরিক এবং কোন বিভাগ থেকে জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে চাইছেন তার জানতে চাওয়া হবে। কনফার্ম বাটনে ক্লিক করার পর নিম্নের চিত্রের ন্যায় একটি পেজ আসবে।
পেজের চাহিদা মত আপনি নিবন্ধন কার্যালয় ঠিকানা সিলেক্ট করুন।
এবং আপনি যদি বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে থাকেন তাহলে বাংলাদেশ অপশনটি সিলেক্ট করুন। কোন বিভাগ থেকে আপনি জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাইছেন সেই বিভাগ সিলেক্ট করুন। আপনি যদি বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোন দেশের জন্ম নিবন্ধন ঠিক করতে চান তাহলে আপনাকে ওই দেশের দূতাবাসে আবেদন করতে হবে।
আপনি যখন আপনার দেশের অপশনটি থেকে “বাংলাদেশ” সিলেক্ট করবেন এখন পর্যায়ক্রমে আপনার বিভাগ, জেলা, সিটি কর্পোরেশন, ওয়ার্ড নাম্বার ইত্যাদি নির্ধারণ করতে হবে। তবে আপনি ব্যক্তিগতভাবে জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে চাইলে “অফিস” অপশনটিতে আপনার ক্লিক করার দরকার নেই।
আপনার বিভাগ জেলা ইত্যাদির ডকুমেন্ট গুলো ওয়েবসাইটে প্রবেশ করানো হলে “অফিস” অপশনটি নিজে থেকে পূরণ হয়ে যাবে। এবার “পরবর্তী” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ:৬
এর আগে আপনি যে কাজগুলো করেছেন সেগুলো মূলত প্রস্তুতি পর্ব। এ পর্যায়ে এসে আপনার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের মূল কাজ করতে হবে। এখানে যে তথ্যগুলো আসবে তা চাইলে পর্যায়ক্রমে একটি একটি করে বানান লেখা সম্ভব। আর আপনি যদি শুধুমাত্র একটি বিষয় সংশোধন করতে চান তাহলে উপরে থাকা “বিষয়” বাটনে ক্লিক করুন। পেজটি চিত্র সহকারে দেখানো হলো:
এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দের বিষয়টি সিলেক্ট করে সংশোধন করতে পারবেন। যেমন: নামের বানান আলাদাভাবে সংশোধন করতে পারবেন আবার জন্ম তারিখ আলাদাভাবে সংশোধন করতে পারবেন।
আপনি শুধুমাত্র যে বিষয়টি সংশোধন করতে চান সেই বিষয়টির ড্রপ ডাউন মেনু থেকে সিলেক্ট করুন। এখানে “চাহিদা সংশোধিত তথ্য” নামে একটি অপশন দেখতে পাবেন। এখানে আপনার যে তথ্যটি ভুল গিয়েছিল সেই তথ্যটি সঠিক করে প্রবেশ করুন। তারপর “সংশোধন করন”অপশনটিতে গিয়ে লিখুন” ভুল লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল “।
এবার আপনার সামনে যে পেজটি আসবে সেই পেজের সংশোধন করুন অপশনটিতে ক্লিক করবেন। এখানে যে বিষয়ক ভুল গিয়েছিল সেই বিষয়টা খুব মনোযোগ সহকারে সঠিক করে দিবেন খেয়াল করবেন এবার যেন কোন প্রকার ভুল না হয়।
ধাপ ৭:
তথ্য দেওয়ার পর “সংশোধন করন” ঘরটি চালু হয়ে যাবে। পরবর্তীতে যদি আপনার আরো কোন ভুল থেকে থাকে তাহলে “আরো জমা সংশোধন করুন” বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ:৮
সাধারণত এই ওয়েবসাইট থেকে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ মোট আটবার সঠিক করা যায়। তবে প্রথমবারই চেষ্টা করবেন যাতে জন্ম নিবন্ধন সঠিকভাবে করা যায়। আপনি যখন অপশনটিতে বিষয় সিলেক্ট করে ভুল থেকে সঠিক তথ্যটি বসাবেন তখন নিচে আরো তথ্য জমা করুন অপশনটিতে সবুজ আলো জ্বলে উঠবে।
আপনার যদি আরও কোন তথ্য যোগ করার প্রয়োজন হয়ে থাকে অথবা কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে এই অপশনটিতে ক্লিক করে সেটি সঠিক করতে পারবেন।
ধাপ ৯ :
জন্ম সনদে যেমন ভুল হয়ে থাকে তেমনি কিছু কিছু সময় আপনার অজান্তেও আপনার জন্মসনদে ভুল হতে পারে। অনেক সময় এমন হয় যে জন্ম সনদে তথ্য ঠিক আছে কিন্তু আপনার সামান্য ভুলের জন্য আপনি জন্ম সনদ ঠিক করতে চাইছেন।
আবার আপনি যদি কোন দোকানদারকে দিয়ে আপনার জন্ম নিবন্ধন করান তখন তার ভুলের কারণেও কিছু কিছু জায়গায় ভুল আসতে পারে। যদি এরকম হয়ে থাকে তাহলে “সংশোধন করন” এই অপশনের পাশেই “ডিলিট” অপশনটি থাকে। এই ডিলিট অপশনে ক্লিক করে অযাচিত অথবা ভুল তথ্য সরিয়ে ফেলতে পারেন।
আপনার তথ্যগুলো যদি ইতিমধ্যে সঠিক হয়ে থাকে তাহলে আপনার সামনে একটি পেজ আসবে। এই পেজে আপনার আরো নতুন কিছু তথ্য যুক্ত করা লাগবে। পরের ধাপে মোট চার ধরনের তথ্য সংযোজন করতে হবে।
এ পর্যায়ে আবেদনকারীর নাম, ঠিকানা, ইমেইল নাম্বার, ফোন নাম্বার , গ্রাম,পাড়া অথবা মহল্লার নাম বাংলা এবং ইংরেজিতে উল্লেখ করতে হবে। ব্যক্তির বাসার নাম্বার এবং সড়কের নাম ও নাম্বার যুক্ত করতে হবে। দেশ ও বিভাগের নামে যে ড্রপডাউন মেনুটি আসবে সেখান থেকেই এই তথ্যগুলো সিলেক্ট করে দিতে হবে।
এবারের কাজগুলো অবশ্যই সাবধানতার সহিত করতে হবে। এবং চেষ্টা করবেন আপনার জন্ম সনদে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে সেসব তথ্যের সাথে যেন এই অপশনে হুবহু মিল থাকে। মিল না থাকলে তথ্যগুলো গ্রহণযোগ্য হবে না।
ধাপ ১০ :
জন্ম তারিখ পূরণ করার পর ধাপে ধাপে আপনার বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানার অবসরগুলো পূরণ করুন।
ধাপ ১১ :
এই পর্যায়ে এসে আপনাকে আবেদনকারীর সম্পর্কের চার ধরনের তথ্য যুক্ত করতে হবে। এবং তথ্যগুলো অবশ্যই সঠিক হতে হবে। চলুন যেসব তথ্য দিতে হবে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক:
-
আবেদনকারীর নাম,
-
আবেদনকারীর ঠিকানা,
-
ফোন নাম্বার এবং ইমেইল এড্রেস,
-
জন্ম সনদের অধিকারীর সঙ্গে আবেদনকারীর যে সম্পর্ক তা উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনকারী যদি জন্ম সনদ কারীর পিতা অথবা মাতা না হয়ে অন্য কেউ হন তাহলে সেই ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য এখানে উল্লেখ করতে হবে। তাহলে আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হবে এখানে। এবং সেই আবেদনকারীর জন্ম সনদের নাম্বার এখানে যুক্ত করতে হবে।
ধাপ ১২ :
আপনি এতক্ষণ যে তথ্য এই ওয়েবসাইটে যোগ করেছেন এই ধাপে আপনার সেগুলো প্রমাণ পেশ করতে হবে। এবং এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ। এক্ষেত্রে আপনার কিছু কাগজপত্র দরকার হবে। আসুন এক নজরে সেগুলো দেখে নেওয়া যাক:
সংশ্লিষ্ট তথ্য |
প্রয়োজনীয় প্রমাণ |
পিতা মাতার যাবতীয় তথ্য |
পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন পত্রপিতা মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রপিতা মাতা যদি মৃত্যুবরণ করেন তাহলে মৃত্যু সনদপিতা-মাতার পাসপোর্ট এর কপি |
আপনার নামের বানান এবং জন্ম তারিখ |
তিনি নিবন্ধন করছেন এটা জাতীয় পরিচয় পত্রএসএসসি পরীক্ষার সার্টিফিকেটপাসপোর্ট সাইজের ছবিটিকা কার্ডযে হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেছেন সে হাসপাতালে ছাড়পত্র |
স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন |
এলাকার চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রদত্ত প্রত্যয়ন পত্রস্থায়ী ঠিকানার প্রমাণ স্বরূপ কর প্রদানের হালনাগাদ |
বর্তমান ঠিকানা পরিবর্তন |
বর্তমান ঠিকানার বিদ্যুৎ বিলের কপি |
জন্ম সনদ সংশোধন করতে চাইলে অনলাইনে জন্ম সনদের সংশোধন আবেদন করার আগেই উপরে উক্ত কাগজপত্র গুলো হাতের নাগালে রাখুন। এবং চেষ্টা করবেন এই সবগুলো গুরুত্বপূর্ণ কাগজের একটা করে স্ক্যান কপি নিজের কাছে রাখতে।
তবে স্ক্যান ফাইল এর আকার ৯৭৬ কিলোবাইট এর মধ্যে হতে হবে। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জন্ম সনদ সংশোধন করবেন সেই ওয়েবসাইট ৯৭৬ কিলোবাইট এর থেকে বড় ফাইল আপলোড করে না। আপনি নিজে স্ক্যান করেও ফাইলটি ক্রপ করে ছোট করে নিতে পারেন অথবা যে দোকান থেকে ফাইলটি করেছেন সে দোকান থেকেও ছোট বানিয়ে নিতে পারেন। উপরে উক্ত কাগজগুলো জমা দেওয়ার জন্য “সংযোজন” বাটনে ক্লিক করুন:
এই পেজ থেকে আপনি আপনার ছবির ধরন সিলেক্ট করে দিতে পারবেন। এবং আপনি যে ফাইলটি আপলোড করেছেন সেদিক কোন ধরনের ফাইল তাও দেখিয়ে দিতে পারবেআপনি কোন ধরনের ফাইল আপলোড করতে চান তা নির্ধারণ করে দেওয়ার পর ওই পেজেই পাশে থাকা “স্টার্ট ” বাটনে ক্লিক করলে আপনার ফাইলটি আপলোড হতে শুরু করবে।
আর কোন কারনে যদি আপনার ফাইলে ভুল তথ্য আপলোড হয় অথবা আপনি ক্যানসেল করতে চান তাহলে স্টার্ট বাটনের নিচে থাকা “ক্যানসেল” বাটনে ক্লিক করুন। আর যদি একাধিক ফাইল আপলোড করতে চান তাহলে পুনরায় সংযোজন বাটনে ক্লিক করে আপলোড করতে পারেন।
ধাপ ১৩:
সর্বশেষ ধাপে আপনি নিবন্ধনের ফি জমা দিবেন। নিবন্ধনের ফি জমা দেওয়ার জন্য আপনার সামনে দুটি অপশন আসবে। একটি হল ফি আদায় অন্যটি হলো চালান এর মাধ্যমে। আপনি যদি চালানের মাধ্যমে ফি পরিশোধ করতে চান তাহলে চিত্রে বর্ণিত “চালান” অপশনটিতে ক্লিক করবেন।
সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশের চালানোর যেসব ব্যাংকিং সেবা প্রচলিত রয়েছে তার মাধ্যমে আপনি এটা পরিশোধ করতে পারবেন। আপনি যে মাধ্যমে ফি প্রদান করতে চান সেই অপশনটি সিলেক্ট করে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন।
ধাপ ১৪:
সাবমিট বাটনে ক্লিক করার পর আপনার আবেদন করার কাজ মোটামুটি সম্পন্ন হবে। সাবমিট করার পর যে পেজটি আপনার সামনে আসবে সেই পেজে আপনার আবেদনের নাম্বার এবং কবে কার্যালয়ে গিয়ে সংশোধিত আবেদন পত্রটি আনবেন সেই তথ্য উল্লেখ করা থাকবে।
নিচে একটা অপশন আসবে, যার নাম “আবেদনপত্র প্রিন্ট”। এই অপশনে ক্লিক করে আপনার আবেদন পত্রটি প্রিন্ট দিয়ে নিতে পারবেন।সর্বশেষে আবেদন পত্রটি আপনার কাছে পিডিএফ ফাইলে জমা হয়ে থাকবে।
ধাপ ১৫:
আবেদন পত্রটি জমা দেওয়ার দুই থেকে তিন দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট অফিসে যোগাযোগ করুন। এক্ষেত্রে আপনার আবেদন ফরম অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যাবেন এবং যেসব স্ক্যান কপি করা কাগজ আবেদনপত্রে জমা দিয়েছেন সেই কাগজ গুলোও সঙ্গে নিতে ভুলবেন না।
কাগজপত্র গুলো জমা দেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আপনাকে যে উপদেশ দেবে তা মেনে চললে খুব তাড়াতাড়ি আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদটি হাতে পেয়ে যাবেন।
জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে
ইতোমধ্যে আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করার উপায় সমূহ সম্পর্কে জেনেছি। এখন আমরা জন্ম নিবন্ধন সংশোধন করতে কত টাকা লাগে সেটির ছক আকারে দেখাবো:
বিষয় |
ফিসের হার |
কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম বা মৃত্যু নিবন্ধন |
কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না। |
মৃত্যুর ৪৫ দিন সময় থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত |
২৫ টাকা |
মৃত্যুর ৫ বছর পর জন্ম বা মৃত্যু পত্রের নিবন্ধন |
৫০ টাকা |
জন্ম তারিখ সংশোধন |
১০০ টাকা |
পিতার নাম, মাতার নাম এবং ঠিকানা সংশোধন |
৫০ টাকা |
বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় জন্ম সনদের কপি সংগ্রহ |
কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না |
বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় জন্ম সনদের নকল কপি সংগ্রহ |
৫০ টাকা |