উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় আপনি কি যেতে চান ?
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় যেতে আপনাকে কতগুলো বিষয় মাথায় রাখতে হবে এবং সেগুলো মেনে আর সে প্রসেসে যেতে হবে। নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী মেনে যেতে হয়। সর্বপ্রথম আসে টাকার কথা। কত টাকা খরচ হতে পারে এমন বিষয়টা।
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় পড়াশোনার খরচ কেমন আসুন জেনে নেওয়া যাক।
- শুধু একাডেমিক খরচ পড়বে আপনার ১৫-২৮হাজার ডলার (কানাডিয়ান)
- তবে সিটিজেনদের ক্ষেত্রে একাডেমিক খরচ পড়বে ৪-৭.৫হাজার কানাডিয়ান ডলার মাত্র।
- তবে কানাডাতে ছোট ছোট আরো অনেক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলো ঘনবসতিপূর্ণ নয় বা শহর নয় এমন অঞ্চলে অবস্থিত।সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খরচ কিছুটা কম পড়বে। ৮-১৪ হাজার ডলারের এর মধ্যে হয়ে যাবে।
- তাছাড়া আপনি কোন ফ্যাকাল্টিতে পড়তে পড়তে চান সে ফ্যাকাল্টির গবেষণার খরচ কতটুকু এবং এর সাথে সংযুক্ত অন্যান্য বিষয়ের উপর খরচ কম বেশি নির্ভর করে।
- পড়াশোনার খরচ এবং টিউশন ফি আলাদা আলাদা
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় পড়াশোনার খরচ নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য সুখবর হলো
প্রতি বছরে কানাডা সরকারি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রচুর পরিমাণের স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। যা বিশ্বের অন্যান্য দেশ সহ বাংলাদেশর শিক্ষার্থীরা কাজে লাগায়। আর কানাডার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে প্রথমে সে নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের যাতে আপনি ভর্তি হবেন তার আন্তর্জাতিক অফিসের সাথে যোগাযোগ করে সঠিক তথ্য নিয়ে ভর্তি হতে হবে। উচ্চশিক্ষা বা স্নাতক করার জন্য মাধ্যম উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাশ করার পরে আবেদন করা যাবে।
আবার অপরদিকে যারা স্নাতক কমপ্লিট করে মাস্টার্স করার জন্য যায় তারা মূলত দুইটি বিষয়ের জন্য পড়াশোনার জন্য যায় একটি হচ্ছে গবেষণা ভিত্তিক আর অপরটি হচ্ছে কোর্সরিলেটেড । যে কোর্সভিত্তিক ক্ষেত্রের স্কলারশিপ এর তেমন সুবিধা পাওয়া না। তবে গবেষণা ভিত্তিক পড়াশোনার ক্ষেত্রে স্কলারশিপ এর সুবিধা রয়েছে অনেক। স্কলারশিপ পেতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য আরেকটি বিষয়ের কথা রাখতে কোন কলেজে বা কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করেছে এবং আপনার রেজাল্টের উপর নির্ভর করে। আবার বিভিন্ন গবেষণার(শিক্ষা বিষয়ক)সাথে সংযুক্ত থাকলো তার স্কলারশিপ ত্বরান্বিত হয়।
উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডায় গেলে পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার ও সুযোগ রয়েছে। সপ্তাহে ২০ ঘন্টার মত কাজ করতে পারে প্রায়। তবে মে থেকে আগস্ট মাস এই সময় কাজের ঘন্টার পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তাছাড়া কানাডায় পড়াশোনা পাশাপাশি কেউ চাইলে চাকরিও করতে পারে তবে এক্ষেত্রে তা নির্ভর করে তার দক্ষতা যোগ্যতা এবং সৃজনশীলতার উপর অনেক।
কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা
অনেকেই পড়াশোনার জন্য বিদেশে পাড়ি জমায়। বাহিরের দেশে পড়াশোনা করার জন্য যাওয়ার দেশ হিসেবে কানাডা অন্যতম দেশ। কারণ কানাডাতে রয়েছে বিশ্বের অন্যতম বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর কয়েকটি। কানাডায় পড়াশোনার খরচ
পড়াশোনা করার প্রশ্ন কানাডায় পড়তে যাওয়ার জন্য নূন্যতম যোগ্যতা নিচে দেওয়া হলো:-
- HSC পরীক্ষায় ভালো একটা মার্ক থাকতে হবে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার একটা নির্দিষ্ট যোগ্যতা প্রয়োজন। অর্থাৎ ভালো একটা ভালো মার্কের রেজাল্ট থাকতে হবে। এতে করে ভিসা পাওয়ার উচ্চশিক্ষার ভিসা পাওয়ার সহজ হয়ে যায়।
- শিক্ষার ভিসার জন্য অন্যতম একটি শর্ত হচ্ছে IELTS স্কোর । যার যত বেশি স্কোর থাকে এক্ষেত্রে সে তত বেশি গুরুত্ব পাবে ভিসা পাওয়ায়।
- IELTSস্কোর কমপক্ষে ৬ থাকতে হবে। এর কম হলে আবেদন করা যাবে না ভিসার জন্য। তবে এর থেকে বেশি অর্থাৎ ৭/৮হলে অনেক ভালো হয়।
- ইংরেজি ভাষায়ও ভালো দক্ষতা অর্জন করতে হবে।কেননা এই ভাষায়ই আমরা শিক্ষার্জন করবো এবং বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলব।
- যে ইংরেজিতে যত ভালো তার জন্য তত বেশি সহজ হয়ে যায় বিদেশে পড়াশোনার করা।
কানাডায় উচ্চশিক্ষার নিজেই করুন নিজের আবেদন
কানাডায় উচ্চ উচ্চশিক্ষা লাভে যাওয়ার জন্য আপনি নিজেই করতে পারবেন নিজের আবেদন তবে এর আগে অবশ্যই যে বিশ্ববিদ্যালয় আপনি ভর্তি হবেন সে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ সঠিক তথ্য জেনে নিবেন সে বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট থেকে। শুধু ওয়েবসাইটের উপর নির্ভর করলে হবে না বরং বিভিন্ন সোর্স থেকে তা নিশ্চিত হতে হবে। যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ কেমন আপনি যে বিষয়ে পড়তে চাচ্ছেন সে বিষয়ের সুযোগ সুবিধা কেমন কানাডায় পড়াশোনার খরচ হবে সেই বিশ্ববিদ্যালয় পড়লে ইত্যাদি বিষয়গুলি যেন নেওয়া আবশ্যক ও প্রয়োজনীয় জরুরী।
কানাডা উচ্চ শিক্ষার জন্য আবেদন কিভাবে করবেন তা নিচে দেওয়া হল:-
- আপনি নিজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন তার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে সে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ফরম পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফি জমা দিতে হবে এবং আবেদন ফরমটি পূরণ করতে হবে ওয়েবসাইটের। আবেদন ফরমটিতে চাওয়া তথ্যগুলো সঠিকভাবে এবং সুন্দর করে পূরণ করতে হবে।
- আবেদন ফি দেওয়া হলেই কেবল আপনার আবেদনের প্রসেস টির কাজ শুরু করবে।
- তবে আরেকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে,যে কানাডায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় সবগুলো একই সময় ভর্তি নিয়ে থাকে না বরং এক একটি এক সময় ভর্তি হয়ে থাকে সে সময় সময় সেই ক্ষেত্রে সময়ের দিকে বা কখন ভর্তি না সে দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।
স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যাওয়ার উপায়
স্টাডি ফরমেট যার অপর নাম স্টুডেন্ট ভিসা কানাডায় মূলত স্টুডেন্ট ভিসা নামে কিছু নেই বরং এ স্টাডি পারমিটকে স্টুডেন্ট ভিসা হিসেবে ধরা হয়। আর স্টাডি পারমিট বলা হয় এমন বিষয়কে যেমন ধরুন আপনিএকটি কোর্স করার জন্য কানাডে যাবেন সে কোর্সের মেয়াদ দুই বছর তিন বছর কিংবা চার বছরে মন সেই নির্দিষ্ট বছর থেকে হলো আপনার স্টাডি পারমিট এর সাথে ৯০ দিন বাড়তি যোগ করা হয়। যদি এমন হয় যে আপনি যে কোর্সটি করার জন্য যাবেন তার মেয়াদ ছয় মাসের কম তাহলে আপনাকে স্টাডি পারমিট বা স্টুডেন্ট ভিসার অনুমতি দেয়া হবে না। আরে স্টাডি পারমিট এর জন্য আপনি অনলাইনে বা ঢাকায় অবস্থিত কানাডার এমবিসিতে যোগাযোগ করতে পারেন। আবার অনলাইনে হলে CIC ওয়েবসাইটে করতে পারেন। স্টুডেন্ট ভিসায় কানাডা যেতে হলে আপনার যা যা থাকা আবশ্যক যে যে ডকুমেন্ট গুলো প্রয়োজন :
- কানাডায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার
- কানাডায় থাকা,খাওয়ার মত বা পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার মতো টাকার প্রমাণপত্র।
- আপনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন তার মেডিকেল প্রমানপত্র।
- আপনি কোন প্রকার অন্যায়ের সাথে যুক্ত নেই বা অনৈতিক কাজের সাথে যুক্ত নেই তার অঙ্গীকারনামা
- কানাডায় অবস্থিত ব্যাংকে আপনার একাউন্ট এবং এক বছরের বেতন বাতাস পরিশোধ করা প্রমাণপত্র অথবা যদি আপনি স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন তার প্রমাণ পত্র দেখাতে হবে।
সব ডকুমেন্ট একত্র করে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করতে আপনার প্রায় ১৫০ কানাডিয়ান ডলার লেগে যাবে। তবে আপনি যদি অফলাইনে বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন দ্বারা আবেদন করেন তাহলে টাকা একটু বেশি লাগবে অর্থাৎ ১৭-২৮হাজার প্রায় টাকা লেগে যেতে পারে।
উপসংহার
উচ্চশিক্ষার অর্জনের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী যায় বিশ্ববিদ্যালগুলোর ভর্তির সিজনে ।যাদের টাকা পয়সা আছে এবং পাশাপাশি মেধা এবং যোগ্যতা আছে তারা সহজে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারি। তবে আপনার ফেদা আছে যোগ্যতা আছে ইংলিশ এর ভালো দক্ষতা আছে আপনি শুধু টাকার জন্য যেতে পারবেন না কানাডায় তা এমনটা নয়। কানাডায় পড়াশোনার খরচ নিয়ে যারা চিন্তিত তাদের জন্য সুসংবাদ হলো
কানাডা বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বছরের বিভিন্ন সময় ভর্তির সময়ে বিভিন্নভাবে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে। যাদের আর্থিকভাবে সমস্যা তারা স্কলারশিপ নিয়েও পড়াশোনার জন্য কানাডা পাড়ি জমাতে পারে।
Also Read: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়