তেতুলের উপকারিতা ও অপকারিতা
তেতুলের নাম শুনলে মুখে পানি আসে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। জনপ্রিয় আচারের এই ফলটির আদিনিবাস আফ্রিকার সাভানা অঞ্চলে। তেতুল গাছ সাধারণত ৭০ থেকে ৮০ ফুট হয়ে থাকে, ইংরেজিতে একে বলে ট্যামারিন্ড, মারমা ভাষায় হাও মং, হিন্দিতে ইমলি এবং রাখাইন ভাষায় তাতু। আজকের এই লেখায় আমরা জানব জনপ্রিয় এই ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।
তেতুলের পুষ্টি উপাদান
তেতুল মূলত এসিডিক ফল তাই এর স্বাদ টক। তেতুলের পুষ্টি উপাদান:
- ১. ভিটামিন সি (৩১%)
- ২. আয়রন (৫৯%)
- ৩. ক্যালসিয়াম (১৭%)
- ৪. ভিটামিন বি৬ (১১%)
- ৫. পটাসিয়াম (৪%)
- ৬. ভিটামিন এ (৮%)
- ৭. ম্যাগনেসিয়াম (৫%)
- ৮. কার্বোহাইড্রেট (২২%)
- ৯. প্রোটিন (৬%)
- ১০. চর্বি (০%)
- ১১. ক্যালোরি (১৪%)
এই তালিকাটি প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলের উপর ভিত্তি করে তৈরি। তেঁতুলের প্রকৃত পুষ্টির মান ফলের ধরন এবং পরিপক্বতার উপর নির্ভর করে কম বেশি হতে পারে।
তেতুলের পুষ্টিগুণ
ভিটামিন সি: যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
আয়রন: যা রক্ত সঞ্চালন এবং শক্তির জন্য প্রয়োজনীয়।
ক্যালসিয়াম: যা হাড় এবং দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন বি৬: যা শক্তি উৎপাদন এবং নার্ভ স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয়।
পটাসিয়াম: যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
ভিটামিন এ: যা দৃষ্টিশক্তি, ত্বক এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ম্যাগনেসিয়াম: যা পেশী এবং স্নায়ু স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তেতুলের উপকারিতা
মানুষের কাছে অত্যান্ত জনপ্রিয় ফল তেতুলের অনেক উপকারিতা আছে , যা আমাদের সবারই জানা উচিত। তেতুলের উপকারিতা সমূহ:
তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
রক্তে চিনির মাত্রা ঠিক রেখে তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেঁতুলে অ্যালফা-আমাইলেজ নামে একটি এনজাইম থাকে যা শর্করার ভাঙনকে ধীর করে দেয়, যেটি আমাদের রক্তে সুগার বৃদ্ধির হার কমাতে সাহায্য করে।
যেভাবে তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে:
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: এটি ডায়াবেটিসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলিকে রক্ষা করে।
- ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে।
- তেঁতুলের অ্যালফা-আমাইলেজ রক্তে সুগার বা চিনির মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য কীভাবে খাওয়া যায়?
তেঁতুল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্নভাবে খাওয়া যেতে পারে। তেঁতুলের পাতা, ফল, জল এবং তেল সবই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
- তেঁতুলের পাতা: তেঁতুলের পাতা সালাদ, স্যুপ, স্ট্যু এবং অন্যান্য খাবারে যোগ করা যেতে পারে।
- তেঁতুলের ফল: তেঁতুল ফলকে টকজাতীয় খাবারে যোগ করা যেতে পারে, যেমন আচার, চাটনি এবং জ্যাম।
- তেঁতুলের পানি: এটি একটি স্বাস্থ্যকর পানীয় যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তেঁতুলের পানি তৈরি করতে, তেঁতুলের পাতা এবং ফলকে পানিতে ফুটিয়ে তেঁতুল নির্যাস তৈরি করুন, ঠান্ডা করে পান করুন।
- তেঁতুলের তেল: বাজারে খোঁজ করলে এটি পাওয়া যায় , দাম কিছুটা বেশি হলেও এটি অনেক উপকারী।
*মনে রাখবেন, ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। তেঁতুল খেলে রক্তের চিনির মাত্রা আরও কমে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
তেঁতুল হৃৎপিণ্ড ভালো রাখে
তেঁতুল আমাদের হৃৎপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী। তেঁতুলে ফ্ল্যাভোনয়েড, পটাশিয়াম এবং অন্যান্য উপাদান রয়েছে যা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
তেঁতুলের হৃদপিণ্ডের উপকারিতা নিম্নরূপ:
ফ্ল্যাভরনয়েড: তেঁতুলে ফ্ল্যাভরনয়েড রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এটি শরীরের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল (HDL) এর মাত্রা বাড়াতে এবং উপকারী কোলেস্টেরল (LDL) এর মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
ট্রাইগ্লিসারাইড: তেঁতুল রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। ট্রাইগ্লিসারাইড হল এক ধরনের ফ্যাট যা রক্তে জমা হতে পারে এবং হৃদরোগ এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ।
পটাসিয়াম: এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ।
তেঁতুল লিভার ভালো রাখে
তেঁতুল আমাদের লিভার সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রাচীন কাল থেকেই খাবারের শেষে তেতুলের টক খাবার রীতি প্রচলিত আছে। তেঁতুলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যা লিভারের কোষ রক্ষাকারী উপাদান।
অ্যালকোহল বা খাবারের ফর্মালিনের ইত্যাদি বিষাক্ত পদার্থ খাবারের মাধ্যমে পেতে যায়, যা লিভারের কোষগুলিকে ক্ষতি করে। তেঁতুলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লিভারের কোষকে এইসব ক্ষতিকর উপাদান রক্ষা করতে সাহায্য করে।
অন্যদিকে, তেঁতুলের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল ড্রাই আই ( শুকনো চোখ) সমস্যার জন্য উপকারী
যারা ইলেকট্রিক ডিভাইস যেমন মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপ নিয়ে বেশিক্ষন ধরে কাজ করেন, তাদের প্রধান সমস্যা হলো ড্রাই আই বা শুকনো চোখ। দীর্ঘদিন এই সোমবার কারণে স্থায়ী অন্ধত্ব ডেকে আনতে পারে। তেঁতুল শুকনো চোখের জন্য অত্যান্ত উপকারী।
তেঁতুলের শুকনো চোখের জন্য উপকারিতা:
চোখের জলের নিঃসরণ বাড়ায়: তেঁতুলের বীজের নির্যাস চোখের জলের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। এটি শুকনো চোখের সমস্যাগুলি উপশম করতে পারে, যেমন চোখের জ্বালা, লালভাব এবং চুলকানি।
চোখের জলের বাষ্পীভবন কমায়: তেঁতুলের বীজের নির্যাস চোখের জলের বাষ্পীভবন কমাতে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদান করে: এটি চোখের কোষগুলিকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং বয়সের সাথে সাথে ছানি পড়ার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
তেঁতুল হজম শক্তি বাড়ায়
তেঁতুল আমাদের শরীরে হজম শক্তি বাড়তে সাহায্য করে। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা খাবারের সাথে মিশে একটি জেল তৈরি করে। এটি খাদ্যকে হজম করতে সহায়তা করে। আবার, তেঁতুলে থাকা অ্যাসিডও হজম প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। অ্যাসিড খাদ্যকে ছোট ছোট টুকরোতে ভেঙে ফেলে, যা হজমের জন্য সহজ।তেঁতুলের অ্যাসিড পেটের অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
তেতুল ক্যান্সার নিরাময়ক
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করতে সাহায্য করে। তেঁতুলের ইমিউনো মডুলেটর প্রভাব রয়েছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা (ইমিউনিটি সিস্টেম) কে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এটিও ক্যান্সার কোষের বৃদ্ধি এবং বিস্তার রোধ করে। এতে আরও রয়েছে প্রদাহরোধী উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার কোষের বিস্তার নিয়ন্ত্রণ করে।
গবেষণায় দেখা গেছে যে তেঁতুলের নির্যাস বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। যেমন: স্তন ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার, কোলন ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার, লিম্ফোমা ক্যান্সার।
তেতুলের অন্যান্য উপকারিতা সমূহ
- তেঁতুলের শরবতঃ পেটের বায়ু, হাত পা জ্বলায় বেশ উপকারি।
- ম্যালেরিয়া নাশকঃ তেঁতুলের পাতা ম্যালেরিয়া জ্বর সারাতে সাহায্য করে।
- লালা উৎপাদকঃ তেঁতুল মুখের লালা তৈরি করতে সাহায্যে করে, যা খাদ্য হজমে সাহায্য করে।
- রক্ত শোধনঃ তেঁতুল রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্যে করে।
- আলসার রোধঃ তেঁতুল পেপটিক আলসার রোধ সাহায্যে করে।
- রূপচর্চাঃ তেঁতুল ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্যে করে।
- জন্ডিস নাশকঃ তেঁতুল জন্ডিস রোগের চিকিৎসায় ব্যাবহার হয়।
- কাশি নিরাময়কঃ পাকা তেঁতুল কাশি কমাতে সাহায্য করে।
- কৃমিনাশকঃ তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ।
- রুচি বর্ধকঃ তেঁতুল খিদে বাড়ায় বমি বমি ভাব দূর করে।
- মেদ কমায়ঃ শরীরের মেদ কমাতে তেঁতুল সাহায্যে করে। তেঁতুলের সাথে রসুন খেলে রক্তের চর্বি কমে।
- বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো রোগে তেতুল উপকারি।
- তেঁতুল মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করে।
তেতুলের অপকারিতা
তেঁতুল মুলত উপকারী ফল হলেও এর কিছু অপকারিতা আছে যা সবার জানা দরকার। তেতুলের অপকারিতা গুলো নিম্নরূপ:
তেঁতুল হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ হতে পারে
তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড থাকে, যা শরীরে কার্বোহাইড্রেটের ভাঙনকে ধীর করে দিতে পারে। যা রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে হাইপোগ্লাইসেমিয়ার কারণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে তেঁতুল খাওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ওষুধ বা ইনসুলিন গ্রহণ করতে হয়। তেঁতুল খেলে রক্তের চিনির মাত্রা আরও কমে যেতে পারে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য তেঁতুল খাওয়ার নিরাপদ মাত্রা প্রতিদিন ১০ গ্রাম। এর বেশি তেঁতুল খেলে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
তেঁতুল দাঁতের এনামেল নষ্ট করতে পারে
দাঁতের এনামেল হল দাঁতের বাইরের শক্ত আবরণ যা দাঁতকে ক্ষয় এবং ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড থাকে, যা দাঁতের এনামেলকে ক্ষয় করতে পারে।
তেঁতুল খাওয়ার পরে দাঁত পরিষ্কার না করলে টারটারিক অ্যাসিড দাঁতের এনামেলকে আক্রমণ করে নষ্ট করে দেয় এবং এটি দাঁতের ক্ষয়, হলুদ দাঁত এবং অন্যান্য দাঁতের সমস্যার কারণ হতে পারে।
তেঁতুল গর্ভবতী মা ও শিশুদের জন্য ক্ষতিকর
গর্ভবতী মা ও স্তন্যদানকারী মায়েদের ক্ষেত্রে তেঁতুল সেবন করা বিরত থাকা উচিত। তেঁতুলে প্রচুর পরিমাণে টারটারিক অ্যাসিড থাকে, যা জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। এটি গর্ভপাত বা প্রসব-পূর্ব জটিলতার কারণ হতে পারে।
গর্ভবতী মায়েদের ও শিশুর জন্য তেঁতুলের ঝুঁকি নিম্নরূপ:
- জরায়ুর সংকোচন ঘটায় ফলে গর্ভপাত বা প্রসব-পূর্ব জটিলতার হতে পারে।
- তেঁতুলে থাকা অ্যাসিড শিশুর পেটে ব্যথা হতে পারে।
- তেঁতুলে থাকা অ্যাসিড শিশুর ডায়রিয়া হতে পারে।
তেতুলের অনন্যা অপকারিতা সমূহ
- রক্তপাত বৃদ্ধি: তেঁতুলের অ্যাসিড রক্তপাতের প্রবণতা বাড়াতে পারে। বিশেষ করে যারা রক্তপাতের সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর।
- এলার্জি বৃদ্ধি: তেঁতুল এলার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
- ওজন হ্রাস: তেঁতুলের অ্যাসিড ক্ষুধা কমাতে পারে, যা শরীরের ওজন হ্রাস করে। অতিরিক্ত পরিমাণে তেঁতুল খেলে ওজন দ্রুত কমে যায়।
- পিত্তথলির সমস্যা: তেঁতুলের অ্যাসিড পিত্তথলির সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
- শরীরে এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি: তেঁতুলের অ্যাসিড শরীরের এসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারে। এটি গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যার কারণ হতে পারে।
- লো প্রেসার: তেঁতুলের অ্যাসিড রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। এটি হাইপোটেনশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
তেঁতুলের অপকারিতা রোধের উপায়
তেঁতুলের ক্ষতিকর প্রভাব এড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি মনে রাখা উচিত:
- তেঁতুল পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
- তেঁতুল খাওয়ার পরে দাঁত নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে।
- গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী মহিলাদের তেঁতুল খাওয়া উচিত নয়।
- যদি কোনো স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে তেঁতুল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
আমরা ইতিমধ্যে জেনেছি তেতুল অনেক উপকারী একটি খাবার যা আমাদের শরীরের গুরুপ্তপূর্ণ অংশ যেমন হার্ড, মস্তিক, কিডনির জন্য অনেক উপকারী। পেটের সমস্যা ও হজমে তেতুলের উপকারিতা সর্বজনীন স্বীকৃত। কিন্তু, অতিরিক্ত সব কিছুই খারাপ তাই অতিরিক্ত পরিমানে তেতুল খেলে নানা রকম শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এই জাতীয় আরও লেখা পড়তে চোখ রাখুন আমাদের ব্লগে। ধন্যবাদ।
Read more : জেনে নিন সাবুদানার উপকারিতা অপকারিতা!