সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ( Sylhet M.A.G. Osmani Medical College) বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ, যা ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ২০১২ সাল থেকে এমবিবিএস প্রোগ্রামের জন্য প্রতি বছর ২৩০ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫২ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি একটি নার্সিং ট্রেইনিং ইনস্টিউড আছে। সংযুক্ত জেনারেল হাসপাতালটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত ৩০০ শয্যা নিয়ে যাত্রা শুরু বর্তমানে তা ৯০০ তে উর্তীর্ণ করা হয়েছে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
এটি , চায়ের দেশ সিলেট শহরের উত্তর-পূর্ব দিকের কাজলশাহ নামক এলাকায় অবস্থিত। ১৯৪৮ সনে প্রতিষ্ঠিত সিলেট মেডিকেল স্কুলের নামে, Licentiate of Medical Faculty (LMF) ডাক্তার সার্টিফিকেট প্রদান শুরু হয়। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এর কলেবর। পরে, উন্নীতকরণের মাধ্যমে ১৯৬২ সনে সিলেট মেডিকেল কলেজ নামে চালু হয় এবং ১৯৬৯ সনে বর্তমানস্থলে স্থানান্তরিত হয়। মহান সবাধীনতাযুদ্ধকালিন মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী স্মরনে ১৯৮৬ সনে কলেজের বর্তমান নামকরন করা হয়।
যুক্তরাজ্যের জেনারেল মেডিকেল কাউন্সিল স্বীকৃত এই সরকারী মেডিকেল কলেজে বর্তমানে এম.বি.বি.এস এবং বিভিন্ন স্নাতকোত্তর কোর্স রয়েছে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজসিওমেক (SMMC) প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৬২ সাল |
|
প্রতিষ্ঠাতা | তৎকালীন পাকিস্থান সরকার |
নীতিবাক্য | শিখতে এসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও |
প্রাক্তন নাম | সিলেট মেডিকেল কলেজ (১৯৬২-১৯৮৬) |
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. মো. ময়নুল হক |
পরিচালক | ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া |
উপাধ্যক্ষ | অধ্যাপক ডা. শিশির রঞ্জন চক্রবর্তী |
শিক্ষক (সংখ্যা) | দেড় শতাধিক |
শিক্ষার্থী (সংখ্যা) | ১৫০০ + (প্রতি বছর ২৩০ জন ভর্তির সুযোগ পান) |
ইন্টার্ন (সংখ্যা) | দেড় শতাধিক |
কর্মকর্তা ও কর্মচারী | তিন শতাধিক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী |
স্নাতক কোর্স | ২ টি এমবিবিএস ও ডেন্টাল |
স্নাতকোত্তর কোর্স | ১৯ টি |
ঠিকানা | মেডিকেল রোড , কাজলশাহ , সিলেট ৩১০০ , বাংলাদেশ . |
যোগাযোগ নম্বর | 02996631213 |
ক্যাম্পাস এরিয়া | ২৭ একর |
হট লাইন | 01716290968 |
ইমেইল | magomch@hospi.dghs.gov.bd |
ওয়েবসাইট | https://magosmanimedical.com |
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো
একাডেমিক ভবন সমুহঃ
- পুরাতন ক্যাম্পাস
- নতুন ক্যাম্পাস
- ডেন্টাল ইউনিট
- আদর্শ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক
- নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টার
- সিলেট নার্সিং কলেজ
মূল ক্যাম্পাসের অবকাঠামোটি একটি তিন-তলা কলেজ ভবন কমপ্লেক্স, সাথে আছে ১০০০ শয্যাবিশিষ্ট ৫ তলা জেনারেল হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন ও একটি দ্বিতল ভবনের ডেন্টাল ইউনিট ।
লেকচার গ্যালারী
প্রজেক্টর, জেরক্স প্রজেক্টর, প্রজেক্টর স্ক্রিন, এপিডায়াস্কোপ, ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ, ডিজিটাল মার্কার, মাইক্রোফোন বিশিষ্ট তিনটি লেকচার গ্যালারী রয়েছে।
আইটি কর্নার
লাইব্রেরীর পাশেই রয়েছে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ বিশিষ্ট আইটি কর্নার।
টিউটোরিয়াল এবং সেমিনার রুম
প্রত্যেকটি অনুষদের জন্য একটি বা দুটি করে মোট ২৬টি বিশেষায়িত কক্ষ রয়েছে।
ব্যবচ্ছেদ কক্ষ
১ টি- এনাটমির জন্য
গবেষণাগার
- এনাটমি-১
- ফিজিওলজি-২
- বায়োকেমিস্ট্রি-২
- ফার্মাকোলজি-২
- প্যাথোলজি-৪
- মাইক্রোবায়োলজি-২
সর্বমোট ১৩ টি গবেষণাগার আছে ।
জাদুঘর
- এনাটমি-১
- প্যাথোলজি-১
- কমিউনিটি মেডিসিন মিউজিয়াম-১
এছাড়া বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের একটি আঞ্চলিক সেল রয়েছে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আওতাভুক্ত অন্যান্য হাসপাতাল
- শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ জেনারেল হাসপাতাল
- আদর্শ পরিবার পরিকল্পনা ক্লিনিক
- লেপ্রসি হাসপাতাল
- যক্ষ্মা ক্লিনিক
- সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল
- নিকটস্থ থানা হাসপাতাল
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা
প্রতিবছর ২৩০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ও ৫২ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান সহ উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজে গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। সারাদেশে মম্মেলিত পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে নিজ নিজ পছন্দ বাচাই করতে হয়, সাধারণত সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার জন্য সেরা ১০০০ এর মধ্যে রেজাল্ট থাকতে হয়।
২০২৩ সালের জন্য, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯.০ থাকতে হবে। পার্বত্য জেলার প্রার্থী বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে আগত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই জিপিএ ৮.০। তবে কোন পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ এর চেয়ে কম হলে শিক্ষার্থী আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাছাড়া এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ থাকতে হবে।
বিদেশ থেকে পরীক্ষা
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ’এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তি হতে আগ্রহী হলে, তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি এবং ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার। আবেদনপত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বিদেশি নাগরিকদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা এবং ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা
একটি আবেদনের মাধ্যমে সকল মেডিকেল কলেজে আবেদন করা যায়। আবেদন এবং প্রবেশপত্র গ্রহণের পরে শিক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষায় (এমসিকিউ) অংশগ্রহণ করতে হয়। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষার সময়সীমা ১ ঘন্টা। আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ১০০ নম্বর। পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে ৩০, পদার্থবিদ্যা থেকে ২০, রসায়ন থেকে ২৫, ইংরেজি থেকে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিষয় থেকে ১০টি প্রশ্ন থাকে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। তাই এখানে ভর্তির জন্য বেশি অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভর্তি ফি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই ভর্তি ফি দিয়ে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের অন্যান্য খরচ বহন করতে হয়। যেমন, থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ। এই খরচের পরিমাণ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার মেয়াদ, থাকার ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে।
সাধারণভাবে, সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই খরচের মধ্যে থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রথম বর্ষের জন্য একটি মানব কঙ্কাল কিনতে হয়, জা কিনতে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অনুষদ, বিভাগ
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ মেডিকেল কলেজ।
স্নাতকোত্তর
এম. ফিল
- এনাটমি
- প্রাণরসায়ন
- প্যাথোলজি
- ফার্মাকোলজি
- অণুজীববিজ্ঞান
এম. ডি
- ইন্টারনাল মেডিসিন
- কার্ডিওলজি
- পেডায়েট্রিক্স
- সাইকিয়াট্রি
- ডার্মাটলজি
- রেডিওলজি
এম. এস.
- জেনারেল সার্জারি
- গাইনী এন্ড অবস
- অপথ্যালমলজি
- পেডায়েট্রিক সার্জারি
- অর্থো-সার্জারি
- ইউরোলজি
ডিপ্লোমা
- এনেস্থেসিয়া
- ফরেনসিক মেডিসিন
দন্ত চিকিৎসা অনুষদ
- দন্তচিকিৎসা বিভাগ
নার্সিং অনুষদ
- নার্সিং বিভাগ
এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে রেসিডেন্সি প্রোগ্রাম পরিচালিত হচ্ছে এবং বিএসএমএমইউ, বিসিপিএস এর অধীনে এই উচ্চতর কোর্সগুলো পরিচালিত হচ্ছে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের কোর্স ও বিষয়
মমেকের কোর্স ও বিষয়গুলি নিম্নরূপ:
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিম্নলিখিত কোর্সগুলি চালু রয়েছে:
স্নাতক
- এমবিবিএস ও বিডিএস (৫ বছর মেয়াদী)
যে বিষয়গুলি পড়ান হয়
প্রথম বর্ষ
- অ্যানাটমি
- ফিজিওলজি
- বায়োকেমিস্ট্রি
- প্যাথলজি
- মাইক্রোবায়োলজি
দ্বিতীয় বর্ষ
- ফার্মাকোলজি
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ফরেনসিক মেডিসিন
- সার্জারি
- ওষুধবিজ্ঞান
তৃতীয় বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
চতুর্থ বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
পঞ্চম বর্ষ
- ইন্টার্নশিপ
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের আবাসিক হল
ছাত্রদের জন্য পাঁচটি এবং ছাত্রীদের জন্য চারটি শিক্ষার্থী মোট ৯ টি আবাসিক হল রয়েছে।
ছাত্রদের আবাসিক হল
- শহীদ ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ ছাত্রাবাস
- আবু সিনা হোস্টেল
- কর্নেল জিয়া হোস্টেল
- হযরত শাহজালাল হোস্টেল
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য (পুরুষ)
- শহীদ ডা. মিলন ইন্টার্ন হোস্টেল
ছাত্রীদের আবাসিক হল
- দিলরুবা বেগম হোস্টেল
- শ্যামল কান্তি লালা হোস্টেল
- হযরত শাহ পরান হোস্টেল
ইন্টার্ন চিকিৎসকদের জন্য (প্রমীলা)
- ইন্টার্ন হোস্টেল
প্রতিটি হলের নিজস্ব ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, জিম এবং খেলার মাঠ রয়েছে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরী
সিলেট এম.এ.জি ওসমানীমেডিকেল কলেজের লাইব্রেরীটি একটি পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা লাইব্রেরী যা মেডিকেল শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গবেষকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। লাইব্রেরিটিতে বিভিন্ন বিষয়ে বই, জার্নাল, ম্যাগাজিন এবং অন্যান্য প্রকাশনা রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে:
- চিকিৎসা বিজ্ঞান
- দন্তচিকিৎসা
- নার্সিং
- স্বাস্থ্য বিজ্ঞান
- গবেষণা
লাইব্রেরিটিতে একটি উন্নত কম্পিউটার ল্যাব রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের গবেষণা এবং প্রজেক্ট রিপোর্ট সহায়তা করে।
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংগঠন
সিলেট এম.এ.জি ওসমানীমেডিকেল কলেজের শিক্ষর্থীদের লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সেবামূলক কাজের জন্য অনেকগুলি ছাত্র সংগঠন আছে , তাদের মধ্য উল্লেখযোগ্য:
সন্ধানী
সন্ধানী হল সিলেট এম.এ.জি ওসমানীমেডিকেল কলেজের একটি সাহিত্য সংগঠন যা শিক্ষার্থীদের সাহিত্য চর্চার সুযোগ প্রদান করে। ক্লাবটি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- সাহিত্য পাঠ্যক্রম
- সাহিত্য প্রতিযোগিতা
- সাহিত্য প্রকাশনা
রোটার্যাক্ট ক্লাব
রোটার্যাক্ট ক্লাব হল সিলেট এম.এ.জি ওসমানীমেডিকেল কলেজের একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সামাজিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ক্লাবটি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- স্বাস্থ্যসেবা কর্মসূচি
- শিক্ষামূলক কর্মসূচি
- পরিবেশ সংরক্ষণ কার্যক্রম
লিও ক্লাব
লিও ক্লাব হল সিলেট এম.এ.জি ওসমানীমেডিকেল কলেজের একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন যা স্থানীয় সম্প্রদায়ের জন্য সামাজিক সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে। ক্লাবটি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে, যার মধ্যে রয়েছে:
- রক্তদান কর্মসূচি
- বৃক্ষরোপণ অভিযান
- দারিদ্র্য বিমোচন কার্যক্রম
সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট প্রাক্তনী
দেশের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত অনেক সূর্যসন্তানের জন্ম দিয়েছে , দেশ বিদেশে যারা আর্তমানবতার সেবায় নিয়েজিত আছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের অনেক ছাত্রের গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম:
শহীদ চিকিৎসক শামসুদ্দিন আহমদ
১৯৭১ সালে তিনি তৎকালীন সিলেত মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক ছিলেন । পাকবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ শুরু হলে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে আসা আহত রোগীদের ও মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিতেন। ১৯৭১ সালের ৮ এপ্রিল তামাবিল সীমান্ত পথে একটি ইতালীয় পর্যবেক্ষক দল সিলেটে তিনি তাদের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রুগীদের ঘুরে দেখান যেন তারা পাকবাহিনী নিরীহ জনগণের উপর নগ্ন হামলা চালাচ্ছিল বুঝতে পারে। টিমের সদস্যরা পাকবাহিনীর বর্বরোচিত হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে তার বক্তব্য রেকর্ড করে নিয়ে গণ-মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার করেন।
১৯৭১ সালের ৯ এপ্রিল তৎকালীন সিলেট মেডিকেল কলেজের কাছে মুক্তিযোদ্ধা ও পাকসেনাদের মধ্যে যুদ্ধ হয়। একসময় মুক্তিযোদ্ধারা হসপিটালে আস্রয় নিলে তিনি তাদে পালিয়ে জেতে সাহায্য করেন ।
পরে পাক বানাইনি এসে মুক্তিযোদ্ধাদের না পেয়ে , তারা ডাঃ শামসুদ্দিন আহমদ, ডাঃ শ্যামল কান্তি লালা, নার্স মাহমুদুর রহমান, পিয়ন মোঃ মুহিবুর রহমান ও মোখলেছুর রহমান, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার কোরবান আলী সহ মোট নয়জনকে হাসপাতাল থেকে বাইরে এনে চত্বরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করায়। মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার অভিযোগে তাদেরকে সেখানেই হত্যা করেন।
তার এই আত্মত্যাগ স্মরণ করে, এই হাসপাতালের একটি ছাত্রাবাসের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ ডাঃ শামসুদ্দিন আহমদ ছাত্রাবাস।
নিশাত জোবাইদা
তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল হিসাবে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি এন্ড ট্রান্সফিউশন (এএফআইপি) র কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জোবাইদা ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় নারী হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে মেজর জেনারেল হন। তিনি সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং তিনি বিসিপিএস থেকে এফসিপিএস ডিগ্রী অর্জন করেন।
তথ্যসূত্রঃ
- https://www.somch.gov.bd/
- জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- Bn.wiki
- Bn.wikipedia
- https://hsd.gov.bd/site/notices/a75cefca-4037-4fb6-80%A7%87%0%A5%A4
Also Read : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ