ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সকল তথ্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সংক্ষেপে ঢাবি) ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি গবেষণাধর্মী বিশ্ববিদ্যালয়।১৯২১ সালে ব্রিটিশ ভারতে অক্সব্রিজ শিক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণে এটি স্থাপিত হয়। সূচনালগ্নে বিভিন্ন প্রথিতযশা বৃত্তিধারী ও বিজ্ঞানীদের দ্বারা কঠোরভাবে মান নিয়ন্ত্রিত হবার প্রেক্ষাপটে এটি প্রাচ্যের অক্সফোর্ড নামে স্বীকৃতি পায়।।যা বর্তমানে বাংলাদেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। শুধুমাত্র উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রেই নয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস। শিক্ষার ক্ষেত্রেও যেমন এই বিশ্ববিদ্যালয় টি গুরুত্বপূর্ণ ঠিক রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক ক্ষেত্রেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য দেয়ার চেষ্টা করব পাশাপাশি এর ইতিহাস তুলে ধরব‌। তাই আর দেরি না করে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানেই জলজ্যান্ত এক ইতিহাস। ইতিহাসের এক চলমান অধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র গঠনের ইতিহাসের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এই প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ইতিহাস, রচিত হয়েছে ইতিহাসের বিভিন্ন অধ্যায়। মধুর ক্যান্টিন, বটতলা ,শহীদ মিনার, কলা ভবন এমন কোন জায়গা নেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের যেখানে বাঙালি ও বাংলাদেশের ইতিহাস তার কোন পর্ব উন্মোচন করেননি। এই ঐতিহাসিক প্রতিষ্টান প্রতিষ্ঠার পিছনে ইতিহাস বেশ চমকপ্রদ। ১৯২১ সালের জুলাই মাসের ৩টি অনুষদের অধীনে ১২ টি বিভাগ ও ৮৪৭ জন ছাত্রছাত্রী নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার বিষ বন্টন হয়েছিল ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনার মধ্য দিয়ে।

১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের মাধ্যমে ঢাকা কের রাজধানী করে পূর্ববাংলা ও আসামকে নিয়ে যে আলাদা রাজ্য গঠিত হয়েছিল তা এই অঞ্চলের মুসলিম প্রধান জনগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের আশা ও চাওয়া-পাওয়ার বাস্তব প্রতিফলন। এটা এই অঞ্চলের মুসলিমদের শিক্ষা অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সর্বোপরি তাদের স্বাবলম্বীতা অর্জনের ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করত। কিন্তু বিভিন্ন বিরোধীতার মুখে ইংরেজ সরকার ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ ব্যবস্থাকে বাতিল ঘোষণা করে যা বঙ্গভঙ্গ রদ নামে পরিচিত। ওই সময়ে কলকাতার তথাকথিত উচ্চশিক্ষিত হিন্দু নেতারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা রোদে স্মারকলিপি প্রদান করে। শুধু স্মারকলিবে প্রধান করেই ক্ষান্ত থাকেনি তারা বিভিন্ন ধরনের সভা ও মিটিং মিছিল পর্যন্ত আয়োজন করেছিল। বঙ্গভঙ্গ রদের ঘটনায় পূর্ব বাংলার মুসলিমরা ব্যাপকভাবে আশাহত হয়েছিল। ঢাকার তৎকালীন নবাব স্যার খাজা সামিউল্লাহর নেতৃত্বে একদল মুসলিম জনপ্রতিনিধি, সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ও একে ফজলুল হক বঙ্গভঙ্গ রদের ক্ষতিপূরণ হিসাবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানান সর্বপ্রথম ১৯১২ সালের ৩১ জানুয়ারি। ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের  ঢাকা পরিদর্শনকালে এই দাবিটি তোলা হয়। ওই সময় পূর্ব বাংলাতে ৯টি কলেজ থাকলে উচ্চ শিক্ষার জন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না।

পরবর্তীতে এই অঞ্চলের মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ জনগণের দাবিকে সম্মান জানিয়ে লর্ড কার্জন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আবেদনে সম্মতি জানান এবং একই বছরের ২ এ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় রাজ্য সরকার কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাপেক্ষে একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাপত্র প্রকাশিত হয়। ওই বছর ৪ এপ্রিল বাংলার রাজ্য সরকারকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা প্রণয়নের আহ্বান জানানো হয়। এই লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য ২৭ মে স্যার রবার্ট নাথ লিওনের নেতৃত্বে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠিত করা হয় যা নাথান কমিটি নামে পরিচিত ছিল। এই কমিটিটি দ্রুততার সঙ্গে রিপোর্ট প্রদান করে ১৯১২ সালের শেষের দিকে। ১৯১৩ সালে নাথান কমিটি রিপোর্ট জনমতের জন্য প্রকাশিত হয় এবং একই বছর ডিসেম্বরে তা অনুমোদন লাভ করে। এরপরে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণে দীর্ঘদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্প স্থগিত থাকে । ১৯১৭ সালের নভেম্বরে ইংরেজ সরকার স্যাডলার কমিশন গঠন করে পূর্ববর্তী নাথান কমিশনের রিপোর্টকে পর্যালোচনা করতে ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সঙ্গে সাংঘর্ষিক বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে নতুন করে রিপোর্ট দিতে। ১৯১৯ সালের মার্চে এই স্যাডলার কমিশন তাদের রিপোর্ট প্রদান করে। ১৯১৭ সালে সৈয়দ মাওয়ালী চৌধুরী তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের আইনসভা imperial legislative council এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় নিবন্ধনের জন্য আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্যে একটি বিল উত্থাপন করে।

এটি পাস হয় ১৯২০ সালের ২৩ মার্চ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯২০ নামে যার অধীনে পূর্ব বাংলার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে আজ থেকে প্রায় ১০০ বছর আগে ১৯২১ সালের ১ জুলাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে যে ব্যক্তিটি মুখ্য ভূমিকা পালন করেন তিনি আর কেউ নন ঢাকার চতুর্থ নবাব, ব্রিটিশ রাজত্বের সময়কার উপমহাদেশের অন্যতম রাজনীতিবিদ ,পূর্ব বাংলা শিক্ষা বিস্তারের অগ্রদূত সার খাজা সলিমুল্লাহ। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকাতে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি মূলত ১৯১১ সালের আগস্টেই কার্জন হলে এক রাজনৈতিক সমাবেশে উত্থাপন করেছিলেন। পরে তার এই দাবি সার্বজনীন রূপ পায় হাজার ১৯১১ সালে  বঙ্গভঙ্গ বাতিলের পর। স্যার সলিমুল্লাহর দান করা ৬০০ একর জমিতে ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকার শাহবাগে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি স্বায়ত্তশাসিত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকার রমনা এলাকায় প্রায় ৬০০ একর জমি নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি রাজধানী ঢাকার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এর উত্তর দিকে নিউ এলিফ্যান্ট রোড, পশ্চিমে ইডেন কলেজ, দক্ষিণে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়, আর পূর্বে কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাহবাগ থানায় অবস্থিত।  

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিচিতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম, সর্ববৃহৎ এবং উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯২০ সালে ভারতীয় বিধানসভায় গৃহীত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইনবলে ১৯২১ সালের ১ জুলাই আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। ঢাকার রমনা এলাকার প্রায় ৬০০ একর জমি নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর প্রাথমিক অবকাঠামোর বড় একটি অংশ গড়ে উঠে ঢাকা কলেজের শিক্ষকমণ্ডলী এবং কলেজ ভবনের (বর্তমান কার্জন হল) উপর ভিত্তি করে। ৩টি অনুষদ (কলা, বিজ্ঞান ও আইন), ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। কলা অনুষদের অধীনে ছিল ৮টি বিভাগ: সংস্কৃত ও বাংলা, ইংরেজি, শিক্ষা, ইতিহাস, আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজ, ফার্সি ও উর্দু, দর্শন এবং রাজনৈতিক অর্থনীতি; বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ছিল পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত; আইন অনুষদের অধীনে ছিল শুধুমাত্র আইন বিভাগ। ৩টি অনুষদের ৮৭৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮৬ জন ঢাকা (শহীদুল্লাহ) হলে, ৩১৩ জন জগন্নাথ হলে এবং ১৭৮ জন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের আবাসিক ও অনাবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে ভর্তি হয়।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৭টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ১৯৮৬ জন শিক্ষক, ৪৭,১৯৭ ছাত্রছাত্রী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল রয়েছে। বর্তমান শিক্ষকদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রিপ্রাপ্ত; অনেকেই শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র বাংলাদেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মোহাম্মদ ইউনুস ২০০৬ সালে শান্তিতে নোবেল পূরস্কার লাভ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকই বর্তমানে পৃথিবীর বিভিন্ন খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদে বহাল আছেন। প্রাথমিক বছরগুলিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকগণ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে শিক্ষার উচ্চমান বজায় রাখতে সচেষ্ট ছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে এ প্রতিষ্ঠান ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ হিসেবে খ্যাতি লাভ করে।

শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারীর সংখ্যা

শুরুতে বিশ্ববিদ্যালয় টি ৩টি অনুষদ (কলা, বিজ্ঞান ও আইন), ১২টি বিভাগ, ৬০ জন শিক্ষক, ৮৪৭ জন ছাত্রছাত্রী এবং ৩টি আবাসিক হল নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ৮৩টি বিভাগ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৫৭টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ১৯৮৬ জন শিক্ষক, ৪৭,১৯৭ ছাত্রছাত্রী এবং ১৯টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল রয়েছে

ঢাকা অনুষদ ও বিভাগ

 

অনুষদ নামবিভাগ সমূহ
কলা অনুষদ– বাংলা – ইংরেজি – আরবি – ফারসি ভাষা ও সাহিত্য – উর্দু – সংস্কৃত – পালি ও বৌদ্ধ শিক্ষা – ইতিহাস – দর্শন – ইসলামী শিক্ষা – ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি – তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা – থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ – ভাষাবিজ্ঞান – সংগীত – বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি – নৃত্যকলা
বিজ্ঞান অনুষদ– পদার্থবিজ্ঞান – রসায়ন – গণিত – পরিসংখ্যান – জৈব রাসায়নিক পদার্থবিদ্যা এবং প্রযুক্তি – তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান – ফলিত গণিত
আইন অনুষদ– আইন
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ– অর্থনীতি – আন্তর্জাতিক সম্পর্ক – রাষ্ট্রবিজ্ঞান – সমাজবিজ্ঞান – লোকপ্রশাসন – গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা – নৃবিজ্ঞান – জনসংখ্যা বিজ্ঞান – শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন – নারী শিক্ষা – উন্নয়ন শিক্ষা – টেলিভিশন চলচ্চিত্র ও আলোকচিত্র – অপরাধ বিজ্ঞান
ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ– ব্যবস্থাপনা – ফাইনান্স – একাউন্টিং ও তথ্য ব্যবস্থা – বিপণন – ব্যাংকিং ও ইনসুরেন্স – ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস – আন্তর্জাতিক ব্যবসায় – পর্যটন ও আতিথেয়তা ব্যবস্থাপনা – সংগঠন কৌশল এবং নেতৃত্ব
জীববিজ্ঞান অনুষদ– মৃত্তিকা – পানি ও পরিবেশ – উদ্ভিদবিজ্ঞান – প্রাণিবিজ্ঞান – প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রেরণা বিজ্ঞান – মনোবিজ্ঞান – অনুজীব বিজ্ঞান – মৎস্য বিজ্ঞান – চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান – এডুকেশনাল সায়েন্স
ফার্মেসি অনুষদ– ফার্মাসিটিক্যাল প্রযুক্তি – ফার্মাসিটিক্যাল রসায়ন – ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি
প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ– তড়িৎ ইলেকট্রনিক কৌশল – কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল – পারমাণবিক প্রকৌশল – ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল – রোবটিক্স ও মেকানিটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং
বিশ্ব পরিবেশ বিজ্ঞান অনুষদ– ভূগোল ও পরিবেশ – ভূতত্ত্ব – সমুদ্র বিজ্ঞান – দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা – আবহাওয়া বিজ্ঞান
চারুকলা অনুষদ– অংকন ও চিত্রায়ন – প্রিন্ট মেকিং – গ্রাফিক্স ডিজাইন – প্রাচ্যকলা – ভাস্কর্য – কারু শিল্প – মৃৎশিল্প – শিল্পকলার ইতিহাস
চিকিৎসা অনুষদ– চিকিৎসা অনুষদ
স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ– স্নাতকোত্তর চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুষদ
শিক্ষা অনুষদ– শিক্ষা অনুষদ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি যোগ্যতা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষা দিতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে অবশ্যই এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষায় পাশ করতে হবে। প্রতিটি ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা বিভিন্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মোট ইউনিট সংখ্যা ৫টি চলুন। চলুন প্রতিটি ইউনিটে ভর্তির যোগ্যতা সম্পর্কে জেনে নিই,

 

১)ক ইউনিট(বিজ্ঞান শাখা): ক ইউনিটে ভর্তি ইচ্ছুক বিজ্ঞান শাখার শিক্ষার্থীদের চতুর্থ বিষয়ে সহ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ সর্বনিম্ন ৩.৫ থাকতে হবে। এবং চতুর্থ বিষয়ে সহ এসএসসি ও এইচএসসির মোট জিপিএ ৮.০০ থাকতে হবে।

 

২) খ ইউনিট (মানবিক বিভাগ): খ ইউনিটে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের পৃথক পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয় সহ এসএসসি ও এইচ এস সি পরীক্ষার জিপিএ সর্বনিম্ন ৩.০০ থাকতে হবে। এবং চতুর্থ বিষয় সহ এসএসসি ও এইচএসসি এর সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে।

 

৩) গ ইউনিট (ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ): ঘ ইউনিটে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও এইচএসসিতে চতুর্থ বিষয়ে সহ  সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। এবং এসএসসি ও এইচএসসিতে চতুর্থ বিষয় সহ সর্বমোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। শুধুমাত্র মানবিক শাখার শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে চতুর্থ বিষয়সহ মোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে। এবং চতুর্থ বিষয়ে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সর্বনিম্ন ৩.০০ থাকতে হবে।

 

৪)ঘ ইউনিট (রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ): কয় ইউনিটে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের  পৃথকভাবে চতুর্থ বিষয়ে সহ এস এস সি তে সর্বনিম্ন ৩.৫ এবং এইচএসসিতে সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.৫ থাকতে হবে। অর্থাৎ চতুর্থ বিষয় সহ মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। এক্ষেত্রে এস এস সি বা এইচএসসি যেকোনো একটিতে জিপিএ ৩.৫ এর কম থাকলে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারবে না।

 

৫)চ ইউনিট(চারুকলা বিভাগ): চ ইউনিটের শিক্ষার্থীদের ভর্তির জন্য চতুর্থ বিষয়ে এসএসসি পরীক্ষায় সর্বনিম্ন জিপিএ ৩.০০ থাকতে হবে। এবং চতুর্থ বিষয়ে এসএসসি ও এইচএসসির সর্বমোট জিপিএ ৬.৫০ থাকতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন

১)ক ইউনিট: বিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোট MCQ থাকবে ৬০ টি এবং লিখিত পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরে। প্রতিটি বিভাগে উত্তর প্রদানের জন্য পরীক্ষার্থীরা সময় পাবে ৪৫ মিনিট।

 

২) খ ইউনিট: কলার সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ এর পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট এমসিকিউ থাকবে ৬০ টি এবং লিখিত পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরে। উত্তর প্রদানের জন্য পরীক্ষার্থীরা সময় পাবে ৪৫ মিনিট।

 

৩) গ ইউনিট: বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট এমসিকিউ থাকবে ৬০টি এবং লিখিত পরীক্ষা হবে ৪০ নম্বরে। উত্তর প্রদানের জন্য পরীক্ষার্থীদের সময় দেওয়া হবে ৪৫ মিনিট।

 

৪)ঘ ইউনিট: ইউনিটে পরীক্ষার্থীদের জন্য মোট এমসিকিউ থাকবে ৬০ টি এবং ৪০ নম্বর লিখিত পরীক্ষা হবে।  পরীক্ষার্থীদের জন্য সময় থাকবে ৪৫ মিনিট।

 

৫) চ ইউনিট: চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার জন্য ৬০ মার্কের এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়া হবে। যার জন্য পরীক্ষার্থীরা সময়  ৪৫ মিনিট। এবং ৬০ মার্কের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে যার জন্য পরীক্ষার্থীরা সময় পাবে ৬০ মিনিট।

 

ভর্তি পরীক্ষায় নেগেটিভ মার্ক থাকবে। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২০ নাম্বার কর্তন করা হবে।

 

ঢাকা ভর্তি পরীক্ষার আবেদন প্রক্রিয়া

১)প্রথমেই সাইন ইন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট https://admission.eis.du.ac.bd তে চলে যাও। এরপর রেজিস্ট্রেশন করতে নিজের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল ও বোর্ড এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল টাইপ করো।

 

২)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের জন্য শিক্ষার্থীর উচ্চমাধ্যমিক এবং মাধ্যমিকের তথ্য, বর্তমান ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (ঐচ্ছিক) দিতে হবে।

৩)শিক্ষার্থীকে ৮টি বিভাগীয় শহরের যেকোন ১ টি কে তার ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে নির্বাচন করতে হবে।

 

৪)স্ক্যান করা একটি ছবির‌  প্রয়োজন।

 

৫)SMS করার জন্য শিক্ষার্থীর কাজে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল অথবা বাংলালিংক অপারেটর এর একটি মোবাইল নম্বর থাকতে হবে।

 

৬)ঢাবি আবেদন ফি তাৎক্ষণিক অনলাইনে (VISA /Mastercard/ American Express ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল ব্যাংকিং , ইন্টারনেট ব্যাংকিং ) বা চারটি রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে জমা প্রদান করা যাবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন ফি

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন ফি ছিল ৩৫০ টাকা। পরবর্তীতে আবেদন ফি ১০০ টাকা বাড়িয়ে করা হয় ৪৫০  টাকা। এরপরে ২০২০ ২১ শিক্ষাবর্ষে আরো ২০০ টাকা বাড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবেদন ফি করা হয় ৬৫০ টাকা। এবার ২০২১ ২২ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরমের মূল্য আরো ৩৫০ টাকা বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে।

 

প্রবেশপত্র ডাউনলোডের ও রেজাল্টের লিংক

https://admission.eis.du.ac.bd

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল ও হোস্টেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩টি আবাসিক হল ও ৪টি হোস্টেল রয়েছে। পৃথক পৃথকভাবে এই হলে শিক্ষার্থীর  সংখ্যা নিচে দেওয়া হল:

 

প্রতিষ্ঠানের নামশিক্ষার্থীর সংখ্যা
সলিমুল্লাহ মুসলিম হল৭৪৪
ডঃ মোঃ শহিদুল্লাহ হল১২৮৮
জগন্নাথ হল১৫৭০
ফজলুল হক হল৭০৯
শহীদ সার্জেন্ট জহিরুল হল১২৪৪
রোকেয়া হল২২৭৬
সূর্য সেন (মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হল)১০৮৬
পিজে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হল৮৮
হাজী মুহাম্মদ মহসিন হল১৪৯১
শামসুন্নাহার হল১২৪৮
কবি জসিম উদ্দিন হল৬৩৬
স্যার এ এফ রহমান হল৯৯২
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল৭০২
মুক্তিযোদ্ধা জিয়ার রহমান হল৭০২
বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হল৮০৪
অমর একুশে হল৭৬৫
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল৯২৮
কবি সুফিয়া কামাল হল২৪০০
বিজয় একাত্তর হল১৯২৪
নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছাত্রী নিবাস১৩০
আই বি এ হোস্টেল১৩৮
ডক্টর কুদরাত খুদা হোস্টেল৩০৮
শহীদ অ্যাথলেট সুলতানা কামাল হোস্টেল১৩০

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ

 

নামসময়কাল
স্যার ফিলিপ জোসেফ হার্টগ০১.১২.১৯২০ – ৩১.১২.১৯২৫
অধ্যাপক জর্জ হ্যারী ল্যাংলী০১.০১.১৯২৬ – ৩০.০৬.১৯৩৪
স্যার এ.এফ রহমান০১.০৭.১৯৩৪ – ৩১.১২.১৯৩৬
ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার০১.০১.১৯৩৭ – ৩০.০৬.১৯৪২
ড. মাহমুদ হাসান০১.০৭.১৯৪২ – ২১.১০.১৯৪৮
ড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন২২.১০.১৯৪৮ – ০৮.১১.১৯৫৩
ড. ওয়াটার অ্যালেন জেঙ্কিন্স০৯.১১.১৯৫৩ – ০৮.১১.১৯৫৬
বিচারপতি মুহম্মদ ইব্রাহিম০৯.১১.১৯৫৬ – ২৭.১০.১৯৫৮
বিচারপতি হামুদুর রহমান০৫.১১.১৯৫৮ – ১৪.১২.১৯৬০
ড. মাহমুদ হোসেন১৫.১২.১৯৬০ – ১৯.০২.১৯৬৩
ড. মোহাম্মদ ওসমান গনি২০.০২.১৯৬৩ – ০১.১২.১৯৬৯
বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী০২.১২.১৯৬৯ – ২০.০১.১৯৭২
ড. মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী১৩.০৪.১৯৭৩ – ২২.০৯.১৯৭৫
অধ্যাপক মুহম্মদ সামসউল হক২৩.০৯.১৯৭৫ – ০১.০২.১৯৭৬
ড. ফজলুল হালিম চৌধুরী০২.০২.১৯৭৬ – ২০.০৩.১৯৮৩
ড. এ.কে.এম সিদ্দিক২১.০৩.১৯৮৩ – ১৬.০৮.১৯৮৩
ড. মোহাম্মদ শামসুল হক১৭.০৮.১৯৮৩ – ১২.০১.১৯৮৬
ড. আবদুল মতিন চৌধুরী১২.০১.১৯৮৬ – ২২.০৩.১৯৯০
অধ্যাপক মুহম্মদ সামসউল হক২৩.০৩.১৯৯০ – ৩১.১০.১৯৯২
অধ্যাপক এম মনিরুজ্জামান মিয়া২৪.০৩.১৯৯০ – ৩১.১০.১৯৯২
অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমদ০১.১১.১৯৯২ – ৩১.০৮.১৯৯৬
অধ্যাপক শহীদউদ্দিন আহমেদ৩১.০৮.১৯৯৬ – ২৯.০৯.১৯৯৬
অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী৩০.০৯.১৯৯৬ – ১২.১১.২০০১
অধ্যাপক ড. আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী১২.১১.২০০১ – ৩১.০৭.২০০২
অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম ইউসুফ হায়দার০১.০৮.২০০২ – ২৩.০৯.২০০২
অধ্যাপক ড. এস.এম.এ ফায়েজ২৩.০৯.২০০২ – ১৬.০১.২০০৯
অধ্যাপক ড. আ.আ.ম.স আরেফিন সিদ্দিক১৭.০১.২০০৯ – ০৫.০৯.২০১৭
অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান০৬.০৯.২০১৭ – বর্তমান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম

২০০৭ সালে নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেটভবন নির্মাণ করা হয় । এখানে আছে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ৪৮০ আসন বিশিষ্ট  অডিটোরিয়াম, ২০০ আসন বিশিষ্ট একটি সেমিনার কক্ষ এবং সবুজ,লাল,   নীল তিনটি লবি। এ ভবনেরই নিচের তলায় ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাই এসোসিয়েশন অবস্থিত। এসোসিয়েশনের কার্যালয় ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি সেমিনার রুম ও একটি শরীরচর্চা কেন্দ্র।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরী

শুরুতে ঢাকা কলেজ ও ঢাকা ল’ কলেজ হতে প্রাপ্ত ১৮,০০০ বই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার স্থাপন করা হয়েছিল। এম.ফিল ও পিএইচ.ডি কোর্সের গবেষণা বিষয়ক পাণ্ডুলিপির সংগ্রহ গ্রন্থাগারটি প্রসারের একটি উল্লেখযোগ্য দিক। লন্ডন-ভিত্তিক ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরি বিভিন্ন ধরনের বিরল বই উপহার দিয়ে থাকে। ২০২১ সাল পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে সংগৃহীত গ্রন্থের সংখ্যা ৭ লক্ষেরও বেশি। এছাড়াও রয়েছে ৩০ হাজার রেয়ার বুক, ৫ হাজার মাইক্রোফিল্ম এবং প্রাচীন পাণ্ডুলিপির সংখ্যা প্রায় ত্রিশ হাজার। এছাড়া রয়েছে একটি বিজ্ঞান গ্রন্থাগার, যেটি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের একটি শাখা। বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান ও ফার্মেসি অনুষদের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক ও গবেষকগণ এটি ব্যবহার করে থাকেন।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারি  বিনা খরচে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে।  বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ২৮ জন চিকিৎসক কর্মরত আছে। সাধারণ চিকিৎসা ছাড়াও এখানে আছে, আই ইউনিট,ডেন্টাল ইউনিট, , হোমিও চিকিৎসা ইউনিট, এক্স-রে বিভাগ এবং প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষার সুবিধা। ১৯২১ সাল থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের নতুন নামকরণ করা হয় শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার। 

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ

পড়ালেখার পাশাপাশি খেলাধুলার উৎকর্ষ সাধন এবং শরীরচর্চার মাধ্যমে সুস্থ-সবল জনগোষ্ঠী সৃষ্টির লক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শারীরিক শিক্ষাকেন্দ্র। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ছাড়াও রয়েছে একটি আধুনিক সুইমিং পুল কমপ্লেক্স। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্র প্রতিবছর আন্তঃবিভাগ, আন্তঃহল, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় পর্যায়ে প্রায় সব ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা করে থাকে।

 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট: https://www.du.ac.bd/

 

যোগাযোগ

 

Administrative Building (Ground Floor)

Dhaka-1000, Bangladesh

Phone: +88-09666911463

Fax: 880-2-9667222

 

Email: vcoffice@du.ac.bd, registrar@du.ac.bd

 

সবশেষে,

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার পাশাপাশিও দেশের স্বাধীনতা সহ আরো অন্যান্য ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে আপনাকে অবশ্যই ধারণা রাখতে হবে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি করার মাধ্যমে আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন।

 

Reference:

Wikipedia

Banglapedia

Rainbow Academybd

 

Also Read: Khulna University

Scroll to Top