বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
Bangladesh Agricultural University বাংলাদেশের কৃষি বিষয়ক একটি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি ময়মনসিংহ থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিমে অবস্থিত।এটি বাংলাদেশের প্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এটির শিক্ষাঙ্গণ আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিশ্ববিদ্যালয়। মানসম্পন্ন উচ্চতর কৃষিশিক্ষা ব্যবস্থার নিশ্চয়তা বিধানের মাধ্যমে দেশে কৃষি উন্নয়নের গুরুদায়িত্ব বহনে সক্ষম তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞানসম্পন্ন দক্ষ কৃষিবিদ, প্রাণিবিজ্ঞানী, প্রযুক্তিবিদ ও কৃষি প্রকৌশলী তৈরি করাই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্য। তাইতো প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হওয়ার জন্য ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে নেয়। শুধুমাত্র ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তি হতে পারে। আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাদেরকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব পাশাপাশি এর ইতিহাসও তুলে ধরব। তাই দেরি না করে আর্টিকেলটি পড়া শুরু করুন:
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস
১৯৬১ সালে প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হয় তখন বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ।ভেটেরিনারি ও কৃষি অনুষদ নামে দু’টি অনুষদ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ঘোষণা করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠার মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পশুপালন অনুষদ নামে তৃতীয় অনুষদের যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে ,১৯৬৩-৬৪ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ, ১৯৬৪-৬৫ শিক্ষাবর্ষে কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ এবং ১৯৬৭-৬৮ শিক্ষাবর্ষে মৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত হয়।১৯৭৩ সালের ১৩ই ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মঞ্চে আয়োজিত এক সংবর্ধনা সভায় ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়াদের মতো কৃষিবিদদেরও চাকরিক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষনা দেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পরিচিতি
ময়মনসিংহ জেলা শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে প্রায় ১২০০ একর জায়গা নিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬১ সালে কার্যক্রম শুরু হওয়া বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, বিভিন্ন অনুষদীয় ভবন, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, মিলনায়তন, জিটিআই ভবন, স্বাস্থ্যকেন্দ্র,বোটানিক্যাল গার্ডেন, হর্টিকালচার ফিল্ড, স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, ১৩ টি আবাসিক হল এবং ড. ওয়াজেদ মিয়া ডরমিটরী।এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে ফুলের বাগান, আম, লিচুর বাগান, সবুজ মাঠ, লেক, মাছ চাষের পুকুর, ফিস মিউজিয়াম, কৃষি মিউজিয়াম, সেন্ট্রাল মসজিদ, বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত, গবাদী পশুর খামার, নান্দনিক সড়ক এবং বিভিন্ন দর্শনীয় ভাস্কর্য।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান
রাজধানী ঢাকা থেকে ১২০ কিলোমিটার উত্তরে ক্যাম্পাসটির অবস্থান। ময়মনসিংহ শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম প্রান্তে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ শহর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দক্ষিণে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পশ্চিম প্রান্তে প্রায় ১২৬১ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মচারী সংখ্যা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক পর্যায়ে ৩৯০২ জন, স্নাতকোত্তর পর্যায়ে ১২৬৩ জন এবং পিএইচডি পর্যায়ে ২৪২ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে শিক্ষক সংখ্যা ৫৪৩, কর্মকর্তা ৪১৬ জন, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী ৫৩৯ এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ১২৯৮ জন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ও বিভাগসমূহ
অনুষদ | বিভাগ সমূহ |
ভেটেরিনারি অনুষদ | – অণুজীববিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্যবিধি বিভাগ – শারীরস্থান এবং তন্তুবিন্যাসবিদ্যা হিস্টোলজি বিভাগ – শারীরবিদ্যা বিভাগ – পরজীববিদ্যা বিভাগ – মেডিসিন বিভাগ – ফার্মাকোলজি বিভাগ – ক্রায়োসার্জারি – রোগবিদ্যা বিভাগ – সার্জারি ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগ |
কৃষি অনুষদ | – উদ্যানবিদ্যা বিভাগ – মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ – কৃষি অর্থনীতি বিভাগ – কৃষি রসায়ন বিভাগ – জীববিজ্ঞান বিভাগ – পদার্থবিদ্যা বিভাগ – রসায়ন বিভাগ – পতঙ্গবিজ্ঞান বিভাগ – পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ – উদ্ভিদের রোগবিদ্যা বিভাগ – ফসল উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগ – জেনেটিক্স এবং উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগ – কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগ – কৃষি বন বিভাগ – বায়োপ্রযুক্তি বিভাগ – ভাষা বিভাগ |
পশুপালন অনুষদ | – পশু বিজ্ঞান বিভাগ – পশু প্রজনন ও জেনেটিক্স বিভাগ – দুগ্ধ বিজ্ঞান বিভাগ – পশু পুষ্টি বিভাগ – পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগ |
কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ | – কৃষি পরিসংখ্যান বিভাগ – গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান বিভাগ – কৃষি অর্থ বিভাগ – কৃষি অর্থনীতি বিভাগ – সহযোগিতা ও বিপণন বিভাগ |
কৃষি প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদ | – কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং গণিত বিভাগ – ফার্ম স্ট্রাকচার বিভাগ – সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ – ফার্ম পাওয়ার ও মেশিনারি বিভাগ – খাদ্য প্রযুক্তি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগ – বায়োইনফরমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং |
মৎসবিজ্ঞান অনুষদ | – মৎস্য জীববিজ্ঞান ও জেনেটিক্স বিভাগ – মৎস্য প্রযুক্তি |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট আসন সংখ্যা ১১১৬ টি।
অনুষদ | আসন সংখ্যা |
ভেটেরিনারি অনুষদ | ১৮০ |
কৃষি অনুষদ (বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচার) | ৩২০ |
পশু পালন অনুষদ (বি.এসসি.ইন এ্যানিমেল হাজবেন্ড্রি) | ১৮০ |
কৃষি অর্থনীতি এবং গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদ (বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচারাল ইকোনমিক্স) | ১০৬ |
কৃষি প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি অনুষদ (বি.এসসি.ইন এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং) | ১০০ |
বি.এসসি.ইন ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং | ৫০ |
বি.এসসি.ইন বায়োইনফমেটিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং | ৩০ |
ফিশারিজ অনুষদ (বি.এসসি.ইন ফিশারিজ) | ১২০ |
ইন্টার ডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটি (বি.এসসি.ইন ফুড সেফটি ম্যানেজমেন্ট) | ৩০ |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন যোগ্যতা
১) শিক্ষার্থীকে অবশ্যই মাধ্যমিকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে।
২) ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মাধ্যমিক বা সমমান এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষায় সর্বমোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে। এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয় ব্যতীত পৃথকভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে।
৩) মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষা এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় যারা বিজ্ঞান বিভাগ হতে জীববিজ্ঞান, রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও গণিত বিষয়সহ উত্তীর্ণ হয়েছে, কেবলমাত্র তারাই আবেদন করতে পারবে।
অন্যদের ক্ষেত্রে,
জিসিই এবং A লেভেল উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে O লেভেল পরীক্ষায় অন্তত ৫টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। এবং A লেভেল পরীক্ষায় বিজ্ঞানের অন্তত ২টি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে। উভয় পরীক্ষায় আলাদাভাবে ন্যূনতম জিপিএ ৪.০০ থাকতে হবে এবং মোট জিপিএ ৮.৫০ থাকতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার মানবন্টন
মোট ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষা হবে MCQ পদ্ধতিতে ।
বিষয় নম্বর
ইংরেজি-১০
উদ্ভিদবিজ্ঞান-১৫
প্রাণীবিজ্ঞান-১৫
পদার্থবিজ্ঞান-২০
রসায়ন-২০
গণিত-২০
মোট ১০০
প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য ০.২ মার্ক কাটা যাবে।
কৃষি গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি আবেদনের নিয়ম
১)ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য https://acas.edu.bd/ ওয়েবসাইটে পাওযা যাবে। সেখানের নির্দেশনা অনুয়ায়ী Online-এ আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে।
২)মোবাইল নম্বরে একটি কোড যাবে। সেজন্য অবশ্যই নিজের মোবাইল এবং ফোন নাম্বার সাথে রাখতে হবে। SMS এর মাধ্যমে লগইন পাসওয়ার্ড ও ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত সকল তথ্য শিক্ষার্থীর দেওয়া নাম্বারে পাঠানো হবে।
৩)কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা সংক্রান্ত সনদ এর স্ক্যান কপি Online আবেদন করার সময় নির্ধারিত স্থানে upload করতে হবে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন ফি এবং ভর্তি জমাদানের প্রক্রিয়া
আবেদন ফি ১০০০ টাকা
১/ ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ,নগদ,বা রকেট এর যেকোন একটি মাধ্যমকে সিলেক্ট করলে যে স্ক্রিন/ইন্টারফেস আসবে তাতে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের নম্বর দিতে হবে এবং শর্তাবলীতে সম্মতি দিয়ে প্রবর্তী ধাপে যেতে হবে।
২/ উক্ত মোবাইল একাউন্ট নম্বরে SMS এর মাধ্যমে একটি ভেরিফিকেশন কোড বা OTP আসবে। সেটি পেমেন্ট স্ক্রিন/ইন্টারফেস এ ইনপুট দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে।
৩/ এরপর একাউন্ট নম্বরের পিন দিতে হবে এবং পেমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে। পেমেন্ট সফল হলে সাথে সাথেই একটি কনফার্মেশন SMS পাওয়া যাবে।
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্র
- বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর।
- সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।
- চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম।
- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
- খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রেজাল্ট ও প্রবেশপত্র ডাউনলোড
ডাউনলোড ওর রেজাল্ট দেখতে এ ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন,
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের তালিকা
নাম | সময়কাল |
ওসমান গণি | ১৯৬১ – ১৯৬৩ |
একেএম আমিনুল হক চৌধুরী | ১৯৮০ – ১৯৮৮ |
শাহ মোহাম্মদ ফারুক | ২৩ আগস্ট ১৯৯৩ – ১৩ নভেম্বর ১৯৯৬ |
রফিকুল হক | ২০১১ – ২০১৫ |
আলী আকবর | ২৪ মে ২০১৫ – ৩১ মে ২০১৯ |
লুৎফুল হাসান | ২০১৯ – ২০২৩ |
এমদাদুল হক চৌধুরী | ২০২৩-বর্তমান |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সমূহ
ছাত্রদের হল | ছাত্রীদের হল |
ঈশা খাঁ হল | সুলতানা রাজিয়া হল |
শাহজালাল হল | তাপসী রাবেয়া হল |
শহীদ শামসুল হক হল | বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল |
শহীদ নাজমুল আহসান হল | বেগম রোকেয়া হল |
আশরাফুল হক হল | রোজী জামাল হল |
শহীদ জামাল হোসেন হল | |
হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল | |
ফজলুল হক হল | |
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হল |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন
সংগঠনের নাম |
১) রোটার্যাক্ট ক্লাব |
২) বাকৃবি ডিবেটিং সংঘ |
৩) বিনোদন সংঘ |
৪) অঙ্কুর |
৫) পদচিহ্ন |
৬) কম্পাস নাট্য সম্প্রদায় |
৭) সাংবাদিক সমিতি |
৮) বাকৃবি রোভার স্কাউট |
৯) বিএনসিস |
১০) ঘাসফুল |
১১) হাসিমুখ |
১২) বাকৃবি ফটোগ্রাফিক সোসাইটি |
১৩) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র বাকৃবি শাখা পাঠচক্র |
১৪) বিএইউ সাইক্লিষ্টস্ |
১৫) বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ |
১৬) বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র |
১৭) চারণ সংস্কৃতিক কেন্দ্র |
১৮) বাঁধন |
১৯) শুভ সংঘ |
২০) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় মিউজিক্যাল রেজিমেন্ট |
২১) বাংলাদেশ ছাত্রলীগ |
২২) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল |
২৩) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা |
২৪) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির |
২৫) সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট |
২৬) বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন |
২৭) ছাত্র জমিয়ত রাংলাদেশ |
২৮) ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ |
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সাফল্য
আন্তর্জাতিক খ্যাতনামা সংস্থা অ্যালপার ডজার (এডি) সায়েন্টিফিক ইনডেক্সের প্রকাশিত ২০২২ সালের বিশ্বসেরা গবেষকদের তালিকায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৬ জন গবেষকের নাম স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরী
কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী. কৃষি বিষয়ক বই সংগ্রহের বিচারে এশিয়ার বৃহত্তম লাইব্রেরী। পুস্তক সংখ্যক প্রায় ২লক্ষ ১২ হাজার। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত তিন তলা বিশিষ্ট এই ভবনে একটি সাইবার কক্ষ রয়েছে
জার্মপ্লাজম সেন্টার. উদ্ভিদের অন্যন্যা সংগ্রহশালা, এটি গবেষণায় বিশ্বের মধ্যে প্রথম এবং আয়তনে দ্বিতীয়। প্রায় ১১হাজার ফলের প্রজাতি নিয়ে গড়ে ওঠেছে জার্মপ্লাজম সেন্টারটি গত ২২বছরে ৬৭টি ফলের নতুন জাত আবিষ্কার করেছে।
কৃষি জাদুঘর. এই জাদুঘরটি বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র কৃষি মিউজিয়াম।
মৎস্য জাদুঘর. ‘বায়ো-ডাইভারসিটি সেন্টার’ বিচিত্র প্রজাতির মাছ, সামুদ্রিক প্রাণি সংরক্ষণের দিক থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় ফিস মিউজিয়াম এটি।
Contact Us
Registrar
Bangladesh Agricultural University, Mymensingh – 2202, Bangladesh.
+880 91-61510
সবশেষে
উচ্চমাধ্যমিক শেষে যারা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা অবশ্যই নিজেদের পছন্দের তালিকায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সর্বপ্রথম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি রাখতে পারেন। প্রায় ১২০০ একর জায়গা বিশিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়টি তে পাবেন সম্পূর্ণ পড়ালেখার পরিবেশ পাশাপাশি উচ্চতর গবেষণার সুযোগ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে রয়েছে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা। আশা করি আর্টিকেল থেকে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হবেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Also Read : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়