Dreamy Media BD

আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণ ও প্রতিকার

আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণ

বর্তমানে আমাদের দেশে প্রায় মানুষের শরীরে আয়রনের অভাব দেখা যায়। বিশেষ করে নারীদের এই সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। নারীদের প্রতি মাসে পিরিয়ডের কারণে দেহে কিছুটা আয়রনের ঘাটতি হয়। এই ঘাটতি যদি আপনি খাবারের মাধ্যমে পূরণ করতে না পারেন তাহলে থেকেই যাবে। কুমড়ো, ডাল, পালং শাক, শাকসবজি ,ছোলা, কচু শাক ,আপেল, শাক, খেজুর ,বাদাম ,সয়াবিন ,সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদিতে আছে প্রচুর পরিমাণ আইরন। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় খাবার গুলো রাখলে শরীরের আয়রনের অভাব অনেকটুকুই দূর করা সম্ভব। আমাদের শরীরের হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো আয়রন। শরীরে যদি আয়রনের অভাব থাকে তাহলে হিমোগ্লোবিন কমে যায় আর এর ফলে রক্তস্বল্পতা সহ নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কি করে বুঝবেন আপনি আপনার শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে কিনা। চলুন জেনে নেই শরীরে আয়রনের ঘাটতির লক্ষণগুলো সম্পর্কে:

আরো পড়ুন – এইডস এর লক্ষণ ও প্রতিকার

আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণ

আমাদের শরীরে আয়রনের অভাব হলে আয়রনের অভাবজনিত কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেয়ে থাকে। আয়রনের ঘাটতি থাকলে যে লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হচ্ছে:

 ১)এনিমিয়া বা রক্তস্বল্পতা:

আমাদের রক্তের অন্যতম একটি উপাদান হচ্ছে হিমোগ্লোবিন। হিমোগ্লোবিন আমাদের শরীরের কার্বন-ডাই-অক্সাইড ,অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পরিবহনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে শতকরা ৭০ ভাগ আয়রন ব্যয় হয়। শরীর যদি আয়রনের ঘাটতি হয় তাহলে হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে বাধাগ্রস্থ হবে। যার কারণে শরীরে হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি এবং পরবর্তীতে তার রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।

২)অনিয়মিত হৃদস্পন্দন:

আয়রনের অভাবজনিত অক্সিজেন স্বল্পতায় শরীরে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন দেখা দেয়। আমাদের শরীরের রক্তে অক্সিজেন কমে গেলে হৃদযন্ত্র প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করার চেষ্টা করে। এজন্য এই সময়ে হৃদযন্ত্র বেশি বেশি পাম্প করে থাকে। পাম্প করার গতি কখনো কম আবার কখনো বেশি থাকে। বুকে হাত দিয়ে এই স্পন্দন অনুভব করা যায়। এমন আরো কিছু ঘটনা ঘটতে পারে যেমন, বুক ধরফর করা, খুব দ্রুত  হৃদস্পন্দন হাওয়া, হৃদপিন্ডের আকার বৃদ্ধি, হার্ট ফেলিওর।

৩)অস্বাভাবিক ক্লান্তি অনুভব করা:

আমাদের শরীরে অক্সিজেন জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। শরীরে যদি আয়রনের অভাব হয় তাহলে হিমোগ্লোবিন কমে যায় যার কারণে অক্সিজেনের প্রবাহ কম হয়। অক্সিজেন কমে যাওয়ার কারণে দেহকোষ অন্যান্য টিস্যুগুলো কাজ করার শক্তি কমে যায় যার কারণে অল্প পরিশ্রম করলে শরীর অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। কিন্তু এখানে সমস্যাটি হচ্ছে আমরা প্রতিদিন কাজকর্ম করলে এমনিতেই ক্লান্ত হয়ে যায় তাই আয়রনের ঘাটতি জনিত কারণের ক্লান্তি আর স্বাভাবিক ক্লান্তির মধ্যে পার্থক্য করা খুব কঠিন হয়ে যায়।

৪) ত্বক ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া:

আয়রনের ঘাটতির অন্যতম প্রধান লক্ষণ হচ্ছে এটি। আয়রনের অভাবের ফলে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। আয়রনের অভাবের কারণে রক্তের পরিমাণ কমে যায় যার ফলে রক্ত লালচে ভাব থেকে ফ্যাকাশে হয়ে যায়। এর কারণেই দেহের ত্বক বিবর্ণ দেখায়।শরীরের অনেক জায়গায় এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে যেমন, দাঁতের মাড়ি, মুখ মন্ডল ,চোখের নিচের পাতার ভেতরের অংশ, নক ,ইত্যাদি।

৫) ঘন ঘন মাথা ব্যাথা:

মস্তিষ্ক আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আয়রনের অভাবে আমাদের শরীরে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। এবং অক্সিজেন পাওয়ার জন্য মস্তিষ্কের রক্তনালী প্রসারিত হতে থাকে। যার ফলে মাথা ঘোরা, ঘন ঘন মাথা ব্যাথা ,মাথা ঝিমঝিম করা, ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।

৬) ফ্যাকাসে জিহ্বা:

সাধারণত মায়োগ্লোবিন এর অভাবে আমাদের শরীরের জিহ্বার রং ফ্যাকাসে হয়ে থাকে। মায়োগ্লোবিন হচ্ছে এক ধরনের প্রোটিন যার গাঠনিক উপাদান হচ্ছে আয়রন। এর জন্য আয়রন কমে গেলে মায়োগ্লোবিন ও কমে যায়। আয়রনের অভাবে জিব্বায় যে লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হচ্ছে, সাদাটে হয়ে যাওয়া, জিহ্বায় ক্ষত হয়ে যাওয়া, জিব্বা ফুলে যাওয়া, জিহ্বা অদ্ভুত রকমের মসৃণ হয়ে যাওয়া, কালশিটে দাগ হওয়া ইত্যাদি।

৭) শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হওয়া:

আয়রনের অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যায় যার কারণে রক্তে অক্সিজেন কম পৌঁছায়। এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাস খুব দ্রুত হয়ে থাকে। শ্বাস বেশিক্ষণ আটকে রাখা যায় না। অস্বস্তি ও ক্লান্তি অনুভব হয়।

৮) মুখে ক্ষত:

আয়রনের অভাবে মুখে ও মুখের চারদিকে কিছু বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এসব বৈশিষ্ট্য ,দেখা দিলেই বুঝতে হবে শরীরে আয়রনের অভাব হয়েছে। যেমন, জিহ্বা ও গালের ভেতরের অংশ জ্বালাপোড়া করা, মুখের ভেতরে শুকিয়ে যাওয়া, মুখের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হওয়া, মুখের দুই পাশে ফেটে লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

৯) মাত্রাতিরিক্ত চুল পড়া:

একজন সাধারণ মানুষ প্রতিদিন গড়ে 60 থেকে 100 টি চুল পড়া স্বাভাবিক। যদি এর বেশি চুল পড়ে তাহলে বুঝতে হবে শরীরে আয়রনের অভাব। আয়রনের অভাবে চুলে আরো কিছু লক্ষণ দেখা যায় যেমন, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া, চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়া, চুল খর বর্ণের হয়ে যাওয়া, চুল ফেটে যাওয়া, চুলের উজ্জ্বলতা নষ্ট হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।

১০) পায়ের ভারসাম্যহীনতা:

একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে পায়ের ভারসাম্যহীনতা প্রায় রোগীর আয়রনের অভাবে হবে। ডোপামিন নামক হরমোন আমাদের শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করে। আয়রনের ঘাটতির কারণে এই হরমোন নিঃসরণ কমে যায়। যার কারণে শরীরে পায়ের ভারসাম্য থাকেনা।

১১) পিরিয়ড ও গর্ভকালীন দুর্বলতা:

পিরিয়ডের সময় মাত্র অতিরিক্ত ব্লিডিং হলে শরীর থেকে আয়রন ও ফলিক এসিড বের হয়ে যায়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় মেনোরেজিয়া বলে। গর্ভাবস্থায় গর্ভের শিশু মায়ের শরীর থেকে আয়রন নিতে থাকে। এর কারণে মায়ের শরীরের আয়রনের অভাব দেখা দেয়। এসব কারণে শরীরে আয়রনের সমস্যা হলে দুর্বলতা সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দেয়।

১২) নখ ভেঙ্গে যাওয়া:

এই লক্ষণটি তেমন একটা দেখা যায় না। আয়রনের অভাবে নখ ভেঙ্গে যায় এমন মানুষ খুবই কম দেখা যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের নখ দুইপাশের অংশ উঁচু এবং মাঝখানের অংশ ডালু হয়ে যায় অনেকটা চামচের মত হয় এটা মূলত আয়রনের অভাব।

১৩) আয়রনের অভাবে থাইরয়েড সমস্যা:

আমাদের শরীরে যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে তাহলে আয়রনের সমস্যা থাইরয়েডের সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। থাইরয়েড থেকে নিঃসৃত হরমোন শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজে অংশ নেয়। এটা যদি সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন, অতিরিক্ত পরিশ্রম করতে না পারা, ওজন অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, শরীরে তাপমাত্রা কমে যায়, শরীরে কোন কারণ ছাড়াই ব্যথা অনুভব করা ইত্যাদি।

১৪) পরিপাক জনিত সমস্যা:

আমরা প্রতিদিন যে খাবার খাই সেই খাবারগুলোতে পরিমাণ মতো আয়রন না থাকলে শরীর আয়রনের অভাব দেখা দেয়। শরীরে যদি আয়রনের অভাব হয় তাহলে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সমস্যা হয়ে থাকে। এর ফলস্বরূপ বদহজম ,পেট ব্যথা ,পুষ্টির অভাব, ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায়।

১৫) অখাদ্য খাবার খাওয়ার  ইচ্ছা:

শরীর আয়রনের অভাব দেখলে ব্যক্তি অখাদ্য খাওয়ার ইচ্ছা করে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এবং শিশুদের এই অদ্ভুত লক্ষণ দেখা যায়। এ সময় ব্যক্তি কাদা ,চক পাউডার ,মাটি ,কাগজ ,ময়লা ইত্যাদি অখাদ্য গ্রস্ত খাওয়ার প্রতি আসক্ত হয়। একে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় পাইকা বলে।

১৬) হতাশায় ভোগা:

ব্যক্তি হতাশায় ভোগে কিন্তু কোন কারণ খুঁজে পায় না। আয়রনের অভাবে এই লক্ষণটি খুব দেখা যায়। এ সময় ব্যক্তি কোন কারণ ছাড়াই উদাসীন থাকে, অল্প কথায় বিরক্ত বোধ হয়, এবং শরীরে অস্বাভাবিক দুর্বলতা অনুভব করে।

আয়রনের অভাবে শরীরে আরো যে সকল লক্ষণ দেখা যায়

উপরে আয়রনের অভাবজনিত লক্ষণগুলো সম্পর্কে জানলাম ।এসব লক্ষণ ছাড়াও আরো বেশ কিছু লক্ষণ আছে চলুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নিন:

১) অস্থিরতা বোধ হয়।

২) মেজাজ খিটখিটে থাকে।

৩) ধৈর্য ক্ষমতা কমে যায়।

৪) শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।

৫) মাংসপেশী অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দুর্বল অনুভব হয়।

৬) হাত পা ঠান্ডা হয়ে যায়।

৭) মস্তিষ্কের  বিকাশ কমে যায়।

৮) স্মৃতিশক্তি কমে যায়।

যেসব খাবার খেলে আয়রনের অভাব পূরণ হয়

শরীরের আয়রনের অভাব দেখা দিলে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয়। এসব দূর করতে নিয়মিত খাদ্য তালিকা আইরন যুক্ত খাবার রাখতে পারেন। দায়রন যুক্ত খাবার খেলে শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ হয়। চলুন দেখে নেই আয়রন যুক্ত খাবার গুলো:

১) লেবু: লেবু ভিটামিন সি সমৃদ্ধ একটি ফল। এটা আমাদের  প্রাকৃতিক  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি আয়রন শোষণে কাজ করে। তাই নিয়মিত লেবু খেলে শরীরের অন্যান্য পুষ্টি উপাদান পাওয়ার সাথে সাথে আয়রনের অভাব ও পূরণ হবে।

২) বেদানা: শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত বেদানা খান। বেদানায় আছে ভিটামিন সি,ক্যালসিয়াম ,ম্যাগনেসিয়াম এছাড়া বাসে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। এক্ষেত্রে আপনি এক গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে বেদানা মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে শরীরের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে। আবার দুধ খেজুর ও বেদানা একসাথে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। এতে আমাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।

৩) আপেল: একটি কথা প্রচলিত আছে যে প্রতিদিন একটি আপেল খেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া লাগে না। আপেলের অনেক গুণ আছে। তাই নিয়মিত প্রতিদিন একটি করে আপেল খান এতে শরীরের আয়রনের ঘাটতি পূরণ হবে। এক্ষেত্রে আপেল পাই ,প্যানকেক ইত্যাদি খেতে পারেন।

৪) কিসমিস: কিসমিস শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে পারে। কিসমিস শরীরে পূরণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক্ষেত্রে কালো কিসমিস বেশি উপকার। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন কিসমিস খেতে।

৫) ডুমুর: ডুমুর একটি পুষ্টিকর ফল। এতে আছে ভিটামিন এ, বি ওয়ান ,বি টু, ক্যালসিয়াম ফসফরাস ,ম্যাঙ্গানিজ ,সোডিয়াম, আয়রন ,পটাশিয়াম এবং ক্লোরিন। প্রতিদিন রাতে কয়েকটি ডুমুর পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে উঠে পানিটুকু ছেকে খেয়ে। এতে রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বাড়বে সেই সাথে দূর হবে আয়রনের অভাব।

৬) জাম: আমাদের দেশে সারা বছর আম পাওয়া যায় না শুধুমাত্র গ্রীষ্মকালে জামের দেখা পাওয়া যায়। জাম শরীরের আয়রনের ঘাটতি মেটাতে দারুন কাজ করে। এর বীজ গুঁড়ো করে খেতে পারেন এতেও অনেক উপকার। জাম খেলে শরীরের রক্ত বাড়ে। ক্ষেত্রে জামের রসের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে খেতে পারেন এতে বেশি উপকার।

৭)বিট: বিট শরীরের লোহিত রক্তকণিকার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। বিটের মধ্যে আছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা তাই যাদের সুগার আছে তারা বিট এড়িয়ে চলুন। বিটের থেকেও বেশি পরিমাণে আয়রন থাকে বিট পাতায়। তাই বেশি ভালো ফলাফল পেতে বিটপাতা খান।

৮)পেস্তা: প্রতিদিন সকালে উঠে তিন থেকে চারটি পেস্তা খেতে পারেন। স্মৃতিশক্তি বাড়ে। পেশ তাতে আছে ৩০ রকমের ভিটামিন। এছাড়া এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আয়রন পাওয়া যায়।

৯) পালং শাক: পালং শাকে আছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার পালং শাক খেতে পারেন এটা আয়রনের খুব ভালো উৎস। পালং শাক পেশি ও শরীরের স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো কাজ করে।

সবশেষে, শরীরে যদি আয়রনের ঘাটতি দেখা যায় এটা কোন ভাবে অবহেলা করবেন না। এই লক্ষণগুলো প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করবেন। শরীরের দীর্ঘদিন যাবত আয়রনের অভাব থাকলে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় আয়রন যুক্ত খাবার গুলো যোগ করুন তাহলে শরীরে আয়রনের অভাব পূরণ করা সম্ভব।

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents