পদ্মার পাড়ের ফেরি ঘাট নামটি সবার কাছে খুবই পরিচিত এবং জনপ্রিয় একটি স্থান। মাওয়া ঘাটে বেশির ভাগ মানুষ এখাকার সৌন্দর্য এবং টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে আসেন। শুধু তাই নয় বিদেশি পর্যটকরাও পদ্মার ইলিশ এর স্বাদ নিতে ভীর জমায় এই মাওয়া ঘাটে।
অনেকের সুপ্ত বাসনা থাকতেই পারে বড় বড় রুটের বাসগুলো সহজে পারাপার করা সেই মাওয়া ঘাট নিয়ে নানান কল্পনা জল্পনা। তাই আজকে আলোচনা করব আমাদের সকলের কাঙ্ক্ষিত মাওয়া ফেরী ঘাট (Mawa Ferry Ghat) নিয়ে।
পদ্মার ইলিশ মাছের জন্য বিখ্যাত মাওয়া ঘাটে কিভাবে যাবেন এবং কি কি আছে দেখার মত ইত্যাদি প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাজানো এই সংক্ষিপ্ত লেখা। তাহলে দেরি না করে আসুন শুরু করা যাক মাওয়া ফেরিঘাট এবং এর সম্পূর্ণ ভ্রমণ টিপস।
মাওয়া ফেরি ঘাটের অবস্থান
মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশের বৃহত্তম ফেরিঘাট মাওয়া ফেরিঘাট। পদ্মা নদীর তীরে অবস্থিত মাওয়া ফেরিঘাট বাংলাদেশ পর্যটন শিল্পের এক বড় সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। বাণিজ্যিকভাবে অনেক বড় অবদান রেখে চলেছে। মাদারীপুরের কাওরাকান্দি ও শরিয়তপুর রুটে এই ঘাটের থেকে ছেড়ে যায় বহু লঞ্চ, স্পিডবোট এবং ফেরী।
মাওয়া ফেরিঘাট দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপনের বড় মাধ্যম। তিন ধরনের ফেরি সার্ভিস রয়েছে এখানে। কে টাইপ ফেরি, রো রো ফেরি এবং ডাম্ব ফেরি এখানকার ফেরির ধরণ। বাংলাদেশ নৌ-মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে এখানে মোট ১৮টি ফেরি চলাচল করে। বড় বড় গাড়ীর বহর নিয়ে এসকল বৃহদাকার ফেরিগুলো পদ্মার বুকে ভেসে চলে।
মাওয়া কাওরাকান্দি ও মাওয়া শরিয়তপুর রুটে সব সময় লঞ্চ এবং ফেরি পাওয়া যায়। এখানে ২৪ ঘন্টায় ফেরি চলাচল করে থাকে। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য মাওয়া ফেরির বদৌলতে ২১টি জেলার জনগণের খুব সহজেই পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগাযোগের সুবিধা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মালবাহী ট্রাক, যাত্রীবাহী বাস, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ছোট বড় যানবাহন এই ফেরিগুলো পার করে নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের উন্নয়নে ভূমিকা পালন করছে।
মাওয়া ফেরি ঘাট থেকে দূরপাল্লার ফেরি পারাপার বাদেও ছোট ছোট লঞ্চ ও স্পিড বোটে করে মানুষ পারাপার হয়ে থাকে। যেসব স্পিড বোট গুলো মাওয়া ঘাট থেকে পদ্মা নদীতে পারাপারের জন্য ব্যবহার করা হয়, মাত্র ২০/২৫ মিনিটের মধ্যে মানুষের এপার থেকে ওপার নিয়ে যায়। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে স্পিডবোট নিয়ে মানুষ পদ্মা সেতুর নিচ থেকেও ভালোভাবে ঘুরে আসতে পারে তার জন্য ভাড়া পড়বে জনপ্রতি মাত্র ১৮০/২০০ টাকা করে।
মাওয়া ফেরিঘাট থেকে বি আই ডব্লিউ কতৃক পরিচালিত ছোট ছোট লঞ্চের ব্যবস্থা আছে। কাওরাকান্দি ও শরিয়তপুরের উদ্দেশ্যে এই ছোট ছোট লঞ্চগুলো প্রতি ১০ মিনিট পর পর ছেড়ে যায়। সেক্ষেত্রে কাওরাকান্দি রুটে লঞ্চ ভাড়া পড়বে জনপ্রতি মাত্র ৬০ টাকা করে।
মাওয়া ফেরিঘাট বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন শিল্প। পর্যটন সমৃদ্ধ এলাকা এই মাওয়া ফেরিঘাট সকল স্তরের মানুষের রুজি রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
আরো পড়ুন – সীতাকুন্ড ইকো পার্ক: আকর্ষনীয় দিক এবং ভ্রমণ টিপস
কিভাবে মাওয়া ফেরি ঘাট যাবেন?
পূর্বাঞ্চল বলেন আর দক্ষিণাঞ্চল বলেন সকল দিক থেকেই মাওয়া ফেরিঘাট যাওয়া খুবই সহজ। এখনকার যাতায়াত ব্যবস্থা এতোটাই উন্নত যে, আপনাকে কোনো ভোগান্তিতে পড়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরিঘাট কেনো যাবেন?
যদি একদিনের জন্য কোথাও থেকে ঘুরে আসার ইচ্ছা করেন। তাহলে ঢাকা টু মাওয়া ভ্রমণ আপনার জন্য বেষ্ট স্পট হতে পারে। মাওয়া ঘাটের আশেপাশে আরও কিছু দর্শনীয় স্থান আছে তা দেখার জন্য যেতে পারেন। প্রথমেই জেনে নেয়া যাক মাওয়া ফেরিঘাট ঢাকা থেকে কতদূর অবস্থিত।
ঢাকা থেকে মাওয়ার দূরত্ব কত?
ঢাকা থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে মাওয়া ফেরিঘাট অবস্থিত। এক ঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়।
ঢাকা থেকে মাওয়া ফেরি ঘাট কিসে করে যাবেন?
কাজের সুবাদে যদি মাওয়া উপর দিয়ে ভ্রমণ না করে থাকেন তাহলে দুটি উপায়ে মাওয়া ফেরিঘাট ভ্রমন করতে পারেন। নিজস্ব গাড়িতে করে বা যৌথভাবে বাস নিয়ে মাওয়া ফেরিঘাট ভ্রমণ করতে পারেন। যদি বাস নিয়ে যৌথভাবে ঘোরাঘুরির উদ্দেশ্যে যান সেক্ষেত্রে আপনার জন্যই সুবিধা হবে। বাস নিয়ে সকলে মিলে গেলে খরচের দিক থেকে অনেকটা বেঁচে যেতে পারেন।
ঢাকা থেকে কিভাবে যাবেন মাওয়া ফেরিঘাট
ঢাকার ফার্মগেট, যাত্রাবাড়ী, মিরপুর ও গুলিস্তান এই চার রুট হয়ে মাওয়া যেতে পারেন খুব সহজেই এবং অতি তাড়াতাড়ি।এই চার জায়গা থেকে ঢাকা টু মাওয়া ফেরি ঘাট বাস সার্ভিস চালু আছে। খুব কম খরচে এখান থেকে বাসগুলো ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে যারা মাওয়া যাবে তাদের অবশ্যই পোস্তগোলা ও বাবুবাজার ব্রিজ পেরিয়ে যেতে হবে।
গুলিস্তান থেকে মাওয়া ফেরিঘাট:-
ঢাকা গুলিস্তানের ফুলবাড়ীয়া বাস টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে মাওয়াগামী ইলিশ ও বিক্রমপুর বাসে করে মাওয়া ফেরি ঘাট ভ্রমণ করতে যেতে পারেন। এখানে এসি ননএসি দুই ধরনের বাস সার্ভিস রয়েছে। ননএসি ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৮০/৯০ টাকা এবং এসি বাসের ভাড়া পড়বে ১২০/১৩০ করে।
এছাড়াও মিরপুর থেকে স্বাধীন এবং গাবতলী থেকে বসুমতী বাস মাওয়া পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে রয়েছে। যাত্রাবাড়ী থেকেও ইলিশ এসি বাস মাওয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এসি বাসের ভাড়া জনপ্রতি ১৩০ এবং ননএসি ভাড়া পড়বে ৭০/৮০ টাকা।
মাওয়া ফেরিঘাটে দেখার মতো আকর্ষণীয় কি আছে?
কর্ম ব্যস্ত দিনকেও কখনো কখনো ছুটি দিয়ে ঘুরে আসতে মন চায় ঢাকার কাছাকাছি এমন কোনো জায়গা থেকে। নির্মল পরিবেশ এবং রকম বাহারী মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে এমন একটা স্থান। যেখানে গেলে একদিনের মধ্যেই মনের সকল আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে ফিরে আসতে পারবেন। তাদের জন্য মাওয়া ফেরিঘাট এলাকাটাই সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট হবে মনে রাখবেন।
মুন্সীগঞ্জে অবস্থিত বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র মাওয়া ফেরিঘাট একটি প্রসিদ্ধ বন্দর স্থান। এখানে মানুষ শুধু পারাপার হওয়ার উদ্দেশ্যে আসে না। কেউ কেউ এখানে সময় কাটানোর উদ্দেশ্যেও এসে থাকেন। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরাও ঘুরতে আসেন। এখানে দেখার মতো কিছু আকর্ষণ রয়েছে তথা:-
পদ্মা সেতু:- এখানেই একটি ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় সম্পদ পদ্মা সেতু। মাওয়া ফেরিঘাট থেকে স্পিডবোট নিয়ে মানুষ পদ্মা সেতুর নিচ থেকে খুব ভালো করে এর সৌন্দর্যতা দেখে আসতে পারে। বাংলাদেশের একটা প্রশিদ্ধ নিদর্শন ও গর্বের স্থাপনা পদ্মা নদীর উপর নির্মিত ব্রীজ।
পদ্মার নদীর সৌন্দর্য:- মাওয়া ফেরিঘাট থেকে স্পিডবোট ভাড়া করে পদ্মা নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন খুব সহজেই। এমনকি নদী পারাপার ও করতে পারেন এখান থেকে। নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য এখানের আশেপাশে ঘুরে বেড়ানোর জন্য ছোট ছোট নৌকা ভাড়াও পাওয়া যায়। ছোট ছোট লঞ্চে করে নদীর এপার থেকে ওপারে পারাপার হতে পারেন। ঘন্টা খানেক লাগবে এই লঞ্চ জার্নি জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৪৫ টাকা করে।
প্রজেক্ট হিলসা:- মাওয়া ফেরিঘাটের সবচেয়ে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট ” প্রজেক্ট হিলসা” থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। এটা শুধু স্বনামধন্য রেস্টুরেন্টই নয় এখানে আছে বাচ্চাদের জন্য কিডস জোন। আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ এই রেস্টুরেন্ট সাধারণ মানুষের ব্যয়বহুল। এখানে একবেলা খাবার জন্য আপনার থেকে বেশ কিছু টাকা খসে যেতে পারে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ:- পদ্মার রূপালী পানির কুলকুল ঢেউ খেলানো সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন কতশত দর্শণার্থী ভিড় জমায় পদ্মা পাড়ের এই মাওয়া ফেরি ঘাটে। পদ্মার পাড়ের গ্রামীন সৌন্দর্য ও কোলাহলমুক্ত পরিবেশ উপভোগ আপনাকে ক্লান্তিহীন করবে কথা দিচ্ছি।
মাওয়া ফেরি ঘাটে কোথায় খাবেন
মাওয়া ফেরিঘাট এলাকা পর্যটন শিল্পের জন্য বিখ্যাত। এখানে মাওয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন বেশকিছু স্বনামধন্য হোটেল এবং রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এখানে সব হোটেল/ রেস্টুরেন্টেই ইলিশ মাছ ভাজা পাবেন।
এখানে একটা সুবিধা হল আপনি পছন্দ মতন ইলিশ মাছ কিনে, এখানে ভেজেই খেতে পারবেন পদ্মার টাটকা ইলিশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শনার্থীরা পদ্মার টাটকা ইলিশ মাছ খাওয়ার জন্য হলেও মাওয়া ফেরিঘাট দর্শণ করতে ভুল করেন না।
এখানকার সব হোটেল/রেস্টুরেন্ট গুলোতে ইলিশ মাছ ভাজার পাশাপাশি নানা রকমের ভর্তা দিয়ে থাকে। ইলিশ মাছের লেজ ভর্তা, বেগুন ভাজা, ইলিশ মাছের ডিম ভাজি,অন্য মাছের ভর্তা, কালোজিরা ভর্তা,শুকনো মরিচ ভাজা থাকবেই। এছাড়াও আপনি আপনার পছন্দ মত আইটেম নিয়ে খেতে পারবেন। এখানকার ইলিশ মাছগুলোর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশিই মনে হয়। যদিও তারা দাবী করে এই মাছ পদ্মারই।
চাঁদপুর, বরিশাল থেকেও ইলিশ আসে এখানে। এখান থেকে মাছ কিনে আপনার সামনেই কাটাকাটি করে ভেজে খেতে দেবে ধোঁয়া ওঠা ভাতের সাথে। যারা পিস হিসেবে কিনে খেতে চান তাদের জন্য সাইজ অনুযায়ী একপিস পড়বে ৮০/১০০ টাকা করে। যদি মাওয়া ফেরিঘাটের হোটেলগুলোতে খাবারের মুল্য বেশি মনে হলে নদীর ওপারে কাওরাকান্দি ঘাটে চলে যেতে পারেন। কাওড়াকান্দি ঘাটের পাড়েও দেখতে পাবেন অনেক হোটেল আছে।
কম খরচে উন্নত মানের রেস্টুরেন্ট পাবেন কাওরাকান্দি ঘাটে। এখানে গেলেও তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে পারবেন। ইলিশ ভাজা তেল দিয়ে গরম ভাত মেখে খেতে কত যে অসাধারণ তা এখানে গেলেই টের পাবেন। মাওয়া ফেরি ঘাটের হোটেল ও রেস্টুরেন্ট গুলো একসময় প্রচুর পরিমাণে ভিড় থাকতো। খাবার টেবিলগুলো থাকতো জমজমাট। পদ্মা ব্রিজ তৈরি হওয়ার পর থেকে এখানে মানুষের আনাগোনা আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে।
তারপরও যেহেতু এটা একটা পর্যটন এলাকা তাই কমবেশি সব সময় মানুষজনের ভিড় লেগেই থাকে। হোটেল গুলো মানুষের সেবা দেওয়ার জন্য সবসময় অনুপ্রাণিত থাকে। ইলিশ ছাড়াও এখানে নদীর অন্যান্য মাছের আইটেম পাওয়া যায়। দামাদামি করে এখানে ইলিশ মাছ কিনলে ঠকাতে পারবে না।
মাওয়া ফেরি ঘাটের বাজার
মাওয়া ফেরি ঘাট এলাকায় বাণিজ্য করতে এখানে গড়ে উঠেছে জমজমাট বাজার। সকল পণ্য কিনতে সুবিধা এই বাজারে। পদ্মা নদীর তাজা হরেক রকমের মাছের সমারোহ রয়েছে এই বাজারে। বরিশাল, চাঁদপুর থেকে আমদানি করা হয় ইলিশ। এছাড়াও পদ্মার তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করতে অনেক মানুষ সকালে ছুটে আসেন ইলিশ কিনতে।বরফ ছাড়া মাছ কিনে নিয়ে যেতে পারেন।
এছাড়াও মৌসুমী ফলের যোগান দেয় এই বাজার। নদীর টাটকা মাছের পাশাপাশি হরেক রকমের সুস্বাদু মৌসুমী ফল নিয়ে যেতে পারেন আপনার থলিতে। বিশেষ করে টাটকা ইলিশ মাছ কেনার জন্যই বেশিরভাগ দর্শনার্থী এই বাজারে ভিড় জমায়। নদীর থেকে সদ্য আনা মাছ তাই ক্রেতারা বেশি দাম হাকায়। দামাদামি করে এখানে ইলিশ মাছ কিনতে পারলে জিতবেন আপনি।
ইতিকথা
বাংলাদেশ নৌ-মন্ত্রনালয়ের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মাওয়া ফেরি ঘাট দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী এলাকা। কাজের সুবাদে হোক বা ভ্রমণ করতে মাওয়া ফেরি ঘাটে কখনো আসার সুযোগ হয় তখন এই আর্টিকেলটা আপনার জন্য কাজে দেবে। পদ্মা নদীর পাড়ে মাওয়া ফেরি ঘাটের মনোরম দৃশ্য ও নির্মল বাতাস সেবন করতে প্রতিদিন কত দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে আসেন। পদ্মার বুকে সূর্যাস্ত ডোবার অপূর্ব দৃশ্য দেখার জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।ধোঁয়া ওঠা গরম ফেনা ভাতের সাথে তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ করার জন্য আপনি একবার হলেও মাওয়া ফেরি ঘাটে আসবেন আশা রাখি।