Dreamy Media BD

মুক্তাগাছা রাজবাড়ী

মুক্তাগাছা রাজবাড়ী

বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত ৩০০ বছরের এই প্রাচীন রাজবাড়ীটি। ময়মনসিংহের সবচেয়ে সেরা রাজবাড়ীটি হলো মুক্তাগাছা রাজবাড়ী। এই জমিদার বাড়িতে প্রায় ১৬ জন জমিদার শাসন কার্য পরিচালনা করেছিলেন। প্রায় ১০০ একর জায়গা নিয়ে ময়মনসিংহ শহর থেকে ১৭ কিলোমিটার দূরে মুক্তাগাছায় দাড়িয়ে আছে এই সুবিশাল জমিদার বাড়ি।

রাজবাড়ী বা জমিদার বাড়ির নাম শুনলেই মনে পড়ে যায় পুরনো দিনের সেই প্রাচীন স্থাপনা শৈলীর অপরূপ কারুকাজ এবং জমিদারদের নানান ঐতিহ্যের কথা। তাছাড়া জমিদার বাড়ি ভ্রমনে গেলে জানা যায় প্রাচীন সভ্যতার লুকিয়িত সব তথ্য।আজকে আমি আপনাদের সামনে মুক্তাগাছার রাজবাড়ীর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব।

মুক্তাগাছা রাজবাড়ীর ইতিহাস

১৭২৫ সালে মুক্তাগাছা শহরের গোড়াপত্তন করেন জমিদার আচার্য্য চৌধুরী বংশ এবং এখানেই তারা বসতি স্থাপন করেন। শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য ছিলেন আচার্য চৌধুরী বংশের প্রথম পুরুষ এবং তিনি বগুড়া শহরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে যখন পলাশী যুদ্ধের অবসান ঘটে তখন শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য চৌধুরী তার ৪ সন্তান নিয়ে নৌকাযোগে ব্রহ্মপুত্র নদ পাড়ি দিয়ে ময়মনসিংহে আসেন। তখন মুক্তাগাছার নাম ছিলো বিনোদনবাড়ি।

তখনকার সময় একটি রেওয়াজ ছিলো যে, রাজা বাদশাহরা এলাকায় আসলে অত্র এলাকার প্রজারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী রাজাকে নজরানা দিতেন। ঐ সময় মুক্তা নামে একজন গরীব কর্মকার ছিলেন এবং জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্যের আগমন উপলক্ষে তিনি নিজে হাতে পিতলের একটা গাছা তৈরি করেন (গাছা হলো দীপাধার বা প্রদীপ)। এবং নজরানা হিসেবে তিনি এটি জমিদার আচার্য্যকে উপহার দেন। সে সময়ের সেরা নজরানা হিসেবে মুক্তা নামক কর্মকারের পিতলের এই গাছা নির্ধারন হয়। এ জন্যই মূলত জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য এলাকাটির নাম বিনোদনবাড়ি থেকে পরিবর্তন করে মুক্তা ও গাছা কে একত্রিত করে এলাকাটির নাম রাখেন “মুক্তাগাছা”।

শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য তার কৃতিত্বের পুরস্কার হিসেবে মুর্শিদ কুলি খাঁ এর কাছ থেকে এই মুক্তাগাছা বসতির জমিদারি পান। জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য ব্রিটিশ রাজন্য কর্তৃক ২ টি উপাধি পান, যার একটি হলো রাজা এবং অন্যটি হলো মহারাজা। আর এই উপাধিকে কেন্দ্র করেই জমিদারের বাসভবনটি রাজবাড়ি হিসেবে আখ্যায়িত হয়।

জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্য মুর্শিদাবাদে কর্মরত ছিলেন রাজস্ব বিভাগে। এখানে কর্মরত অবস্থায় তিনি নবাবের খুবই আস্থাভাজন ব্যক্তি হয়ে উঠেন এবং ১১৩২ সালে তিনি আলাপসিং পরগণার অন্তর্ভুক্ত করার বন্দোবস্ত নিয়েছিলেন।
১৮শ’ দশকে বিশাল এক ভূমিকম্পে জমিদার বাড়ি ধ্বসে পড়ে এবং পরবর্তীতে ভারত ও লন্ডনের সুদক্ষ কারিগর দ্বারা আরো মজবুত করে জমিদার বাড়ি পূণঃ নির্মিত হয়। ১৯৪৭ সালের পর জমিদার শ্রীকৃষ্ণ আচার্য্যের ১৬ জন বংশধরের মধ্যে প্রায় সকলেই ভারতে চলে যান। তারপর থেকেই জীর্নশীর্ন এবং পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে মুক্তাগাছা রাজবাড়ীটি। এই রাজবাড়ির ১৬ টি অংশ ১৬ জন জমিদার শাসন করতেন। বর্তমানে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা রাজবাড়ীটি বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তত্বাবধানে রয়েছে।

আরো পড়ুন – জমিদার সাহেব বাড়ি

 

মুক্তাগাছা রাজবাড়ীতে কি কি আছে?

দীর্ঘ একটি সময় কেটে যাওয়ার রাজবাড়ীটি হারিয়ে ফেলেছে তার ঝকঝকে ঐতিহ্য ও সৌন্দর্য। রাজবাড়ীটি এখন ভগ্নপ্রায় হলেও এর সগর্ভ এখনো জানান দেয় আমাদের পুরনো দিনের ঐতিহ্যকে। তবে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই মুক্তাগাছা রাজবাড়ীটি সংস্করণ কাজ শুরু করেছেন এবং অনেকটা সম্পূর্ণ ও করেছেন।

রাজবাড়ীর প্রবেশমুখেই আছে বিশাল একটি সিংহ দরজা এবং এ সিংহ দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে প্রথমে চোখে পড়বে খালি ফোকর যেখানে ছিলো মূল্যবান পাথর, চিনামাটি এবং সিমেন্টের তৈরি সিংহ। রাজবাড়ীর আভিজাত্যের প্রতিক হিসেবে ফটকের দুই পাশের করিডরের পাশে তিনটি করে মোট ৬টি সিংহের মূর্তি ছিলো। এর জন্যই মূলত এই ফটকের নাম ছিলো সিংহ দরজা।

সিংহ দরজা দিয়ে একটু সামনে এগোলেই চোখে পড়বে আঙিনার মত খানিকটা খোলা জায়গা এবং এর পরেই রয়েছে মন্দির। এখানকার কষ্টিপাথরের বিগ্রহটি অনেক আগেই হারিয়ে গেছে আর রিক্ত হয়ে পড়ে আছে পূজামণ্ডপ। মন্দিরের মেঝেতে ছিলো দামি মার্বেল পাথর ও টাইলস বিছানো এগুলোও লোট পাট হয়েছে সাথে দরজা জানালার কপাটগুলো পর্যন্ত লুট হয়।

মন্দির থেকে হাতের ডান পাশেই রয়েছে ফাঁসি ঘর। এখানে অবাধ্য প্রজা এবং অপরাধীদের মৃত্যু দন্ড কার্যকর করা হতো। এ ঘরের সামনে ছিলো একটি গর্ত, এ গর্তের সাথে সংযোগ ছিলো ব্রহ্মপুত্র নদের এবং মৃতদন্ড প্রাপ্ত লাশটিকে এই গর্তে ফেলে দেওয়া হত যাতে জোয়ারের পানির সাথে ভেসে যায় লাশ।

Muktagacha Rajbari

রাজবাড়ীর ভিতরে রয়েছে অনেক ভবন তারমধ্যে হলো জমিদারের মায়ের ঘর, দরবার হল, কাচারিঘর, অতিথিঘর, সিন্দুকঘর এবং আরও অন্যান্য ঘর। এই সিন্দুকের ভিতরেই থাকতো জমিদারের মূল্যবান সম্পদ। জমিদার আচার্য্য চৌধুরীর পরবর্তী বংশধর ছিলেন জমিদার জগৎ কিশোর। তিনি খুব জ্ঞান চর্চা করতেন এবং সেই সুবাধে তিনি ব্যক্তিগত বিশালাকার এবং মূল্যবান বইয়ের একটি লাইব্রেরি গড়ে তোলেন। যা ততকালীন পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে বৃহৎ লাইব্রেরি ছিলো। এই দূর্লভ লাইব্রেরিটি কয়েক বার হুমকির সম্মুখীন হয়। এই লাইব্রেরিতে প্রায় ১০,০০০ বই সংরক্ষিত ছিলো। বিভিন্ন ধরনের দূর্লভ বইয়ের সমগ্র ছিলো এই গ্রন্থাগারে তালপাতায় লিখিত পুঁথি থেকে শুরু করে এনসাইক্লোপিডিয়া অব ব্রিটানিকার মতো দূর্লভ বইগুলোও ছিলো। তবে, সময়ের বিবর্তনে অনেক বই নষ্ট হয়ে যায় তারচেয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় আরও বেশি ক্ষতিগ্রস্হ হয় এই লাইব্রেরিটি। বর্তমানে মুক্তাগাছা বাংলা একাডেমীতে রক্ষীত আছে এর কিছু অংশ।

রাজবাড়ীর ১৬টি ভবনেই গড়ে তোলা হয় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। তারমধ্যে শহীদ স্মৃতি সরকারি কলেজ, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, নবারুণ বিদ্যানিকেতন ইত্যাদি। এছাড়াও জমিদারদের বেশ কয়েকটি বাড়ি অবৈধভাবে বেদখল করে অনেকেই বসবাস করে আসছে।

শুধু স্থাপনা নয় মুক্তাগাছা রাজবাড়ীর জমিদারগণ রোপন করেন বিভন্ন প্রজাতির গাছ পালা, ফুল ও ফলের বাগান। যদিও জমিদারগণ এখন গত হয়েছেন তবে আমাদের জন্য রেখে গেছেন তাদের স্মৃতি গুলো। মুক্তাগাছার রসুলপুর বনে এখনো দেখতে পাওয়া যায় বিশাল আকারের শাল ও গজারির গাছ। আবার লালমাটিতে বিশাল আনারস বাগান যার দিকে তাকালে মন তৃপ্তি পায়। প্রতিনিয়ত দেশীয় এসব গাছের পাতার ফাঁকে ফাঁকে খেলা করে সোনালী রোদের আলো। ভোর বেলায় এসব বাগানে শুনতে পাওয়া যায় নানান প্রজাতির পাখিদের কিচিরমিচির। সব কিছু মিলিয়ে মুক্তাগাছা রাজবাড়ী আপনাকে এক অপার আনন্দ উপভোগ করার নিমন্ত্রণ জানায়।

সময় করে একবার ঘুড়ে আসুন অদূরের এই রাজবাড়ী থেকে। এতে আপনার মন ও প্রান প্রকৃতির এক মনোরম পরিবেশে এবং সেই সাথে জমিদারদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের রুপরেখায় পরিতৃপ্ত হয়ে উঠবে।

মুক্তাগাছা রাজবাড়ী কিভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে অনেক গুলো বাস ময়মনসিংহ রোডে সচল আছে এবং সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা। বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে আলম এশিয়া, শামীম এন্টারপ্রাইজ, নিরাপদ এবং শৌখিনসহ আরো অনেকগুলো। ঢাকা টু ময়মনসিংহে বাস ভাড়া ২৬০ টাকা আনুমানিক।

যদি আপনি ঢাকা থেকে ট্রেনে ময়মনসিংহ ভ্রমন করতে চান তাহলে বেশ কয়েকটি ট্রেনে আপনি ময়মনসিংহ পৌঁছাতে পারেন। যেমন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস এবং হাওর এক্সপ্রেস। শ্রেনীর উপর নির্ভর করবে ভাড়া, তবে প্রায় সর্বনিম্ন ১২০টাকা এবং সর্বোচ্চ ২৭১ টাকা ভাড়া প্রায়। ট্রেনে ময়মনসিংহ পৌঁছাতে ঢাকা থেকে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা।

ঢাকা থেকে সরাসরি ইসলাম পরিবহনে মুক্তাগাছা আসা যায় তবে সেক্ষেত্রে সময় একটু বেশি লাগে।
বাসে অথবা ট্রেনে যেকোনো পরিবহনে ময়মনসিংহ আসলে তারপর টাঙ্গাইলগামী যেকোনো বাসে ২০ থেকে ৩০ টাকা ভাড়ায় মুক্তাগাছা গিয়ে নামতে পারবেন। আর সিএনজি তে যেতে চাইলে জনপ্রতি ভাড়া হলো ৪০-৪৫ টাকা। মুক্তাগাছা নেমে হেঁটে কিংবা রিক্সা করে মুক্তাগাছা জমিদার বাড়িতে যেতে পারবেন।

মুক্তাগাছায় থাকবেন কোথায় এবং খাবেন কি?

থাকার জন্য মুক্তাগাছায় অনেক গুলো সাধারন মানের আবাসিক হোটেল আছে, আপনি চাইলে এগুলোতে রাত্রীযাপন করতে পারেন তাছাড়া যদি ভালো মানের হোটেলে থাকতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে ময়মনসিংহ শহরে।
সারা দেশের মানুষের কাছে সুপরিচিত মুক্তাগাছার সবচেয়ে বিখ্যাত খাবার হলো মুক্তাগাছার মন্ডা। রাজবাড়ীর সামনেই রয়েছে প্রায় ১৫০ বছরের পুরনো এবং সুনামধন্য এই মন্ডার দোকানটি।

তাছাড়া ভারি খাবার খেতে চাইলে মুক্তাগাছা বাজারে পাবেন মোটামুটি মানের হোটেল অথবা আপনি যদি ভালো মানের খাবার হোটেল খোঁজেন তাহলে ময়মনসিংহ শহরের প্রেসক্লাব ক্যান্টিন, হোটেল ধানসিঁড়ি এবং হোটেল সারিন্দাতে মান সম্পূর্ন খাবার খেতে পারেন।

ডিয়ার অডিয়েন্স, আশা করি মুক্তাগাছা রাজবাড়ী সম্পর্কে বেশ কিছু ধারনা পেয়েছেন। শুধু মাত্র ধারনা দেওয়াই আমার উদ্দেশ্য নয় বরং বাংলার আনাচে কানাছে লুকায়িত ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে আপনাদের সামনে তুলে ধরাই হলো আমার কন্টেন্টের মূল উদ্দেশ্য।

তাই যদি ভ্রমণ করতেই হয় দেশের বাহিরে নয় এই বাংলার সৌন্দর্যকে উপভোগ করার জন্য, ভ্রমনের নিত্য নতুন প্ল্যান তৈরি করুন। মুক্তাগাছা রাজবাড়ীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেক মানুষ ভ্রমনে আসেন। যেমন, শিক্ষা সফর, পারিবারিক ভ্রমন এবং প্রতিষ্ঠানিক সফর।

আপনি চাইলে প্রিয়জন,পরিবার, আত্নীয় স্বজনসহ একটি ফ্যামেলি টোরে মুক্তাগাছা রাজবাড়ী ভ্রমন করতে পারেন। ভালো থাকুন সবসময় এবং নিরাপদে ভ্রমন করুন বাংলার মাটিতে, সেই সাথে আপনার পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিন বাংলার অজানা ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents