পুরান ঢাকা হলো ঢাকা মহানগরীর প্রাচীনতম অঞ্চল। এটা হলো ঢাকার পুরনোতম অংশ,নাম তাই পুরান ঢাকা। নতুন ঢাকার সাথে এর বয়সের পার্থক্য প্রায় চারশো বছরের।
তাই এই ঢাকার এই অংশটুকু পুরান ছাড়া কী-ই বা হতে পারে!
বাংলাদেশের অন্যান্য অঞ্চলের সাধারণ বাঙালীদের সংস্কৃতির থেকে এখান কার সাংস্কৃতি অনেকটাই আলাদা।
পুরান ঢাকা পূর্ব-পশ্চিমে গেন্ডারিয়া ফরিদাবাদ থেকে হাজারীবাগ ট্যানারি মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত। আমরা আজকে পুরান ঢাকার সাতসতেরো জানার চেস্টা করবো।
সংক্ষেপে পুরান ঢাকার ইতিহাস
চলুন আজ পুরান ঢাকার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস সম্পর্কে জেনে আসি,
প্রথমত: ৭০০ থেকে ১২০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে পূর্ববজ্ঞের ঢাকা নামক অঞ্চলটি বুড়িগঙ্গা ন্দীর তীর ঘেষে শহর গড়ে উঠে। ইতিহাসবিদদের মধ্যে ঢাকার সঠিক ইতিহাস নিয়ে ব্যাপক মতভেদ দেখা যায়। কথিত আছে সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের এলাকাগুলোতে ভ্রমণকালে সন্নিহিত হিন্দুদের দেবী দূর্গার বিগ্রহ খুজে পান।
দেবীর প্রতি শ্রদ্ধা স্বরুপ তিনি সেখানে একটি মন্দির তৈরি করেন। যেহেতু দেবী দূর্গার বিগ্রহ ঢাকা অবস্থায় ছিলো সেই দিকে লক্ষ্য রেখে রাজা বল্লাল সেন মন্দিরের নাম রাখেন ঢাকেশ্বরী মন্দির।
এই মন্দিরের নাম আনুসারে কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসাবে গড়ে ওঠে।
দ্বিতীয়ত: আবার অন্যান্য ইতিহাস বিদগণের মতে মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর ১৬১০ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা কে সুবাহ বাংলার রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করেন।
সুবাহ বাংলা বর্তমান বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবজ্ঞ,বিহার, ঝাড়খন্ড,এবং উড়িষ্যার বেশ কিছু অঞ্চল বোঝায়।
রাজধানী ঘোষনা ঘোষনা করায় সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহি:প্রকাশ স্বরুপ ঢাক বাজানোর জন্য বলেন।
এই ঢাক বাজানোর লোকমুখে অনেক প্রচার হয়,এর পর থেকেই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়।
তৃতীয়ত: মুঘল সাম্রাজ্যের বেশ কিছু সময় ঢাকা সম্রাট জাহাঙ্গীরের প্রতি সম্মান জানিয়ে জাহাঙ্গীরনগর নামে পরিচিত ছিলো।
পুরান ঢাকার প্রাশসন
পুরান ঢাকা মোট ৮ টি মেট্রীপলিটন থানা নিয়ে গঠিত। এই গুলো হলো:
- গেন্ডিরিয়া
- হাজারীবাগ
- চকবাজার
- লালবাগ
- বংশাল
- কোতায়ালী
- ওয়ারী ও
- সুত্রাপুর
পুরান ঢাকা ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশন এর অন্তর্ভুক্ত একটি অঞ্চল। পুরান ঢাকার পশ্চিমে মুহাম্মাদপুর উত্তরে ধানমন্ডী,নিউমার্কেট,শাহবাগ,রমনা, মতিঝিল ও সবুজবাগ, পূর্বে অবস্থিত।
পুরান ঢাকার যাতায়াত ব্যবস্থা
প্রাচীন এই শহরের রাস্তাগুলো খুব বেশি চওড়া না হাওয়ায়, পুরান ঢাকার প্রধান বাহন হলো রিকশা। তবে, যে কোন মালামাল পরিবহনের জন্য মানুষ টানা চাকা গাড়ি ব্যবহার করা হয়। যান্ত্রিক বাহিন গুলোর মধ্যে আছে বাস,টেম্পু,সি এন জি চালিত অটোরিকশা। ঢাকার এই পুরান অংশটুকু বাণিজ্যিক অঞ্চল হওয়ায় মালপত্র পরিবহনের জন্য রাতে বড় বড় ট্রাক চলে।
এছাড়া দিনের অন্যান্য সময় গুলোতে দুই একটি টমটম ও চোখে পড়ে।
পুরান ঢাকার ভাষা ও তাদের সংস্কৃতি
পুরান ঢাকা, নতুন ঢাকার তুলনায় অনেকটাই রক্ষণশীল। এখানকার স্থানীয় অধিবাসী আদি ঢাকাইয়া। দিল্লীর সাংস্কৃতির সাথে পুরান ঢাকার সাংস্কৃতির অনেকটা মিল লক্ষ্য করা যায়।
পুরান ঢাকার মানুষ জন কিছুটা পৃথক ধরণের ভাষাতে কথা বলে৷ এদের ভাষার মধ্য বিভিন্ন ভাষার শব্দের ব্যবহার দেখা যায়। তাদের এই ভাষাকে বলা হয় কুট্টি ভাষা।
নিন্মে নতুন ঢাকা ও পুরান ঢাকার ভাষার একটি উদাহরণ নিন্মে দেওয়া হলো:
পুরান ঢাকা
আচমানে ম্যাগ না থাকলে বারিছ আইবো কইথনে।
নতুন ঢাকা
আকাশে মেঘ না থাকলে বৃষ্টি হইবো কই থেকে।
পুরান ঢাকার লোকেরা খুব বুদ্ধিমান, চতুর হয়ে থাকে। কিন্তু তাদের ব্যবহার অনেক অমায়িক হয়ে থাকে। অতিথিদের আপ্যায়নে পুরান ঢাকার লোক দের জুড়ি মেলা বড়ই ভার।
পুরান ঢাকার লোকজন অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় ধর্ম সচেতন। সংখ্যাগুরু ধর্ম হলো ইসলাম। আপনি যদি পুরান ঢাকাতে যান তাহলে প্রতিটি মহল্লায় দুইটি অথবা একটি মসজিদ চোখে পড়বে। এই জন্য ঢাকাকে মসজিদের শহর বলা হয়ে থাকে।
পুরান ঢাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ
পুরান ঢাকাতে অবস্থিত রয়েছে দেশের আদি ও প্রাচীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ। নিন্মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোর নাম উল্লেখ করা হলো:
- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ
- ঢাকা কলিজিয়েট স্কুল
- সেন্ট গ্রেগ্রিজ হাই স্কুল এন্ড কলেজ
- ইন্সটিটিউট অব লেদার টেকনোলজি
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- পোগোজ স্কুল
- আরমানিটোলা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়
- কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইন্সটিটিউট
- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
কয়েকটি দর্শনীয় স্থান
পুরান ঢাকার অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। যার ঐতিহাসিক গুরুত্ব আছে দেশ-বিদেশে। যা বিভিন্ন মানুষকে এখানে টেনে আনে। সদরঘাটে লঞ্চ আগমন ও প্রস্থান এবং ডিঙ্গি নৌকার উত্তাল অবস্থা সত্যিই অনেক অকর্ষণীয়।
তাই একদিন প্ল্যান করে ঘুরে আসতে পারেন পুরান ঢাকার সকল দর্শনীয় স্থান।,
দশর্নীয় স্থানের প্রথমেই আছে ঢাকার নামের সাথে জড়িত ঢাকেশ্বরী মন্দির।
নিন্মে আরো কয়েকটি দর্শনীয় স্থানের নাম উল্লেখ করা হলো।
- তারা মসজিদ
- হোসেনি দালান
- আহসান মঞ্জিল
- শাখারিবাজার
- বড় কাটার
- সদরঘাট ঢাকা
- করতলব খান মসজিদ
- খান মোহাম্মাদ মৃধা মসজিদ
- ঢাকা মেডিকেল কলেজ
- লালকুঠি
- পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার
- আর্মেনীয় গির্জা
- কার্জন হল
- চকবাজার শাহী মসজিদ
- রুপলাল হাউজ
- পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার
- আরমানীটোলা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়।
- লালবাগ কেল্লা
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার সমূহ
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো সত্যিকার অর্থে জিভে জল আসার মত। সুস্বাদু খাবারের সমারোহ যারা রয়েছে বাহারি সব নাম। সুদীর্ঘ ৪০০ বছরের অধিক সময় ধরে পুরান ঢাকা মানেই বিখ্যাত খাবারের জন্য বিখ্যাত। আপনাদের সুবিধার জন্য বাহারি সব খাবারের নাম এবং হোটেল গুলোর ঠিকানা নিন্মে উল্লেখ করা হলো।
- কাচ্চি,গ্লাসি মোরগ পোলাও (হোটেল রাজ্জাক)
- কাচ্চি,জাফরান বাদামের শরবত,চিকেন টিক্কা সেরা লাবান, কাশ্মীরী নাম। (লালবাগ রয়্যাল)
- নবাবপুর রোডে খাসির লেকুশ, চিংড়ি,ফালুদা। (হোটেল স্টার)
- নবাবপুর আরজূ হোটেল এর মোরগ পোলাও, নাশতা আর কাচ্চি।
- নারিন্দার ঝুনি বিরিয়ানি
- নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানি।
- নাজিমুদ্দিন রোডের অনেক ধরনের ভর্তা। (হোটেল নিরিবের)
- নাজিরা বাজারের হাজি বিরিয়ানির এর উলটা দিকের হানিফের বিরিয়ানি।
- বংশালের শমস আলীর ভুনা খিচুড়ি, কাটারী পোলাও।
- বেচারাম দেউরীতে অবস্থিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ পোলাও।
- ঠাটারি বাজারের কাচ্চি বিরিয়ানি,লেগ রোস্ট আর ফালুদা।(স্টারের)
- ঠাটারি বাজারের গ্রীন সুইটস এর আমিত্তি,জিলাপি।
- রায় সাহেবের বাজারের গলিতে মাখনের মিয়ার পোলাও।
- রহীম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি। (সুত্রাপুর বাজার)
- রহমানিয়া এর কাবাব।(গেন্ডেরিয়া)
- নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংস আর পরোটা। (কালতা বাজার)
- ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের চা।
- সিটি বিরিয়ানি ও কাচ্চি। (দয়াগঞ্জ)
- নারিন্দার সফর বিরিয়ানি।
- আরমানীটোলা তারা মসজিদের পাশে চটপটি। (জম্নান মামার)
- মাজাহার সুইটস। (সিদ্দিক বাজার)
- ডালপট্টির বুদ্ধুর পুরি। (সুত্রাপুর)
- কলকাতা কাচ্চি ঘর। (আবুল হাসানাত রোড)
- রায় সাহেবের বাজারের বিউটি লাচ্ছি আর চকবাজারের নুরানী শরবত।
- সোনা মিয়ার দই। ( গেন্ডেরিয়া)
- মীরা মিয়ার চিকেন ফ্রাই আর গরুর শীক। (লালবাগ মোড়ে)
- মতিঝিল শাপলা চত্বরের হিরাঝিলের চা।
- গেন্ডেরিয়া ভাটিখানার হাসেম বাজ্ঞালির ডালপুরি।
- রায়সাহেব বাজারের আল ইসলামের মোরগ পোলাও, চিকেন টিক্কা।
- বিখ্যাত ক্যাফে কর্ণার এর কাকলেট ও চপ। (বাংলাবাজার)
- বিখ্যাত চরজ্ঞী হোটেলের পরোটা, ডাল। (বাংলাবাজার)
- কাফে ইউসুফের নান এ চিকেন। (রায় সাহেবের বাজার)
- মরণ চাঁদ মিষ্টির দোকানের ভাজি পরোটা, মিস্টি ও টক দই। (নবাবপুর)
- মাসহুর সুইট মিলের লুচি,ভাজি আর ডাল। (লক্ষীপুর বাজার)
- পাক পাঞ্জাতন এর মজার তেহারি। (লালবাগ)
- ওয়াইজ ঘাটের নানা রেস্তোরাঁ
- অমূল্য সুইটস এর পরোটা ভাজি। (শাখারীবাজার)
- কাশ্মীরের কাচ্চি। (তাতীবাজার)
- নারিন্দায় সৌরভ এর মাঠা আর ছানা।
- কলকাতা কাচ্চি ঘর। (আবুল হাসানাত রোড)
- আবুল হাসানাত রোডের দয়াল সুইটস এর মিষ্টি।
- রাসেল হোটেলের নাশতা। (নারিন্দায়)
- বটতলার কাবাব। (ঠাকারিবাজার)
- হোটেল খান এর টাকি মাছের পুরী। (টিপু সুলতান রোডে)
- পাতলা খান লেনের লুচি-ভাজি। (লক্ষীপুর বাজার)
- হাজী ইমাম এর বিরিয়ানি। (বেচারাম দেউড়ি)
পুরান ঢাকার অর্থনীতি ও বানিজ্য
পুরান ঢাকা বাংলাদেশের প্রধান অর্থনীতি ও বানিজ্যকেন্দ্র। এখানকার চকবাজার এলাকায় সব রকমের পন্য সামগ্রীর সুলভ মূল্যে ক্রয় বিক্রয় হয়। এখান থেকেই ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের শপিং মল গুলো তাদের মালামাল গুলো পাইকিরি দরে কিনে নিয়ে যান।
আপরদিকে মৌলভীবাজার হলো কম সময়ে পচনশীল নয়, এমন সব খাদ্যপণ্যের বড় ধরনের বিক্রয় অঞ্চল। কাওরানবাজার এর দোকানদার গুলো এখান থেকেই তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য কিনে নিয়ে যায়।
তাছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পুরান ঢাকা অনেক বড় একটা ভুমিকা পালন করে।
যেমন, আমরা জানি চামড়া শিল্প হলো বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী শিল্প।
আর বাংলাদেশের বৃহত্তম এবং দক্ষিন এশিয়ার মধ্যে প্রধান চামড়া প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলটি পুরান ঢাকার হাজারী বাগ এলাকায় অবস্থিত।
- লালবাগের পোস্তা হলো দেশের অন্যতম কাচা চমড়া সংরক্ষণকারী অঞ্চল।
- ইসলামপুর হলো থান কাপড়ের বিপনন অঞ্চল।
এছাড়াও অর্থনীতি ও বানিজ্যের জন্য পুরান ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল গুলো হলো:
মিটফোর্ড,সিদ্দিকবাজার, আলুবাজার,নবাবপুর,সদরঘাট, বংশাল,পটুয়াখালী ,নয়াবাজার।
এখান কার স্থানীয় অধিবাসীরা মুলতঃ ব্যবসায়ী। স্থানীয় অধীবাসিরা বংশ পরম্পরায় ব্যবসা করে আসছে। গ্রাম থেকে যারা যায় তারা সাধারণ বিভিন্ন চাকরীর সাথে জড়িত থাকে।
পুরান ঢাকার রাস্তাসমূহ
পুরান ঢাকার রাস্তা গুলো কে বলা হয়’ বায়ান্নো বাজার তেপ্পান্নো গলি’ । এর অর্থ হলো এখানে প্রচুর গলি,বাজার থাকায় এই নামকরণ করা হয়েছিলো হয়তোবা।
শুধু বাজার না, এখানে আছে অনেক অনেক পুর, গঞ্জ,তলা,তলী এবনহ বাহারী নামের এলাকা। প্রতিটি এলাকার নামকরনের পিছনে আছে এক একটু রোমাঞ্চকর ঘটনা।
পুরান ঢাকার রাস্তা গুলোর নাম নিন্মে উল্লেখ করা হলো।
- সাত মসজিদ রোড
- সোনারগাঁও জনপথ সড়ক
- নবাব পুর সড়ক
- নিউ এলিফেন্ট সড়ক
- পূর্বাচল এক্সপ্রেস ওয়ে
- হ্রষিকেশ দাস রোড
- কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ।
- জসিমউদদীন এভিনিউ
- বি কে দাস সড়ক
- বেগম রোকেয়া সারণী
- বেইলি রোড
- বঙ্গবন্ধু এভিনিউ
- ইন্দিরা সড়ক
- জসিমউদদীন এভিনিউ
- মাদানি এভিনিউ
- মিরপুর সড়ক
এক নজরে পুরান ঢাকার টুকিটাকি
- দেশ : বাংলাদেশ
- জেলা : ঢাকা
- সিটি ককরপোরেশন : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
- গোড়াপত্তন : পুরান ঢাকার গোড়া পত্তন হয় অনুমানিক ৭০০ খ্রিস্টাব্দে
- প্রতিষ্ঠা : ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে
- বিস্তৃতি : ১৯১০ খ্রিস্টাব্দের পরে।
পুরান ঢাকার প্রাচীন নাম জাহাঙ্গীর নগর। ১৬০৮ সালে ঢাকায় প্রথম মুঘলদের পা পরে। ১৬১০ সালে ঢাকার নামকরণ করা হয় জাহাঙ্গীর নগর। পুরান ঢাকা তার বৈচিত্রময় খাবার এবং সব ধর্মের মানুষের সম্প্রতিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য বিখ্যাত।
এখানে আনন্দ মেলার সাথে পালিত হয় স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের পবিত্র ঈদ উল ফিতর এবং ঈদ উল আযহা।
আরো পড়ুন –