Dreamy Media BD

  বান্দরবান – এর দর্শনীয় স্থান সমূহ

বান্দরবান

বান্দরবান জেলাতে রয়েছে প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের নীলাভূমি, রয়েছে সবুজে ঘেরা পাহাড় উন্মুক্ত জলপ্রপাত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির মানুষগুলো

স্বাগতম প্রিয় ভ্রমন পিপাসু বন্ধুগণ। আজ আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরব এক প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত জেলার জনপ্রিয় ভ্রমনকেন্দ্র গুলো নিয়ে। বলছিলাম প্রকৃতির মায়ায় বাঁধানো দৃষ্টিনন্দন সেই বান্দরবান জেলার কথা। এই জেলাটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চল অবস্থিত। অনেক আগে থেকেই পর্যটকদের মন কেড়েছে এই বান্দরবান জেলাটি

প্রকৃতিপ্রেমী এবং ভ্রমণ পিপাসু দেশবিদেশি পর্যটকরা এখানে এসে পাড়ি জমায় প্রাকৃতিক এই ঐশ্বর্যের হাতছানিকে লুফে নিতে। একটি দুটি নয় এখানে অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন দর্শনীয় স্থান রয়েছে

তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্থানগুলো নিয়ে আজকে আমি এই প্রবন্ধটি সাজিয়েছি। আর দেরি না করে আসুন জেনে নেই বান্দরবনে সেরা দর্শনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে

নীলাচল 
নীলাচল

আরো পড়ুন – চ্যানেল আইল্যান্ডের-জার্সি দ্বীপ 

নীলাচল 

বান্দরবান শহর থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে টাইগার পাড়ায় অবস্থিত এই নীলাচল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২০০০ ফুট উপরে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এটি। নীলাচল হলো বান্দরবান জেলার সবচাইতে সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র দর্শনীয় স্থান

এখান থেকে বর্ষা শরৎ এবং হেমন্তের মেঘের কমলতা অনুভব করা যায়। এছাড়াও এখান থেকে দেখা যায় সাঙ্গু নদীর বয়ে চলার দৃশ্য। দূর দূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের রাত্রিযাপনের জন্য এখানে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের উদ্যাগে গড়ে ওঠেছে একটি নতুন রিসোর্ট

এছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি বিশ্রামাগার রয়েছে এখানে। তারমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ভ্যালেন্টাইন এবং নীহারিকা পয়েন্ট। পাহাড়ের ঢালে সাজানো সকল পয়েন্ট গুলো একটি আরেকটি থেকে সম্পূর্ণ আলাদা ভাবে তৈরি বিধায় একেক জায়গায় দাঁড়ালে পাহাড়ের দৃশ্যগুলো একেক ভাবে উপভোগ করা যায়। 

 বর্ষার পরবর্তী সময়ে এখানে ভ্রমণে আসলে নীলাচলের মূল পর্যটন কেন্দ্র থেকে মেঘেদের খেলা উপভোগ করা যায়। উঁচু নিচু পাহাড়ের পাড়ি দিয়ে ভেসে আসে স্নিগ্ধ কমল মেঘের পর মেঘের ভেলা আর নীলাচলের চার পাশ ছেয়ে যায় শুভ্র এই মেঘেরাশিতে

এখানে ভ্রমনে গেলে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আপনি থাকতে পারবেন। কারন শুধু মাত্র রিসোর্টে বা পর্যটন কেন্দ্র রাত্রি যাপন করার অনুমতি পাওয়া পর্যটকগণই এখানে থাকতে পারবেন

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান শহর থেকে প্রায় কিলোমিটার দূরে টাইগার পাড়ার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র সড়ক, রেল কিংবা আকাশ পথে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পৌঁছে সেখান থেকেও সহজেই যাওয়া যায় বান্দরবান। চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে পূরবী, পূর্বানী পরিবহনের বাস সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলাচল করে। ভাড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা

বান্দরবান শহর থেকে নীলাচল যাওয়ার জন্য ভাড়ায় পাওয়া যায় অটো রিকশা, চাঁদের গাড়ি (খোলা জিপ) জিপ। দলের আকার অনুযায়ী প্রয়োজনীয় বাহনটি ভাড়া নিতে হবে

অবস্থানের সময় অনুযায়ী নীলাচলে যাওয়া আসার জন্য অটো রিকশার ভাড়া পড়বে ৫শথেকে হাজার টাকা। আর চাঁদের গাড়ি কিংবা জিপ গাড়ির ভাড়া পড়বে হাজার ২শথেকে হাজার টাকা

নীলগিরি 
নীলগিরি

নীলগিরি 

যদি আপনি বাংলার দার্জিলিং দেখতে চান তাহলে আপনাকে যেতে হবে বান্দরবানের এই নীলগিরিতে। এটি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এখানে আপনি আকাশ ছোঁয়ার গল্প টাকে ক্ষনিকের জন্য হলেও পূর্ণ করতে পারবেন। 

এই নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রটির ভূপৃষ্ঠ থেকে ২২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থি। এখান থেকে আপনি উপভোগ করতে পারবেন দিগন্ত জুড়ে সবুজ ছায়া এবং চারিপাশে নানান রংঙের মেঘেদের ভেসে বেড়ানোর দৃশ্য। পর্যটন কেন্দ্রটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আন্ডারে পরিচালিত হয়

নীলগিরি মানে যেন এক স্বপ্নের রাজ্য। যেখানে চোখ বন্ধ করে বুক ভরা সতেজ নিঃশ্বাস নেওয়া যায়। এবং চোখ মেলিয়ে সারি সারি সবুজের সমারোহ, তারই সাথে পাহাড়ের গায়ে দূর থেকে আছড়ে পড়া শুভ্র মেঘের ভেলা, এক যেন এক মন মাতানো প্রকৃতির সৌন্দর্য। 

নীলগিরির চূড়া থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে,আপনি কক্সবাজারে সমুদ্র সৈকতটি এক নজরে উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও নীলগিরি পাশের অবস্থিত আদিবাসী গ্রাম। সেখানে গেলে দেখতে পাবেন, আদিবাসীদের জীবনযাত্রার চিত্র, তাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার এবং তাদের সংস্কৃত। যা আপনার অশান্ত মনকে নিমিষেই শান্ত করে তুলবে

আপনার এই দার্জিলিং ভ্রমনকে আরও সহজ আরও আরামদায়ক করে তোলার জন্য আমরা আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে একটি টেবিল তৈরি করেছি। চোখ রাখুন এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে ভ্রমন করুন নীলগিরি

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র।   

বান্দরবান থেকে লোকাক বাস, সিএনজি,জীপ গাড়ি পাওয়া যায় এবং নীলগিরি যেতে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টা। জীপে যাওয়া আসা ভাড়া হাজার থেকে হাজার পড়বে। লোকাল বাসে ১২০ টাকা তবে সময় লাগে বেশি

সিএনজিতেও যাওয়া যায় জন। মেঘের দেখা পেতে আপনাকে টার ভিতর নীলগিরি পৌঁছাতে হবে। নীলগিরি তে প্রবেশ ফি ৫০ টাকা

নীল দিগন্ত 

নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র একটি আকর্ষণীয় স্থান। এটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত এবং বান্দরবান সদর থেকে 50 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিলেই নীল দিগন্তে পৌঁছানো যায়। নীলগিরি থেকে নীল দিগন্তের দূরত্ব মাত্র কিলোমিটার। 

এই পর্যটন কেন্দ্রটি একটি সুবিশাল জায়গা নিয়ে বিস্তৃত। প্রায় তিন একর জায়গা নিয়ে পাহাড়ের চূড়ায় রূপের পসরা সাজিয়ে, দাঁড়িয়ে আছে এই নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্র। পর্যটন কেন্দ্র থেকেও আপনি মেঘ ছোঁয়ার মত একটি আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। 

এর সাথে প্রকৃতির স্নিগ্ধ, শীতল হাওয়া মাঝে মাঝে পাহাড়ের উঁচু নিচু টিলাতে আলতো স্পর্শে সবুজ গাছ গুলোকে দোলা দিয়ে যায়। যে দৃশ্য প্রকৃতির অন্য কোথাও দেখা বড় ভার। নীল দিগন্তের প্রবেশদ্বারে রয়েছে ভিউ পয়েন্ট, গোলঘর এবং ক্যান্টিন। 

এর চূড়া থেকে কেওক্রাডং এবং তাজিংডং পর্বতের বিশালতা এক নজরে দেখা যায়। নীল দিগন্তের চিরসবুজের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, নানান মেঘের লুকোচুরি খেলা এবং স্থানীয় আদিবাসীদের জীবনধারার নকশা আপনাকে বিমোহিত করবে, যেখানে গেলে আর কোলাহলের শহরে ফিরে আসতে মন চাইবে না। 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
নীল দিগন্ত পর্যটন কেন্দ্রটি বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার জীবননগর এলাকায় অবস্থি।   বান্দরবান থেকে লোকাক বাস, সিএনজি,জীপ গাড়ি পাওয়া যায় এবং নীলগিরি যেতে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টা থেকে আড়াই ঘন্টা। জীপে যাওয়া আসা ভাড়া ৩০০০৫০০০ টাকা

সিএনজিতেও রিজার্ভে যাওয়া যায়, যদি জনের একটি গ্রুপ হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া কিছুটা কম লাগবে। তাছাড়া লোকাল বাসেও যেতো পারেন সময় বেশি লাগলেও ভাড়া মাত্র ১২০ টাকা

স্বর্ণ মন্দির বান্দরবান
ছবি : Joy Barua Lablu

 স্বর্ণ মন্দির বান্দরবান

এই মন্দিরটির বেশ কয়েকটি নাম রয়েছে অনেকে একে বৌদ্ধ মন্দির বলে থাকেন, অনেকের কাছে এটি মহাসুখ মন্দির নামে পরিচিত, কেউ কেউ আবার বুদ্ধ ধাতু জাদি মন্দির বলেন, তবে স্বর্ণ মন্দির নামেই বেশির ভাগ মানুষ এটিকে চিনে থাকেন। স্বর্ণ মন্দির নাম হলেও এখানে নেই কোন স্বর্ণের স্থাপনা, তবে আছে সোনালী রঙের অনেক নকশা কারুকাজ। 

এই মন্দিরটি বান্দরবানের সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে একটি। বান্দরবান শহর থেকে ১০ কিলোমিটার এবং বালাঘাটা থেকে কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মন্দির

বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মূর্তি এখানে অবস্থিত। কাঠের তৈরি মন্দিরটি তৈরি করেন মায়ানমারের কারিগররা এবং এর নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৯৯৫ সালে এবং শেষ হয় ২০০০ সালে। মন্দির নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৬০০ ফুট। 

 বৌদ্ধধর্মের তীর্থস্থান হলেও দেশবিদেশ থেকে নানান ধর্মের পর্যটকরা এখানে এসে ভিড় জমা। এখানে মন্দিরের পাশেই রয়েছে একটি ছোট পুকুর যার নাম দেবতাদের পুকুর। মন্দিরে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ২টি সময় রয়েছে। সকাল ৮টা১১টা পর্যন্ত এবং দুপুর পৌনে ১টাসন্ধ্যা৬টা পর্যন্ত। তবে এখন মন্দিরটি উন্মুক্ত

প্রতিবছর এখানে বিভিন্ন ধরনের মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। এই স্বর্ণমন্দিরে প্রবেশ মাত্র ২০ টাকা। এখানে গিয়ে দর্শনার্থীরা মন্দিরের ভিতরে এবং চারপাশে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান থেকে দশ কিলোমিটার এবং বালাঘাটা থেকে চার কিলোমিটার দূরে পালপাড়ায় মন্দির অবস্থিত বান্দরবান শহর থেকে সিএনজি অথবা জীপ গাড়ি রিজার্ভ করে স্বর্ণ মন্দির যেতে যাওয়া আসা সহ ভাড়া পড়বে ৩০০৭০০ টাকা

আবার বান্দরবান শহর থেকে রিকশা কিংবা অটোরিকশায় চড়ে বুদ্ধ ধাতু জাতি মন্দিরে যাওয়া যায়। অটোরিকশায় গেলে, আসে পাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন

মিলনছড়ি বান্দরবান

অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের পছন্দের একটি নাম হচ্ছে মিলনছড়ি। শুধু অ্যাডভেঞ্চার বললে ভুল হবে যারা অবকাশ যাপন পছন্দ করেন তাদেরও এটি একটি প্রিয় স্থান। বান্দরবান  শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে নয়াভিরাম সবুজের কোলে অবস্থিত মিলনছড়ি

এখান থেকে সাঙ্গু নদীর মোহনার দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়াও রয়েছে পাহাড়ি রাস্তা এবং দিগন্ত জুড়ে সবুজের সমাহার। মিলন ছড়িতে আলাদাভাবে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আপনি নীলগিরি যাওয়ার পথেও গাড়ি থামিয়ে মিলনছড়ির এই প্রকৃতির ক্যানভাসে আঁকা দূর্লভ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
মিলনাছড়ি বান্দরবান সদর থেকে মাত্র কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  বান্দরবান শহর থেকে রুমা বাস স্ট্যান্ড যেতে হবে। এখান থেকে স্পেশাল বাস সার্ভিস কিংবা জীপ গাড়ী ভাড়া করে মিলনছড়ি যেতে পারবেন। অথবা অটোরিকশা করে যাওয়া যায়

 আলীর সুড়ঙ্গ

বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলায় অবস্থিত এই আলি গুহা বা আলীর সুরঙ্গ। প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্টি হওয়া গুহায় রয়েছে নানা রকম রহস্যের জাল। 

আলীকদম সদর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে মাতামুহুরীর টোয়াইন খাল ঘেঁষে মুখোমুখি দুইটি পাহাড়ের অবস্থান এবং মংচপ্রুপাড়ার তৈন খালের পরেই রয়েছে আলীর পাহাড়। আর এই আলীর পাহাড় নাম কে অনুসরণ করে গুহাটির নাম আলীর গুহা বা আলীর সুরঙ্গ রাখা হয়। 

উঁচু দুই পাহাড়ের একটির মধ্যভাগে আলীর সুরঙ্গে ঢোকার প্রবেশ পথ। এখানে মোট তিনটি গুহা আছে সবগুলো গুহা দেখার জন্য প্রায় ঘণ্টারও বেশি সময় লেগে যাবে। প্রথম গুহায় যাওয়ার জন্য একটি লোহার সিড়ির ব্যবস্থা থাকলেও বাকি গুহাগুলোতে পাহাড়ি উঁচু নিচু রাস্তা ধরে যেতে হয়। 

একদিকে সুরঙ্গের ভেতরটা যেমন ঘুটঘুটে অন্ধকার তেমনি নিচের দিকটা সেঁতসেঁতে হওয়ায় পা রাখার জায়গা গুলো বেশ পিচ্ছিল। তাই সাবধানতার জন্য টর্চ অথবা মশাল জ্বালিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। 

প্রথম গুহা থেকে দ্বিতীয় গুহায় যেতে সময় লাগে প্রায় ২০ মিনিট। সুরঙ্গের ভিতরে রাস্তা কোথাও কোথাও বেশ শুরু হওয়ায় কখনো কখনো হামাগুড়ি দিয়ে যেতে হবে। গুহার ভিতরে থাকা ছোটবড় অনেক রকমের বাদুর, মানুষ দেখে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে পারে তবে তারা আপনার কোনো ক্ষতি করবে না। 

তাই ভয় পাওয়ার কোনো কারন নেই। গুহার নিচ থেকে দড়ি ছাড়াই উপরে উঠা যায় তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে আপনি চাইলে ৪০ ফুট এর মত দড়ি সঙ্গে নিতে পারেন। 

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান শহর থেকে থানচিআলীকদম রোড এবং আলীকদম থেকে মংচুপ্রু পাড়ায় যেতে হবে। এখান থেকে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিলেই আলীর সুরঙ্গের দেখা মিলবে প্রথমে বান্দরবান জেলার আলীকদমে আসতে হবে। কক্সবাজারের চকরিয়া হয়ে আসলে সময় কম লাগে। এরপর আলীকদম থেকে মংচপ্রু পাড়ায় কিলোমিটার পথ পার হয়ে আসতে হবে। 

আপনি চাইলে হেঁটে অথবা ইজিবাইকে করে আসতে পারেন। পাড়ার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া টোয়াইন খাল পাড় হয়ে পাহাড়ি এবং ঝিরিপথে হেঁটে আলী সুরঙ্গে পৌঁছাতে পারবেন

বগালেক, বান্দরবান
ছবি : বগালেক, বান্দরবান

বগালেক

বগালেক প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট একটি হ্রদ, এর অপর নাম হলো ড্রাগন লেক। এটি বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত। কেওক্রাডং পাহাড়ের কোল ঘেঁষে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১২০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। এটি আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে সৃষ্টি হয়েছে। 

 দেশবিদেশ থেকে পর্যটকরা এখানে এসে ভিড় জমান সকাল সন্ধ্যা কিংবা রাত। কারণ এখানকার প্রকৃতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শোভায় সুশোভিত হয়। বগালেকের শান্ত, শীতল,স্নিগ্ধ জলের স্পর্শে পর্যটকদের এক নিমিষে সকল ক্লান্তি দূরীভূত হয়ে যায়। 

লেকটি পাহাড়ের কোলে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। বগালেকের প্রধান আর্কষন হলো মাথার উপরে সুবিশাল আকাশের স্বচ্ছ মেঘ, পাহাড়ের স্তম্ভিত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, তারই সাথে লেকের নীল জলরাশির উঁচু নিচু ঢেউ

তাছাড়া বান্দরবন থেকে বগালেক পর্যন্ত প্রতিটি রাস্তায় আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ। পাহাড়ি পথ পাড়ি দেওয়া কতটা আনন্দ দায়ক তা লিখে বুঝানো প্রায় অসম্ভব। যারা ট্র্যাকিং করতে পছন্দ করে তাদের কাছে অধিক প্রিয় এই বগালেক

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা থেকে প্রায় ১৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বগালেক বগালেক যেতে অবশ্যই প্রথমে যেতে হবে রুমাবাজার। বান্দরবান শহর থেকে বাসে, নৌকায় কিংবা চান্দের গাড়ীতে করে প্রথমেই যেতে হবে রুমা বাজার। রুমা বাজার থেকে নতুন করে জিপ/চান্দের গাড়ী রিজার্ভ করে যেতে হবে কমলাবাজার পর্যন্ত। তবে বর্ষাকালে প্রায়ই ভূমিধ্বসের কারনে ১১মাইল নামক জায়গা পর্যন্ত আগানো যায় বড়জোর

তবে শুকনো মৌসুমে চান্দের গাড়ী বগালেক অবধি পৌঁছায়। রুমাবাজার থেকে ১১ মাইল কিংবা কমলাবাজার পর্যন্ত রাস্তা আপনাকে নিঃসন্দেহে মুফতে রোলার কোস্টারে চড়ার স্বাদ দিবে নিশ্চিত। কমলাবাজারের পাশ থেকেই খাড়া পাহাড় উঠে গেছে আকাশপানে, এটির চূড়াতেই বগালেক

সাঙ্গু নদী 

সাঙ্গু নদী বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার অবস্থিত। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী মাদক এলাকা থেকে এই সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি। এখান থেকে শুরু করে চট্টগ্রামের ভেতর দিয়ে প্রায় ১৭৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে কর্ণফুলী হয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। এই নদী চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী

দুই পাহাড়ের মাঝে খান দিয়ে আঁকাবাঁকা পথে বয়ে চলা নদীর কিনারা ঘেঁষেই দাড়িয়ে আছে বান্দরবান শহর। সাঙ্গু নদীর অপর নাম শঙ্খ। নদীটি প্রায় সময় অনেক শান্ত স্নিগ্ধ। নৌকা ভ্রমণের জন্য সবচেয়ে সুন্দর একটি নদী এটি। এছাড়া নদীর পাশের সবুজ বৃক্ষরাজি আর তার উপরে বসে হরেক রকমের পাখির কিচিরমিচির আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার, মাদক এলাকায় সাঙ্গু নদীর উৎপত্তি।  নদী ভ্রমন করার সহজ পথ হলো থানচি উপজেলা। এর জন্য বান্দরবান শহর থেকে আপনাকে আসতে হবে থানচি উপজেলায়। রোডে লোকাল বাস, সিএনজি, অটোরিকশা সব সময় হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। 

 ডিম পাহাড়

আলীকদম এবং থানচি উপজেলার মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত এই ডিম পাহাড়। থানচিআলীকদম সড়ক হচ্ছে একমাত্র সড়ক পাহাড়ে যাওয়ার। এই সড়কটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মিত এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে উঁচু সড়ক হিসেবে পরিচিত। 

যারা অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করে তাদের জন্য এই রাস্তাটি একটি পছন্দসই রাস্তা। প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যময় আদিবাসীদের জীবনধারায় ডিম পাহাড় পর্যটকদের মন কেড়েছে। পাহাড়টির আলীকদম এবং থানচি থানার মধ্যে সীমানা নির্ধারণ করেছে

মজার বিষয় হলো, পাহাড়টির নাম ডিমপাহার হলেও এখানে ডিমের কোন অস্তিত্ব নেই। আলীকদম হতে শুরু করে প্রায় ২৫০০ ফুট উচ্চতা নিয়ে এই পাহাড়টি রূপের ডালা সাজিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আকাশের দিকে

পাহাড়ের চূড়ায় উঠতে একটু কষ্ট হলেও চূড়ায় দাঁড়িয়ে প্রকৃতির মায়ায় আপনি সব কষ্ট এক নিমিষেই ভুলে যাবেন। আজ পর্যন্ত যত ভ্রমণকারী এসেছেন ডিম পাহাড় দেখতে, সবাই এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে পরম আত্মতৃপ্তি নিয়ে ফিরেছেন

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলায় অবস্থিত ডিম পাহাড়।  দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে প্রথমে আপনাকে বান্দরবন আসতে হবে অথবা কক্সবাজার জেলার চকরিয়া এসে নামতে পারেন। এখান থেকে জীপ গাড়ী রিজার্ভ করে সরাসরি থানচি রাস্তা ধরে ডিম পাহাড় যেতে পারেন

আবার বান্দরবান হয়েও ডিম পাহাড় যেতে পারেন। সেক্ষেত্রে বান্দরবান থেকে লোকাল বাস কিংবা চাঁন্দের গাড়ি করে থানচি বাজার এসে ডিম পাহাড় যেতে পারবেন।ব

শৈল প্রপাত ঝর্ণা
ছবি : Tangan tour & travels

শৈল প্রপাত ঝর্ণা

বান্দরবান সদর থেকে মাত্র কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই শৈলপ্রপাত। ঝর্ণার পানি স্পর্শ করতে এবং ঝর্ণার গান শুনতে কার না ভালো লাগে। প্রকৃতির বুকে এরকম শীতল পানি প্রবাহ আসলে আশ্চর্যজনক এবং বিস্ময়কর। জল পরছে এটা দেখা গেলেও কোথা থেকে জল নির্গত হচ্ছে তার কোন হদিস মেলা ভার। এটি সৃষ্টিকর্তার এক অপরূপ সৃষ্টি। এখান থেকে স্বচ্ছ এবং হিমশীতল পানি সর্বদা একই বেগে বহমান

শৈলপ্রপাতকে ঘিরে সারা বছরই এখানে দেশি বিদেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। এই পর্যটনকে কেন্দ্র করে এখানে গড়ে উঠেছে একটি মার্কেট। যেখানে বম সম্প্রদায়ের নারীদের নিজ হাতে তৈরি করা হাতের কাজের বিভিন্ন রকমের জিনিস, উলের মাফলার, কম্বল, চাদরসহ বিভিন্ন কিছু পাওয়া যায়

শৈলপ্রপাতের আশেপাশে যে সমস্ত দোকানগুলো রয়েছে এর বেশিরভাগই বম সম্প্রদায়ের নারী বিক্রেতা। শৈলপ্রপাতের পানির বেগ সবসময় একই রকম হলেও বর্ষার পানি প্রপাতের সাথে মিশে বর্ষাকালে পানি প্রবাহ অনেকটা বৃদ্ধি করে থাকে। রাস্তার পাশে ঝর্ণা অবস্থিত হওয়ায় আলাদাভাবে টিকেট বা ফি এর কোন ব্যবস্থা নেই

যে কেউ যেকোনো সময় ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পার। তবে এই ঝর্ণা সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় শুধুমাত্র সূর্যের আলো যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ। প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্যমন্ডিত, স্বচ্ছ, সুন্দর, শান্ত, শীতল পানির ধারা নিয়ে নিরবধি ছুটে চলা শৈলপ্রপাত এক মহূর্তে আপনার মন প্রান জুড়িয়ে দিতে সক্ষম। 

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
শৈলপ্রপাত ঝর্ণা বান্দরবান জেলা শহর থেকে কিলোমিটার দূরে থানচি রোডের পাশে অবস্থিত বান্দরবান শহর থেকে সিএনজি বা জীপ গাড়ী করে শৈলপ্রপাত যেতে পারবেন। যাওয়া  আসাসহ খরচ হবে ৫শ থেকে ৮শ টাকা

তাছাড়া আপনি নীলগিরি যাওয়ার পথে গাড়ি থামিয়ে একটু ব্রেক নিয়েও শৈলপ্রপাত দেখতে পারেন। এতে আলাদা করে শৈলপ্রপাত ভ্রমন প্ল্যান করতে হবে না

জাদিপাই জলপ্রপাত

বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় জাদিপাই পাড়ায় অবস্থিত এই জাদিপাই ঝর্ণা এবং এই ঝর্ণা বাংলাদেশের প্রশস্ততম ঝর্ণাগুলোর মধ্যে একটি। এটি কেওক্রাডং পাহাড় থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। 

প্রায় ২০০ ফুট উঁচু থেকে ঝর্ণার পানি নির্গত হয়ে সাঙ্গু নদীর সাথে মিশে গেছে। কেওক্রাডাং, জংছিয়া, এবং জাদিপাই এই তিনটির স্বচ্ছ জলরাশি একত্রিত হয়ে কালো পাথরের গা ঘেঁষে অনাবরত ঝড়ে চলছে। আর এর চারিপাশে সবুজে ঢাকা পাহাড় তার আপন মনে ঝর্নার পানে তাকিয়ে আছে

 আকৃতিতে ঝর্ণা বেশি বড় না হলেও অবস্থান এবং রুপের ভিত্তিতে এই ঝর্ণাটি বাংলাদেশের আকর্ষণীয় ঝর্ণা গুলোর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা থেকে পাসিং পাড়া পার হয়ে জাদিপাই পাড়ায় অবস্থিত জাদিপাই ঝর্ণা বান্দরবান শহর থেকে চান্দের গাড়ি(ফোর হুইল ড্রাইভ), বাস, সি এন জি করে রুমা যাওয়া যায়। চান্দের গাড়ি/জীপ রিসার্ভ করলে প্রায় ৩০০০/৪০০০ টাকার মত ভাড়া পড়বে যা মৌসূম পর্যটকদের সমাগম ভেদে ভিন্ন হয়ে থেকে

আর সার্ভিস এর বাসে করেও রুমা যেতে পারেন সে ক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ১০০ টাকা। বাসের সিট তেমন ভালো মানের নয়। বান্দরবান শহর থেকে রুমা যেতে সময় লাগবে কমবেশি ঘণ্টার মত। রুমা নেমে সার্ভিস এর চান্দের গাড়ি করে যেতে হবে রুমা বাজার, ভাড়া ৩০ টাকা জনপ্রতি

কেওক্রাডং পর্বত 

কোনো এক সময় বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মনে কারা হত এই কেওক্রাডং কে। তবে বর্তমানে সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ হিসেবে এর স্থান ৫ম। পর্বতের উচ্চতা প্রায় ৩১৭২ ফুট। এখানে বসবাসরত সম্প্রদায় হলো মারমা

তাদের থেকেই মূলত এই কেওক্রাডং নামটি এসেছে যার অর্থ হলো সবচেয়ে উঁচু পাথরের পাহাড়। নীচ থেকে পাহাড়ি চূড়ার দিকে তাকালে মনে হয়, পাহাড়ের চূড়া শূন্য ভেসে আছে আবার চূড়া থেকে নিচের দিকে তাকালে নিজের অবস্থানকে মনে হয় মেঘের উপরে

এর চূড়া থেকে অনায়াসে আপনি পাহাড় মেঘের মাঝের বন্ধুত্বের রেখা দেখতে পাবেন আর উপভোগ করতে পারবেন বিশাল বিস্তৃত এই পাহাড়ের বিশালতা। আবার শান্ত এবং স্তব্ধ প্রকৃতির মাঝে দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজেকে হালকা করে মনকে সতেজ করে তুলতে পারেন। পাহাড়, পাথর, মেঘ এবং প্রকৃতি সব কিছু মিলেই এখানকার সৌন্দর্য বারবার আপনাকে এখানে আসার আমন্ত্রণ জানাবে। 

 

লোকেশন  ভ্রমণ গাইড/ কিভাবে যাবেন
বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় অবস্থিত কেওক্রাডং পর্বত বান্দরবান থেকে প্রথমে আপনাকে রুমা বাজার আসতে হবে। এর দূরত্ব প্রায় ৪৮ কি:মি। লোকাল বাস, চান্দের গাড়ি অথবা জীপে করে রুমা বাজার আসতে পারেন

বাসে ভাড়া জনপ্রতি ১২০ টাকা। অন্য গাড়ি গুলো দলগতভাবে রিজার্ভ নিয়েও যাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ভাড়া হাজার টাকা পড়বে। জীপে গেলে সময় লাগবে ঘন্টা আর বাসে গেলে লাগবে প্রায় ঘন্টা। 

 ঢাকা থেকে বান্দরবান কীভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে প্রতিনিয়ত দূরপাল্লার বাস গুলো বান্দরবান জেলার উদ্দেশ্য রওনা হয়ে থাকে। এসি এবং নন এসি উভয় প্রকার বাস ঢাকা টু বান্দরবান রোডে চলাচল করে। প্রতিটি বাসের সুযোগ সুবিধা অনেক ভালো। আর ভ্রমনের জন্য যাত্রীরা আরামদায়ক বাসই বেশি পছন্দ করেন। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য আমি বাসের টিকিট মূল্য এবং সময়সূচি নিচে প্রদান করেছি

ঢাকাবান্দরবান এসি বাসের ভাড়া সময়সূচি২০২৩

বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড সিটের ধরণ ভাড়া
সেন্টমাটিন পরিবহন আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leylend) স্লিপার বেড ১৮০০
দেশ ট্রাভেলস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ১৭০০
সৌদিয়া সিল্কি হিনো (Hino) বিজনেস ক্লাস ১৪০০
সেন্টমাটিন পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১২০০
শ্যামলী পরিবহন হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ১৭০০
রবি এক্সপ্রেস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ১৮০০

 ঢাকাবান্দরবান ননএসি বাসের ভাড়া সময়সূচি২০২৩

বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড সিটের ধরণ ভাড়া
ইউনিক সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৯০০
হানিফ এন্টারপ্রাইজ হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৯০০
এস.আলম সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৯০০
শ্যামলী পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৯০০
সৌদিয়া সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৯০০
ডলফিন পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৮৫০
সেন্টমাটিন পরিবহন হিনো (Hino) বিজনেস ক্লাস ৯০০

 ঢাকা টু বান্দরবান এসি বাসের সময়সূচী

হানিফ এন্টারপ্রাইজসকাল টা ৩০ মিনিটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যায় বান্দরবানের উদ্দেশ্যে এবং সন্ধ্যা টা ১০ মিনিটে বান্দরবানে এসে পৌঁছায়

সেন্ট মার্টিনসকাল টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা কাউন্টার থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এবং বিকেল টা ১০ মিনিটে বান্দরবান পৌঁছায়

ঢাকা টু বান্দরবান নন এসি বাসের সময়সূচি

হানিফ এন্টারপ্রাইজ সকাল :১৫ মিনিটে ঢাকা কাউন্টার থেকে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে তার যাত্রা শুরু করে। এবং সন্ধ্যা টা ১০ মিনিটে বান্দরবান কাউন্টারে এসে তা যাত্রা শেষ করে

 পরিশেষে বলা যায় যে, বান্দরবান জেলায় অবস্থিত আর্কষনীয় স্থান গুলো সম্পর্কে আপনাদের ভালো ধারনা দিতে সক্ষম হয়েছি। যদি আপনাদের ভ্রমন সম্পর্কে আরো কোনো প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা শীগ্রই আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ 

 

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents