Dreamy Media BD

নকশী কাঁথা: নকশী কাঁথার আদ্যোপান্ত

নকশী কাঁথা

নকশীকাঁথা শব্দটির সাথে আমরা সবাই পরিচিত। কিন্তু আমরা নকশীকাঁথা সম্পর্কে কতটুকু জানি…! নকশীকাঁথা শব্দটির উৎস স্পষ্টভাবে জানা না গেলেও ধারণা করা হয় কাঁথা শব্দটি পূর্বে উচ্চারিত হত “খেতা” বলে।”কঁথা” শব্দটির বাংলা হলো ত্যানা বা কাপড়ের টুকরা। পাঁচশ বছর আগে কৃষ্ণদাস কবিরাজ রচিত শ্রী শ্রী চৈতন্য চরিতামৃত বইয়ে কাঁথার কথা সবার প্রথম পাওয়া যায়। পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের একটি বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ  নকশি কাঁথার মাঠ ।

নকশীকাঁথা সাধারণত কাঁথার উপর নানা ধরণের নকশা করে বানানো বিশেষ প্রকারের কাঁথা। এটির প্রচলন প্রাচীন কাল থেকে চলে আসছে। নকশি কাঁথা এই বাংলার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অংশ। সাধারণত পুরাতন কাপড়ের পাড় থেকে সুতা তুলে অথবা তাঁতিদের থেকে নীল, লাল, হলুদ প্রভৃতি সুতা কিনে এনে কাপড় সেলাই করা হয়। ঘরের মেঝেতে পা ফেলে পায়ের আঙ্গুলের সঙ্গে কাপড়ের পাড় আটকিয়ে সূতা খোলা হয়। এই সূতা পরবর্তীতে ব্যবহারের জন্য রেখে দেয়া হয়। সাধারণ কাঁথা সেলাইয়ের পর এর উপর মনের মাধুরী মিশিয়ে ফুঁটিয়ে তোলা হয় বিভিন্ন নঁকশা যার মধ্যে থাকে ফুল, লতা, পাতা ইত্যাদি।

আরো পড়ুন- আগামেমনন

নকশি কাঁথা শত শত বছরের পুরনো ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের সংস্কৃতির একটা অংশ। গ্রামাঞ্চলের নারীরা পাতলা কাপড়, প্রধানত পুরানো কাপড় স্তরে স্তরে সজ্জিত করে সেলাই করে কাঁথা তৈরি করে থাকেন। কাঁথা তৈরির কাজে পুরানো শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী কাঁথার পুরুত্ব কম বা বেশি হয়। পুরুত্ব অনুসারে তিন থেকে সাতটি শাড়ি স্তরে স্তরে সাজিয়ে নিয়ে স্তরগুলোকে সেলাইয়ের মাধ্যমে জুড়ে দিয়ে কাঁথা তৈরি করা হয়। সাধারণ তরঙ্গ আকারে সেলাই দিয়ে শাড়ীর স্তরগুলোকে জুড়ে দেয়া হয়। বিভিন্ন রঙের পুরানো কাপড় স্তরীভূত করা থাকে বলে কাঁথাগুলো দেখতে বাহারী রঙের হয়। সাধারণত শাড়ীর রঙ্গীন পাড় থেকে তোলা সুতা দিয়ে কাঁথা সেলাই করা হয় এবং শাড়ীর পাড়ের অনুকরণে কাঁথাতে নকশা করা হয়। তবে কোন কোন অঞ্চলে কাপড় বোনার সুতা দিয়েও কাঁথাতে নকশা করা হয়ে থাকে। সাধারণ কাঁথা কয়েক পাল্লা কাপড় কাঁথাফোঁড়ে সেলাই করা হলেও এই ফোঁড় দেয়ার নৈপুণ্যের গুণে এতেই বিচিত্র বর্ণের নকশা, বর্ণিল তরঙ্গ ও বয়নভঙ্গির প্রকাশ ঘটে। নকশার সাথে মানানোর জন্য বা নতুন নকশার জন্য কাঁথার ফোঁড় ছোট বা বড় করা হয় অর্থাৎ ফোঁড়ের দৈর্ঘ্য ছোট-বড় করে বৈচিত্র্য আনা হয়।

বেশিরভাগ গ্রামের নারী এই শিল্পে দক্ষ। সাধারণত গ্রামের মহিলারা তাদের অবসর সময় নকশি কাঁথা সেলাই করে থাকেন। এক একটি কাঁথা সেলাই করতে অনেক সময়, এমনকি ১ বছর সময়ও লেগে যায়। নতুন জামাইকে বা নাদ বউকে উপহার দেয়ার জন্য নানী-দাদীরা নকশি কাঁথা সেলাই করে থাকেন। এক একটি কাঁথা সেলাইয়ের পিছনে অনেক হাসি-কান্নার কাহিনী থাকে। বিকেল বেলা বা রাতের খাবারের পর মহিলারা একসাথে বসে গল্প করতে করতে এক একটি কাঁথা সেলাই করেন। তাই বলা হয় নকশি কাঁথা এক একজনের মনের কথা বলে। এটি মূলত বর্ষাকালে সেলাই করা হয়। একটা প্রমাণ মাপের কাঁথা তৈরিতে ৫ থেকে ৭ টা শাড়ী দরকার হয়। আজকাল পুরাতন সামগ্রীর বদলে সূতির কাপর ব্যবহার করা হয়। ইদানীং কাঁথা তৈরিতে পুরাতন কাপড়ের ব্যবহার কমে গেছে।

মূলত নকশাকাথার নকশা  করার পূর্বে কোন কিছু দিয়ে এঁকে নেওয়া হয়। তারপর সুঁই-সুতা দিয়ে ওই আঁকা বরাবর সেলাই করা হয়। কাঁথায় সাধারণত মধ্যের অংশের নকশা আগে করা হয় এবং ধীরে ধীরে চারপাশের নকশা করা হয়। আগে কিছু কাঁথার নকশা আঁকানোর জন্য কাঠের ব্লক ব্যবহার করা হত, এখন ট্রেসিং পেপার ব্যবহার করা হয়।

নকশি কাঁথা সেলাইয়ের কোনো নির্দিষ্ট নকশা নেই। যিনি সেলাই করেন তার মনে যা আসে তা-ই তিনি সেলাই করে যান। বলা যায় এটি হচ্ছে মনের ডাইরি। সূর্য, চাঁদ, গাছ, পাখি, মাছ, ফল, মানুষ, ময়ূরসহ বিভিন্ন নকশা করা হয় নকশি কাঁথায়।তবে সেলাইয়ের ধরন অনুযায়ী কাঁথাগুলো নিম্নলিখিত প্রকারে ভাগ করা হয়েছে : (১) চলমান সেলাই ; (২)লহরী কাঁথা ;(৩) আনারসি; (৪) বাঁকা সেলাই ; (৫)সুজনি কাঁথা ইত্যাদি । নকশীকাঁথা সেলাইয়ের ধরনেরও এখন অনেক প্রকারভেদ আছে।প্রথম দিকে শুধু চলমান সেলাই কাঁথা প্রচলিত ছিল। এই ধরনের সেলাইকে ফোড় বলা হয়। বর্তমানে চাটাই সেলাই, কাইত্যা সেলাই, যশুরে সেলাই, রিফু সেলাই, কাশ্মীরি সেলাই, শর সেলাই, ইত্যাদি সেলাই দিয়ে কাঁথা তৈরি হয়। মাঝে মধ্যে হেরিংবোন সেলাই, সাটিন সেলাই, ব্যাক সেলাই ও ক্রস সেলাই ব্যবহার করা হয়।

নকশি কাঁথার নকশাগুলোতে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির গভীর প্রভাব রয়েছে। যদিও কোন নির্দিষ্ট নিয়ম মানা হয় না, তবে ধরে নেওয়া হয় প্রত্যেকটা ভালো সেলাইকৃত নকশি কাঁথার একটি কেন্দ্র থাকবে। বেশিরভাগ কাঁথার কেন্দ্র হলো পদ্ম ফুল এবং পদ্ম ফুলের আশে পাশে নানা রকম আঁকাবাঁকা লতার নকশা থাকে। কখনো শাড়ীর পাড় দিয়ে সীমানা তৈরি করা হয়। নকশাতে ফুল, পাতা, পাখি মাছ, প্রাণী, রান্না আসবাব, এমনকি টয়লেট সামগ্রীও থাকতে পারে। বেশির ভাগ কাঁথার প্রাথমিক কিছু নকশা একই রকম হলেও দুইটি কাঁথা একই রকম হয় না। সাধারণত কাঁথাতে একই নকশা বারবার ব্যবহৃত হয়।

নকশী কাঁথার আদ্যোপান্ত
নকশী কাঁথা

নকশি কাঁথার বাণিজ্যিক ব্যবহার বেশি দিনের নয়। সাম্প্রতিক সময়ে এসে নকশি কাঁথা তার বাণিজ্যিক রূপ লাভ করে। প্রথম দিকে মানুষ তার নিত নৈমিত্তিক প্রয়োজনেই কাঁথা সেলাই করত। আত্মীয় স্বজন বা বাড়ির মেহামানদের অতিরিক্ত সমাদর করার জন্য তারা নকশি কাঁথা বিছিয়ে দিতো। এছাড়া সাধারণ কাঁথা দিয়েই তারা তাদের প্রয়োজন মেটাত। বাংলার কৃষি সমাজে এটাই ছিল রীতি। বাড়িতে কেউ এলে তার জন্য পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বিছানায় বসানোই ছিল ভদ্রতার লক্ষণ। আর এই কারণেই তখনকার মেয়েরা নকশি কাঁথা সেলাই করতো। একটি নকশি কাঁথা সেলাই করতে তাদের বছরের পর বছর ব্যয় করতে হতো। ফলে তারা এই নকশি কাঁথা নিয়ে কোনো রকমের বানিজ্যিক চিন্তা করার অবসর পায় নি। কালক্রমে, বলতে গেলে ব্রিটিশ আমলে যখন বিদেশিরা এদেশে আগমন করে তখন কিছু বিদেশি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এদেশের নকশি কাঁথার গুণে মুগ্ধ হয়ে অর্ডার দিয়ে নানা রকমের নকশি কাঁথা বনিয়ে নিতো। কিন্তু নকশি শিল্পীরা তা সহজেই বানিয়ে দিতে চাইতেন না। বাংলাদেশে এটি বাণিজ্যিক রূপ লাভ করে সত্তরের দশকে এসে। তখন কারিকা নামে একটি সংস্থা গ্রাম্য মহিলাদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার জন্য তাদের যে হাজার বছরের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান- নকশি কাঁথা বোনা, তা কাজে লাগাতে চেষ্টা করে। আর এর ফলেই ১৯৭২ সালে প্রথম কারিকা বাণিজ্যিকভাবে নকশি কাঁথা উৎপাদন শুরু করে। এরপর ব্রাক তার নারী স্বাবলম্বী কার্যক্রমের অংশ হিসিবে নকশি কাঁথাকে গ্রহণ করে এবং ব্র্যাক আড়ংয়ের মাধ্যমে এটি বাজার জাত করে। বলা যায় ব্রাকই নকশি কাঁথার ব্যাপক বাণিজ্যিকায়ন করতে সক্ষম হয়। কিন্তু সেই সাথে নকশি কাঁথার সেই ঐতিহ্যগত যে রূপ বা শৈল্পিক দিকটি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। আজ নকশি কাঁথার বাণিজ্যিক ব্যবহার সর্বত্র দেখা যাচ্ছে।
দেশে নকশি কাঁথা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- নকশি কাঁথা, বেড কভার, থ্রি-পিস, ওয়ালমেট, কুশন কভার, শাড়ি, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট, লেডিস পাঞ্জাবি, ইয়ক, পার্স, বালিশের কভার, টিভি কভার, শাড়ির পাড়, ওড়না, ফ্লোর কুশন, মাথার ব্যান্ড, মানি ব্যাগ, কলমদানি, মোবাইল ব্যাগ, শিকা, শাল চাদর ইত্যাদি।

এ দেশের জামালপুরের বকশীগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ, যশোর, ফরিদপুর, সাতক্ষীরা অঞ্চলে নকশি কাঁথা বেশি তৈরি হয়ে থাকে। তা ছাড়া ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, রাজশাহী, বরিশাল, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিলেটে নকশি কাঁথার বাজার ও ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এ শিল্পকে কেন্দ্র করে কেবল জামালপুরেই গড়ে উঠেছে রংধনু হস্তশিল্প, সৃজন মহিলা সংস্থা, সুপ্তি, ক্যাম্প, কারু নিলয়, জোসনা হস্তশিল্প, প্রত্যয় ক্রাফট, রওজা কারুশিল্প, কারুপল্লী, কারু নীড়, দোলন চাঁপা, ঝিনুক, সূচিকা, তরঙ্গ, দিপ্ত কুটির, বুনন, অণিকা, মিম, মামিম, শতদলসহ প্রায় ৩০০ প্রতিষ্ঠান। তাই বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি নকশি কাঁথা তৈরি হয় জামালপুরে।সারাবিশ্বে এখন নকশি কাঁথার বিশেষ বাজার তৈরি হয়েছে। পৃথিবীব্যাপী বিভিন্ন বাজারে এ শিল্প ইদানীং বেশ ভালো স্থান করে নিতে চলেছে। বাংলাদেশের নকশি কাঁথা গুণগতমানে উন্নত এবং দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় দেশ-বিদেশে এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের নকশি কাঁথার উন্নত গুণগত মান ও মূল্য তুলনামূলক কম হওয়ায় বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নকশি কাঁথার বিশেষ বাজার সৃষ্টি হচ্ছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যেও নকশি কাঁথা রফতানি হচ্ছে। ব্যবহারিক কাঁথা তৈরি কখনও বন্ধ না হলেও বিশ শতকের প্রথম দশকগুলিতে রাজনৈতিক অভ্যুত্থান, মেশিনে তৈরি জিনিসপত্রের প্রাচুর্য এবং রুচির পরিবর্তন এক সময়ের শিল্পসমৃদ্ধ এ নকশি কাঁথাকে বিলুপ্তির দিকে নিয়ে যায়। তবে বর্তমান বছরগুলিতে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে নৃতাত্ত্বিক শিল্পকলার প্রতি মানুষের আগ্রহ কাঁথাশিল্পের পুনরুজ্জীবনে উৎসাহের সৃষ্টি করেছে।

ভৌগোলিক দৃষ্টিকোণ অনুযায়ী দেখতে গেলে অবিভক্ত বাংলা জুড়েই কাঁথা শিল্পের প্রসার ঘটেছিল। প্রকৃত অর্থে কাঁথা শিল্প হল বঙ্গনারীর শিল্পকলা।নস্বাধীনতার পূর্ব অবিভক্ত বাংলায় কাঁথা শিল্পের যে প্রসার ঘটেছিল তা স্বাধীনতার পর বাংলার বিভক্ত হওয়ায় নানান দিক থেকে প্রভাবিত হয়েছে। পূর্ব বাংলা অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজশাহী, খুলনা, ঢাকা, যশোর, পুঠ্লা, নবাবগঞ্জ, রংপুর, দিনাজপুর, বরিশাল, মধুপুর প্রভৃতি অঞ্চলে কাঁথা শিল্পের প্রসার ঘটে। অপরদিকে ভারতের অন্তর্গত পশ্চিম বঙ্গের বীরভূমের বোলপুর অঞ্চল, পুরুলিয়া, নদীয়ার কৃষ্ণনগর অঞ্চল বসিরহাটের সেনপালা অঞ্চল, বারাসাত, কদম্বগাছি প্রভৃতি অঞ্চলে কাঁথা শিল্পের বিস্তার লক্ষ করা যায়।

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents