Dreamy Media BD

কক্সবাজার ভ্রমণ এবং এর দর্শনীয় স্থান

কক্সবাজার ভ্রমণ এবং এর দর্শনীয় স্থান

আপনি যদি সকল প্রকার সৌন্দর্য একটি ভ্রমণের মধ্যে পেতে চান, তাহলে কক্সবাজার আপনার জন্য সর্বোত্তম ভ্রমন কেন্দ্র। কক্সবাজার একটি পর্যটন নগরী যেটি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলে অবস্থিত। প্রসিদ্ধ ইতিহাস ও ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে গড়ে উঠেছে এই প্রাচীন নগরী ।

কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত। আপনার অবসর সময় কাটানোর জন্য কোথায় যাওয়া উচিত? তার উত্তরে এক কথায় বলা যায় কক্সবাজার। এই আর্টিকেল থেকে জানতে পারবেন, কক্সবাজারের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান এবং সম্পূর্ণ ভ্রমণ গাইডলাইন।

 কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত

বিশ্বের দীর্ঘতম এবং বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় পর্যটন এলাকা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজার বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। এটি চট্রগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার সদর দপ্তর। মৎস্য বন্দর এবং পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজার।

কক্সবাজার তার নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। সাগরের ঢেউ গুলো সমুদ্রের তীরে এসে আছড়ে পড়ার দৃশ্য খুবই মনোরম। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের শাণিত রুপ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। এখানে রয়েছে বিশ্বের দীর্ঘতম অবিচ্ছিন্ন প্রাকৃতিক বালুময় সমুদ্র সৈকত যা কক্সবাজার শহর থেকে বদরমোকাম পর্যন্ত একটানা ১২০ কিলোমিটার।

কক্সবাজার আসলেই একই সাথে নদী, সাগর, পাহাড়, সমতল, উপজাতিদের সংস্কৃতি, দর্শণীয় স্থান দেখার অপার সুযোগ মেলে। এই সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের অপরুপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়।

বিভিন্ন সময়ে প্রকৃতি যেমন রুপ বদলায় এ সৈকতটিও তেমনি প্রকৃতির সাথে নিজেকে নানান সময় নানা ভাবে পর্যটকদের কাছে উপস্থিত হয়। যেমন, বর্ষা ও শরতের নীল আকাশের সাথে এই সৈকতে রয়েছে গভীর মিতালী, আবার হেমন্তের পূর্ণিমার রাত আপনাকে দেবে একটি মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তাছাড়া শীতকালে এক চাদরে ঢাকা রাজকন্যার মত সৌন্দর্য নিয়ে আপনার সামনে উপস্থিত হতে পারে এই সমুদ্র সৈকত।

নিজেকে কোলাহলের শহর থেকে আলাদা করে কিছু সময়ের জন্য এখানে এসে নিজের মনটাকে পরিতৃপ্ত করুন। একই সাথে পরিবার পরিজনদের সাথে নিয়ে একটি ফ্যামেলি ভ্রমন ও করতে পারেন। এতে করে আপনি সকলের সাথে একটি দূর্দান্ত সময় পার করতে পারবেন

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
চট্টগ্রাম বিভাগের অন্তর্গত জেলা কক্সবাজার। কক্সবাজার দক্ষিণ- পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। শ্রেণীভেদে বাস এবং রেলপথ দিয়ে কক্সবাজার যাওয়া যায়। কক্সবাজার থাকা খাওয়ার জন্য হোটেল রিসোর্ট এর সুব্যবস্থা রয়েছে।

আরো পড়ুন…….বাংলাদেশের লোক গীতি

লাবনী পয়েন্ট 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি অংশের নাম লাবনী পয়েন্ট। সমুদ্র সৈকত থেকে এর দূরত্ব কাছে হওয়য় এটি অনায়াসে পর্যটকরা উপভোগ করতে পারে। বিভিন্ন রকমের জিনিসের পসরা সাজিয়ে সৈকত এলাকায় অবস্থান করছে এটি।

প্রতিনিয়ত দেশ-বিদেশ থেকে হাজার হাজার পর্যটকরা সমুদ্র সৈকতে আসে। এবং লাবনীর পয়েন্টের হরেক রকম সৌন্দর্য উপভোগ করা ছাড়া কেউ ফেরত আসে না।

সকালবেলা দিগন্তে জলরাশি ভেদ করে রক্তবর্ণের থালার মতো সূর্য দেখতে কার না ভালো লাগবে? আবার সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় দিগন্তের চারদিকে আরও বেশি স্বপ্নীল রঙ মেখে সে বিদায় জানিয়ে যায়। একই সাথে মুগ্ধ করে যায় পর্যটকদের।

এছাড়াও এখানে রয়েছে ঝিনুক মার্কেটসহ ছোট বড় হরেক রকমের দোকান। রয়েছে মনমুগ্ধকর পরিবেশে ঘেরা অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট। এসব কিছু মিলিয়ে আপনাকে একটা আনন্দঘন মুহূর্ত প্রদান করবে

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে অবস্থিত লাবনী পয়েন্ট। বলা যায় এটি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ  দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে শ্রেণীভেদে বাস এবং রেলপথ দিয়ে কক্সবাজার যাওয়া যায়। কক্সবাজার থাকা খাওয়ার জন্য সকল রকমের হোটেল ও রিসোর্ট এর সুব্যবস্থা রয়েছে।

 

সেন্ট মার্টিন 

 

দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যে মনমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান হল সেন্ট মার্টিন। নীল আকাশের সাথে সমুদ্রের নীল জলের মিতালী, সারি সারি নারকেল গাছ এ দ্বীপকে করেছে অনন্য। সেন্ট মার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।

সেন্ট মার্টিন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা হতে ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমারের উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। সমুদ্র প্রেমিরা এখানে গেলে নিজেদের অস্তিত্ব  হারিয়ে ফেলেন। সেন্ট মার্টিনে  আপনি যা দেখতে পাবেন তা হলো ; প্রবাল জলশ্রোত এই সমুদ্রের লীলা ভূমিতে দেখা যায়, সেন্ট মার্টিনের অদ্ভুত সুন্দর পানির রং এসে দ্বীপ পরিষ্কার করার চেষ্টা করেন।

জাহাজ  থেকে দূরে তাকালেই দেখা যায় আকাশ আর সাগরের মিতালী, এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্য। নান্দনিক নারিকেল গাছের সারি যেন চিরল পাতায় দোলা দিয়ে যায়। সাগরের তীরে বাঁধা মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার, সৈকত জুড়ে কাকড়া,  ঝিনুক, গাংচিল এই সবই সেন্টমার্টিনার বৈশিষ্ট্য।

 

স্বচ্ছ পানিতে জেলিফিশ, অনেক রকমের সামুদ্রিক মাছ, কচ্ছপ এবং প্রবাল এ দ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ। সেন্টমার্টিন ডাবের জন্য বিখ্যাত। সেন্ট মার্টিনকে নারিকেলের জিঞ্জিয়া বলা হয়। নৈসর্গিক সৌন্দর্যের জন্য এই প্রবাল দ্বীপটি পর্যটকদের মন জয় করে এক পলকেই। তাই কক্সবাজার ভ্রমনে গেলে এটি কোনোভাবেই মিস করবেন না।

 

লোকেশন গাইড লাইন /কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে এবং টেকনাফ উপজেলা থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ক্ষুদ্রদীপ সেন্টমার্টিন। সেন্টমার্টিন যেতে চাইলে কক্সবাজার  জেলার টেকনাফ উপজেলায় চলে যাওয়ার সুবিধাজনক। তারপর, টেকনাফ থেকে জাহাজ বা ট্রলারে সেন্টমার্টিনে যাওয়া যায়। জাহাজের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যেতে সময় লাগে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা।

 

মহেশখালীদ্বীপ 

মাহেশখালী কক্সবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্য অন্যতম। বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়ি দ্বীপ এটি। কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত মহেশখালী উপজেলায় এর অবস্থান। লোকমুখে জানা যায় যে, ১৫৫৯ সালে একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় এবং জলোচ্ছ্বাসের ফলে এই দ্বীপের সৃষ্টি হয়।

প্রকৃিত প্রেমিরা এখানে গেলে  নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলে। মহেশখালী দ্বীপে আপনি যা দেখতে পাবেন তা হল। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যময় এই দর্শনীয় স্থানে কিছু বৌদ্ধ বিহার, জলবান ও নানা প্রজাতির পশু পাখি। মহেশখালীতে আছে আদিনাথ মন্দির, রাখাইনপাড়া স্বর্ণমন্দির। সবুজে ভরা ঝাউ বাগান ও চরপাড়া বীচ্ সৌন্দর্যে ভরপুর জায়গা। প্রচলিত পথেই দেখতে পাবেন পান গাছের বাগান ও লবণের মাঠ।

মহেশখালী দ্বীপটি শুটকি, চিংড়ি, পান, মাছ, লবণ ও মুক্তার উৎপাদনে সুনাম অর্জন করলেও এখানকার মূল আকর্ষণ মিষ্টি পান। কক্সবাজার সদর থেকে ৪-৫ ঘন্টা সময় ব্যয় করে এখানে আসলে আপনি মহেশখালী দ্বীপের এই অপরুপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে সক্ষম হবেন।

এটি বাংলাদেশের একমাত্র পাহাড়িয়া দ্বীপ এবং এখানকার মৈনাক নামক পর্বতের উপরে রয়েছে আদিনাথ মন্দির। এটিকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরের ফাল্গুন মাসে এখানে আদিনাথ মেলা অনুষ্ঠিত হয। তাছাড়া এই দ্বীপের কারুকার্য একবারে চক্ষু শীতল করার মতো। তাছাড়া মিষ্টি পানের জন্য দেশ জুড়ে বেশ বিখ্যাত এই মহেশখালী, তাই এখানে আসলে মিষ্টি পানের স্বাদ নিতে একদম ভুলবেন না।

 

লোকেশন ভ্রমণ গাইড /কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার থেকে ১২ কিলোমিটার দূরত্বে মহেশখালী উপজেলায় অবস্থিত এই মহেশখালী দ্বীপ। কক্সবাজার যে কোন জায়গা হতে   মহেশখালী যাবার জেডিতে (৬ নং ঘাট)যেতে হবে। সেখান থেকে ট্রলার বাই স্পিডবোটে ৭০-৮০ টাকায় মহেশখালী আসবেন। মহেশখালী সব ঘুরে দেখতে হলে, রিক্সা, ইজিবাইক ভাড়া নিতে পারেন

 

 সোনাদিয়া দ্বীপ 

 

কক্সবাজার

অপরূপ সৌন্দর্য ধারণ করেছে সোনা দিয়া দ্বীপ। লাল কাঁকড়ার ছোটা ছুটিতে কিযে এক অপরূপ সৌন্দর্য ছড়িয়ে আছে তা স্বচক্ষে না দেখলে অনুভব করা কঠিন। কক্সবাজার থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। অপরূপ সৌন্দর্যের আধার এ দ্বীপ এবং এই দ্বীপকে মাছের প্রজনন ক্ষেত্র বলে।

সোনাদিয়া দ্বীপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য একদম উপযুক্ত একটি গন্তব্য। এটি জীববৈচিত্রের দ্বীপ নামেও পরিচিতি। এখানে, আপনি যা দেখতে পাবেন তা হল সোনাদিয়া দ্বীপের তিন দিক থেকে আছে সমুদ্র সৈকত, আছে জীব বৈচিত্রের পরিপূর্ণ জলবান, ছোট বড় খাল, তিন দিকে নীল সাগর, লাল কাঁকড়া, কেয়া বনসহ আরও অনেক কিছু। সব মিলিয়ে সোনা দিয়া দ্বীপ প্রকৃতির সৌন্দর্য সভা।

এ দ্বীপর নাম সোনাদিয়া হলেও এখানে কোনো সোনার দেখা নেই কথাটি সত্যি। তবে এখানকার সৌন্দর্য যেন সোনার চেয়েও দামি একথা অনায়াসেই বলা যায়। এ দ্বীপের পশ্চিম দিকে সবুজ ঘাসে মোড়ানো খোলা মাঠ, নির্জনতা ও অফুরন্ত বাতাস, সব মিলিয়ে মনোমুগ্ধকর। এখানে দুটি পারা আছে। পূর্বপাড়া ও পশ্চিমপাড়া।

সোনাদিয়া দ্বীপটি সামুদ্রিক মাছ শিকার এবং অতিথি পাখির জন্য বিখ্যাত। বছর জুড়ে এখানে অতিথি পাখিদের আনাগোনা হয়। বিশেষ করে ফাল্গুন মাসে চেনা অচেনা এসব পাখিরা এসে মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ায় আর চারিপাশের পরিবেশকে মুখরিত করে রাখে। এমন সৌন্দর্য লুফে নিতে আপনার একবার হলেও কক্সবাজার আসা উচিত।

 

লোকেশন গাইড লাইন /কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার শহর থেকে ৭ কিলোমিটার উত্তর -পশ্চিমে দূরে সাগর গর্ভে  অবস্থিত সোনাদিয়া দ্বীপ। সোনাদিয়া দ্বীপটি যেতে চাইলে কক্সবাজার জেটি হতে ট্রলার বা স্পীড বোড এ যেতে হয়।

 

রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ড

 

বাংলাদেশে এখন আন্তর্জাতিক মানের ফিস একুরিয়াম দেখা পাওয়া যায়। শুনে অবাক হলেও এটাই সত্য। রেডিয়েন্ট ফেস ওয়াল্ড কক্সবাজার শহরের ঝাউতলায় বিনোদনের একটি নতুন সংযোজন। প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই ফিস ওয়ার্ল্ড। প্রায় ১০০ প্রজাতির মাছ নিয়ে এ একুরিয়াম কমপ্লেক্স টি নির্মিত।

বিরল প্রজাতির এ সকল মাছগুলো বিভিন্ন সাগর ও মিঠাপানির মাছ। এদের মধ্যে রয়েছে হাঙ্গর, পিরানহ, শাপলা পাতা, পানপাতা, কাছিম, কাঁকড়াসহ নাম না-জানা আরো অনেক প্রজাতির মাছ। শুধু যে এটি মাছ দিয়ে ভরপুর তা নয় এখানে রয়েছে সুন্দর ডেকোরেশনে সাজানো সাগরের তলদেশের বৈচিত্র্য এবং বিভিন্ন জলজ প্রানী।

এখানে প্রবেশ করলে আপনার মনে হবে যেনো আপনি সমুদ্রের তলদেশে ঢুবে আছেন। আর আপনার চারিপাশে রংবেরঙের মাছ এবং বর্ণিল প্রজাতির নানা সামুদ্রিক প্রাণী। কক্সবাজারে ভ্রমনে গেলে সমুদ্রতলের প্রাণীজগতের এ মেলা না দেখা হাতছাড়া করার কোনো যোক্তিক কারনই নেই। প্রবেশ ফি ৩০০ টাকা এবং এটি সকাল ৯ টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড কক্সবাজারের ঝাউতলায় অবস্থিত কক্সবাজার থেকে প্রথমে আসতে হবে কলাতলী বীচের সড়কে এখান থেকে সিএনজি, ইজিবাইক, অটোরিকশা করে যেতে পারবেন ঝাউতলা। জনপ্রতি ভাড়া ১০-১৫ টাকা, রিজার্ভে গেলে ভাড়া ৫০-৭০ টাকা। এরপর পৌষী রেস্টুরেন্টের পাশ দিয়ে কয়েক কদম গেলেই পাবেন কাঙ্ক্ষিত রেডিয়েন্ট ফিশ ওয়ার্ল্ড।

 

রামুর বৌদ্ধ মন্দির 

 

কক্সবাজার

কক্সবাজার জেলার একটি উপজেলা হলো রামু। রামু উপজেলাটি বৌদ্ধদের মন্দির, রাবার বাগান ও হিমছড়ির জন্য বিখ্যাত। কক্সবাজার থেকে রামু ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ পুরা কীর্তি সমৃদ্ধ রামুতে রয়েছে অসংখ্য প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন।

রামুতে প্রায় ৩৫ টি বৌদ্ধ মন্দির ও জাদি রয়েছে। বৌদ্ধ ঐতিহ্য মধ্যে রামু মন্দির বিখ্যাত। রামুতে গেলে আপনি যা দেখতে পাবেন তার হলো, রামুর উত্তর মিঠাছড়ির পাহাড় চূড়ায় রয়েছে গৌতম বুদ্ধের ১০০ ফুট লম্বা সিংহশয্যা মূর্তি। মাএ ২ কিলোমিটার অদূরেই কেন্দ্রীয় সীমা বিহার নতুন করে নির্মিত হয়েছে। কিছুটা দক্ষিণে এগিয়ে গেলেই রয়েছে নজর কাড়া লালচিং ও সাদাচিং বৌদ্ধ বিহার।

রামুর অন্যতম দর্শণীয় স্থান হলো রামু রাবার বাগান। রামু বৌদ্ধ মন্দির, বিহার ও চৈত্য- জাদিদ উল্লেখযোগ্য দর্শণীয় স্থান। রামুতে রয়েছে স্বর্ণ মন্দির। স্বর্ণ বৌদ্ধ মন্দির বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বুদ্ধ মুর্তি রয়েছে এবং এটি বাংলাদেশের সর্বাপেক্ষা বড়ো হীনযান বৌদ্ধ মন্দির।

রামুতে রয়েছে চাই বাগান, বৌদ্ধ মন্দির আর ঝুলন্ত সেতু। এছাড়া ছোট বড় অনেক বৌদ্ধ বিহার ও রয়েছে এখানে। সব মিলিয়ে এটি একটি আকর্ষনীয় ভ্রমনের স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার থেকে রামু উপজেলা ২৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। রামু যাওয়ার সহজ উপায় হলো কক্সবাজার থেকে রিজার্ভ গাড়ি নেওয়া। শহর থেকে পর্যাপ্ত সিএনজি ট্যাক্সি এবং অটোরিকশা রয়েছে রামু ভ্রমনের জন্য। জনপ্রতি ভাড়া পড়বে ৪০ টাকা। আপনি চাইলে রিজার্ভেও যেতে পারেন, সেক্ষেত্রে ভাড়া পড়বে ৩০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা ভাড়া।

 

ইনানী সমুদ্র সৈকত

অপূর্ব সৌন্দর্য পূর্ণ ইনানী বিচ। কোরাল পাথরে ঘেরা এক অপূর্ব সৈকত হলো  ইনানী বিচ। কক্সবাজার থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ইনানী প্রবাল গঠিত সমুদ্র সৈকত। হিমছড়ি ছাড়িয়ে এ সমুদ্র সৈকতটির নাম ইনানী। ইনানী বিচ এ রয়েছে প্রবাল পাথরের ছড়াছড়ি।

ইনানী বিচ প্রাকৃতিক পিপাসু এবং সকল বয়সের পর্যটকদের জন্য অত্যন্ত দৃষ্টিকাড়া একটি গন্তব্য। ইনানী বিচ দর্শণীয় স্থানে আপনি অনেক কিছু দেখতে পাবেন। তার মধ্যে রয়েছে প্রধান আকর্ষণীয় নানা আকৃতির প্রবাল আর পাথর। এক দিকে ঝাউবন আর এক দিকে পানি এর মাঝে বয়ে গেছে ইনানী সৈকত। বিকেল বেলায় এখানে ভ্রমণের জন্য আর্দশ সময়। পশ্চিমে সমুদ্র আর পূর্বে পাহাড়ের এক অপূর্ব জায়গা এটি।

বাংলাদেশের অন্যতম সমুদ্র সৈকতের মধ্যে ইনানী সৈকত জায়গা করে নিয়েছে। পর্যটকদের কাছেও এটি বেশ জনপ্রিয় একটি ভ্রমনের স্থান। নানা রকম পাখির কলতান এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের গান শুনতে হলেও আপনার অবশ্যই এখানে আসা উচিত।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার থেকে ২৭ কিলোমিটার দক্ষিণে ও হিমছড়ি থেকে  ১৫ কিলোমিটার দূরে ইনানী বিচ  অবস্থিত। মেরিন ড্রাইভ সড়ক ধরে কক্সবাজার থেকে ইনানী বিচ যেতে হয়। ইজিবাইক /রিকশা করে ইনানী সমুদ্র সৈকত যাওয়া ও আসা করা যায়।

 

 ছেঁড়া দ্বীপ

অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখা যায় ছেঁড়া দ্বীপে। প্রবাহ বঙ্গোপসাগরে ঢেউ ছেঁড়া দ্বীপের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ছেঁড়া দ্বীপ বাংলাদেশের দক্ষিণের শেষ বিন্দু। সেন্টমার্টিন থেকে বিচ্ছিন্ন ১০০ থেকে ৫০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তন বিশিষ্ট কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে, যে গুলো কে স্হানীয় ভাবে ‘ছেঁড়াদিয়া’ বা  ‘সিরাদিয়া’ বলা হয়।ছেঁড়া দ্বীপ সেন্টমার্টিন দ্বীপের একটি বিচ্ছিন্ন অংশ।

ছেঁড়া দ্বীপে আপনি যা দেখতে পাবেন তা হলো, সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক পাথর, প্রবাল এবং নারিকেল গাছে পরিপূর্ণ। অপরুপ প্রাকৃতিক দৃশ্য সামুদ্রিক ঢেউ আর সারি সারি নারিকেল গাছের এক মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য এতে যে কারো মন জুড়িয়ে যাবে এক নিমিষেই।

পাথরের গায়ে সমুদ্রের উঁচু নিচু নীল ঢেউ যখন আছড়ে পড়ে তখন মনের মাঝে এক অন্য রকম ভালো লাগার দোলা লাগে। যা লিখে প্রকাশ করার মত না। এই সুনীল সাগরের সাথে দিগন্তের এপাড় থেকে ভেসে আসা মেঘ গুলো এর প্রকৃতিকে করেছে আরও বেশি সাবলীল এবং দৃস্টিনন্দন।

তাছাড়া পূর্নিমারাতে যদি এখানে ক্যাম্পিং করতে পারেন তাহলে সমুদ্রের জলের সাথে চাঁদের আলোর এক যাদুকরী খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

 

 লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
সেন্টমার্টিন থেকে ৫ কিলোমিটার দক্ষিণে ছেঁড়া দ্বীপের অবস্থান। কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ঢোকার পথে একমাত্র ব্রিজের কাছ থেকে ছোট বোটে করে যেতে হয় ছেঁড়া দ্বীপে। ছেঁড়া দ্বীপে যাওয়ার জন্য জোয়ারের অপেক্ষা করতে হয়।

 

হিমছড়ি ঝর্ণা, পাহাড় এবং বিচ

হিমছড়িতে রয়েছে পাহাড়, সমুদ্র ও ঝর্ণার অপূর্ব মিলন মেলা। কক্সবাজার থেকে এটি ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। হিমছড়ির এক পাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্য পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। হিমছড়ির ছোট বড় ঝর্ণা,পাহাড় আর ফটোগ্রাফিক সমুদ্রতট পর্যটকদের বিমোহিত করে রাখে।

হিমছড়ির এক পাশে রয়েছে সুবিস্তৃত সমুদ্র সৈকত আর অন্য পাশে রয়েছে সবুজ পাহাড়ের সারি। কক্সবাজার হিমছড়ির ঝর্ণা অসাধারণ। ছোট বড় পাহাড়ের গা বেয়ে পড়া ঝর্নার স্বচ্ছ পানি আপনার দৃষ্টিকে আকড়ে ধরতে সক্ষম।

এক দিকে ঝর্ণা আর অন্যদিকে নদী আবার অপর পাশে পাহাড় এ যেন এক স্বপ্নের রাজ্য। এছাড়াও এখানে রয়েছে পাম গাছ এবং বাঁশঝাড়ে ঘেরা একটি অপূর্ব পাহাড়। হিমছড়ির বিখ্যাত হলো হিমছড়ির জলপ্রপাত। হিমছড়ি ইকোপার্কে ঝর্ণা ছাড়াও পাহাড়ের উপরে উঠে পাখির চোখে আশেপাশের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় এক পলকেই।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত হতে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে লোকাল ইজিবাইক / সিএনজি   করে হিমছড়ি যাওয়া যায়। রিজার্ভ নিতে চাইলে সিজন অনুযায়ী ভাড়া লাগবে। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।

 

কুতুবদিয়া দ্বীপ

সৌন্দর্যের লীলা ভূমি সাগর কন্যা কুতুবদিয়া দ্বীপ। কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত কুতুবদিয়া দ্বীপ। এ-ই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ২১৬ বর্গ কিলোমিটার। শীতে কুতুবদিয়া জমিতে লবণ চাষ হয় প্রাকৃতিক নিয়মে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি দ্বীপই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার কুতুবদিয়া তার ব্যতিক্রম নয়।

কুতুবদিয়া গেলে আপনি যা দেখতে পাবেন তা হলো, অপরুপ সৌন্দর্যের প্রাকৃতিক দ্বীপ  তার সাথে,কুতুবদিয়া আলী আকবরের ডেল এলাকায় দেশের সবচেয়ে বড় বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র, কুতুব আউলিয়ার দরবার, বাতিঘর, সমুদ্র সৈকত, কুতুবদিয়া চ্যানেল এবং শীতকালে লবণ চাষের সুন্দর দৃশ্য।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কুতুবদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার অন্তর্গত কুতুবদিয়া উপজেলায় অবস্থিত। কক্সবাজার থেকে লোকাল ইজিবাইক / সিএনজি দিয়ে যাওয়া যায়। ট্রলার বা স্পীড বোড ব্যবহার করা যায়।

 

মাথিনের কূপ

প্রেমের এক উজ্জ্বল নিদর্শন কক্সবাজার টেকনাফ উপজেলার মাথিনের কূপ। কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফ, নাফ নদীর কূল ঘেঁষে টেকনাফ থানার চত্বরে অতি যত্নে সৌন্দর্যের আধার মাথিনের কূপ দাড়িয়ে আছে এক বিস্ময় নিয়ে। মাথিনের কূপ এক ঐতিহাসিক ও আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট এবং এক অমর প্রেমের স্মারক।

প্রেমের আত্মত্যাগের নিদর্শন এই কূপ। আর এ প্রেমের নিদর্শন দেখতে প্রতি বছর ভীড় করে হাজারো পর্যটকরা। মাথিন- ধীরাজের প্রেমের স্বাক্ষী হয়ে আছে এই কূপটি আর এর পাশেই মাথিন-ধীরাজের সেই অমর প্রেম কাহিনি লেখা রয়েছে। এ স্থানটি চাকমা তরুণী মাথিন ও পুলিশ কর্মকর্তা ধীরাজ ভট্টাচার্যের প্রেম কাহিনির জন্য বিখ্যাত। কূপটির নিথর জলে মিশে আছে বিষাদ আর বেদনাবিধুর এক অমর প্রেমের স্মারক।

প্রায় ১৮ শতকের শেষ ভাগে টেকনাফ উপজেলায় পানির অভাব পূরণের জন্য একটি কূপ ছিল। আশেপাশের লোকজন এ কূপ থেকেই প্রতিনিয়ত পানি সংগ্রহ করত। মূলত ছিলেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা যার নাম ধীরাজ ভট্টাচার্য। তিনি কলকাতা থেকে এখানে বদলি হয়ে আসে। সকালের মতো রাখাইন জমিদার কন্যা মাথিন এখানে জল নেওয়ার জন্য আসলে দেখা হয় ধীরাজ ভট্টাচার্যের সঙ্গে।

পরিচিত হওয়ার পর তাদের মধ্যে এক মিষ্টি মধুর প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু বেশ কিছুদিন পরে ধীরাজ ভট্টাচার্য বাবার অসুস্থতার জন্য কলকাতায় ফিরে যেতে চাইলে মাথিন নিষেধ করে। মাথিন ভেবেছিলো ধীরাজ কলকাতা গেলে আর নাও ফিরতে পারে তাই তাকে কলকাতা যেতে দিতে চায় নি।

 

কিন্তু ধীরাজ হঠাৎ করে মাথিনকে না জানিয়ে কলকাতা চলে যান। এদিকে মাথিন ভালোবাসার মানুষের বিচ্ছেদে দিনের পর দিন না খেয়ে, অনাহারে তার সুন্দর চেহারাখানি অযত্নে নষ্ট হয়ে যায় এবং শেষ পর্যায়ে তার জীবন চিরতরের জন্য বিসর্জন দিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

এ ঘটনার পর থেকে মাথিন ও ধীরাজের প্রথম পরিচয়ের স্থানকে কেন্দ্র করে এই কূপটির নাম মাথিনের কূপ নামে সকলের কাছে পরিচিত হয়। এমন অমর প্রেমের নিদর্শন দেখতে চাইলে চলে আসুন মাথিনের কূপ দেখতে।

 

লোকেশন গাইড লাইন / কিভাবে যাবেন
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানায় মাথিন কূপটি অবস্থিত। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফের মাথিন কূপ এ যাওয়ার জন্য ইজিবাইক / রিকশা ইত্যাদি পরিবহন করা যায়।

ঢাকা টু কক্সবাজার বাস সার্ভিস

শ্রদ্ধেয় ভ্রমন পিপাসু বন্ধুগন, আপনাদের ভ্রমনকে আরও সহজ এবং আরামদায়ক করতে আপনাদের সুবিধার জন্য আমরা ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার সবচেয়ে ভালো পরিবহন গুলোর লিস্ট করেছি। নিচে টেবিলের মাধ্যমে কিছু এসি এবং নন এসি বাসের বিবরণ দেওয়া হলো।

এখান থেকে আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে যেকোনো বাস সার্ভিসটি পছন্দ করে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার ভ্রমনের প্ল্যান সাজাতে পারেন। এখানকার প্রায় সকল বাসই মান সম্পূর্ণ সার্ভিস প্রদান করে থাকে।

ঢাকাকক্সবাজার এসি বাসের ভাড়া সময়সূচি২০২৩

বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড বাসের সিট ভাড়া
গ্রীন লাইন পরিবহন ম্যান (Man) ডাবল ডেকার বিজনেস ক্লাস ২২০০
হানিফ এন্টারপ্রাইজ ভলভো (Volvo) বিজনেস ক্লাস ২০০০
সোহাগ পরিবহন স্ক্যানিয়া (Scania)Multi Axle বিজনেস ক্লাস ২০০০
দেশ ট্রাভেলস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
লন্ডন এক্সপ্রেস ম্যান (Man) বিজনেস ক্লাস ২০০০
জেদ্দা এক্সপ্রস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
রবি এক্সপ্রেস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
রবি এক্সপ্রেস আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) স্লিপার বেড ১৮০০
এনা ট্রান্সপোর্ট হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
শ্যামলী পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১৪০০
রিলাক্স ট্রান্সপোর্ট হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
সেঁজুতি ট্রাভেলস হাইগার(Higer) ইকোনমি ক্লাস ১৩০০
তুবা লাইন আনকাই (Ankai) স্লিপার বেড ২৫০০
সৌদিয়া কোচ সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১৫০০
রয়েল কোচ হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
সেন্টমাটিন পরিবহন আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) স্লিপার বেড ২২০০
হেরিটেজ ট্রাভেলস আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) স্লিপার বেড ২০০০
স্বাধীন ট্রাভেলস ইসুজু (Isuzu) ইকোনমি ক্লাস ১৩০০
রোড মাস্টার আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) স্লিপার বেড ২০০০
সেন্টমাটিন ট্রাভেলস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ২০০০
ইম্পেরিয়াল এক্সপ্রেস আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১৩০০
শান্তি পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১৩০০
গ্রীন সেন্টমাটিন এক্সপ্রেস ইসুজু (Isuzu) ইকোনমি ক্লাস ১৬০০
প্রেসিডেন্ট ট্রাভেলস ম্যান (Man) স্লিপার বেড ২৫০০
ঢাকা এক্সপ্রেস আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১২০০
স্টার লাইন পরিবহন হিনো আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১২০০

ঢাকাকক্সবাজার ননএসি বাসের ভাড়া সময়সূচি২০২৩

 

বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড বাসের সিট ভাড়া
হানিফ এন্টারপ্রাইজ হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
ইউনিক সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
শ্যামলী পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
এস.আলম সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
সৌদিয়া সার্ভিস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
এনা ট্রান্সপোর্ট হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
সেন্টমাটিন ট্রাভেলস হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
ঈগল পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
সেঁজুতি ট্রাভেলস আশোক লিল্যান্ড,হিনো (Hino.Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
সেন্টমাটিন পরিবহন আশোক লিল্যান্ড,হিনো (Hino.Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
সেন্টমাটিন প্লাস আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১১০০
রোড মাস্টার আশোক লিল্যান্ড (Ashok Leyland) ইকোনমি ক্লাস ১১০০

সবশেষে বলা যায়, ছুটির সময়কে স্মরনীয় করে রাখতে এবং মনকে সতেজ করতে অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এই কক্সবাজার জেলাটি আপনার জন্য একটি উপযুক্ত গন্তব্য।

একই সাথে নদী, সাগর, পাহাড়, সমতল, উপজাতিদের সংস্কৃতি দর্শনীয় স্থান দেখার অপার সুযোগ মেলে এখানে। কক্সবাজার সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সাগর আর পাহাড়ের মিতালী সহ প্রাকৃতিক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে এবং বিস্তৃত বালুকারাশি নুড়ির প্রবাল আর ঢেউয়ের দোলায় মনকে দোলাতে নির্বিঘ্নে চলে আসতে পারেন এই কক্সবাজারে।

কক্সবাজার ভ্রমন সম্পর্কে আরও কোনো তথ্যের প্রয়োজন হলে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। যথাসময়ে আমরা আপনার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব। ইনশাআল্লাহ।

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents