Dreamy Media BD

পরশুরাম প্রাসাদ 

পরশুরাম প্রাসাদ 

বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলায় মহাস্থানগড়ের সীমানায়  প্রাচীন সভ্যতার অন্যতম আবিষ্কৃত এক নিদর্শনের নাম পরশুরাম প্রাসাদ ( Parsuram Palace)। মহাকালী কুণ্ড থেকে ২০০ মিটার উত্তরে এই প্রাসাদের অবস্থান। এখানকার শেষ হিন্দু রাজা ও বিষ্ণুর ৬ ষ্ঠ অবতার পরশুরামের নামানুসারে এই প্রাসাদের নামকরণ করা হয়, স্থানীয়দের কাছে যা হিন্দু নৃপতি পশুরামের প্যালেস নামে পরিচিত।

পরশুরাম যে বাংলায় রাজত্বও করেছেন, সে হদিশ অনেকেই রাখেন না। বাংলাদেশের মহাস্থানগড়ে সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাঁর প্রাসাদেরও। অবশ্য এসব পৌরাণিক যুগের কথা নয়। দ্বাদশ শতকে মহাস্থানগড়ে রাজত্ব করেছেন পরশুরাম। আর তাঁর প্রাসাদের হদিশ মিলেছে গত শতকেই। ১৯০৭, ১৯৬১ এবং ১৯৯৫ সালে তিনটি খননকার্যে প্রাসাদের তিনটি স্তর আবিষ্কার করেন প্রত্নতাত্বিকরা।

আরো পড়ুন……নীলসাগর দিঘি

পরশুরামের প্রাসাদ ঐতিহাসিক মহাস্থানগড়ের সীমানা প্রাচীর বেষ্টনীর ভিতরে যেসব প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম। স্থানীয়ভাবে এটি তথাকথিত হিন্দু নৃপতি পশুরামের প্যালেস নামে পরিচিত। পরশুরাম ছিলেন বিষ্ণুর ৬ ষ্ঠ অবতার। পরশুরামের পিতা জমদগ্নি ব্রাহ্মণ হলেও, মা রেণুকা ছিলেন ক্ষত্রিয়। কঠোর তপস্যা করে তিনি শিবের নিকট হতে পরশু লাভ করেন এবং যুদ্ধবিদ্যা শেখেন।

পরশুরাম প্রাসাদ 

পাল রাজাগণ এখানে ৭৫০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১১২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। প্রচলিত মিথ অনুসারে রাজা নলের ছোট ভাই নীল। ১০৮২- ১১২৫ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এ রাজ্যের রাজা ছিলেন। সে সময় ভারতের দক্ষিণাত্বের শ্রীক্ষেত্র থেকে এক অভিশপ্ত ব্রাহ্মণ মহাস্থানগড়ে আসেন। এই মাতৃহন্তারক ব্রাহ্মণ প্রথমে পুন্ড্রনগরের প্রধান পুরোহিতের দায়িত্ব পান। পরে নল ও তার ভাইয়ের নীল মধ্যে মীমাংসা করেতে তাদের অভিভাবকত্ব গ্রহণ করেন। পরে নল  নীল এর সাথে প্রতারণা করে সে ব্রাহ্মণ পুন্ড্রনগরের রাজা হন। এ অভিশপ্ত ব্রাহ্মণের নাম ছিল রাম। আর এ রামই মহাস্থানগড়ে পরশুরাম নামে পরিচিত। শাহ সুলতান বলখীর মাজার থেকে প্রায় ২৫০ মি. এবং মহাকালীর কুণ্ড থেকে আনুমানিক ২০০ মি. উত্তরে এ এলাকার শেষে হিন্দু রাজা পরশুরামের প্রাসাদ ছিল। এখানে খননের ফলে পাল, মুসলিম ও ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের নানা সাংস্কৃতিক নিদর্শনের সন্ধান পাওয়া গেছে। খননের নিম্নতর স্তরে পাল আমলের নানা ভবনের ধ্বংসাবশেষ, কিছু পোড়ামাটির নকশি পাতলা ইটের ফলক এবং এ স্থানের মধ্যস্থলে কিছু ভবনের অবশেষও এ ভবনের বলে অনুমিত কিছু পোড়া মাটির পাত্র পাওয়া গেছে। এগুলি মুসলিম শাসনামলের। খনন এলাকার সর্বোচ্চ স্তরে ১৮শতক  কিংবা ১৯ শতকের গোড়ার দিকে নির্মিত একটি বাসভবনের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটিই পরশুরামের প্রাসাদ।

উপরের স্তরে অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালের নির্মিত একটি বিরাট আবাস বাটির সম্পূর্ন নকশা উন্মোচিত হয়েছে। অন্দর মহলে অবস্থিত ছোট একটি অঙ্গনের দিকে মুখ করে নির্মিত পৃথক পৃথক চারটি মহল বা অংশের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মোহগুলোর প্রবেশ পথ সহ বেশ কিছু কক্ষ, সোপান শ্রেণী, সীমানা প্রাচীর এবং পুর্ব ও পশ্চিমে দুটি প্রবেশদ্বার আবিষ্কৃত হয়েছে। মুল প্রবেশদ্বার হচ্ছে পুর্ব পাশের প্রবেশদ্বার। যার দুই পাশে দুইটি প্রহরী কক্ষের নিদর্শন দেখা যায়। উপরিভাগে মোঘল ও ব্রিটিশ আমলে ব্যবহৃত ছোট আকারে ইট, চুন সুরকীর আস্তর, চুনকামের ব্যবহার, গঠনশৈলী ইত্যাদি দেখে অনুমান করা যায় যে, এই ইমারত অষ্টাদশ শতকের শেষদিকে নির্মিত হয়েছিল।

তবে এখনও পর্যন্ত পরশুরামের প্রাসাদের প্রকৃত ইতিহাস নিয়ে নিশ্চিত নন ঐতিহাসিকরা। সম্বল শুধুই কিছু জনশ্রুতি। শোনা যায় ১০৮০ -১১২৫ সাল পর্যন্ত মহাস্থানগড়ের রাজা ছিলেন নীল। তিনি ছিলেন পালরাজা নলের ছোটো ভাই। এই সময়েই দাক্ষিণাত্যের শ্রীক্ষেত্র থেকে বাংলায় আসেন এক অভিশাপগ্রস্ত ব্রাহ্মণ। তাঁর বাবা জমদগ্নি। মা রেণুকাকে নিজের হাতে হত্যা করেছে সন্তান। আর এই ব্রাহ্মণের নাম? পুরাণে যা ছিল তাই। অর্থাৎ পরশুরাম। প্রথমে নল ও নীল নামক দুই ভাইয়ের মধ্যে মীমাংসার কাজ শুরু করেন পরশুরাম। ক্রমশ তাঁদের প্রতারিত করে নিজেই রাজা হয়ে বসেন। তবে এই সুখ বেশিদিন সহ্য হল না। কিছুদিনের মধ্যেই শাহ সুলতান বলখী মহিসওয়ার এসে দখল করলেন পরশুরামের রাজত্ব।

তবে পরশুরামের প্রাসাদ নামে যেটি পরিচিত, তার পুরোটা পাল রাজত্বের সময় তৈরি নয়। একেবারে ওপরের স্তরটিকিছুতেই অষ্টাদশ শতকের আগে তৈরি নয়। এখান থেকে কোম্পানি শাসনের সময়কার মুদ্রাও পাওয়া গিয়েছে। আর মাঝের স্তরটি তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ সুলতানি আদলেই। তবে একেবারে নিচের স্তরটি বেশ প্রাচীন। এবং তার গঠনশৈলীর সঙ্গে পালযুগের স্থাপত্যের যথেষ্ট মিল পাওয়া যায়। এই স্তরটি আবিষ্কৃত হয়েছে মাত্র ১৯৯৫ সালে।

পরশুরামের প্রাসাদের অনতিদূরেই আছে এক বিশাল কুয়ো। স্থানীয় মানুষদের কাছে তার নাম জিয়নকুণ্ড। এই নামের সঙ্গেও জড়িয়ে আছে এক কাহিনি। মহিসওয়ার যখন মহাস্থানগড় আক্রমণ করলেন, তখন পরশুরামের সেনাবাহিনী নাকি অনেকটাই ছন্নছাড়া। এমনকি তাঁর নিজের সেনাপতিও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সুলতানের দলে যোগ দিয়েছেন। তবু দেখা গেল, যুদ্ধে পরশুরাম অপ্রতিরোধ্য। সুলতানের সৈন্যরা যুদ্ধে প্রাণ হারাচ্ছেন, সৈন্যক্ষয় হচ্ছে। কিন্তু পরশুরামের বাহিনীর সৈন্যক্ষয় হচ্ছে না। চোখের সামনে যে সৈন্য মারা গেল, সেই আবার উঠে দাঁড়িয়ে যুদ্ধ শুরু করে। পরে জানা গিয়েছিল, এই কুয়োর জলেই মন্ত্র পড়ে রেখেছেন পরশুরাম। সেই জল মাথায় ঢাললেই মৃত মানুষ জেগে উঠবে।

বাস্তবে, গল্পে বা বইয়ের পাতায় আমরা সবাই অলৌকিক কিছু কিছু গল্প পড়ে বা শুনে থাকি। কিছু কূপ সম্পর্কেও নিশ্চয়ই জেনেছেন! এমনই একটি কূপ, যার পানি পান করলে মৃত ব্যক্তি পুনরায় জীবন ফিরে পেত।

পরশুরাম প্রাসাদ 

 

জিয়ৎ কুন্ড নামে পরিচিত এ কূপটির নির্মাণ সম্পর্কিত কোনো সঠিক তথ্য জানা যায়নি। তবে ঐতিহাসিকেরা মনে করেন, ১৭ শতকের মাঝামাঝি সময়ে রাজা পরশুরাম প্রসাদ নির্মাণের সময় কূপটি খনন করেন।

জিয়ৎ কুন্ড অমর কূপ নামে বেশি পরিচিত এই কুপ । এ কূপটির উপরিভাগের ব্যাস ৩ দশমিক ৮৬ মিটার ও নিচের দিকে ক্রমহ্রস্বমান। এটি একটি চতুর্ভূজ গ্রানাইট পাথরের খণ্ডটি কূপের পূর্ব ধারে অবস্থিত। এই কূয়া পানি উত্তোলনের সুবিধার্থে ব্যবহার করা হতো বলে মনে করা হয়। কূপের তলদেশ পযর্ন্ত দুইটি সারিতে আরো অনেকগুলো প্রস্তরখন্ড আংশিক বাইরে রেখে দেয়ালের সঙ্গে দৃঢ়ভাবে স্থাপন করা হয়েছে। যেন সহজে কোনো কিছু উত্তোলন করা যায়।

শাহ সুলতান বালখী পরশুরামের কূপটি সর্ম্পকে জানতে পারে। পরবর্তীতে কূপটির অলৌকিক ক্ষমতা বিনাশের জন্য তিনি একটি ফ্যালকের সাহায্যে কূপের মধ্যে একটি গরুর মাংস ফেলে দিলেন। তারপর থেকে কূপের জলের অলৌকিক শক্তি অদৃশ্য হয়ে যায়। এ কারণে পরশুরাম শাহ সুলতান বালখী মহিষাওয়ারের কাছে পরাজিত হন।

কিংবদন্তি অনুসারে, বালখির শাহ সুলতান তার শিষ্যদের সঙ্গে একটি মাছের মতো আকৃতির নৌকায় ফকিরের পোশাক পরে মহাস্থানগড়ে এসেছিলেন। প্রথমদিকে পরশুরামের সেনাপ্রধান ও আরো কিছু লোক গ্রহণ করে মুসলমান হন। তবে রাজা পরশুরাম ও তার বোন শিলা দেবী তারা দুই জন ইসলামের বাণী গ্রহণ করেননি।

মূলত রাজা পরশুরাম শাহ সুলতানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘোষণা করেন। যুদ্ধের প্রথমেই শাহ সুলতান পরাজিত হয়। কারণ যুদ্ধ চলাকালীন শত্রুকে আক্রমণের সময় শাহ সুলতানের যোদ্ধাদের সংখ্যা কমলেও পরশুরামের যোদ্ধাদের সংখ্যা কমেনি। অপ্রাকৃতিক ও অলৌকিক কিছু শক্তির বলে এমনটি ঘটেছিল। যুদ্ধ চলাকালীন অনেক সময় পরশুরামের মৃত সৈন্যদের পুনরায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে দেখা যেত।

পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে জানা যায়, জিয়ৎ কুণ্ড নামে একটি কূপ আছে যেটি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী। এই কূপটি মৃতকে জীবিত করতে পারে। রাজা পরশুরাম যখন শাহ সুলতান বালখী মহিষাওয়ারের সঙ্গে যুদ্ধে করেন তখন পরশুরাম মৃত সৈন্যদের পুনর্জীবিত করতেন এই কূপের সাহায্যে।

তবে এই অলৌকিক শক্তি দিয়েও সুলতানের বাহিনী ঠেকানো যায়নি। সুলতান সব জানতে পেরে একদিন গোপনে কুয়োর জলে গোমাংস ফেলে দিলেন। ব্যাস, জলও তার অলৌকিক ক্ষমতা হারাল। এরপর মহাস্থানগড় দখল করতে কষ্ট পেতে হয়নি মহিসওয়ারকে। পরশুরাম তো যুদ্ধক্ষেত্রেই প্রাণ হারালেন। আর তাঁর বোন অথবা কন্যা শীলাদেবী করতোয়ার জলে ডুবে আত্মহত্যা করলেন। এর সঙ্গেই শেষ হল মহাস্থানগড়ের শেষ হিন্দু রাজার শাসন। তবে এইসবই নিছক গল্পকথা। প্রকৃত ইতিহাসের সন্ধান পেতে আরও অনেক গবেষণার প্রয়োজন। তবে হিন্দু শাসন থেকে সুলতানি শাসন এবং পরে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আধিপত্য প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যে এই প্রাসাদ জড়িয়ে, তা ইতিমধ্যে প্রাপ্ত নমুনা থেকেই স্পষ্ট।

পরশুরাম প্রাসাদ 

পরশুরামের প্রাসাদ দেখতে চাইলে প্রথমে বগুড়ায় আসতে হবে। ঢাকার কল্যাণপুর, গাবতলী অথবা মহাখালী থেকে এসআরটিআর, শ্যামলী, হানিফ, কেয়া, ডিপজল এবং শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাসে বগুড়া যাওয়া যায়। বাসভেদে ভাড়া পড়বে ৩৫০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। বগুড়া শহরের ঠনঠনিয় বাসস্ট্যান্ড বা সাতমাথা থেকে অটো রিকশা বা সিএনজি ভাড়া নিয়ে পরশুরামের প্রাসাদ পৌছাতে পারবেন। থাকার জন্য বগুড়া শহরের চারমাথা রোড ও বনানীতে থাকার জন্য বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। এদের মধ্যে মম ইন, হোটেল নাজ গার্ডেন, পর্যটন মোটেল, সেফওয়ে মোটেল, সেঞ্চুরি মোটেল এবং মোটেল ক্যাসেল উল্লেখযোগ্য। খাবারের জন্য বগুড়ায় সাথী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, মায়ের দোয়া হোটেল, অতিথি গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, চাপ কর্নার ও হোটেল সাফিনার বেশ সুনাম রয়েছে। অবশ্যই বগুড়ার বিখ্যাত দইয়ের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।

তাছাড়াও বগুড়ার অন্যান্য অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। বগুড়ার অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে মহাস্থানগড়, ভাসু বিহার, বিহার ধাপ, খেরুয়া মসজিদ, গোকুল মেধ, নবাব বাড়ী, রানী ভবানীর পিতালয় ও ভীমের জাঙ্গাল উল্লেখযোগ্য।

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents