রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (Rajshahi Medical Collage) বাংলাদেশের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ, যা ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের এটি দ্বিতীয় মেডিকেল কলেজ (একই সময়ে চমেক ও প্রতিষ্ঠিত হয়) এবং রামেক বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রথম মেডিকেল কলেজ।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস প্রোগ্রামের জন্য প্রতি বছর ২০০ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি ও ডেন্টাল ইউনিটে ৫০ জন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ সংক্ষিপ্ত ইতিহাস
১৯৪৭ সালে ভারত থেকে পূর্ব বাংলার পৃথকীকরণের পরে রাজশাহী অঞ্চলের মানুষ চিকিৎসা শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল। ১৯৪৯ সালে নাগরিক সমাজের কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিগণ রাজশাহী শহরে একটি বেসরকারি মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন।
প্রাথমিকভাবে তারা রাষ্ট্রীয় মেডিকেল অনুষদ ঢাকার অধীনে এলএমএফ ডিপ্লোমা কোর্স চালু করেন। প্রথম ব্যাচে ৮০ জন ছাত্র ভর্তি হয়। ১৯৫৪ সালে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার এটিকে সরকারি মেডিকেল কলেজে রূপান্তর করে। ১৯৫৮ সালে এটি একটি সম্পূর্ণ মেডিকেল কলেজ হিসাবে চালু হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সকল তথ্য
রাজশাহী মেডিকেল কলেজরামেক (RMC) প্রতিষ্ঠাঃ ১৯৫৮ সাল |
|
প্রতিষ্ঠাতা | তৎকালীন পাকিস্থান সরকার |
ধরন | সরকারি মেডিকেল কলেজ |
নীতিবাক্য | “শিখতে আসো, সেবার তরে বেরিয়ে যাও” |
প্রাতিষ্ঠানিক অধিভুক্তি | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপক নওশাদ আলী |
শিক্ষক (সংখ্যা) | শতাধিক |
শিক্ষার্থী (সংখ্যা) | ১৫০০ + (প্রতি বছর ২৬০ জন ভর্তির সুযোগ পান) |
ইন্টার্ন (সংখ্যা) | দুই শতাধিক |
কর্মকর্তা ও কর্মচারী | শতাধিক জন নার্স ও আট শতাধিক জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী |
স্নাতক কোর্স | ২ টি এমবিবিএস ও ডেন্টাল |
স্নাতকোত্তর কোর্স | ৩০ টি |
ঠিকানা | মেডিকেল কলেজ রোড, লক্ষ্মীপুর রাজপারা, রাজশাহী-৬১০০ |
যোগাযোগ নম্বর |
02588857150 |
হট লাইন |
0721-772174 |
ইমেইল | info@rmc.edu.bd |
ওয়েবসাইট | http://rmc.edu.bd |
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো
- কম্পিউটার মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সহ ৪টি গ্যালারি
- ৯টি ল্যাবরেটরি
- ২টি জাদুঘর
- ২টি মৃতদেহ ব্যবচ্ছেদ কক্ষ
- ১টি ময়নাতডেন্টাল কক্ষ
- ১টি গ্রন্থাগার
- ছাত্রদের জন্য ২টি হোস্টেল
- ১টি ফার্মাকোলজি ভবন (১৯৯০ সালে নির্মিত)
- ১টি অডিটোরিয়াম (১৯৯৫ সালে নির্মিত, যার নাম কাইসার রহমান চৌধুরী অডিটোরিয়াম)
- ১টি ফরেনসিক মেডিসিন ভবন (২০১০ সালে নির্মিত
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আসন সংখ্যা
প্রতিবছর ২০০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস ও ৬০ জন শিক্ষার্থী বিডিএস কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। পাশাপাশি এখানে বাংলাদেশ দূতাবাসের তত্ত্বাবধানে নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান ও মালদ্বীপসহ বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির যোগ্যতা
বাংলাদেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পদার্থ, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান সহ উত্তীর্ণ হলে বাংলাদেশে মেডিকেল কলেজে গুলোতে ভর্তির জন্য আবেদন করা যায়। সারাদেশে মম্মেলিত পরীক্ষা হয়, তার মধ্যে নিজ নিজ পছন্দ বাচাই করতে হয়, সাধারণত রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার জন্য সেরা ৫০০ এর মধ্যে রেজাল্ট থাকতে হয়।
২০২৩ সালের জন্য, এসএসসি ও এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় মোট জিপিএ ৯.০ থাকতে হবে। পার্বত্য জেলার প্রার্থী বা ক্ষুদ্র জাতিসত্তা থেকে আগত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এই জিপিএ ৮.০। তবে কোন পরীক্ষায় গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ এর চেয়ে কম হলে শিক্ষার্থী আবেদনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। তাছাড়া এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান বিষয়ে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫ থাকতে হবে।
বিদেশ থেকে পরীক্ষা
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিক এবং ‘ও’ লেভেল ’এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে ভর্তি হতে আগ্রহী হলে, তারা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো হলো এসএসসি এবং এইচএসসি বা সমমান পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পরীক্ষার সার্টিফিকেটের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি এবং ব্যাংক ড্রাফট বা পে-অর্ডার। আবেদনপত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র পূরণ করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে ব্যাংকে জমা দিতে হবে। বিদেশি নাগরিকদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা এবং ‘ও’ লেভেল বা ‘এ’ লেভেল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আবেদন ফি ২০০০ টাকা।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা
একটি আবেদনের মাধ্যমে সকল মেডিকেল কলেজে আবেদন করা যায়। আবেদন এবং প্রবেশপত্র গ্রহণের পরে শিক্ষার্থীদের একটি পরীক্ষায় (এমসিকিউ) অংশগ্রহণ করতে হয়। ১০০ নম্বরের এই পরীক্ষার সময়সীমা ১ ঘন্টা। আর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ১০০ নম্বর। পরীক্ষায় জীববিজ্ঞান থেকে ৩০, পদার্থবিদ্যা থেকে ২০, রসায়ন থেকে ২৫, ইংরেজি থেকে ১৫ এবং সাধারণ জ্ঞান, ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিষয় থেকে ১০টি প্রশ্ন থাকে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির খরচ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ। তাই এখানে ভর্তির জন্য বেশি অর্থ প্রদানের প্রয়োজন নেই। শিক্ষার্থীদের শুধুমাত্র ভর্তি ফি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। এই ভর্তি ফি দিয়ে মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম ও সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়ার খরচ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের অন্যান্য খরচ বহন করতে হয়। যেমন, থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ। এই খরচের পরিমাণ শিক্ষার্থীর পড়াশোনার মেয়াদ, থাকার ব্যবস্থা, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত পছন্দের উপর নির্ভর করে।
সাধারণভাবে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি বছর ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। এই খরচের মধ্যে থাকার খরচ, খাওয়ার খরচ, বইপত্রের খরচ, এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকে।
প্রথম বর্ষের জন্য একটি মানব কঙ্কাল কিনতে হয়, জা কিনতে প্রায় ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা লাগতে পারে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অনুষদ, বিভাগ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং মর্যাদাপূর্ণ মেডিকেল কলেজ। কলেজটিতে তিনটি অনুষদ এবং ৩০ টি বিভাগ রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের চারটি অনুষদ এবং ২২টি বিভাগ রয়েছে। অনুষদগুলি হল:
- চিকিৎসা অনুষদ
- ওষুধ অনুষদ
- প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স অনুষদ
- ডেন্টাল অনুষদ
চিকিৎসা অনুষদে ১০টি বিভাগ রয়েছে:
- অন্তর্নির্মিত মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- গাইনি ও অবস
- চক্ষুবিজ্ঞান
- নাক, কান, গলা
- রোগতত্ত্ব
- চিকিৎসা প্যাথলজি
- ফার্মাকোলজি
- রেডিওলজি
ওষুধ অনুষদে ১টি বিভাগ রয়েছে:
- ওষুধ
প্যারামেডিক্যাল সায়েন্স অনুষদে ৬টি বিভাগ রয়েছে:
- নার্সিং
- ফার্মেসী
- ল্যাবরেটরি মেডিসিন
- চিকিৎসা রেডিওগ্রাফি
- ফিজিওথেরাপি
- অডিওমেট্রি ও স্পিকারোলজি
ডেন্টাল অনুষদে ১টি বিভাগ রয়েছে:
- ডেন্টাল বিভাগ
ডেন্টাল অনুষদের অধীনে ৪টি বিভাগ রয়েছে:
- ওরাল সার্জারি
- পেরিওডন্টোলজি
- অ্যানডোডন্টোলজি
- প্রস্টোডোন্টোলজি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কোর্স ও বিষয়
রামেকের কোর্স ও বিষয়গুলি নিম্নরূপ:
রাজশাহী মেডিকেল কলেজে নিম্নলিখিত কোর্সগুলি চালু রয়েছে:
স্নাতক
- এমবিবিএস ও বিডিএস (৫ বছর মেয়াদী)
স্নাতকোত্তর
- এম. ডি. (৩-৫ বছর মেয়াদী)
- এম. এস. (৩-৫ বছর মেয়াদী)
- এমফিল (২ বছর মেয়াদী)
- ডিপ্লোমা (১-২ বছর মেয়াদী)
- এমপিএইচ (২ বছর মেয়াদী)
যে বিষয়গুলি পড়ান হয়
প্রথম বর্ষ
- অ্যানাটমি
- ফিজিওলজি
- বায়োকেমিস্ট্রি
- প্যাথলজি
- মাইক্রোবায়োলজি
দ্বিতীয় বর্ষ
- ফার্মাকোলজি
- কমিউনিটি মেডিসিন
- ফরেনসিক মেডিসিন
- সার্জারি
- ওষুধবিজ্ঞান
তৃতীয় বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
চতুর্থ বর্ষ
- মেডিসিন
- সার্জারি
- শিশুরোগ
- স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা
পঞ্চম বর্ষ
- ইন্টার্নশিপ
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের আবাসিক হল
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক )-এর আটটি আবাসিক হল রয়েছে। এগুলি হল:
ছাত্রদের জন্য – স্নাতক
- শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কাজী নুরন্নবী ছাত্রাবাস
- শহীদ শাহ মঈনুল আহসান চৌধুরী পিংকু ছাত্রাবাস
ছাত্রীদের জন্য – স্নাতক
- পলিন ছাত্রীনিবাস
- ফাল্গুনি ছাত্রীনিবাস
- আয়েশা সিদ্দিকা ছাত্রীনিবাস
এছাড়াও ইন্টার্ণ ডাক্তারদের জন্য
- শহীদ জামিল আখতার রতন ছাত্রাবাস (পুরুষদের জন্য)
- ইন্টার্নি হোস্টেল (নারীদের জন্য)
প্রতিটি হলের নিজস্ব একটি ক্যান্টিন, লাইব্রেরি, জিম এবং খেলার মাঠ রয়েছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের লাইব্রেরী
কলেজের একটি সুসজ্জিত গ্রন্থাগার রয়েছে যেখানে ১৯,৫০০ টিরও বেশি বই এবং ৬০ টি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল রয়েছে। পাশাপাশি একটি মেডিকেল এডুকেশন ইউনিট রয়েছে যেখানে অত্যাধুনিক আইটি সুবিধা রয়েছে।
কলেজের গবেষণা সেল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের গবেষণা প্রচেষ্টার জন্য সহায়তা প্রদান করে। এছাড়াও, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতি একটি দ্বি-বার্ষিক মেডিকেল জার্নাল প্রকাশ করে যা ‘TAJ’ নামে পরিচিত, যা বাংলাদেশ মেডিকেল এবং ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) দ্বারা স্বীকৃত।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংগঠন
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের কিছু ছাত্র সংগঠনের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ রয়েছে:
- রোটারাক্ট ক্লাব: রোটারাক্ট হল একটি আন্তর্জাতিক সামাজিক সেবা সংগঠন যা বিশ্বব্যাপী দুই লক্ষ্য এরও বেশি সদস্য নিয়ে গঠিত। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের রোটারাক্ট ক্লাবটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে, যেমন রক্তদান, পরিবেশ রক্ষা, এবং দারিদ্র্য বিমোচন।
- সন্ধানী ক্লাব: সন্ধানী হল একটি স্বেচ্ছাসেবক সংগঠন যা দরিদ্র এবং অসহায়দের সাহায্য করার জন্য কাজ করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের সন্ধানী ক্লাবটি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে, যেমন ত্রাণ বিতরণ, শিক্ষাদান, এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান।
- মেডিসিন ক্লাব: মেডিসিন ক্লাব হল একটি ছাত্র সংগঠন যা চিকিৎসা শিক্ষা এবং গবেষণায় উৎসাহিত করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন ক্লাবটি বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম এবং সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে, যেমন চিকিৎসা সেমিনার এবং কর্মশালা, এবং চিকিৎসা গবেষণায় অংশগ্রহণের সুযোগ।
- হাসিমুখ ফাউন্ডেশন: হাসিমুখ ফাউন্ডেশন হল একটি অলাভজনক সংস্থা যা বাংলাদেশের দরিদ্র এবং অসহায় শিশুদের জন্য কাজ করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের হাসিমুখ ফাউন্ডেশনটি স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, এবং অন্যান্য সামাজিক সুবিধা নির্মাণের জন্য কাজ করে।
- এসো পড়তে শিখি: এসো পড়তে শিখি হল একটি সামাজিক কর্মসূচি যা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে বসবাসকারী শিশুদের জন্য শিক্ষামূলক সুযোগ প্রদান করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের এসো পড়তে শিখি কর্মসূচিটি গ্রামীণ এলাকায় স্কুল নির্মাণ এবং পরিচালনা করে।
এই সংগঠনগুলি রাজশাহী মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই সংগঠনগুলি শিক্ষার্থীদেরকে তাদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, এবং রাজনৈতিক দক্ষতা বিকাশের সুযোগ প্রদান করে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বিশিষ্ট প্রাক্তনী
দেশের এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত অনেক সূর্যসন্তানের জন্ম দিয়েছে , দেশ বিদেশে যারা আর্তমানবতার সেবায় নিয়েজিত আছেন। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজের অনেক ছাত্রের গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম:
রামেকের প্রাক্তনিদের মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগ
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের বহু সংখ্যক চিকিৎসক, ছাত্র-ছাত্রী ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৬ জন শহীদ হন। তারা হলেন:
- ড. এম. আলীমুল হক
- ড. আবদুর রউফ
- ড. মোহাম্মদ মজিদুর রহমান
- ড. এম. আলী হোসেন
- ড. মোহাম্মদ আলম
- ড. মোহাম্মদ আলী
১৯৭৪ সালে মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ২০০৬ সালে শিক্ষক সমিতির উদ্যোগে শহীদ মিনারের পার্শ্বে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ৬ জনের নাম দিয়ে একটি স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়।
কাজী তরিকুল ইসলামঃ একজন নিউরোলজী বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ও চিকিৎসক। বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের কাউন্সিলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। তিনি ডেঙ্গু ও সেয়ারোর জন্য ডব্লিউএইচও এর আঞ্চলিক কারিগরি উপদেষ্টা দলের সদস্য হিসাবে কাজ করেছেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পত্রিকায় তার লেখা ৯৭টিরও বেশি নিবন্ধন প্রকাশিত হয়েছে।
জাহিদুন্নবী দেওয়ান শামীমঃ বায়োমেডিকেল গবেষক, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক। তিনি ২০০৭ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনে সাইন্টিষ্ট হিসেবে কর্মরত। তিনি কর্মস্থলে ক্যান্সার বায়োলজী ও ইমিউনোলজী নিয়ে গবেষণা করছেন। পাশাপাশি দেশের জাতীয় রাজনীতির ও সমাজে সেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত।
তথ্যসূত্রঃ
- https://rmc.edu.bd/about/about-rmc/
- “মুক্তিযুদ্ধে বিশাল অবদান চিকিৎসকদের | banglatribune.com”
- জাতীয় তথ্য বাতায়ন
- https://rmc.edu.bd/department/basic-subjects/
- https://rmch.gov.bd/
Also read: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ