Dreamy Media BD

ড্রোন: মনুষ্যবিহীন আকাশযানের, দুনিয়া জয়ের গল্প

ড্রোনঃ মনুষ্যবিহীন আকাশযানের, দুনিয়া জয়ের গল্প

ড্রোনঃ মনুষ্যবিহীন আকাশযানের, দুনিয়া জয়ের গল্প

ড্রোন (Drone) আধুনিক সভ্যতার এক ভয়ঙ্কর বিস্ময়কর আবিষ্কার। বেশকিছু বছর থেকে ড্রোনের সাথে আমাদের ব্যাপক পরিচয় হয়েছে , কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের কামিকাজি ড্রোন , ভিডিও করার ক্যামেরা ড্রোন, দুবাইয়ের ডেলিভারি ড্রোন এর জনপ্রিয়তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।  তাই , আজকের লেখাটি সাজানো হয়েছে প্রযুক্তিপ্রেমী পাঠকদের জন্য  যারা, ড্রোন কি, কিভাবে কাজ করে, ড্রোনের দাম, কিভাবে বানায় ও ইত্যাদি তথ্য  জানতে চান।

ড্রোন আবিষ্কার (Invention of Drone/UAV)

সম্প্রতি ড্রোন অনেক ভাইরাল হলেও ড্রোনের ইতিহাস কিন্তু অনেক পুরোনো।  বিস্ময়করহলেও সত্য প্রথম ড্রোনের আবিষ্কার বিমান বা হেলিকপ্টার আবিষ্কারের আগেই হয়েছিল।  ১৮৪৯ সালে অস্ট্রিয়া বেলুনের তৈরী প্রথম ড্রোন দিয়ে ইতালির ভেনিসে হামলা করেছিল।

প্রথম আধুনিক ড্রোনের আবিষ্কার কে করেছিল এটা নিয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মধ্যে মতবিরোধ আছে।  ব্রিটিশরা ১৯১৭ সালে প্রথম সফল মিলিটারি ট্রেইনিং ড্রোনের আবিষ্কারের দাবি করে।  অপরদিকে আমেরিকা ১৯১৮ সালে তাদের আবিষ্কৃত  Kettering Bug  কে প্রথম পূর্ণাজ্ঞ আধুনিক ড্রোন হিসাবে দাবি করে।

তবে দুঃখজনক হলেও সত্য , বর্তমানে ড্রোনের অনেক ভালো ব্যবহার হলেও এটি অবিকার হয়েছিল , যুদ্ধের জন্য, যা এখন আরোও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেছে।

ড্রোন কি (What Is Drone)?

ড্রোন কি (Drone ki) ?  এর সহজ ভাষায় উত্তর হল,

“মানুষের তৈরী মনুষ্যবিহীন উড়ন্ত বস্তু, যার গতিবেগ ও গতিপথ দূরথেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ”

ড্রোনকে অনেকেই আদর করে , “উড়ন্ত রোবট” ও বলে।  য়াহুনিক গ্রনগুলি রেডিও সিংনালের সাহায্যে জিপিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে চলাফেরা করে।

যেকোনো উড়ন্ত বস্তু ড্রোন নয় , ড্রোন হতে গেলে কিছু বৈশিষ্ট থাকতে হবে:

পাইলটবিহীন: এর ভিতরে কোন চালক থাকতে পারবে না।

দূরনিয়ন্ত্রিত:  বাড়িতে থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।

স্বনিয়ন্ত্রিত: নিয়ে নিয়ে উড়তে পারবে আগের সেট করা সফটওয়্যার প্রোগ্রাম দ্বারা।

হালকা: ড্রোন সাধারণত হালকা ও ছোট বা মাঝারি মানের হবে।

এছাড়া ড্রোনের কিছু বৈশিষ্ট , ব্যাটারিচালিত , প্রপেলার আছে , ফ্লাইট কন্ট্রোলার সিস্টেম থাকবে , ও অনেকগুলি সেন্সর থাকবে।

ড্রোন শব্দের অর্থ কি?

ড্রোন শব্দের কোনো বাংলা প্রতিশব্দ নেই , তবে একে বাংলায়  মনুষ্যবিহীন আকাশযান বলে ডাকা হয়।  ড্রোন শব্দটি এসেছে , ইংলিশ শব্দ Drone  থেকে , যার অর্থ পুরুষ মৌমাছি।

ড্রোন কিভাবে কাজ করে (Wroking Process of Drone)?

ড্রোনে ও একটি হেলিকপ্টার বা বিমানের মধ্যে একটাই  প্রধান পার্থক্য, হেলিকপ্টার বিমানে পাইলট এর ভিতর থেকে চালায় আর ড্রোনে চালায় বাইরে থেকে।

ড্রোনের চালানোর কাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বেটারী শক্তি সরবারহ করে , তবে কিছুকিছু ড্রোনে ফুয়েল ও ব্যবহার করা হয়।  ড্রোন প্রপেলার সাহায্য আকাশে উড়ে এবং এর ফ্লাইট কন্ট্রোলার নাম একটি অটোমেটিক সফটওয়্যার সিস্টেম থাকে।  পাইলট ওয়ার রুম থেকে টার্গেটের উপর আঘাত করে , অনেক আধুনিক ড্রোন এখন এআই ব্যবহার করে নিজেই টার্গেটে আঘাত করতে পারে।

ড্রোনের প্রকারভেদ

এখন পর্যন্ত অনেক প্রকার ড্রোন আবিষ্কার হয়েছে , আর প্রতিদিন এর তালিকা বেড়েই চলছে।  কিছু বহুল ব্যবহৃত ও আলোচিত ড্রোনের প্রকারভেদ:

মাল্টি-রেটোর ড্রোন: সব চাইতে পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত।  এর সাধারণত ২/৪/৮ টি পাখা বা প্রপেলার থাকে।  ৪ পাখার কোয়াড কপ্টারগুলি বেশি জনপ্রিয় সাধারণ মানুষের কাছে।

ফিক্সড উইংস ড্রোন: এগুলি কিছুটা হেলিকপ্টারের মতো , এগুলা আকারে বড় হয়ে থাকে , ডেলিভারি ও যুদ্ধেক্ষেত্রে বেশি ব্যবহার হয়।

হাইব্রিড ড্রোন: এখানে উড়ার জন্য রেটোর ও পাখা দুটোই থাকে।

FPV drones: এই ড্রোনগুলি ভার্চুয়ালি ককপিট থেকে পাইলট রিয়েলটাইম হেলিকপ্টারের মতো চালাতে ও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

সিনেমাটোগ্রাফি  ড্রোন: ভিডিও ধরণের জন্য বিশেষভাবে বানানো ড্রোন , সেন্সরের থেকে ক্যামেরাতে বেশি নজর দেওয়া হয়।

 

মনুষ্যবিহীন যুদ্ধবিমান ড্রোন (Combact UAV)

প্রথম বিশযুদ্ধের সময় ব্রিটেন ও আমেরিকা ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে অনেক উন্নত গবেষণা করে। তারা রেডিও নিয়ন্ত্রিত অনেক ছোট হেলিকপ্টার জাতীয় বস্তু বা ড্রোন ডিজাইন করেছিল , কিন্তু সেগুলি যুদ্ধে ব্যবহার হয় নি।

যুদ্ধ শেষ হলেও এই গবেষণা কিন্তু থিম থাকে নি , ১৯৩০ সালে কুইন বি নাম প্রথম আধুনিক ড্রোনটি আবিষ্কার করে ব্রিটেন।  এটি রেডিও প্রযুক্তরি সাহায্য চালনা যেত , এটা দিয়ে মূলত বিমান বিধ্বংসী মেশিনগানের চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া  হতো।

তবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জার্মান ও ব্রিটেন – আমেরিকা উভয় পক্ষেই ব্যাপক ড্রোনের বেবহার করে।  জার্মানির ভি-১ ফ্লায়িং বোম আর ব্রিটেনের রেডিওপ্লেন ওকিউ-২ যুদ্ধের মাঠে অনেক সাফল্য দেখিয়েছিলো।

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ড্রোনের গবেষণা আরো বেগবান হয়, ৭০ এর দশকে আমেরিকা কৃষি , সার্ভে , সমুদ্রগবেষণার অনেক অনাধুনিক ড্রোন আবিষ্কার করেন।  তবে , ৮০ আমেরিকা আরোও উন্নত যুদ্ধ ড্রোন নিয়ে কাজ শুরু করে।  ১৯৯১ সালে গালফ ওয়ারে ব্যাবহারিত RQ-11 রাভেন এবং the MQ-1 প্রিডেটর কে প্রথম মিলিটারি কব্যাক্ট ড্রোন হিসাবে গণ্য করা হয়।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোন (Russia Ukraine Drone war)

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে ড্রোনের সবচাইতে ভয়ঙ্কর লড়াই দেখছে বিশ্ব। এর আগেও অনেক যুদ্ধে ড্রোনের ব্যবহার হলেও তা ছিল একচেটিয়া ও আমেরিকার একপক্ষের লড়াই।  এবারে প্রথম উভয় প্রতিপক্ষ বিশ্বের সবচাইতে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ ড্রোনগুলি নিয়ে লড়াই করছে।

রাশিয়া তাদের উৎপাদিত আধুনিক ড্রোনের পাশাপাশি ইরানের সস্তা কামিকাযি ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনের জ্বালানি সরবরাহ , বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সামরিক শিবিরে অনেক সফল হামলা চালিয়েছে।  অপরদিকে ইউক্রেন আমেরিকার, ব্রিটেন ও জার্মানি থেকে পাওয়া অনেক আধুনিক ড্রোন রাশিয়ার উপর প্রয়োগ করেছে।

ইরানের কামিকাজি ড্রোন

দ্বিতীয় বিশযুদ্ধদের সময় আমেরিকা এক ভয়ঙ্কর বিস্ময়কর প্রতিরোধের সমুখ্খীন হয়।  আমেরিকার রণতরী গুলি যখন জাপানের দিকে এগিয়ে জেট , শত শত ছোট ছোট বিস্ফোরক ভর্তি বিমান , রণতরীর বুকে ঝাঁপিয়ে পরে রণতরী ধ্বংস করতো।  সেইসাথে বিমান ও পাইলট ও ধ্বংস হয়ে যেত , এই পাইলটদেরকে বলা হতো “কামিকাযি”।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে আবার ফায়ার আসে সেই কামিকাযি , কিন্তু এবার ড্রোনে হয়ে।  এতে সুবিধা হলো , ড্রোন ধ্বংস হলেও পাইলটকে জীবন দিতে হবে না।  ইরানের কামিকাযি ড্রোনগুলো দামে অনেক সস্তা ও অনেক কার্যকরী।  তাই নিজেদের অনেক উন্নত ড্রোন থাকা সত্ত্বেও রাশিয়া ট২২ সালের আগস্ট হেকে ইউক্রেনে অনেক কামিকাযি ড্রোনের হামলা চালিয়েছে।

শাহীন-১৩৬ কামিকাযি ড্রোন

ইরানের তৈরী এই ড্রোনটি ট্রাকের লঞ্চার থেকে উৎক্ষেপণ করা যায়।  এটি ৮০ পাউন্ড এর বিস্ফোরক বহন করতে পারে।  ১৮৫ কিলোমিটার গতিবেগ নিয়ে ১৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষবস্তুতে আঘাত হাঁটে পারে।  এই ড্রোনটির দাম মাত্র ৩০০ ডলারের কাছাকাছি।

তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-টু ড্রোন
তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-টু ড্রোন

তুরস্কের বায়রাকতার টিবি-টু ড্রোন

ড্রোনে  এতদিন একক অধিপত্ব ছিল আমেরিকা ও ইসরাইলের।  কিন্তু ২০২০  সালের আর্মেনিয়া আজারবাইজানের Nagorno-Karabakh যুদ্ধে যমদূত রূপে আবির্ভাব হয় তুরস্কের তৈরী   Bayraktar TB2 ড্রোন।  এই ড্রোন এর সাহায্য আজারবাইজান খুব সহজে আর্মেনিয়াকে পরাজিত করে।

বায়রাকতার টিবি২ পরিচিতি

উড্ডয়ন: ২৪ ঘন্টা

রেঞ্জ: ১৫০ কিলোমিটার

সর্বাধিক উচ্চতা: ২৭০০ ফুট

বিস্ফোরক ধারণক্ষমতা: ১৫০ কেজি

অস্ত্র: লেজার গাইডেড বোম, রকেট , electro-optical/infrared (EO/IR) ক্যামেরা এবং synthetic aperture radar (SAR) সেন্সর

বিশ্বের সবচাইতে ছোট ড্রোন

Black Hornet Nano হলো আমেরিকার তৈরী সবচাইতে ছোট যুদ্ধ ড্রোন। ড্রোনটি এত ছোট যে হাতের মুঠোয় নেওয়া যায়।  আমেরিকা ও ন্যাটো  যুদ্ধক্ষেত্রে শত্রুদের অবস্থান জানতে ও স্পাই খবর সংগ্রহ করতে এই ড্রোনটি ব্যবহার করে।

ব্ল্যাক হোনেট ন্যানো ড্রোনের পরিচিতি:

এটি ২০০৮ সালে তরী হলেও ২০২১ সালে প্রথম পৃথিবীর সামনে আসে।

প্রস্তুতকারক: আমেরিকার অধীনে নরওয়ের Prox Dynamics ।

বর্তমান প্রস্তুতকারক: Teledyne FLIR

ওজন: ১৭ গ্রাম

দৈর্ঘ: ১০০ মিলিমিটার

প্রস্থ: ২৫ মিলিমিটার

রেঞ্জ: ১.২ কিলোমিটার

ক্যামেরা: ৩ টি ( লো-লাইট , থার্মাল ও নাইট ভিসন )

যুদ্ধে ব্যবহার: আফগান যুদ্ধে , রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে , ইরাক যুদ্ধে

আরও পড়ুনঃ ডার্ক ওয়েব: ইন্টারনেটের রহস্যময় অপরাধের জগৎ

ড্রোনের বহুমুখী ব্যবহার

কৃষি, নির্মাণ, পরিদর্শন, জরিপ এবং নিরাপত্তা অনেক কাজে ড্রোন ব্যবহার করা হয়।  উলেখযোগ্য কিছু:

ড্রোন ক্যামেরা

নাটক-সিনেমা এবং মিউজিক ভিডিওতেও এখন ড্রোনের মাধ্যমে চিত্র ধারণ করা হয়। ফটোগ্রাফাররা ড্রোনের সাহায্যে এরিয়াল ছবি তোলার জন্য ব্যবহার করে।

কৃষি ক্ষেত্রে ড্রোন ব্যবহার

ড্রোনের সাথে সংযুক্ত ক্যামেরার মাধ্যমে একটি সুনির্দিষ্ট এলাকার চিত্র ধারণ করা যায়। বর্তমানে এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে কৃষকরা তাদের বিশাল জমিতে ফসলের বৃদ্ধি ও রোগবালাই সনাক্ত করতে পারেন। বড় খামারিরা তাদের খামারে এটি ব্যাবহার করেন। সার-কীটনাশক ছিটানোর জন্য বিশেষ ধরনের ড্রোন বানানো হচ্ছে এখন।

ড্রোন-ভিত্তিক যানবাহন গণনা

নতুন রাস্তা তৈরি করা, রাস্তার লেন বাড়ানো, ট্রাফিক জ্যাম নিরসন এবং পরিবহন খাতে বাজেটের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে ইঞ্জিনিয়ারদের যানবাহনের সংখ্যা গণনা করতে হয়। ড্রোনের সাথে আধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে এই কাজটি খুব অল্প সময়ে এবং সঠিকভাবে করা যেতে পারে। ইঞ্জিনিয়রা যানবাহনের সংখ্যা এবং প্রকারভেদ (বাস, ট্রাক ইত্যাদি) জানতে পারেন। এছাড়াও, গবেষকরা ড্রোন দিয়ে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ করে নিরাপদ সড়ক নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা জারি করেন ।

ড্রোনভিত্তিক ভুমি সার্ভে

সাধারণ পদ্ধতিতে, বড় কোনো প্রজেক্টের জন্য জমি ভরাট ও কাটা-বিষয়ক ইঞ্জিনিয়ারিং তথ্য পেতে কমপক্ষে সাত দিন বা তার বেশি সময় লাগে। কিন্তু ড্রোনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত সেনসর ও এরিয়াল ফটোগ্যামেট্রি  ভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে মাত্র এক ঘণ্টায় জমি সঠিক রিপোর্ট তৈরি করা সম্ভব।

এই রিপোর্ট থেকে প্রকৌশলী ও আর্টিটেকরা জমির ক্ষেত্রফল, উচ্চতা, কোথায় কাটতে হবে ও ভরাট করতে হবে এমন স্থান, পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য তথ্য জানতে পারবেন। এছাড়া, ডিজাইনের সুবিধার্থে Virtual Reality মাধ্যমে জমিটি বিভিন্ন আঙ্গিকে দেখতে পারেন।

ড্রোন কিভাবে বানায় (How To Make A Drone)?

ড্রোন তৈরি করার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে। আপনি যদি একটি সাধারণ মানের ড্রোন তৈরি করতে চান।  তাহলে , অনালাইনে একটি ড্রোন কিট কিনতে পারেন।   একটি ড্রোন কিট এ ফ্রেম, প্রপেলার, মোটর, ব্যাটারি এবং রেডিও কন্ট্রোলার সহ সবকিছু দেওয়া থাকে। এগুলি সংযুক্ত করে নিজের মতো ড্রোন বানাতে পারেন।

কিন্তু , আপনি যদি আরও জটিল ড্রোন তৈরি করতে চান ।  তাহলে আপনি , নিজের ডিজাইনে ড্রোন তৈরি করতে পারেন।  তারজন্য, আপনাকে  ড্রোন ফ্রেম, প্রপেলার, মোটর, ব্যাটারি, রেডিও কন্ট্রোলার এবং অন্যান্য উপাদানগুলিকে কিছু বানাতে ও কিছু মোডিফিকেশন ও এক্সটেনশন বানিয়ে কাজ করতে হবে।

ড্রোন নিয়ে বহুল আলোচিত প্রশ্নের উত্তর (FAQ About Drone)

বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরার দাম কত ২০২৩?

বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরার দাম বিভিন্ন কারণের উপর নির্ভর করে। এর মধ্যে রয়েছে ড্রোনের আকার, ভারবহন ক্ষমতা, ক্যামেরার রেজোলিউশন এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য।

সাধারণত, বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরার দাম তিন হাজার টাকা থেকে দেড় লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।

  • ৪,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা : এই দামের মধ্যে সাধারণত ছোট, হালকা ড্রোন ক্যামেরা পাওয়া যায়। এই ড্রোনগুলি সাধারণত বিনোদনমূলক উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
  • ১০,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা: এই দামের মধ্যে সাধারণত মাঝারি আকারের ড্রোন  পাওয়া যায়। যাতে উচ্চ-মানের ক্যামেরা থাকে। এই ড্রোনগুলি  ভালো  মানের ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফির জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন : DJI Mini 2 ড্রোনটির দাম ১৫,০০০ টাকা।
  • ৩০,০০০ থেকে ১৫০,০০০ টাকা: এই দামের মধ্যে সাধারণত বড়, শক্তিশালী ড্রোন পাওয়া যায়। যাতে উচ্চ-মানের ক্যামেরা এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট্য থাকে। এই ড্রোনগুলি সাধারণত পেশাদার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। যেমন:  DJI Mavic Air 2 ড্রোনটির দাম ৩৫,০০০ টাকা।

যেমন: DJI Mavic 3 Pro ড্রোনটির দাম ১৫০,০০০ টাকা।।

ড্রোন চালাতে কি অনুমতি লাগে?

হ্যাঁ লাগে, অনুমতি ছাড়া ড্রোন উড়ানো অবৈধ।  সম্প্রতি সরকারের ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে এখন ড্রোন ব্যবহারকারীরা অনেকটা সহজে ড্রোন ব্যবহার করতে পারবেন।

ড্রোনের জনক কে?

Abraham Karem কে ড্রোনের জনক বলা হয় । তিনি ১৯৩৭ সালে ইরাকে জন্মগ্রহণ করে , জাতিতে ঈহুদী বলে ১৯৫১ সালে ইসরাইলে স্বপরিবারে চলে যান।   মাত্র ১৪ বছর বয়সে তিনি ড্রোনের একটি মডেল বানান।  ১৯৬৭ সালে ইসরাইলের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন ও তাদের জন্য অনেকগুলি ড্রোন বানান।  ৭০ দশকের শুরুতে তিনি আমেরিকা গিয়ে নিজের ড্রোন তৈরির কোম্পানি খুলেন , Aeronautical Development Corporation (ADC)। তার কোম্পানি আমেরিকান সেনাবাহিনীকে ড্রোন সরবরাহ শুরু করে।

তার জন্মের আগেই ড্রোনের জন্ম হলেও আধুনিক ড্রোনের অনেগুলি প্রযুক্তি তিনি আবিষ্কার করেন।  এই কারণে তাকে ড্রোনের জনক বলা হয়।

মহাকাশে কি ড্রোন ওড়ানো যাবে?

হ্যাঁ, মহাকাশে ড্রোন ওড়ানো সম্ভব। তবে, এটি করতে হলে ড্রোনটিকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রয়োজন। যেন ড্রোনটি:

  • ড্রোনটিকে মহাকাশের বায়ুশূন্যতার মধ্যে উড়তে সক্ষম হয়।
  • ড্রোনটিকে মহাকাশের চরম তাপমাত্রা এবং বিকিরণ থেকে রক্ষা প্রযুক্তি থাকতে হবে।
  • ড্রোনটিকে মহাকাশের পরিবেশে কাজ করতে সক্ষম অটোমেটিক সফটওয়্যার থাকতে হবে হতে হবে।

ইতিমধ্যেই  এলোন মাস্কের, স্পেসএক্স এমন একটি ড্রোন তৈরি করছে যা মহাকাশ স্টেশনে পণ্য করতে পারবে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে, আরও লেখা পড়ুনঃ

 

 

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents