রোবট , জীবন বাঁচানো থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে জীবন কেড়ে নিতে , সব জায়গায় এখন রোবটের জয়জয়কার। কেননা সময়টাই এখন তথ্য প্রযুক্তির। আর প্রযুক্তি বিশ্বের বিস্ময়বালক হল রোবট। অনেকেই ভাবে রোবট মনে হয় কোন আধুনিক প্রযুক্তি বা চিন্তা , কিন্তু রোবট নিয়ে গবেষণা হয়েছে ৩ হাজার বছরের আগেও ! আজকে আমাদের আয়োজন রোবট নিয়েই। রোবটপ্রেমীদের স্বাগতম!
রোবট কি
রোবটের একটি সাধারণ সংজ্ঞা হলো:
এটি এমন একটি যন্ত্র যা মানুষের মতো কাজ করতে পারে।
এটা মানুষের মতো দেখতে হতেও পারে আবার নাও হতে পারে।
রোবটের সংজ্ঞা সবচেয়ে ভালো সংজ্ঞাটি হলো:
রোবট এমন একটি প্রোগ্রামযোগ্য স্বয়ংক্রিয় বা আধা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র যা মানুষের বিকল্প হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ , শক্তিশালী, জটিল ইত্যাদি কাজ করতে পারে।
রোবটের সাথে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা একত্রিত হয়ে বর্তমান যুগের রোবোটগুলি অনেক উন্নত হয়েছে।
রোবট শব্দের অর্থ
রোবট শব্দের বাংলা অর্থ হলো “যন্ত্রমানব” বা “কৃত্রিম মানব“। এটি একটি চেক শব্দ, “রোবোটা” থেকে এসেছে। “রোবোটা” শব্দের অর্থ হলো “ফোর্সড লেবার” বা “ক্রীতদাস”। রোবটকে আমরা দাসের মতো রাত দিন খাটাতে পারি , এর জন্য কোনো বিনিময় দিতে হয় না তাই হয়তো এমন নাম।
রোবট শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন চেক লেখক কারেল কাপেক। তার ১৯২১ সালের নাটক “রসুমুভের ইউনিভার্সাল রোবটস” (Rossumovi Univerzální Roboti)-এ এই শব্দটি প্রথম ব্যবহার হয়। নাটকটিতে, রোবট হলো এমন কিছু যন্ত্র যা মানুষের মতো কাজ করতে পারে।
রোবটের প্রকারভেদ
রোবটের নির্দিষ্ট কোনো প্রকারভেদ নাই ,এখন পর্যন্ত মানুষ তার কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন প্রকারের রোবট আবিষ্কার করেছে তাদের মধ্যে কয়েকটি হলো:
শিল্প রোবট: এই রোবটগুলোর সাধারণত কলকারখানা গুলো উৎপাদনের প্রক্রিয়া স্বয়ংক্রিয় করতে ব্যবহৃত হয়।
সার্ভিস রোবট: এই রোবটগুলি সাধারণত মানুষের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা প্রদান করতে ব্যবহৃত হয়, যেমন পরিষ্কার করা, রোবট ওয়েটার, পরিবহন করা বা চিকিৎসা সেবা প্রদান করা।
বিনোদন রোবট: এই রোবট গুলি সাধারণত মানুষের বিনোদনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যেমন খেলাধুলা বা নাচ।
চিকিৎসক রোবট: জটিল কিছু অপারেশন মানুষের চাইতে রোবটের দ্বারা নির্ভুল ভাবে করা যায়।
মহাকাশ রোবট: মহাকাশ স্টেশন , বিভিন্ন প্রকারের গ্রহে চাদে অভিযানে , মহাকাশযানের সাথে রোবট প্রেরণ করা হয়। এগুলি বিভিন্ন প্রকারের নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ করে।
আরও পড়ুনঃ ডার্ক ওয়েব: ইন্টারনেটের রহস্যময় অপরাধের জগৎ
রোবট ব্যবহারের সুবিধা-অসুবিধা
রোবট ব্যবহারের কিছু সুবিধা হল:
কাজকে সহজ করে তোলে: রোবট গুলি বিপজ্জনক বা কঠিন কাজগুলো স্বয়ংক্রিয় করতে পারে, যা কাজকে মানুষের জন্য আরও নিরাপদ এবং আরামদায়ক করে তুলে।
নির্ভুল কাজ: রোবটকে কোনো কাজ প্রোগ্রামের মাধ্যমে একবার শিখিয়ে দিলে , নির্ভুল ভাবে সেই কাজ করতে পারে।
ব্যয় কমায়: রোবটগুলো মানুষের তুলনায় কম খরচে উৎপাদন এবং পরিচালনা করা যেতে পারে। এটিকে কোন প্রকার বেতন ভাতা দিতে হয় না , প্রয়জনে দিন রাত নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করানো যায়।
রোবট ব্যবহারের কিছু অসুবিধা হল:
চাকরি হারানো: রোবট মানুষের কাজকে স্বয়ংক্রিয় করে তুলতে পারে, যার ফলে অনেক মানুষ কাজ হারাতে পারে।
নিরাপত্তা ঝুঁকি: প্রোগ্রামে কোন সমস্যা হলে রোবট ভয়ঙ্কর হতে পারে , হ্যাকাররা হ্যাক করে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করতে পারে।
সামাজিক প্রভাব: রোবটগুলির ব্যাপক ব্যবহারে আমাদের হাজার বছরের সমাজ বেবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
গতানুগতিক কাজ: রোবটের নিজস্থ চিন্তার উপায় নাই , তাই একই কাজ করা ছাড়া , নতুন কিছু করতে পারে না।
রোবট ও রোবটিক্স
রোবট ও রোবটিক্স হলো দুটি ভিন্ন জিনিস। রোবট হলো এমন একটি যন্ত্র যা মানুষের মতো কাজ করতে পারে।
রোবটিক্স হলো রোবট তৈরির বিজ্ঞান যা , রোবট ডিজাইন, প্রোগ্রামিং , রোবট তৈরী, ইত্যাদি কার্যক্রম নিয়ে কাজ করে।
রোবট কে আবিষ্কার করেন
রোবটের প্রথম প্রোটোটাইপ খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দে গ্রিক গণিতবিদ আর্কিটাসের তৈরি করেছিলেন। এই প্রোটোটাইপটি একটি বাষ্পচালিত পাখি, যা ডানা ঝাপটাতে পারতো।
রোবট আবিষ্কারের জন্য কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে কৃতিত্ব দেওয়া যায় না। রোবটের ধারণাটি শতাব্দী থেকে শতাব্দী বিভিন্ন বিজ্ঞানী গবেষক পোক্ত করে গেছেন,যার ফল আমরা এখন ভোগ করছি।
রোবটের নিয়ে হাজার বছরে বিজ্ঞানীদের অবদান:
লিওনার্দো দা ভিঞ্চি (১৪৫২-১৫১৯): তিনি এমন একটি যান্ত্রিক নাইট আবিষ্কার করেছিলেন, যা হাঁটতে, বসতে এবং মাথা ঘোরাতে পারতো।
জোসেফ ফ্রাংকস্টাইন (১৭৭৩-১৮৫৮): তিনি প্রায় ৩০০ বছর আগে, একটি জীবন্ত মানুষের মতো রোবট তৈরির কাহিনী নিয়ে, একটি কাল্পনিক (ফিকশন) গল্প লিখেছিলেন।
চার্লস ব্যাবেজ (১৭৯১-১৮৭১): তিনি প্রোগ্রামযোগ্য গণক যন্ত্র তৈরি করেছিলেন যা পরবর্তীতে রোবট তৈরির মডেল হিসেবে কাজ করেছিল।
ওয়াল্টার রিচার্ডসন (১৮৬১-১৯৫০): তিনি যান্ত্রিক হাত আবিষ্কার করেছিলেন যা মানুষের মতো বিভিন্ন কাজ করতে সক্ষম ছিল।
জর্জ ডেলমার (১৮৮৬-১৯৮৮): তিনি প্রথম শিল্প রোবট তৈরি করেছিলেন।
জ্যাকোবাস ভ্যান ভেল্ড (১৯০২-১৯৮৯): তিনি প্রথম কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত রোবট তৈরি করেছিলেন।
আধুনিক রোবটের তৈরির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হলেন জর্জ ডিভোল। তিনি ১৯৫৪ সালে প্রথম ডিজিটাল এবং প্রোগ্রামযোগ্য রোবটটি তৈরি করেছিলেন। এই রোবটটির নাম ছিল “ইউনিমেট” , যাকে আধুনিক রোবোটিক্স শিল্পের পথিকৃৎ বলা হয়।
পৃথিবীতে আলোচিত কয়েকটি কয়েকটি রোবট
রোবট সোফিয়া
সোফিয়া হলো হংকং এর হ্যানসন রোবোটিক্স এর তৈরী আলোড়ন সৃষ্টিকারী হিউমোনয়েড রোবট। এটিকে ২০১৬ সালের ১৪ ই ফ্রেব্রুয়ারি উদ্ভবন করা হয়।
সোফিয়াকে “ সোশ্যাল রোবট ” হিসাবে বানানো হয়েছিল , তাই এটি মানুষের মতো আলাপচারিতা করতে পারত।
শুধু কথা বলা না , এর সিলিকনের তৈরী শরীরে কথা বলার সময় মানুষের মতো মুখভঙ্গি দেখা যেত। সোফিয়া সেসময় অনেক বড় বড় টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি ইন্টারভিউ দিয়েছিল।
রোবট সোফিয়া কোন দেশের নাগরিক
পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কোন রোবট হিসেবে সোফিয়া ২০১৭ সালে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব পায়। অনেকেই মনে করেন নাগরিকত্ব দেওয়ার মাধ্যমে সৌদি আরব নিজেদের তথ্য প্রযুক্তিতে অবদান ও তারা রোবটিক্স নিয়ে গবেষণা করছে, তা বিশ্বকে জানাতে চায়। এ যদি তাতে লক্ষ হয়, অনেকাংশেই তারা সফল হয়ে গেছে।
রোবট সোফিয়া বাংলাদেশে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর আমন্ত্রণে সোফিয়া বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭,দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ টেকনোলজি মেলায় অংশগ্রহণ করতে সোফিয়া বাংলাদেশ ভ্রমণ করেন।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়, শত শত মানুষ ভিড় করে বিমানবন্দরে। সোফিয়া ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৭ মেলায় অংশগ্রহণ করে অতিথিদের সাথে কথা বলে এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও তাকে দেখা যায়।
সোফিয়ার বাংলাদেশ ভ্রমণ, আমাদের মত উন্নয়নশীল দেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির আগ্রহীতার কথা সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। এবং বাংলাদেশের জনসাধারণের মাঝেও তথ্য প্রযুক্তির বিপ্লবের পরিচয় করে দেয়।
রোবট সোফিয়ার নির্মাতা কে
সোফিয়ার নির্মাতা ডেভিড হাডসন, তিনি হাডসন রোবোটিক্স এর প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও।
হংকং ভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও, হাডসন তার প্রায় ২০ বছর আগে থেকেই রোবট নিয়ে গবেষণা করেছেন।
বোস্টন ডাইনামিক রোবোটিক্স কোম্পানি
রোবটের জগতে সুফিয়া অনেক আলোচিত হলেও পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত রোবট গুলো তৈরি হয়েছে বোস্টন ডাইনামিক কোম্পানির মাধ্যমে। বোস্টন ডাইনামিক ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই রোবট গুলোর সবচেয়ে বিস্ময়কর ফিচার হলো এগুলো মানুষ বা অন্য কোন প্রাণীর মতো ভারসাম্য রাখতে পারে। মানুষের মতো পরে গেলে উঠতে পারে, সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারে, ধাক্কা দিলে সামলে নিতে পারে।
দক্ষ অ্যাথলেট এর মত বাসা ডিঙিয়ে দৌড়ানো, তুষার পথে দৌড়ানো, মরুর পথে দৌড়ানো এসব কঠিন পরীক্ষায় পাশ করেছে।
বোস্টন ডায়নামিকের সেরা কিছু রোবট:
অ্যাটলাস: মানুষের মতো দেখতে এবং মানুষের অনুকরণে বানানো এই রোবট টি মানুষের মত, হাটতে, দৌড়াতে, সিড়ি বেয়ে উঠতে, এবং উল্টোবাজি দিতে পারে। কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ এটির সাহায্য উদ্ধার অভিযান চালানো, ভারী কাজ করতে ও মানুষের কাজের সহকারী হিসেবে একে বানানো হয়েছে।
স্পট: কুকুরের আদলে তৈরি চারপায়ে এই রোবটটি ডেলিভারি সার্ভিস, ম্যাপিং ও অনুসন্ধানের জন্য বানানো। এতে অনেক প্রকার সেন্সর, ক্যামেরা, মাইক্রোফোন এবং লিডার নামে এক প্রযুক্তি আছে। এটি দ্রুত চলাচল করতে পারে এবং সিড়ি দিয়ে ওঠা নামা করতে পারে।
হ্যান্ডেল: দুই চাকার উট পাখির মত দেখতে এই রোবটটি বড় বড় ওয়্যারহাউজে ব্যবহার করার জন্য তৈরি। এটি একশ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন বহন করতে পারে।
বর্তমানে জাপানের Yeskawa এর Moroman MH500,জার্মানির Fanuc এর M-71OiC, সুইডেনের ABB এর IRB 6500 রোবটগুলো ইন্ড্রাস্ট্রিতে ব্যাপক ভাবে ব্যাবহারিত হচ্ছে।
বিনোদন জগতে রোবট
হলিউডে যেকোন পর্যন্ত অনেক রোবট মুভি তৈরী হয়েছে , যেখানে বেশিরভাগ সময়েই আমরা দেখতে পাই ,রোবট কিভাবে মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে গিয়ে মানুষের সাথেই যুদ্ধ করছে।
১৯৬৮ সালের, 2001: A Space Odyssey এই হলিউড সিনেমাটি রোবটকে নিয়ে প্রথম সাইন্স ফিকশন সিনেমা।
১৯৭৭ সালের , Star Wars (1977) এই মুভিতে আমরা অনেগুলি আইকনিক রোবট দেখতে পাই , C-3PO, R2-D2, এবং Darth Vader.
Terminator 2: Judgment Day (1991), I, Robot (2004), WALL-E (2008) রোবট কেন্দ্রীয় চরিত্রের এই সিনেমাগুলিও হলিউডে ব্যাপক সারা ফেলেছিলো।
আমাদের পাশের দেশ ভারতের হলিউডেও রোবট নাম একটা সিনেমা আছে , যেখানে কিংবদন্তি রজনীকান্ত নায়ক ও খলনায়ক রোবট হিসাবে অভিনয় করেছে।
রোবট কি মানুষের জন্য হুমকি?
উপরের বর্ণিত সিনেমা থেকেই আমরা বুঝতে পারি রোবট কিনা করতে পারে। কিন্তু ভয় পাবার কিছু নেই , সিনেমা তো সিনেমাই। কিন্তু বিজ্ঞানীরা সতর্ক করছে , কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন রোবট তৈরির ক্ষেত্রে আমাদের সীমারেখা টানা উচিত।
এছাড়াও অনেক শিল্পে ব্যাপক হরে রোবট ব্যবহার করার জন্য , কোম্পানি গুলি প্রচুর পরিমানে লোক চাটাই করছে। তবে রোবট আসার কারণে নতুন নতুন জব সেক্টরও তৈরী হয়েছে , তাই য্ততোদিন না সচেতন ভাবে রোবোটি ব্যবহার করতে পারবে , ততদিন এটি মানুষের জন্য কোন হুমকি নয়।
কিভাবে রোবট বানায়?
রোবট হার্ডওয়্যার ও সফ্টওয়্যার দুইয়ের সমষ্টি। রোবট গুলো আমাদের কোনো না কোনো সমস্যার সমাধান করে। তাই রোবট বানানোর আগে সেই সমস্যাটি নিয়ে ব্যাপক চিন্তা করা হয় তারপর , সেটার মতো করে ডিজাইন করা হয়। সেই ডিজাইনকে থ্রিডি প্রিন্টারে প্রিন্ট করা হয়। এরপর রোবটের মাঝে প্রাণ দেওয়া হয় , মানে এর ভিতর মাক্রোচিপ দিয়ে সেখানে প্রোগ্রাম লিখে দেওয়া হয়। সেই প্রোগাম অনুসারে শরীরের বিভিন্ন অংশের মোটর এর মুভমেন্ট এর সাহায্য রোবট কাজ করে।
এটা হলো খুবই সাধারণ রোবট তৈরির কথা। মানবীয় রোবট ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রোবট তৈরিতে আরো জটিল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হয়।
রোবট বানানো জানতে , এই কোর্সগুলি দেখে আসতে পারেন।
- Robotics and Self-Driving Cars on Coursera by Stanford University
- Introduction to Robotics: Mechanics and Control on edX by the Georgia Institute of Technology
- Robotics: From Scratch to Mastery on Udemy by Jose Saldaña
- Robotics for Absolute Beginners on Skillshare by MakerBot
- Robotics: Modeling, Planning, and Control on Udacity by the University of California, Berkeley
রোবট কেনার যন্ত্রপাতি কোথায় পাওয়া যায়
যারা রোবোটিক্সের যন্ত্রপাতি কিনতে চান তাদের জন্য এখানে কিছু ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হল:
- রোবোটিক্স ল্যাব: রোবোটিক্স ল্যাব বিভিন্ন ধরণের রোবোটিক্স যন্ত্রপাতি বিক্রি করে, যার মধ্যে রয়েছে আরডুইনো বোর্ড, সেন্সর, অ্যাকচুয়েটর এবং রোবোটিক্স কিট।
- টেকশপ বাংলাদেশ: টেকশপ রোবোটিক্স যন্ত্রপাতির জন্য অন্যতম সেরা।
- মেকারস্পেস বাংলাদেশ: মেকার স্পেসে রোবটিক্স যন্ত্রপাতির সেরা সংগ্রহ পাওয়া যায়।
- বিট ইলেকট্রনিক্স: বিট ইলেকট্রনিক্স বিভিন্ন ধরণের ইলেকট্রনিক্স জিনিস বিক্রি করে, যার মধ্যে রয়েছে রোবোটিক্স যন্ত্রপাতি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: আমি এই ওয়েবসাইটগুলির মধ্যে কোনটিই নিয়মিত ব্যবহার করিনা। তাই কেনার আগে ভালো করে যাচাই করে নিন ।
আমরা দাঁড়িয়ে আছি চতুর্থ শিপবিপ্লবের সূচনা লগ্নে। তাই যারা তথ্যপ্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবে তত উন্নীত লাভ করবে। তাই আমাদের রোবট ও রোবটিক্স নিয়ে আরো গবেষণা করতে হবে , এবং একে মানব ও মানবাতার কল্যানে ব্যবহার করতে হবে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে, আরও লেখা পড়ুনঃ