Dreamy Media BD

চন্দ্রযান থ্রি 

চন্দ্রযান থ্রি

পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদ নিয়ে যেন মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন সাড়ে চার বিলিয়ন বছর আগে চাঁদের সৃষ্টি হয়। বহুকাল আগে থেকেই মহাকাশবিদ ও বিজ্ঞানীরা চাঁদ নিয়ে না না জল্পনা ও কল্পনায় ডুবে রয়েছেন। তারা উদঘাটন করতে চায় চাঁদে আসলে কি আছে। আর সেই প্রবল ইচ্ছা থেকে ১৯৭২ সালে নীল আর্মস্ট্রং সর্বপ্রথম চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। তারপর থেকে চাঁদ নিয়ে চলছে নানা গবেষণা।

মহাকাশবিদ ও বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়ত চাঁদ সম্পর্কিত নানা আশ্চর্যজনক তথ্য উন্মোচন করছে। বলা যায় চাঁদে অভিযান চালানো যেন মহাকাশবিদদের একটি নেশায় পরিণত হয়েছে। আজ পর্যন্ত বহুবার চাঁদে অভিযান চালানো হয়েছে। আর সেই উদ্যােগেই চন্দ্রযান ১ ও চন্দ্রযান ২ এর পর এবার চন্দ্রযান ৩ কে চাঁদে পাঠানো হয়েছে।

উদ্দেশ্য হল চাঁদের মাটিতে অবতরণ করে নানা তথ্য অন্বেষণ করা। আজ আপনাদেরকে এই চন্দ্রযান ৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবো। চলুন আর দেরি না করে পুরো আর্টিকেলটি পড়া যাক।

চন্দ্রযান থ্রি কি

চন্দ্রযান থ্রি মূলত চন্দ্রযান মিশনের তৃতীয় একটি ধাপ। চন্দ্রজন মিশন যা “লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম” নামেও পরিচিত চাঁদে এই পর্যন্ত তিনটি চন্দ্রজন পাঠাতে সক্ষম হয়েছে। এই মিশনের আয়তায় কাজ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর একদল বিজ্ঞানীরা। যারা প্রতিনিয়ত চাঁদে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় উদঘাটন এর চেষ্টা করছে এবং তথ্য অন্বেষণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

২০০৩ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী লুনার এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রাম অর্থাৎ চন্দ্রযান অভিযানের কথা প্রথমবারের মতো ঘোষণা করেছিলেন। এরপর থেকে মহাকাশে চাঁদে অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকে। তাদের প্রথম চন্দ্রাভিযান মিশনটির নাম ছিল চন্দ্রযান ১।

২০০৮ সালের ২২ অক্টোবর মহাকাশযানটি শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। চন্দ্রযান ১ উৎক্ষেপণের উদ্দেশ্য ছিল চাঁদের খনিজ, ভূতত্ত, রাসায়নিক সম্পর্কিত সকল তথ্য উদঘাটন করা। এবং সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর চন্দ্রযান ১ চন্দ্রপৃষ্ঠের ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় গিয়ে চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করেছিল। মোট ১১ টি বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ছিল চন্দ্রযান ১ এ। এবং এই সকল যন্ত্রপাতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইডেন এবং বুলগেরিয়াতে তৈরি করা হয়েছিল।

এবং ২০০৯ সালের মে মাসে মিশনের উদ্দেশ্য গুলি পূরণ হওয়ার পর কক্ষপথের পরিধি বাড়ানো হয়।  চাঁদের চারপাশে মোট ৩ হাজার ৪০০ টিরও বেশি কক্ষপথ তৈরি করে স্যাটেলাইটটি। উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পর ২৯ শে আগস্ট ২০০৯ সালে ইসরোর সাথে মহাকাশযানটির সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এবং মিশনটি শেষ হয়। অতঃপর চন্দ্রযান ২ কে চাঁদে পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি চলতে থাকে।

২০১৯ সালের ২২ জুলাই চাঁদের অনাবিষ্কৃত দক্ষিণ মেরু অন্বেষণের জন্য পৃথিবী থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান দুই। চাঁদ সম্পর্কিত আরও অজানা তথ্য  অন্বেষণের জন্য এই চন্দ্রযান পাঠানো হয়েছিল। মহাকাশবিদরা চেয়েছিল এই চন্দ্রযানের মাধ্যমে চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন, খনিজ শনাক্তকরণ ও বন্টনের পরিমাণ, চাঁদের উপরের মাটির তাপ ভৌত বৈশিষ্ট্য, পৃষ্ঠের রাসায়নিক গঠন, চাঁদের বায়ুমন্ডলের গঠন অন্বেষণ করা। অরবিটাল, ল্যান্ডার ও রোভার এর সমন্বয়ে চন্দ্রযান ২ গঠন করা হয়েছিল। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য এই যন্ত্র গুলোকে যুক্ত করা হয়।

২০১৯ সালের ২০ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করেছিল চন্দ্রযান ২। ২০১৯ সালের ২ সেপ্টেম্বর ১০০ কিলোমিটার মেরু কক্ষপথে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার সময় বিক্রম ল্যান্ডারটি অরবিটর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। তখন চন্দ্রযানটি প্রায় চন্দ্রপৃষ্ঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। শেষের এই ১৫ মিনিট ছিল ভয়ংকর। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকাকালীন সময়ে চন্দ্রযান ২ এর সাথে ইসরোর সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  অতঃপর পালা এলো চন্দ্রযান ৩ এর।

চাঁদের মাটিতে তথ্য অন্বেষণের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে চন্দ্রযান ৩ উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০২৩ সাল জুলাই এর ১৪ তারিখ ২:৩৫ মিনিটে শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে উৎক্ষেপণ করা হয় চন্দ্রযান থ্রি। চন্দ্রযান থ্রি প্রোগ্রামটিতে মোট ৬১৫ কোটি ভারতীয় রুপি বা ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরো।

দীর্ঘ এক মাস নয় দিন যাত্রার পরে চাঁদের বুকে‌ ২৩ শে আগস্ট সফট ল্যান্ডিং করে চন্দ্রযান থ্রি। যা কোটি কোটি ভারতবাসীকে গর্ব করার একটি স্থান করে দিয়েছে। তবে এই অভিযানটি চালাতে অনেক বেশি অর্থ ব্যয় করতে হয়নি। বলা যায় এর চেয়ে হলিউডের বিগ বাজারের সিনেমাগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হয়। ২০২০ সালে এই অভিযান টি চালানোর উদ্যোগ ছিল। কিন্তু করোনার কারণে তা সফল হয়ে ওঠেনি। মহাকাশযানটিতে মোট তিনটি অংশ রয়েছে। একটি ল্যান্ডার মডিউল একটি প্রোপালশন মডিউল এবং একটি রোভার। ভারতের এই মহাকাশ চর্চা যেন ভারতকে একটি অনন্য পর্যায়ে পৌঁছে দিল।

চন্দ্রযান

চন্দ্রযান থ্রি চাঁদে ল্যান্ড করে কিভাবে কাজ শুরু করবে

আমরা ইতিমধ্যেই জানি চন্দ্রযান থ্রি যাদের সফট ল্যান্ডিং করে ফেলেছে। এবং এখন বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন তথ্য অন্বেষণের জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে। চাঁদে চন্দ্রযান থ্রি অবতরণের পর পরই বিজ্ঞানীদের কাজ শুরু হয়ে গেছে। কারণ ইতিমধ্যেই সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু করেছে প্রজ্ঞান রোভার।

চন্দ্রযান থ্রি তে মূলত তিনটি অংশ রয়েছে একটি হলো প্রোপালশন, একটি বিক্রম ল্যান্ডার ও একটি রোভার। প্রোপালশনের কাজ হল ল্যান্ডার ও রোভারকে চাঁদ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। ধরা যায় প্রোপালশন হলো একটি ট্রাক আর এই ট্রাকে থাকা মালপত্র হল ল্যান্ডার ও রোভার। মূলত চন্দ্রযান থ্রি কে চাঁদের সফট ল্যান্ডিং করানোর কাজটি করবে বিক্রম ল্যান্ডার।

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন না কি এই বিক্রম ল্যান্ডার। ভারতের মহাকাশ বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের নাম অনুযায়ী নামকরণ করা হয়েছিল এই ল্যান্ডারের। মূলত ইসরোর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন এই মহাকাশ বিজ্ঞানী বিক্রম সারভাই।  চাঁদের কাছাকাছি পৌঁছানো মাত্রই এটি মহাকাশযানটির গতি কমিয়ে আনবে। তারপর ধীরে ধীরে চাঁদের পৃষ্ঠে নামবে চন্দ্রযান থ্রি।

রোভার এর কাজ হল চাঁদে পৌঁছানো মাত্রই রোভার প্রজ্ঞান বেরিয়ে আসবে। এবং এটি চাঁদের পৃষ্ঠে ঘুরে বেড়ানো শুরু করবে। আশেপাশে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। এই রোভারটির ছয়টি চাকায় ভারতের জাতীয় পতাকার ছবি ও ইসরোর‌ লোগো খোদাই করা আছে। প্রতি সেকেন্ডে এটি এক সেন্টিমিটার বেগে ঘুরেফিরে বেড়াতে সক্ষম।

অবতরণ করার পরেই চারপাশের সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করার জন্য রোভারটিতে আছে নেভিগেশন ক্যামেরা। এবং পুরো ভারতবাসীর জন্য সবচেয়ে গর্বের ব্যাপারটি হল রোভারটি যতদূর পর্যন্ত যাবে ততদূর পর্যন্ত ভারতের পতাকা ও ইসরোর লোগোর ছাপ চাঁদের মাটিতে আঁকা হয়ে যাবে। রোভারটিতে রয়েছে একাধিক পেলোড যা চাঁদের পৃষ্ঠের নানা তথ্য সংগ্রহ করবে। এবং যেকোনো তথ্য সংগ্রহ করা মাত্রই এটি বিক্রম ল্যান্ডারে তা পাঠিয়ে দেবে।

এরপর বিক্রম ল্যান্ডারটি তার কাজ শুরু করবে। বিক্রম ল্যান্ডারে রয়েছে তিনটি পেলোড। বিক্রম লেন্ডারটি তার আশেপাশের সকল কিছু পর্যবেক্ষণ করবে। এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবে। যেমন  তার কাছাকাছি থাকা পৃষ্ঠের প্লাজমা ঘনত্ব পরিমাপ করবে, পৃষ্ঠের তাপীয় বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য গুলো পরিমাপ করবে, চারপাশের কম্পন পরিমাপ করবে, চন্দ্রের ম্যান্টেলের গঠন এবং ভূত্বক চিহ্নিত করবে।

চারপাশে ঘুরেফিরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য ল্যান্ডার এবং রোভারটি সর্বমোট ১৪ দিন সময় পাবে। রোভারটি যেমন ল্যান্ডারের সাথে যোগাযোগ করবে সকল তথ্য দেবে তেমনি একইভাবে ল্যান্ডারটি সকল তথ্য পৃথিবীতে পাঠাবে। একমাত্র ল্যান্ডার পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম।

যদি ১৪ দিনে সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো সক্ষম না হয় তবে প্রয়োজনে আরো সময় বাড়ানো হবে। তবে এতে কিছুটা জটিলতা আছে। কারণ ল্যান্ডার ও রোভারটিকে ১৪ দিন পর্যন্ত কার্যকরী থাকার সকল ব্যবস্থা করে পাঠানো হয়েছে। আরো যদি সময় বাড়ানো হয় সেক্ষেত্রে ২৩৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস হিমাঙ্কের তাপমাত্রা সহ্য করে নিতে হবে। তবে বিজ্ঞানীরা ভাবেন হয়তো ল্যান্ডার ও রোভারটি এটি সহ্য করে নিতে পারবে।

কেন চাঁদের দক্ষিণ মেরুতেই অভিযান চালাবে চন্দ্রযান থ্রি?

সাধারণত কোন অভিযান চালানোর আগেই কোন স্থানে অভিযান চালানো হবে তা ঠিক করে নেওয়া হয়। বিশেষ করে মহাকাশে যখন কোন অভিযান চালানো হয় এবং কোন মহাকাশ যান নামানো হয় তার আগে কিছু বিষয় গবেষণা করার প্রয়োজন হয়। যেমন যে কোন মহাকাশযান ল্যান্ড করানোর আগে দেখে নেওয়া হয় ওই অঞ্চলটি ঠিক কত বড় এবং তাদের সেই অংশে কোন পাথর এবং গর্তের। এরপরে লক্ষ্য করা হয় ওই অংশটিতে সূর্যের আলো কতটা পৌঁছায় এবং পৃথিবী থেকে সেখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন।

গবেষণা চালানোর জন্য চন্দ্রযান থ্রি কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পাঠানো হয়েছে। কারণ এই অংশ নিয়েই নাকি বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের শেষ নেই। বিজ্ঞানীরা আশা করেন এই অংশতেই বরফ এবং পানির দেখা মিলবে। এবং এই উদ্দেশ্যেই এবার চন্দ্রযান থ্রি কে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে গবেষণার জন্য পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যে গবেষণার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

আগস্টের ১৪ তারিখ মহাকাশযানটি চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ড করেছে। বর্তমানে রোভারটি চারপাশে ঘোরাঘুরি করছে এবং বিভিন্ন তথ্য অনুসন্ধানের চেষ্টা করছে। আশা করা যায় এবার ভালো কোনো ফলাফল পাওয়া যাবে।

ঘরে বসেই ট্র্যাক করুন চন্দ্রযান থ্রি

অনলাইনে কোন পণ্য অর্ডার করার পর আমরা সেটাকে ট্র্যাক করতে পারি। পণ্যটি কোথায় আছে, কতদূর এসে পৌছালো, গন্তব্যে পৌঁছাতে কতক্ষন লাগবে এসব কিছুই আমরা ট্র্যাক করার মাধ্যমে জানতে পারি।

আপনি কি কখনো ভেবেছেন এমন একটি সময়ের কথা যখন কিনা আপনি ঘরে বসেই মহাকাশযান ট্র্যাক করতে পারবেন? হ্যাঁ এই সময়টি চলে এসেছে। আপনি এখন ঘরে বসেই চন্দ্রযান থ্রি ট্র্যাক করতে পারবেন। এবং ঘরে বসেই এর লাইভ লোকেশন জানতে পারবেন।

Chandrayaan 3

কিছুদিন আগে মহাকাশে অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছে চন্দ্রযান থ্রি কে এবং আগস্টের ২৪ তারিখ এটি সফলভাবে চাঁদের পৃষ্ঠে সফট ল্যান্ডিং করেছে। এর কাজ হল চন্দ্রপৃষ্ঠের গঠন, রাসায়নিক উপাদান, তাপমাত্রা, বায়ুমণ্ডল এবং সেখানে পানির উপস্থিতি আছে কিনা তা উদঘাটন করা।

জানা যায় এটি টানা ১৪ দিন ধরে পর্যবেক্ষণ চালাবে। এবং পৃথিবীতে সকল তথ্য পাঠাবে। এবং এই চন্দ্রযান থ্রি এর সকল আপডেট এবং স্ট্যাটাস আপনি নিজেও ঘরে বসে জানতে পারবেন। ইসরোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট এর মাধ্যমে এই মিশনের সকল আপডেট এবং স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। আপনাদের জানার সুবিধার্থে ইসরোর অফিশিয়াল ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্টের লিংক নিম্নে দিয়ে দেওয়া হল:

অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: 

সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট:

চন্দ্রাভিযান চালাতে সর্বমোট কত খরচ হয়েছে?

চাঁদের দক্ষিণ মেরু এখনো অনাবিষ্কৃত। তাই এই অংশটি নিয়ে বিজ্ঞানীদের অনেক বেশি কৌতূহল রয়েছে। সম্প্রতি চন্দ্রযান থ্রিকে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই অভিযানটিকে ঘিরে ভারতজুড়ে যেন আনন্দের বর্ষণ শুরু হয়েছে। ২৪ শে আগস্ট চন্দ্রযান থ্রি চাঁদে সফলভাবে ল্যান্ড করেছে। কোন ব্যাঘাত ছাড়াই খুব সফলভাবে চন্দ্রযান থ্রি চাঁদে অবতরণ করেছে তাই মানুষের কৌতূহল আরো বেড়ে গিয়েছে যে এই অভিযানের পিছনে কত টাকা খরচ হয়েছে।

জানা গেছে বিশ্বের অন্যান্য দেশের চন্দ্রাভিযানের যে তুলনায় ভারতের চন্দ্রাভিযানে তুলনামূলকভাবে খরচ কম হয়েছে। চন্দ্রযান থ্রি অভিযানটিতে সর্বমোট খরচ হয়েছে ৬.১ বিলিয়ন রুপি। যা সাড়ে সাত কোটি ডলারের সমতুল্য। এবং বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮২০ কোটি আসি লাখ-৭ হাজার ৫০০ টাকা। যা রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা- ২৫ এর পিছনে ব্যয় হওয়া খরচের অর্ধেকের চেয়েও কম। ভারতের বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা যায় পূর্ববর্তী চন্দ্রাভিযান চালানো হয়েছে সবগুলোতেই খরচ বেশ কম ছিল। 

দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো স্বল্প খরচে সকল অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে। যা ভারতের অর্থ অপচয় রোধ করছে। এবং এটিকে ভারতীয়রা বিশেষভাবে কৃতিত্ব জানাচ্ছে। ইসরোর এক বিজ্ঞানী বিবিসি তামিলকে জানায় ” ভবিষ্যতে গবেষণায় খরচ আরো বেশি কম হতে পারে। কারণ ভারত তার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর কুলাসেকারাপপট্টিনামে  মহাকাশ বন্দর নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে। এবং অভিযানে উৎক্ষেপণ করার ক্ষেত্রে এই বন্দরটি ব্যবহার করা হবে। যা পরিবহন খরচ অনেকটাই কমিয়ে ফেলবে। তাই আশা করা যায় ভবিষ্যতে অভিযানগুলোতে খরচ তুলনামূলকভাবে আরো কমে আসবে”।

চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপণে কাজ করেছে নারী শক্তি

এবার চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপণে কাজ করেছে নারী শক্তি যা পুরো ভারতবাসী নারীদেরকে গর্বিত করে তোলে। এবং এই নারী বিজ্ঞানের নাম ঋতু করিধাল। বর্তমানে চন্দ্রযান থ্রি মিশনের ডিরেক্টর তিনি। তাকে বলা হয় রকেট উইমেন অফ ইন্ডিয়া। চন্দ্রযান থ্রি ছাড়াও ইসরোর আরো অন্যান্য গবেষণায় তিনি বারংবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। মহাকাশ গবেষণায় তার রয়েছে বিশাল অভিজ্ঞতার ভান্ডার। ঋতু করিধাল লখনউয়ের একটি অত্যন্ত সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে।

লখনউয়ের সেন্ট অ্যাগনেস স্কুল থেকে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি তার মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন লখনউয়ের নবযুগ কন্যা বিদ্যালয় থেকে। এরপর পিজি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে তিনি স্নাতক সম্পন্ন করেন। অতঃপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রী সম্পূর্ণ করেন লখনউয়ের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। প্রতিটি ধাপেই তার ছিল অনন্য ফলাফল। শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত অসাধারণ।  এরপর প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসেন উচ্চশিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে।

তিনি গ্রাজুয়েট অ্যাপটিটিউট টেস্ট ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ অত্যন্ত ভালো ফলাফল করেন। এবং তারপর অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে ডিগ্রীতে পড়ার জন্য বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স  সুযোগ পান। সেখান থেকেই এম টেক সম্পূর্ণ করেন। এরপর তিনি পিএইচডি শুরু করলেন। পড়ার পাশাপাশি তিনি একটি কলেজে পার্ট টাইম শিক্ষিকা হিসেবেও কর্মরত ছিলেন। সে সময় ইসরোতে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চলছিল। এবং তিনি চাকরির জন্য আবেদন করলেন। কিছুদিন পরেই ইসরোতে তার পরীক্ষা ও ইন্টারভিউ এর ডাক পড়লো।

তিনি খুব সহজেই পরীক্ষা এবং ইন্টারভিউতে পাস করে গেলেন। এবং ইসরো থেকে তাকে চাকরির অফার লেটার দেওয়া হলো। কিন্তু এখানেই হলো বিপত্তি। ইসরোতে চাকরি করতে হলে চাকরির সময় পড়ার কোন সুযোগ নেই। প্রথমে তিনি একদমই রাজি ছিলেন না। কি সিদ্ধান্ত নিবেন তা বুঝতে পারছিলেন না। তিনি প্রফেসর মনীষা গুপ্তর নির্দেশনায় পিএইচডি করছিলেন। এবং প্রফেসর মনীষা গুপ্ত তাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করলেন। তিনি তাকে বললেন এত ভালো অফার ফিরিয়ে দেওয়া কখনোই। প্রফেসর মনীষা গুপ্তের কথামতো ১৯৯৭ সালে চোখ বন্ধ করেই চাকরিতে যোগদান করলেন ঋতু। এবং তখন থেকেই তার জীবনের মোড় পাল্টে গেল

ঋতু ছিলেন মার্স অরবিটাল মিশন এর ডেপুটি অপারেসন্সের ডিরেক্টর। মূলত কোন পথ ধরে মহাকাশযান এগিয়ে যাবে, কতদিন পরে উৎক্ষেপণ করা হবে, এবং কতদিন পরে মহাকাশযানটি কোন কক্ষপথে ঢুকবে এই সকল কিছু নির্ধারণ করার দায়িত্ব যাদের মধ্যে ছিলেন তাদের মধ্যে ঋতু ছিলেন সকলের মধ্যমণি।  এমনকি ভাল কাজের সুবাদে খুব কম বয়সেই অসংখ্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। ২০০৭ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত এপিজে আবদুল কালাম ঋতুকে তুলে দিয়েছিলেন ” ইয়ং সাইন্টিস্ট অ্যাওয়ার্ড”।

এরপর থেকে কাজের প্রতি তার নেশা যেন আরো বৃদ্ধি পেয়ে গেল। চন্দ্রযান ২ অভিযানেও ২০১৯ সালে মিশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন তিনি। চন্দ্রযান থ্রি মিশনেও ইসরো ঋতুকে গুরুদায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ২০২০ সালে। চন্দ্রযান থ্রি মিশনে রিতুকে ডেপুটি ডিরেক্টর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং পিলোড এ সকল কাজ পরিচালনা করেছেন তিনি। তার পরিবারই রয়েছে এক বোন এবং দুই ভাই। তার স্বামী একজন বেসরকারি চাকরিজীবী। নাম অবিনাশ শ্রীবাস্তব। রয়েছে দুই সন্তান। মেয়ের নাম অনিশা এবং ছেলের নাম আদিত্য। বেঙ্গালুরুতে তাদের বাসস্থান। ঋতু বলেন কাজের ক্ষেত্রে সব সময় তার স্বামী তাকে উৎসাহ দিয়ে এসেছেন এমনকি বিভিন্ন কাজে থেকে সাহায্য করেছেন। ভবিষ্যতে মহাকাশযান নিয়ে গবেষণায় তিনি আরো কাজ করতে চান। তার কাজকে তিনি নিজের ভালোবাসার স্থানে বহু আগেই বসিয়ে দিয়েছেন।

চন্দ্রযান থ্রি মিশনে কর্মরত ব্যক্তিদের নাম

চন্দ্রযান থ্রি কে সফলভাবে চাঁদে পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ করেছে ২৫ জন বঙ্গ সন্তান। তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলেই সফলভাবে চাঁদের ল্যান্ড করতে পেরেছে চন্দ্রযান থ্রি। ভারতের জন্য এ ২৫ জন বঙ্গ সন্তান যেন এক একটি রত্ন। এই মিশনে যুক্ত ছিলেন চন্দ্রযান প্রজেক্টের ডেপুটি ডিরেক্টর তুষার কান্তি দাস, রয়েছেন চয়ন দত্ত, IIST থেকে সৌরভ মাজি, নদিয়া থেকে পীযুষ কান্তি প্রামাণিক এবং বেসু থেকে রিন্টু নাথ, দেবজ্যোতি ধর, কৌশিক নাগ, তমলুকের আর্য রানা, বহরমপুরের টসকিল ওয়ারা, যাদবপুরের কৃশানু নন্দী, বিশ্বভারতীর মহম্মদ মোশারফ হোসেন, কলকাতা থেকে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, যাদবপুরের রাজীব সাহা, রামকৃষ্ণ মিশনের বেলুড় প্রাক্তন ছাত্র অমিত মাজি, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের মানস সরকার, উত্তর দিনাজপুরের অনুজ নন্দী, উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহা, রাজাবাজার সায়েন্স কলেজ থেকে উত্তীর্ণ মৌমিতা দত্ত, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিজয় কুমার দাই, সায়ন চট্টোপাধ্যায়, অমিতাভ গুপ্ত, সাউথ পয়েন্ট প্রাক্তন ছাত্র অভ্রজিত রায়, ডন বস্কো স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র সৌরভ বসু, হুগলির উত্তরপাড়ার সুমিতেশ সরকার। এছাড়াও প্রায় ১০০ জনের বেশি বিজ্ঞানী তাদেরকে এই মিশন সফল করতে সাহায্য করেছে। এটি যেন তাদের বাবা-মায়ের জন্য বেশি গর্বের একটি বিষয়। ভারত সন্তানেরা আজ এত দূর তাদের খ্যাতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। এর চেয়ে বেশি গর্বের আর কি হতে পারে। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন চাঁদে অভিযান চালিয়েছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো ভারতের নাম। ভারত যেন মুহূর্তে একটি ইতিহাস রচনা করে দিল। আর এই ইতিহাস রচনার পেছনে রয়েছিল এই ২৫ জন বাঙালি বিজ্ঞানের দিনরাত করে যাওয়া অক্লান্ত পরিশ্রম। তাদের সকলের প্রতিষ্ঠার জন্যই আজ ভারতবাসীদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। সবাই গর্বে গা ফুলিয়ে বলছে আমরাও একটি সফল জাতি।

চন্দ্রযান থ্রি প্রেরণে ভারতের লাভ কি

খুব কম জাতি এখন পর্যন্ত চাঁদে পা রাখতে পেরেছে। যুক্তরাজ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের পরে চাঁদে এই প্রথম পা রাখল ভারত। যা ভারতকে বিশ্বের দরবারে নতুন একটি পরিচয় দিয়েছে। শুধু তাই নয় নানা পরীক্ষা নিরীক্ষার পর ভারত যদি চাঁদ থেকে নতুন কোন তথ্য অনুসন্ধান করতে সক্ষম হয় সেটি হবে ভারতের জন্য কালজয়ী একটি ইতিহাস। এবং একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে ভারত বিশ্বের দরবারে পা রাখবে। বিশেষ করে ভারতের এই সাফল্য ভারতকে ভবিষ্যতে আরো মহাকাশ গবেষণায় অংশ রাখতে সাহায্য করবে। এবং ভারতের যে সকল কৃতি সন্তানেরা এই মিশনে কর্মরত ছিল তারা সকলেই তাদের যোগ্য সম্মাননা পাবে। ইতিমধ্যেই ভারতের এই বিরাট কর্মকান্ডের জন্য বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতকে শুভানুবাদ জানানো হচ্ছে। যা ভারতের জন্য একটি বিশেষ অর্জন।এবং এই মিশনটি সফল হলে আগামীতে ভারতের অর্থনীতি ও বেশ ফুলে ফেঁপে উঠবে। তৈরি হবে বহু নতুন নতুন কর্মসংস্থান। ইতিমধ্যেই ভারত মহাকাশ গবেষণার জন্য একটি মাইলস্টোন স্থাপন করতে যাচ্ছে।

চন্দ্রযান থ্রি প্রেরণে ভারতের ইসরো কি‌ নাসাকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে

নাসার আগেই চাঁদে মহাকাশযান পাঠাতে সক্ষম হয়েছে ইসরো। যদি এই মিশনটি সফল হয় তবে নাসার চেয়ে চাঁদে অভিযান চালানোর ক্ষেত্রে ইসরো অনেকটাই এগিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই জানা গেছে চাঁদের সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান থ্রি। এবং যথাক্রমেই ল্যান্ডিংয়ের পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পানির কোন চিহ্ন পাওয়া যায় কিনা তা উদঘাটনে মূলত চন্দ্রযান থ্রি কে দক্ষিণ মেরুতে পাঠানো হয়েছে। ভারতের এই উদ্যোগকে প্রসঙ্গ করে নাসা কর্তা বিল নিলসন ইসরো কে চন্দ্রযান থ্রি উৎক্ষেপণের জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। এবং কি ফলাফল আসবে তা নিয়ে প্রতীক্ষা করছে। নাসার সাথে সাথে ইউরো স্পেস এজেন্সিও টুইটের মাধ্যমে ভারতকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে।

চন্দ্রযান থ্রি তে দায়িত্ব পালন করা তিন বাঙালি গর্বিত সন্তান

চন্দ্রযান থ্রি সফলভাবে উৎক্ষেপণের জন্য তিনজন বাঙালি গর্বিত সন্তান দায়িত্ব পালন করেছেন। যাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন বসিরহাটের মানস সরকার। তিনি নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি ১৯৯৬ থেকে ১৯৯৯ সাল পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকে পড়াশোনা করেন। তার এই সাফল্য নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক বিদ্যালয় যেন গর্ভের একটি ছাপ ফেলে দিয়েছে।

তিনি ইসরোর টেলিমেট্রি ট্রাকিং এবং কমান্ড নেটওয়ার্কের অফিসার হিসেবে কাজ করেন। দ্বিতীয় গর্বিত সন্তানটি হলেন বাঁকুড়া জেলার পাত্রসায়ের ব্লকের কৃষানু নন্দী। চাঁদের পৃষ্ঠে ল্যান্ড করার পর রোভার এর গতিবিধির দায়িত্বে থাকা একজন অন্যতম ইঞ্জিনিয়ার হলেন তিনি। এবং তৃতীয় গর্বিত সন্তানটি হলেন বীরভূম জেলার রায়পুর গ্রামের সৌমজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তাদের ঐক্য প্রচেষ্টাতেই চন্দ্রযান থ্রি সফলভাবে কাজ চালাতে পারছে।

সবশেষে,

মহাকাশ গবেষণায় ভারত অনেক বেশি এগিয়ে গেছে। এবং তাদের প্রচেষ্টা দেখে বোঝা যায় তারা ভবিষ্যতেও অনেক সাফল্য অর্জন করবে। মহাকাশ অভিযান নিয়ে ইসরোর একদল বিজ্ঞানী প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। ভারতের এই প্রচেষ্টাকে সারা বিশ্ববাসী সমর্থন জানায়। আশা করা যায় চন্দ্রযান থ্রি দারুন কিছু ফলাফল আমাদের সামনে উপস্থাপন করবে। আশা করি এই আর্টিকেল থেকে আপনি কিছুটা হলেও তথ্য জানতে পেরেছেন। আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন –

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents