Dreamy Media BD

পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার উপায়

পিরিয়ডের ব্যাথা দূর করার উপায়

পিরিয়ড প্রতিটি নারীর জীবনে এক ভোগান্তির নাম। পিরিয়ডের ব্যথা, মুড সুইং, বমি বমি ভাব,মাথা ব্যথা সহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা পিরিয়ড চলাকালীন সময় নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর মাসিকের ব্যথা প্রত্যেকটি নারীর মাসিক চক্রের একটি স্বাভাবিক অংশ। সাধারণত পেটে বেদনাদায়ক পেশি ক্রাম্প হিসাবে অনুভূত হয়, যা পরবর্তীতে তলপেট এবং উরুতে ছড়িয়ে পড়ে।

 কখনো কখনো ব্যথা তীব্র খিচুনি আসে আবার কখনো পুরো শরীর অবশ করে ফেলে। সময়ের সাথে পিরিয়ডের ব্যথা পরিবর্তন হতে পারে। পিরিয়ড ব্যথা কখনো কখনো সামান্য হয় আবার কখনো কখনো তীব্র বেদনাদায়ক হয়। বেশিরভাগ মেয়েরাই হরহামেশা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় খুঁজে থাকে। কি করলেই এ ব্যথা কমবে তা জানার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।

কিন্তু অনেকেই জানে না ব্যথা দূর করার কিছু সহজ ও ঘরোয়া উপায় আছে। এই উপায় গুলো জানা থাকলে খুব সহজে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করা যায়। তাহলে চলুন আজ আমরা জেনে নেই পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার উপায় গুলো:

পিরিয়ড কি

পিরিয়ড হলো এমন একটি সময় যখন যোনিপথে রক্ত এবং মিউকাস টিস্যু নির্গত হয় এই সময়কালকে পিরিয়ড বলা হয়। এই সময় শরীরের প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া গুলো ঘটে, এটি হরমোনের প্রভাবে সৃষ্টি হয়। এই হরমোন গুলো আপনার মেজাজ ও শক্তির স্তরকে প্রভাবিত করে। পিরিয়ড চলাকালীন কোমর ব্যথা, পেটব্যথা, ও বমি বমি ভাব হতে পারে।

পিরিয়ড হওয়ার লক্ষণ

মেয়েরা পিরিয়ড হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ অনুভব করে।এটি Premenstrual syndrome নামে পরিচিত। এর মধ্যে মেজাজ ও শারীরিক সমস্যা গুলোর পরিবর্তন রয়েছে এবং পিরিয়ডের ১০ দিন আগে পর্যন্ত হতে পারে। চলুন জেনে নিই পিরিয়ড শারীরিক লক্ষণগুলো:

১) পেট ফুলে যাওয়া

২) পেট ব্যথা

৩) পেট ব্যথা 

৪) বমি বমি ভাব এবং ওজন বৃদ্ধি

৫) মাথা ব্যথা

৬) হাত ও পায়ে ফোলা

৭) জয়েন্টে ব্যথা

মাসিকের আচরণগত পরিবর্তন গুলো,

 ১) মেজাজ খারাপ থাকা

২) বিরক্তিও মন খারাপ থাকা

৩) একাকীত্ব বোধ করা

৪) কোন কিছু ভুলে যাওয়া

৫) সেক্স করার ইচ্ছা কমে যাওয়া

৬) নিদ্রাহীন ,ও ক্লান্ত বোধ হয়।

৭) ক্ষুধা বৃদ্ধি অনুভব হয়।

পিরিয়ডমাসিকের সময় তীব্র ব্যথা হওয়ার কারণ

জরায়ুতে সংকোচনের কারণে পিরিয়ডের ব্যথা হয়। পিরিয়ড শুরু হওয়ার ঠিক আগে থেকেই ব্যথা শুরু হয়। তলপেটে এই হালকা ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা খুব তীব্র হয়। চলুন  তীব্র ব্যথার কারণ গুলো জেনে নিই:

১) এন্ডোমেট্রিওসিস: এটি একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যেখানে জরায়ুর কোষগুলো জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। এর সাধারণ উপসর্গগুলো হল তলপেটে ব্যথা ও কোমর ব্যথা। এর সাথে, সাত দিনের বেশি পিরিয়ড, পিরিয়ড ভারী রক্তক্ষরণ, পেটে ব্যথা, পিঠে ব্যথা, দুটো মাসিকের মাঝে রক্তপাত, সহবাসের সময় ব্যথা, গর্ভধারণের সমস্যা ইত্যাদি হতে পারে।

২) পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম: সন্তানধারণে সক্ষম এমন ১০ জন নারীর মধ্যে ১জন নারী PCOS নামক হরমোন জনিত ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়। এমন রোগীদের শরীরে অ্যান্ড্রোজেন এর উচ্চমাত্রা, ও অনিয়মিত মাসিক হতে দেখা যায়। সাত দিনের বেশি পিরিয়ড, মাসিক ভারী রক্তক্ষরণ, ওজন বৃদ্ধি, চুল পড়া, ব্রণ, ত্বকের কালো দাগ, ওজন কমানোর সমস্যা, ঘাড় ও কুচকির অংশে কালো দাগ হওয়া ইত্যাদি PCOS এর লক্ষণ।

৩) ফাইব্রয়েড: ফাইব্রয়েড জরায়ুর ভিতরে  মায়োমেট্রিয়াম নামক জায়গায় বীজের মত ছোট ছোট আকার থেকে বড় আকারে তৈরি হয়। কোনরকম লক্ষণ ছাড়াই আপনার এক বা একাধিক ফাইব্রয়েড থাকতে পারে। ফাইব্রয়েডের কারণে তলপেটে তীব্র ব্যথা ছাড়াও মাসিক ভারী রক্তক্ষরণ, সাত দিনের বেশি পিরিয়ড, পা ব্যথা, মাথা ব্যথা, পিঠ ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।

৪) পেলভিক ইনফ্লামেটরি ডিজিজ: এটি হলো নারীর প্রজনন অঙ্গে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ। এটি সাধারণত ক্ল্যামাইডিয়া বা গনোরিয়া দ্বারা সৃষ্টি হয়। এ রোগের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হল ,কোমরে ব্যথা। যৌন মিলনের সময় বা পরে রক্তপাত, যৌন মিলনে ব্যথা, দুর্গন্ধযুক্ত যোনি স্রাব, প্রসব করার আগে ও পরে জ্বালাপোড়া করা, মাসিক হওয়ার আগে ছোপ ছোপ রক্ত পড়া, ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ।

৫) সার্ভাইকাল স্টেনোসিস: সার্ভাইকাল স্টেনোসিসএর অর্থ হচ্ছে বন্ধ যোনিপথ। এতে আপনার যোনিপথের সরু সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকে। যে কেউই  সার্ভাইকাল স্টেনোসিস নিয়ে জন্মগ্রহণ করতে পারে বা বয়সের সাথে সাথে এই অবস্থা তৈরি হতে পারে। এ রোগে আপনার শরীর থেকে ঋতুস্রাবের রক্ত বের হতে বাধা প্রাপ্ত হয় এর কারনে মাসিক খুব হালকা বা ও অনিয়মত হয়। এর জন্য প্রজনন সমস্যাও হতে পারে।

৬) অ্যাডেনোমায়োসিস: অ্যাডেনোমায়োসিস হলে জরায়ু ফুলে উঠে। এর উপসর্গ সবসময় দেখা যায় না। তবে এর কারণে তীব্র তলপেটে ব্যথা হয় যা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে । এবং মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত বা দীর্ঘায়িত মাসিক হয়। 

৭) জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি (IUD): এটা হল একটি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি যা আপনার জড়ায়ুতে ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের IUD পাওয়া যায় কোনটিতে হরমোন থাকে আবার কোনটিতে হরমোন মুক্ত হয়। IUD সম্পূর্ণ নিরাপদ কিন্তু মাঝে মাঝে এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এরমধ্যে রয়েছে, অনিয়মিত মাসিক, তীব্র মাসিকের ব্যথা, মাসিকে অতিরিক্ত রক্তপাত ইত্যাদি।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়

পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো জানা থাকলে পিরিয়ডের সময় ঘরে থাকা জিনিসগুলোর সাহায্যেই সহজেই এই ব্যথা দূর করতে পারবেন। চলুন তাহলে পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কিছু ঘরোয়া উপায় জেনে নিই যার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।তাহলে চলুন জেনে নিয় পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় গুলো:

১) মেথি বীজ: যদিও মেথি বীজ ওজন কমাতে, কিডনি ,লিভার ও মেটাবলিজমের জন্য ভালো এর পাশাপাশি পৃথিবীর পিরিয়ডের সময় বাসা থেকে মুক্তি পেতে একটি ভালো ঘরোয়া প্রতিকার। পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে রাতে এক কাপ পানির সাথে মেথি বীজ ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে এই পানি ছেঁকে পান করন। এতে করে দেখবেন পিরিয়ডের ব্যথা দূর হয়ে গেছে।

২) গরম সেঁক নিন: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ঔষধ এর চেয়ে গরম সেঁক বেশি কার্যকর। এটি প্যারাসিটামল এর চেয়ে বেশি কার্যকর ও আইবোপ্রোফেনের সমান কার্যকর। সেই সাথে এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। হট ওয়াটার ব্যাগ যেকোনো মোটা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মুড়িয়ে পেটের উপর রাখতে পারেন। হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যবহারে সবসময় সাবধান থাকুন। সহনীয় তাপমাত্রা পানি ব্যবহার করুন। ভালোভাবে মুখ আটকিয়ে নিন। নির্দিষ্ট সময় পরপর ব্যাগ উল্টেপাল্টে দিন।

৩) ব্যায়াম করুন: পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সবচাইতে ভালো ঘরোয়া উপায় হল ব্যায়াম। এ সময়ে ব্যায়াম করলে পেলভিক মাসেলের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় ও প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিসকে প্রতিরোধ করতে এন্ডরফিন নিঃসৃত হয়। বিশেষজ্ঞদের মধ্যে পিরিয়ডের সময় ব্যথা দূর করতে প্রাণায়াম ও শ্বাস প্রশ্বাসের মতো যোগাসন করা যেতে পারে। এই দুইটি ব্যথা কমিয়ে আপনাকে আরাম দিবে। ব্যায়াম আপনার সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। তবে এটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ যদি আপনি একটি বেদনাদায়ক অবস্থায় থাকেন।

৪) আদা: আদা পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য বেশ কার্যকর। যারা নিয়মিত পিরিয়ডের ব্যথায় ভোগছেন তারা পিরিয়ড শুরু হওয়ার আগে থেকেই আদা খাওয়া শুরু করে দিতে পারেন। আদা কুচি কুচি করে লবণ দিয়ে  খেতে পারেন। অথবা চাইলে গরম পানি বা চায়ের সাথে খেতে পারেন। পিরিয়ডের প্রথম তিন থেকে চার দিন তিন বেলা এভাবে আদা কুচি খাবেন।

মাসিক

৫) দারুচিনি: দারুচিনিতে আছে এন্টি ইনফ্লামেটরি এবং এন্টি স্পাসমেডিক বৈশিষ্ট্য যা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে। পিরিয়ডের সময় খাবারে দারুচিনি ব্যবহার করলে দ্রুত ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

৬) রিলাক্স করুন: সবসময় মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকার চেষ্টা করুন। যোগ ব্যায়াম ও মেডিটেশন মাথাব্যথা ও অস্থিরতার অনুভূতি থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিতে পারে।

৭) গাজরের রস: পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য গাজরের রস বেশ কার্যকর। যে সকল মেয়েদের রক্তস্বল্পতা আছে তাদের পিরিয়ডের সময় অনেক ব্যথা হয়। তারা যদি সারা মাস জুরে এক গ্লাস করে গাজরের রস পান করে তাহলে পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি পাবে।

৮) কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করুন: কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়। এটি আপনাকে রিলাক্স হতেও সাহায্য করবে।

৯) হলুদ: পিরিয়ডের ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে হলুদ একটি অন্যতম উপাদান। হলুদ প্রদাহ বিরোধী এবং নিরাময় বৈশিষ্ট্য সম্পূর্ণ যা ব্যথা দূর করতে বেশ সাহায্য করে। পিরিয়ডের তীব্র ব্যথা কমাতে এক গ্লাস কুসুম গরম দুধে এক চিমটি হলুদ ভালোভাবে মিশিয়ে পান করুন।

১০) অ্যালোভেরার রস: অ্যালোভেরার রস ও মধু একসাথে মিশিয়ে একটি জুস তৈরি করুন। পিরিয়ডের ব্যথার সময় এটা পান করুন। দিনে দুই থেকে তিনবার পান করলে অনেকখানি ব্যথা কমিয়ে দিবে।

১১) জিরা: জিরাতে আছে অ্যান্টি স্পাসমেডিক এবং এন্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য যা মাসিকের ব্যথা পোষণ করতে খুবই উপকারী। আপনি জরা বীজের সাহায্যে ভেষজ চা তৈরি করে খেতে পারেন।

১২) পেঁপে: পেপে পিরিয়ডের ব্যথা দূর করার জন্য বেশ কার্যকর। পিরিয়ডের সময়ে কাঁচা পেপে খান ব্যথা অনেক কমে যাবে।

১৩) তুলসী পাতা: তুলসী হচ্ছে প্রাকৃতিক পেইন কিলার এবং এন্টিবায়োটিক। পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে তুলসী পাতা দিয়ে চা বা পানিতে তুলসী দিয়ে গরম করে খেলে পিরিয়ডের ব্যথা একেবারে চলে যায়।

১৪) ল্যাভেন্ডার অয়েল: পিরিয়ডের ব্যথা হলে পেটে কয়েক ফোটা লেভেন্ডার অয়েল দিয়ে মালিশ করুন। দেখবেন ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে ব্যথা একেবারে চলে যায়।

১৫) কলা: কলা পিরিয়ডের সময় পেটের ফোলা ভাব কমায়। এতে আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি৬। এজন্য পিরিয়ডের সময় তীব্র ব্যথা হলে  কলা খান।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ঔষধ

সাধারণত ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহার করলে পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে  শুধুমাত্র ঘরোয়া পদ্ধতি ব্যবহারে এ ব্যথা কমে না তখন কিছু ঔষধ সেবন করতে হয়। চলুন জেনে নিই পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর ওষুধ গুলো সম্পর্কে:

১) আইবুপ্রোফেন ও অ্যাসপিরিন: আইবুপ্রোফেন পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর। সাধারণত প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন নামের একটি কেমিক্যাল এর কারনে পিরিয়ডের ব্যথা।আইবুপ্রোফেন এই কেমিক্যাল কে থামিয়ে দেয় যার কারণে ব্যথা একেবারে কমে যায়।

দিনে তিন থেকে চারটা আইবুপ্রোফেন ৪০০ ট্যাবলেট খেতে হবে। ৬ ঘন্টা পরপরই এই ওষুধ খেতে হয়। তবে শুধুমাত্র ১২ বছরের অধিক নারীরাই ঔষধ সেবন করতে পারবেন।

এছাড়া পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর কিছু ঔষধ আছে,

১) Neogest Tablet 

২) আ্যলজিন ট্যাবলেট

৩) Traxyl Tablet 

৪) HPR DS Tablet 

পিরিয়ডের ব্যথার চিকিৎসা

অধিকাংশ ক্ষেত্রে পিরিয়ডের ব্যথা বাড়িতে চিকিৎসা করা যায়। আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর উপায় হিসেবে প্রথমে মাথায় আসতে পারে ব্যথা নাশক ওষুধের নাম। আপনি আইবুপ্রোফেন ও আ্যসপিরিন ব্যবহার করে ব্যথা দূর করতে পারবেন তবে কিডনি বা লিভারে যদি সমস্যা থাকে তাহলে এই ওষুধগুলো খাবেন না। ১৬ বছরের কম বয়সীদের এসব ওষুধ খাওয়া যাবে না।

আপনি ব্যথা দূর করতে প্যারাসিটামল ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু প্যারাসিটামল আইবুপ্রোফেন ও আ্যসপিরিনের  মত ব্যথা কমায় না। যদি সাধারণ ব্যথা নাশক ওষুধগুলো কাজ না করে তাহলে ডাক্তার আপনাকে শক্তিশালী বেতন আসুক যেমন নেপ্রোক্সোন কোডিন দিতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথা কমানোর জন্য ননস্টেরডাল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি ড্রাগস আইবুপ্রোফেন ব্যথা উপশম করতে পারে। তবে চিকিৎসকরা পিরিয়ডের ব্যথার দূর করার জন্য বিশেষ কিছু পণ্য আবিষ্কার করেছে। এগুলো হচ্ছে এনএসএআইডি ও এন্টিপ্রোস্টাগ্ল্যান্ডনকে একত্রিত করে এবং  এরা জরায়ুতে ক্রাম্পিং কমাতে পারে, রক্তের প্রভাব হালকা করে ও অস্বস্তি দূর করে।

ডাক্তাররা কখনো কখনো মাসিকের ক্রাম্পের তীব্রতা কমাতে হরমোন জনিত জন্ম নিয়ন্ত্রণ বড়ি দিতে পারেন। এই এই ট্যাবলেট গুলো জরায়ুর আস্তরণে পাতলা করে। যা পিরিয়ডের ব্যথা এবং রক্তপাত কমাতে পারে‌।

এছাড়াও IUD , যোনি রিং , ও বিভিন্ন ধরনের ইনজেকশন আপনার পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সাহায্য করতে পারে। আর যদি অবস্থা বেশি শোচনীয় হয় তাহলে অ্যান্ড্রোমেট্রিয়সিস বা ফাইব্রয়েড নামক অবাঞ্ছিত টিস্যু অপসারণ এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা আপনার ব্যথা কমানোর পরামর্শ দিতে পারে।

পিরিয়ডের ব্যথা কতক্ষণ স্থায়ী হয়

পিরিয়ড শুরু হওয়ার সময়ই পিরিয়ডের ব্যথা শুরু হয়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে পিরিয়ড শুরু হওয়ার বেশ কিছুদিন আগে থেকেই ব্যথা শুরু হয়ে যায়। মাসিকের ব্যথা ৪৮-৭২ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি সময় ধরেও ব্যথা থাকতে পারে। পিরিয়ডের যে সময়টাতে সবচাইতে বেশি রক্তক্ষরণ হয় সেই সময়ে ব্যথার পরিমাণও সবচাইতে বেশি থাকে। কিশোরীদের ক্ষেত্রে প্রথমবারের মতো পিরিয়ড হওয়ার সময়ে প্রায় ব্যথা হয়ে থাকে। পিরিয়ডের ব্যথার পিছনে যদি কোন অন্তর্নিহিত রোগ না থাকে তাহলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই ব্যথা কমতে থাকে। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরে অনেকের পিরিয়ডের ব্যথা কমে যায়।

পিরিয়ডের সময় কি কি খাবার খাওয়া উচিত

১)তরমুজ

২) শসা 

৩)আপেল

৪) মাছ

৫)ডিম

৬) কলিজা

৭) কচু শাক

৮) পুঁইশাক

৯) ডাটা শাক 

১০)পাকা তেঁতুল

১১)আমরা 

১২)খেজুর

সবশেষে,

পিরিয়ড নারীদের গর্ভধারণের জন্য প্রস্তুত করে। পিরিয়ডের ব্যথা স্বাভাবিক এ নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছু নেই। উপরে বলা ঘরোয়া উপায় গুলোর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই এই ব্যথা দূর করতে পারবেন। পিরিয়ডের ব্যথা ‌দূর করতে আগেই ঔষধ না খেয়ে ঘরোয়া উপায়ে দূর করার চেষ্টা করবেন। আর যদি পিরিয়ডের  ব্যথা অস্বাভাবিক পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের সরনাপন্ন হবেন।

আরো পড়ুন –

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents