Dreamy Media BD

  বরিশালের সেরা দর্শনীয় স্থান 

বরিশালের সেরা দর্শনীয় স্থান 

 ভ্রমণের জন্য আপনার উপযুক্ত জায়গা বরিশাল শহর।  কেন বলছি? অবশ্যই আপনি একবার গেলেই তা প্রমাণস্বরূপ বুঝতে পারবেন। বরিশালে  রয়েছে আকর্ষণীয় সব দর্শনীয় স্থান। আপনি বরিশালের ঐতিহাসিক স্থানগুলো যেমন দেখবেন ঠিক তেমনি প্রকৃতির সাথে নতুন করে পরিচিত হবেন।

অজানা তথ্যগুলো জেনে  নতুন ভাবে জ্ঞান অর্জন করবেন। প্রকৃতির ছোয়ায় ছোয়ায়  ঘুরে ফিরে  আপনি বরিশালের সব দর্শনীয় স্থানগুলো দেখবেন। আর মনোমুগ্ধকর প্রকৃতির শান্তি অনুভব করবেন।  আসুন বরিশালের তেমনি কয়েকটা  বিখ্যাত স্থান সম্পর্কে জেনে আসি।

১.বিবির পুকুর 

বরিশাল শহরে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জলাশয়ের নাম হচ্ছে বিবির পুকুর।  নগরীর সদর রোডের পূর্ব পাশে অবস্থিত রয়েছে এই বিবির পুকুর।  যার দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৮৫০ ফুট, এবং প্রস্থ ৪০০ ফুট।  

 ১৯০৮ সালে জিন্নাত বিবি সাধারন মানুষের জলের কষ্ট নিরসনের উদ্দেশ্য করে এই পুকুর খনন করেন।  তাই পরবর্তীতে জিন্নাত বিবির নামানুসারে এই পুকুরের নামকরণ করা হয় বিবির পুকুর। বরিশাল পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর বিভিন্ন সময় বিবির পুকুরের সংস্কার ও পুন:খনন করা হয়। 

বর্তমানে এই বিবির পুকুরকে কেন্দ্র করে ফোয়ারা,ঝুলন্ত পার্ক, বসার ব্রেঞ্চ এবং আলোক শয্যার মাধ্যমে খুবই সুন্দর করে শোভাবর্ধন করা হয়েছে। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

 ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশাল যেতে প্রায় ৭ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগে।  রাজধানীর  গাবতলী বাস টার্মিনাল হতে বিরতিতে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন পরিবহনের বাস যাতায়াত করে থাকে। পরিবহন গুলোর এসি বা ননএসি বাসের  জনপ্রতি টিকেটের মূল্য ৬০০ থেকে ১৩০০ টাকা। (তবে যেকোনো কারনে বা সময়ের ব্যবধানে ভাড়া পরিবর্তনশীল হতে পারে)। 

 তার চেয়েও ভালো যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে আপনার জন্য, ঢাকা থেকে বরিশাল লঞ্চের যাতায়াতের মাধ্যম। সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল হতে রাত ৮টা, ৯টার দিকে বরিশালগামী লঞ্চগুলো রওনা দেয়,পরেরদিন ভোরে বরিশাল লঞ্চঘাটে পৌঁছায়। 

 লঞ্চে আপনার জনপ্রতি ডেকের ভাড়া পড়বে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া পড়বে ১২০০ থেকে ১৪০০ টাকা। ডাবল কেবিনের ভাড়া পড়বে ২২০০ থেকে ২৫০০ টাকা। এবং ভিআইপি কেবিনের ভাড়া পড়বে ৫০০০ থেকে ৮০০০ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি বা রিকশা করে যেতে পারবেন বিবির পুকুর।

লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি
লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

২.লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বরিশাল জেলা সদরের কাশিপুর ইউনিয়নে অবস্থিত রয়েছে এই লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।  বরিশালের একটি অন্যতম আকর্ষণীয় বা দর্শনীয় স্থান লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি।  আপনি একবার দেখলেই মুগ্ধ  হয়ে যাবেন। 

প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি। বরিশাল শহর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তরে রয়েছে লাকুটিয়া বাজার।  ইট বিছানো রাস্তা কিছুদূর অতিক্রম করতেই রাস্তার ডানপাশে  আপনি দেখবেন জমিদারদের অনেক মন্দিরে এবং সমাধিসৌধ।

রূপচন্দ্র রায় ছিলেন এই জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা।  উনার পুত্র রাজচন্দ্র রায়ের সময়ে এর প্রতিপত্তি বাড়ে।  তিনি সেই জমিদার যিনি এই লাকুটিয়া জমিদার বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন।  

বাড়িটি এখন বিএডিসির তত্ত্বাবধানে রয়েছে।  বাড়িটির চারপাশে ধানের জমি রয়েছে।  বাগানটি  গড়ে উঠেছে বিশাল এক দিকের পাড়ে।  একে সবাই রানের দিঘি নামেও আখ্যায়িত করে। শীতের সময় এখানে অনেকেই পিকনিক করতে আসে।দিঘিতে তে প্রতিবছর চাড়দিক  চালকিত করে ফোটে পদ্মফুল।।

লোকেশন /কিভাবে যাবেন 

ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশাল আপনি ৬ থেকে ৮ ঘন্টায় পৌছে যাবেন।  প্রতিদিন ভোর ছয়টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনালে  বেশ কয়েকটা বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় । যাতায়াতের জন্য বাস গুলোর ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা।নন এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা। লোকাল বাসের ভাড়া পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।

তাছাড়া এখানে নৌ পথের যাতায়াত ও খুব ভালো। ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চগুলো রাত ৮ টা থেকে ৯ টার মধ্যেই সদরঘাট ছেড়ে যায়।বরিশাল পৌছায় ভোর ৫টার দিকে। আপনার লঞ্চের ডেক ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা। ডাবল কেবিন ভাড়া পড়বে ১৬০০ টাকা। ভিআইপি ৪৫০০ টাকা। সেখান থেকে আপনি সিএনজি বা রিকশা করে যেতে পারবেন লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি। 

অক্সফোর্ড মিশন
অক্সফোর্ড মিশন

 ৩.অক্সফোর্ড মিশন

বরিশালের বগুড়া রোডে অবস্থিত প্রাচীন  স্থাপনা  ইপিফানি গির্জা নাম হলেও অক্সফোর্ড মিশন নামে পরিচিত ।  বাংলাদেশের শৈল্পিক গির্জাগুলির মধ্যে অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন হচ্ছে অক্সফোর্ড মিশন ।  অক্সফোর্ড মিশন চার্চ এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম।  

১৯০৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯০৭ সালে। লাল ইটের গির্জাটি সিস্টার এডিথের নকশায় মূল আকৃতি দেন ফাদার স্ট্রং।  প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ভিতরে ঢুকলেই আপনি দেখতে পারবেন সবুজ ঘাসের কার্পেটে মোড়া মাঠ। 

  সুন্দর সুন্দর ১৩টি পুকুরও রয়েছে। অক্সফোর্ড মিশন প্রাইমারি স্কুল এবং অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুল।  লাইব্রেরি,হাসপাতাল, ছাত্র ছাত্রী হোস্টেল, ফুলের বাগান,ঔষধি গাছ এবং খেলার মাঠ। মদল বেদির উপর বিশাল আকৃতির ক্রস রয়েছে।

ভেতরে দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম, শান্ত স্নিগ্ধ পরিবেশ। সারি সারি পাম্প ট্রি।  দীঘির পাশে ফাদারস্ হাউজ জলের মাঝে প্রতিবিম্ব তুলে। সেখানে মাদার্স হাউস ও রয়েছে।  এবং খুবই অতুলনীয় একটা জিনিস রয়েছে, গির্জার মধ্যে আকর্ষনীয় একটা ঘন্টা। 

প্রতিদিন সাতবার করে এটি বাজানো হয়। এবং গির্জার মধ্যে অসংখ্য করিডোর ও খিলাফত রয়েছে। যা এর কাঠামোকে সুদৃঢ় করে তুলে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় রেলগাড়ির ইঞ্জিন। 

 লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বরিশাল সড়ক পথে আপনি ৬ থেকে ৮  ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন।  প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বেশকিছু বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।  তো এখানে এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৭০০৳। নন এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৫০০৳। লোকাল বাসের ভাড়া পড়বে ৩০০ বা তার কিছু কম।

লঞ্চের যাতায়াত ব্যবস্থাটাও খুবই ভালো। আপনি চাইলে লঞ্চেও যাতায়াত করতে পারেন।  লঞ্চগুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর ৫ টার দিকে।  যদি সকালের গ্রীনলাইন লঞ্চে যান তবে আপনার জার্নি টা খুবই মনোরম আরামদায়ক এবং উপভোগ্য হবে আপনার ভ্রমণ। 

ডেক ভাড়া পড়বে ১৫০৳। ডাবল কেবিন ভাড়া পড়বে ১৬০০ টাকা। ভিআইপি ৪৫০০ টাকা। পরে অক্সফোর্ড মিশন যেতে পারবেন সিএনজি বা রিকশা করে। 

 ৪.মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ 

মিয়াবাড়ী জামে মসজিদটি বরিশাল সদরের উত্তর কড়াপুর গ্রামে অবস্থিত।  বরিশাল জেলায় অবস্থিত প্রাচীন মসজিদ গুলোর মধ্যে কড়াপুর মিয়া বাড়ি মসজিদ অন্যতম একটি মসজিদ।  গ্রামবাসী জানান যে ১৮০০ শতকে এটি নির্মাণ করা হয়।

কড়াপুরের মিয়া বাড়ির জামে মসজিদটিকে  সাম্প্রতিককালে মেরামত করা হয়েছে এবং রং করে নতুনত্ব ফিরিয়ে এনেছেন।  মসজিদে প্রবেশ করার জন্য দোতলায় একটি প্রশস্ত সিঁড়ি রয়েছে।  মসজিদটির উপরিভাগে তিনটি ছোট আকারের গম্বুজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে মাঝখানের গম্বুজটি বাকি দুই গম্বুজের চেয়ে আকারে কিছুটা বড়।   

নিচতলায় ব্যাসমেন্টের অভ্যন্তরে কয়েকটি কক্ষ রয়েছে যেগুলো মসজিদের নিকটে অবস্থিত। সেগুলো মাদ্রাসার ছাত্রদের থাকার কাজে ব্যবহার করা হয়। মসজিদটি সামনে চারটে মিনার এবং পিছনে চারটে মিনার নিয়ে মোট আট টি মিনার রয়েছে। কড়াপুরের মিয়া বাড়ির জামে মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বিশালাকার পুকুর রয়েছে।

লোকেশন / কিভাবে যাবেন 

 ঢাকা থেকে সড়ক পথে বরিশাল আপনি ৬ থেকে ৮ ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন।  ঢাকা থেকে বরিশালে চলাচলকারীর মধ্যে যে বাসগুলো রয়েছে, ঈগল পরিবহন, হানিফ পরিবহন, শাকুরা পরিবহন। তারমধ্যে এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৭০০ টাকা। নন এসি বাসের ভাড়া পড়বে ৫০০ টাকা।

লোকাল বাসের ভাড়া পড়বে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। তাছাড়া ঢাকা থেকে বরিশালের লঞ্চে যাতায়াতের ব্যবস্থা টাও খুবই ভালো। বরিশালের লঞ্চ গুলো রাত ৮ থেকে রাত ৯ টার মধ্যে সদরঘাট ছাড়ে। 

বরিশাল পৌছার পরে শহরের হাতেম আলি কলেজ চৌমাথা থেকে ব্যাটারি চালিত অটো নিয়ে সোজা কড়াপুরের মিয়াবাড়ির জামে মসজিদে পৌঁছাতে পারবেন। 

 ৫.শংকর মঠ

১৮৮৪ সালের ১২ আগস্ট গলাচিপায় জন্মগ্রহণকারী বঙ্গবন্ধু বিরোধী বীরশ্রেষ্ঠ নেতা স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী ১৯১২ সালে শ্রী শ্রী শংকর মঠ নামের এই আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন।  বরিশাল জেলা শহরের নতুন বাজার এলাকায় এই শংকর মঠের অবস্থান রয়েছে। স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী এর আসল নাম সতীশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। 

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এই শংকর মঠ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আশ্রয়স্থল হিসেবে সর্বদা উন্মুক্ত ছিল।  এই শংকর মঠটি তিনগম্বুজ বিশিষ্ট।  এবং এর শীর্ষে স্থাপিত রয়েছে ধাতু নির্মিত ‘ওঁ’ চিহ্ন এবং একটি ত্রিশূল। 

শংকর মঠের ভিতরে তিনটি কক্ষ রয়েছে।  মূল কক্ষে কষ্টিপাথরে নির্মিত একটি শিবলিঙ্গ রয়েছে। এবং দুইপাশের একটি কক্ষে রয়েছে শংকরানন্দের বিগ্রহ ও অন্যটিতে রয়েছে স্বামী প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতীর সমাধি মন্দির। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আসা বাস গুলো বরিশাল শহরের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে পৌঁছায়। বরিশাল শহরে এসে রিক্সা বা সিএনজি করে আপনি শংকর মঠ যেতে পারেন। এসি বা নন এসি বাসের ভাড়া ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে পড়বে।

আবার নৌপথেও যাতায়াত করতে পারে। ঢাকা লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯ টার মধ্যে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। রাতের এই যাত্রা করা লঞ্চ গুলো ভোর ৫ টার দিকে বরিশালে পৌঁছায়। লঞ্চের ডেকের ভাড়া -১৫০৳, ডাবল কেবিন ভাড়া -১৬০০৳, ভিআইপি কেবিন ভাড়া -৪৫০০৳

(যে কোন প্রয়োজনে বা সময়ের ব্যবধানে,ভাড়া গুলো কিছুটা পরিবর্তনশীল হতে পারে, তাই অবশ্যই আপনি যাতায়াতের আগে কাউন্টারে যোগাযোগ করে নিবেন)। 

 ৬.বঙ্গবন্ধু উদ্যান বেলস পার্ক

ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু উদ্যান বা বেলস পার্ক বরিশাল জেলা সদর থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  বরিশাল শহরের উন্নয়ন, জনস্বাস্থ্য ও মুসলিম শিক্ষা বিটসন বেলসের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ।  এবং তার নামানুসারে উদ্যানটির নাম রাখা হয় বেলস পার্ক।

বিভিন্ন সময় অনেক রাষ্ট্রীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এই পার্কে তাদের মূল্যবান ভাষণ দিয়েছেন। ১৯৭২ সালের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেওয়া ভাসনকে স্মরণীয় করে রাখতে এ পার্কে একটি মুক্তমঞ্চ ও ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। বর্তমানে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন অধিদপ্তরের অধীনে থাকা এই উদ্যানটি পরিচালনা করেন। 

লোকেশন /কিভাবে যাবে

ঢাকা থেকে আপনি সড়কপথে বলেন, নৌপথে বলেন, আকাশপথে বলেন, যে কোনো মাধ্যমেই আপনি বরিশালে যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে আপনি বাসে ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আপনি বরিশাল পৌঁছাতে পারবেন।

তাছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্সে বরিশাল যেতে পারবেন না। বরিশালে এসে স্থানীয় পরিবহনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু  উদ্যান বা বেলস পার্ক এ যেতে পারবেন।

শাপলা গ্রাম, সাতলা
শাপলা গ্রাম, সাতলা

 ৭.শাপলা গ্রাম, সাতলা 

বরিশাল সদর উপজেলা থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে এক দিলে দেখা মিলবে এমন চোখ জুড়ানো আকর্ষণীয় একটি দৃশ্য।  যে দৃশ্য দেখে সেখানেই আপনার নয়নজোরা আটকে যাবেন।  অপরূপ মনোরম এই সৌন্দর্য বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা গ্রামের এক বিলে । 

 এটা বলতে পারেন রাজাহীন একটা রাজ্য। যার নাম শাপলা রাজ্য।  বিলের পানিতে লতা,পাতা গুল্মে ভরা শত শত সহস্র লাল শাপলা হার মানিয়ে সূর্যের লাল আভাকেও। এই শাপলা গ্রামটা নকশী কাঁথার মতো সৌন্দর্য ছড়িয়ে দিয়েছে প্রকৃতির বুকে।   

স্থানীয়দের কাছে পরিচিত এটা শাপলার বিল নামে।  বিলের যত ভিতরে যাওয়া যায,  ততই দেখা মেলে অফুরন্ত সৌন্দর্যের।  এ বিলের সাধারণত তিন ধরনের শাপলা ফুটে থাকে, লাল,সাদা,বেগুনি।  পুরো গ্রাম জুড়ে এখানে শাপলার চাষ করা হয়। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে বরিশালের সড়ক পথে আপনি ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে যাবেন।  ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত বেশ কিছু বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।  ঢাকা থেকে আগত বাস গুলো বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে থামে।

এস, ননএসি এবং লোকাল বাসের ভাড়া পড়বে ২৫০ থেকে ৭০০ টাকা। সময়ের ব্যবধানে বা কোন কারণে ভাড়া কিছুটা কম বেশি হতে পারে। যাতায়াত করার আগে আপনি কাউন্টারে ফোন দিয়ে জেনে নিবেন। 

লঞ্চ পথেও আরামদায়ক ভাবে  যেতে পারেন। ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছাড়বে রাত ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে।লঞ্চের ডেকের ভাড়া পড়বে ১৫০ টাকা। কেবিন  ভাড়া ১৬০০, ভিআইপি ভাড়া পড়বে ৪৫০০ টাকা। সেখান থেকে আপনি সিএনজি বা রিকশা করে যেতে পারবেন শাপলা গ্রামে।

গুঠিয়া মসজিদ
গুঠিয়া মসজিদ

 ৮.গুঠিয়া মসজিদ

বরিশাল সদর থেকে ২২ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে বানারীপাড়া সড়কলগ্নে উজিরপুর উপজেলায় এই গুঠিয়া গ্রাম অবস্থিত রয়েছে। বানারীপাড়া সড়ক ধরে একটু এগুলেই পাবেন উজিরপুর উপজেলা।  সড়কের পাশেই রয়েছে গুটিয়ার  চাংঙুরিয়া গ্রাম, সেই গ্রামেই অবস্থিত রয়েছে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ গুটিয়া মসজিদ। 

মসজিদের স্তম্ভটি বিশ্বের বিভিন্ন পবিত্র স্থানের মাটি ও জমজমের পানি দ্বারা তৈরি করা হয়েছে।  যে যে স্থান থেকে মাটি গুলো সংগ্রহ করা হয়েছে,তা হচ্ছে :কাবা শরীফ, আরাফাহ এর ময়দান , জাবালে নুর পাহাড়, ময়দানে মিনা,জাবালে রহমত পাহাড়, জাবালে সুর পাহাড়, 

মা হাওয়া এর কবরস্থান,নবীজির জন্মস্থান, মসজিদ এ কু’বা,উহুদের যুদ্ধের ময়দান, হযরত হামজা রাঃ এর মাজার,জান্নাতুল বাকী,বড় পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রা:) এর হাতের লেখা তাবিজ। উনার মসজিদে দুইটি পয়সাও পাওয়া গিয়েছি।  এবং আরো বিভিন্ন পবিত্র  জায়গা থেকে বিভিন্ন রকমের জিনিস মাটি,পানি সংগ্রহ করা হয়েছিল। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে সড়ক পথে আপনি বরিশালের উদ্দেশ্যে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন।  বেশিরভাগ বাস পাটুরিয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে পৌঁছায়। ঢাকা থেকে আসা বাসগুলো  বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে থামে।

বরিশাল শহরের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ড থেকে বানারীপাড়ার উদ্দেশ্যে ১৫ মিনিট পর পরই বাস ছাড়ে।  সেখান থেকে গুঠিয়া মসজিদে যেতে ভাড়া লাগবে ১৪ টাকা। এসি বাসের ভাড়া ৭০০৳। নন এসি বাসের ভাড়া ৫০০৳। লোকাল বাসের ভাড়া ২৫০ থেকে ৩০০৳।

তাছাড়াও আপনি লঞ্চ পথে ভালো যাতায়াত করতে পারবেন। ঢাকা সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে লঞ্চগুলো রাত ৮,৯ টার দিকে ছাড়ে। বরিশালে গিয়ে পৌঁছায় ভোর ৫টার দিকে। লঞ্চের ডেক ভাড়া পড়বে ১৫০৳। ডাবল কেবিন ভাড়া ১৬০০৳। ভিআইপি কেবিন ভাড়া ৪৫০০ ৳। 

৯.দুর্গাসাগর দিঘী 

বরিশাল শহরে বাবুগঞ্জে দুর্গাসাগর দিঘীটি অবস্থিত রয়েছে। বরিশাল শহর থেকে সেটা ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।  ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দে রাজা শিব নারায়ণ এলাকাবাসীর/জনসাধারণের পানির সংকট নিরসনের জন্য মাধবপাশায় একটি বৃহৎ দিঘী খনন করেন। 

এবং তিনি তার মা দুর্গা দেবীর নামানুসারে দিঘীটির নামকরণ করেন দুর্গাসাগর দিঘী।  ঐতিহাসিক এই দুর্গাসাগর দিঘির জলাভূমির আয়তন প্রায় ২৭ একর এবং পাড় ও জমি সহ মোট আয়তন ৪৫.৪২ একর। এখন এই দুর্গাসাগর দিঘির রক্ষণাবেক্ষণ এর দায়িত্ব পালন করছেন বর্তমান জেলা প্রশাসন। 

সেখানকার বা স্থানীয়  লোকদের কাছে এটি দুর্গা সাগর মাধবপাশা দিঘী নামেও পরিচিত।  এই দুর্গা সাগর দিঘীটির মাঝখানে একটি টিলা বা ছোট দ্বীপও রয়েছে। দিঘির উত্তর পাশে বড় ঘাট এবং চারপাশে নানান ধরনের বৃক্ষ যেমন,সুপারি, নারিকেল, মেহগনি রয়েছে। 

 এর চারপাশ সরাইল ও বালিহাঁস সহ প্রায় ৬  প্রজাতির হাজার হাজার পাখির কলরবে মুখরিত থাকে সবসময়। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

সড়ক পথে ঢাকা থেকে বরিশাল যেতে প্রায় ৬ থেকে ৮ ঘন্টা সময় লাগবে। ঢাকার বাস টার্মিনাল থেকে ভোর ৬টা থেকে রাত ১০ টা অব্দি নিয়মিত বরিশালের উদ্দেশ্যে বাস চলাচল করে। ঢাকা থেকে আসা বাসগুলো বরিশালের  নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে এসে থামে।

এসি,নন এসি এবং লোকাল বাসের ভাড়া পড়বে প্রায় ৩০০ থেকে ১৩০০ টাকার মতো। তারপরও আপনি ভ্রমনের আগে ভালো ভাবে এবং সটিক তথ্য জানার জন্য কাউন্টারে যোগাযোগ করে নিবেন। 

বাস ছাড়াও আপনি লঞ্চে ভালো যাতায়াত করতে পারবেন। ঢাকা সদরঘাট থেকে লঞ্চ রাত ৮ টা থেকে রাত ৯ টার মধ্যে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এই লঞ্চগুলো ভোর ৫ টার দিকে বরিশালে গিয়ে পৌঁছায়। লঞ্চের ডেকের ভাড়া ২০০-২৫০ টাকা। কেবিন ভাড়া ১২০০-১৪০০ টাকা। ভিআইপি কেবিন ভাড়া ৪৫০০-৮০০০ টাকা।

ভাসমান পেয়ারা বাজার
ভাসমান পেয়ারা বাজার

 ১০.ভাসমান পেয়ারা বাজার

ঝালকাঠি জেলা শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলিতে রয়েছে বাংলাদেশের বিশাল বড় /সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার। বরিশাল ঝালকাঠি এবং পিরোজপুরের সীমান্তবর্তি এলাকায় গড়ে উঠেছে এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বিশাল পেয়ারা বাগান

এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ভাসমান পেয়ারা বাজার দেখতে আগস্ট মাস সবচেয়ে উপযোগী সময়।  জুলাই থেকে আগস্ট পেয়ারার মৌসুম হলেও মাঝেমধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাজার চলে।  সকাল ১১ টার পর থেকে পেয়ারা বাজারের ভীর কিছুটা কমতে থাকে, সেজন্যে ১১ টার আগেই বা সকাল সকাল বাজারে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো হবে। 

ভিমরুলি বাজার থেকে লাল ও সাদা মিষ্টি। এছাড়াও বরিশাল শহরের পুরান বাজার ঋতুপর্ণ  দোকানের গরম মিষ্টি আহা কি স্বাদ। আশেপাশে ঘুরে, খালের তীরে লাগোয়া  ঘর বাড়ি, সবুজ প্রকৃতি, পাখির কলরব,স্কুল, ব্রিজ সহ বিভিন্ন প্রকৃতির ছোয়ার রুপ হেটে হেটে উপভোগ করতে পারবেন। থ

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকার সদরঘাট থেকে এবং গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে বেশ কয়েকটা বাস বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।  সাকুরা পরিবহনে  বরিশাল যেতে  জনপ্রতি বাসের টিকেট ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা মূল্যের।

আরও ভালো যাতায়াতের মাধ্যম হচ্ছে লঞ্চ। ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন বেশকিছু লঞ্চ বরিশালের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে ভোর ৪টা থেকে ৫টার মধ্যে পৌছায়। বরিশাল লঞ্চ ঘাট থেকে অটো বা রিক্সা করে চৌরাস্তায় এসে বাসে করে স্বরূপকাঠি লঞ্চঘাট পর্যন্ত ৫০ টাকা ভাড়া লাগবে। 

১১.গজনির দিঘী

বরিশাল জেলার অন্যতম একটি দর্শনীয় স্থান হচ্ছে গজনি দিঘী।  বরিশালের কাউয়াচর এর চানপুরা ইউনিয়নে অবস্থিত এই গজনের দীঘিটি। সুলতানি আমলে গজনের কোনো এক সুলতান বিশুদ্ধ পানির প্রয়োজনে এই দিঘীটি খনন করেন। 

 এবং স্থানীয় জমিদারকে এটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেন । এ কারণে এ দিঘীটির নাম দেওয়া হয় গজনির  দিঘী। বিচার আচা,  সামাজিক যে কোন সমস্যার সমাধানে এই অঞ্চলের মানুষেরা এখনো আহঞ্জী (বর্তমান তালুকদার বাড়ি)  নির্ভর করে। এ কারনে গজনির দিঘীটাও তালুকদার বাড়ির নিকটে দেন তদানিন্তন গজনির সুলতান। পুকুরের উত্তর পাশে একটি গাছ ছিল, যার কষ বের হত রক্ত লাল।  গাছটিতে কুপ দিলেই রক্ত বের হতো, আর তা দেখতে ভীড় করতো দূর-দূরান্তের মানুষজন।

হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এ গাছটির পূজা শুরু করে দিল, তখন সেখানকার এক বাতাস ফকির এ গাছটি কেটে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এটা দেশভাগের অনেক পূর্বের কথা। স্বাধীনতার পরে গজনির মেলা ছিল এই অঞ্চলের সেরা বিনোদন। 

সেখানে নিয়মিত ঘোড়া দৌড় হতো। মেলায় নাসির নামক  এক যুবক হত্যার ঘটনায়, সেই সময় থেকে ওই মেলাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবং গজনী চলে যায় উপজেলা পরিষদের অধীনে। চমৎকার ও বিশাল নলি পানির পুকুটির সাথে রামসাগর ও দুর্গা সাগরের তুলনা চলে। 

 লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনি বরিশালের উদ্দেশ্যে বাসে যাত্রা করতে পারেন। ঢাকা সদরঘাট গাবতলী বাস স্ট্যান্ড থেকে বেশ কয়েকটা বাস বরিশালের উদ্দেশ্যের রওনা হয়। অথবা আপনি নৌপথেও যাতায়াত করতে পারেন। 

সদরঘাটের লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিনই কয়েকটা লঞ্চ বরিশালে উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তা ভোর ৪,৫ টার দিকে বরিশালে পৌঁছায়। সেখান থেকে আপনি সিএনজি রিজার্ভ করে আপনি ঐতিহাসিক সেই স্থান গজনির দিঘী দেখতে যেতে পারেন। 

 ১২.শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর

স্থানীয়দের কাছেই জাদুঘরটি চাখার প্রন্ততান্ত্রিক জাদুঘর হিসেবে পরিচিত।  বরিশাল জেলা থেকে প্রায় ২৪ কিলোমিটার দূরে বানারীপাড়া উপজেলার চাখার ইউনিয়নে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের বাড়ি। যা ২৭ একর জায়গা জুড়ে শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে। 

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হকের ইতিহাস ও স্মৃতি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে মূলত এই জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে,১৯৮৩ সালে সংস্কৃতি বিষয়ক অধিদপ্তরের অধীনে। পাঁচ কক্ষ বিশিষ্ট শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘরে তিনটি প্রদর্শনী কক্ষ এবং একটি অফিস ,একটি বিশ্রামাগার, ও একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। 

 শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুঘরে রয়েছে, বিরল আলোকচিত্র, ব্যবহৃত আসবাপত্র, চিঠিপত্র, বাংলার ফজলুল হকের বিভিন্ন ফিচার ও ছবি রাখা আছে।  আরও রয়েছে সুন্দরবনের শিকার করা কুমিরের মমি, কালো পাথরের শিবলিঙ্গ, স্বর্ণ মুদ্রা, রৌপ্য মুদ্রা, বিভিন্ন সুলতানি আমলের মুদ্রা সমূহ, বিভিন্ন প্রন্ততান্ত্রিক নিদর্শন। 

লোকেশন /কিভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আপনি সড়কপথে বা নৌপথে যাতায়াত করতে পারবেন।  ঢাকার গাবতলী বা সায়েদাবাদ থেকে বাসে আরিচা হয়ে বরিশাল যেতে পারবেন। এবং লঞ্চের মাধ্যমে গ্রীনলাইনেও বরিশাল পৌঁছাতে পারবেন। 

 এছাড়াও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ডোমেস্টিক এয়ারলাইন্সে বরিশাল যেতে পারবেন।  বরিশাল শহরে এসে লোকাল বাসে চাখার গ্রামে পৌঁছে শেরে বাংলা স্মৃতি জাদুকর পরিদর্শন করতে পারবেন। অথবা আপনি সিএনজি রিজার্ভ করেও যেতে পারবেন। 

ঢাকা টু বরিশাল বাস পরিবহন 

ঢাকা-বরিশাল এসি বাসের ভাড়া ও সময়সূচি-২০২৩

বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড বাসের ধরণ ভাড়া
সাকুরা পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৭০০
শ্যামলী এন.আর ট্রাভেলস হুন্দাই (Hyundai) বিজনেস ক্লাস ১০০০
গ্রীন লাইন পরিবহন ম্যান,স্ক্যানিয়া,ভলভো (Man.Scania.Volvo) বিজনেস ক্লাস ১২০০
সোহাগ পরিবহন স্ক্যানিয়া (Scania) বিজনেস ক্লাস ১২০০
দিগন্ত পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ১০০০
ইউরো কোচ অশোক লিল্যান্ড (Asok leyland) স্লিপার বেড ১০০০
 ঢাকা-বরিশাল ননএসি বাসের ভাড়া ও সময়সূচি-২০২৩
বাসের নাম বাসের ব্র্যান্ড বাসের ধরণ ভাড়া
সাকুরা পরিবহন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৫০০
হানিফ এন্টারপ্রাইজ হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৫০০
গোল্ডেন লাইন হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৫০০
এনা ট্রান্সপোর্ট হিনো (Hino) ইকোনমি ক্লাস ৫০০
দিগন্ত পরিবহন অশোক লিল্যান্ড (Asok leyland) ইকোনমি ক্লাস ৬০০
ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চের তালিকা

আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ ও আরামদায়ক করতে ঢাকা থেকে বরিশালগামী মানসম্মত কয়েকটি লঞ্চের তালিকা প্রদান করা হলো:

  •  এমভি সুরভী – ৭,এমভি সুরভী – ৮,এমভি সুরভী – ৯
  • এমভি সুন্দরবন – ৮,এমভি সুন্দরবন – ১০,এমভি সুন্দরবন- ১১
  • এমভি পারাবত – ৮,এমভি পারাবত- ১০,এমভি পারাবত – ১১,এমভি পারাবত – ১2
  • এমভি টিপু – ৭,এম ভি ফারহান-৮এমভি টিপু – ৭,এম ভি ফারহান-৮
  • এমভি কামাল-১
  • এ্যাডভেঞ্চার – ৯,এ্যাডভেঞ্চার – ১
  • এমভি কীর্তনখোলা – ২,এমভি কীর্তনখোলা- ১০
  • এমভি গ্রীন লাইন-২,এমভি গ্রীন লাইন-৩
  • এমভি মানামী
  •  এমভি কুয়াকাটা- ২

সবশেষে, ভ্রমণ করতে আমরা সবাই খুব পছন্দ করি। তবে পছন্দের জায়গা নির্ণয় এবং যাতায়াতের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে আমরা চিন্তিত  থাকি। তাই আপনি এই পুরো আর্টিকেলটা পড়লে, বরিশালের সেরা দর্শনীয় স্থান সম্বন্ধে এবং যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা সম্পর্কে  জানতে পারবেন। 

অবশ্যই আপনার কোনো কিছু জানার থাকলে, আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা সর্বদাই আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। সুস্থ থাকুন, নিরাপদে ভ্রমন করুন। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন –

 

Related Post

মৃত্যু নিয়ে উক্তি

150+মৃত্যু নিয়ে উক্তি, বাণী, ক্যাপশন 2024

মৃত্যু নিয়ে উক্তি জন্মিলে মরিতে হবে আর এটাই সত্যি। মৃত্যু হচ্ছে সবচেয়ে চিরন্তন সত্যি। পৃথিবীতে প্রতিটি প্রাণীর মৃত্যুর স্বাদ অনুভব করতে হবে। সবসময় মৃত্যুর জন্য

Read More »
খুশির স্ট্যাটাস

200+ স্টাইলিশ খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন

খুশির স্ট্যাটাস | হাসি নিয়ে ক্যাপশন জীবনের সুন্দর খুশির মুহূর্ত আমরা সবাই বাঁধাই করে রাখতে চাই। আর এই খুশির মুহূর্তকে ধরে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায়

Read More »

স্টাইলিশ ভালোবাসার ছন্দ | রোমান্টিক ছন্দ | Love Status Bangla

❤❤ভালোবাসার ছন্দ | ভালোবাসার ছন্দ রোমান্টিক | ভালোবাসার ছন্দ স্ট্যাটাস❤❤ ভালোবাসা হলো এক অন্যরকম অনুভূতির নাম, যা শুধুমাত্র কাউকে ভালবাসলেই অনুভব করা যায়। আমরা বিভিন্নভাবে

Read More »
মন খারাপের স্ট্যাটাস

মন খারাপের স্ট্যাটাস, উক্তি, ছন্দ, ক্যাপশন, কিছু কথা ও লেখা

মন খারাপের স্ট্যাটাস মন খারাপ – এই কষ্টের অনুভূতি কার না হয়? সবারই কখনো না কখনো সবারই মন খারাপ হয়। জীবনের ছোটোখাটো অঘটন থেকে শুরু

Read More »

Leave a Comment

Table of Contents