“কিভাবে পেটের চর্বি কমাতে হয়?” যে কোনো একটা ব্যায়াম করেই হোক আর খাওয়া কন্ট্রোল করেই হোক বহুদিনের তৈরিকৃত মেদ ঝরিয়ে ফেলবেন? ভুল ধারণা আপনার,আপনি যতই পেটের চর্বি কমানোর চেষ্টা করুন না কেন ভালো খাবার খেয়ে আর শুয়ে বসে থেকে পেটের চর্বি কিন্তু এক ফোঁটা কমবে না। যতক্ষন না আপনি জানতে পারছেন কি উপায়ে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব। দুর্ভাগ্যবশত,এক সময় আপনার বদ্ধমূল ধারণা জন্মাতে পারে অস্ত্রোপচার বাদে পেট থেকে জীবনেও চর্বি কমানো সম্ভব নয়।
আজ আমি কিছু টিপসের মাধ্যমে আপনাকে জানাতে চাই কীভাবে আপনি খুব সহজেই পেটের মেদ কমাতে সক্ষম হবেন। এই নিয়ম গুলো পালন করার মাধ্যমে এটি আপনার বদ্ধমূল ধারণাকে সম্পূর্ণ বদলে দেবে আশা রাখি ।
পেটের মেদ কমানোর কিছু সহজ ও কার্যকর উপায়:
১.সাধারণত ডুবো তেলে ভাজা খাবার, মদ্যপান, কোমল পানীয়,মিষ্টিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া,নিয়মিত লাল মাংস (রেড মিট), অস্বাস্থ্যকর বাইরের খাবার খাওয়া, চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ ইত্যাদি পেটের মেদ বাড়িয়ে তোলার পেছনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। এই সকল অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে দূরে থাকুন।
২.ওয়ের্কফোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এক গবেষণায় বলেছেন, যখন একই তেল বারবার রান্নার কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন সেই ভোজ্য তেলের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় উপাদান উৎপন্ন হয়। এই ক্ষতিকারক ট্রান্স ফ্যাট পেটের মেদ বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করে বহুগুনে । তাই মনে রাখবেন পেটের মেদ যেনো অতিরিক্ত জমে না যায় ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় উপাদানের মাধ্যমে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার আগেই সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সচেতন হওয়া উচিত।
৩. প্রতিদিন নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস ও সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে আপনি গড়ে তুলুন আপনার মেদহীন পেট। নিয়মাবর্তিতার মাঝে আমরা শরীরের বাড়তি মেদ হওয়া থেকে অনায়াসে রক্ষা পেতে পারি। চলুন তাহলে জেনে আসি, পেটের মেদ থেকে কিভাবে সহজেই বাঁচতে কী কী নিয়ম মেনে চলা যায়।
পেটের মেদ কমানোর আরও কিছু উপায়:
১. আশঁ জাতীয় খাবার:-আপনার প্রতিদিনের খাবারে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন—লাল চালের ভাত বা লাল আটার তৈরি খাবার এবং সবুজ শাকসবজি ও পাকা ফলমূল যেগুলোতে আঁশ আছে সেগুলো খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. গ্রিন-টি:- সবুজ চা/গ্রীন টি খেতে পারেন। কারণ গ্রীন টিতে আছে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট উপাদান, যা পেটের মেদ একদম কমানোর জন্য খুবই কার্যকরী। তাই চিনি,দুধ বেশি দিয়ে চা অভ্যাস বদলে নিন এখনই এবং গ্রিন-টির সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন।
৩.আমিষ ও ফ্যাটি এসিড:- আখরোট, কাঠবাদাম জাতীয় খাবারে আছে আমিষ ও ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ ফল। সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন যেগুলোতে আছে ফ্যাটি অ্যাসিডের উৎস।
৪.ঝাল জাতীয় খাবার:-ঝাল সমৃদ্ধ খাবার খেতে পারেন। এতে পেটের বাড়তি মেদ কমবে। জেনে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? অবাক হবেন না। আবার বলছি পরিমাণ মতো ঝাল খাবেন। সেই ঝাল কিন্তু আসবে গোলমরিচ, দারুচিনি, আদা এবং সবুজ মরিচের ঝাল থেকে। এসব ঝাল উপাদান রান্নায় ব্যবহার করুন পরিমাণ মতো।
৫. কাঁচা রসুন:-সকালবেলা খালি পেটে কাঁচা রসুনের কয়েকটি কোয়া চুষে খেতে পারেন। এই অভ্যাসের ফলে দ্রুত আপনার ওজন কমবে আর পেটের মেদ ঝরবে। এন্টি অক্সিডেন্ট, এন্টিফাঙ্গাল এন্টিভাইরাল ও অন্যান উপাদান সমৃদ্ধ কাঁচা রসুনে শরীরের রক্তপ্রবাহ সহজ করতে সহায়তা করে। এই উপাদানগুলো পেটে বাড়তি মেদ জমতে দেয় না। এমনকি আপনার হার্টের জন্যেও বিশেষ কার্যকরী।
৬.লেবু পানি:- আপনার প্রতিদিনের সকালটা শুরু করুন এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে। এই লেবু পানি শরীরের হজম প্রক্রিয়া সচল রাখে এবং শরীরে বাড়তি মেদ জমার প্রক্রিয়া নষ্ট করবে।
৭. পরিশ্রম করা:-কায়িক পরিশ্রম না করে একজায়গায় বসে কাজ বা চিন্তা ভাবনা করলেও আপনার তলপেটে ও কোমরে চর্বি জমতে পারে। তাই পেটের চর্বি কমানোর জন্য অবশ্যই একটু হাঁটাচলা জাতীয় কাজ ও নিজেকে চিন্তাহীন রাখার চেষ্টা করুন।
৮.সময়ে অসময়ে বিশ্রাম:-অনেকেরই একটা বদ অভ্যাস আছে খাবার খাওয়ার পর হয়তো বসে বিশ্রাম নেন অথবা দ্রুত শুতে যান। তাদের ক্ষেত্রে বলা যায় খাবার সঠিকভাবে পরিপাক হয় না, ফলে পেটে চর্বি জমতে থাকে। বিশেষ করে রাতে খাবার খাওয়ার পর কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে বিশ্রাম অথবা ঘুমানো উচিত।
৯. অফিসের কাজ:-যারা চাকরি করেন বা যেসকল মানুষের সারাদিন টেবিল–চেয়ারে বসে কাজ করতে হয়, তাঁদের পেটেও কিন্তু অতি সহজে মেদ জমতে পারে। তাই তাঁদের এর থেকে মুক্তি পেতে প্রতিদিন অন্তত ৩০-৪০ মিনিট বসে কাজ করার পর উঠে ১০-১৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি কর। একনাগাড়ে কাজ না করে বরং একটু উঠে ঘোরাঘুরি করা।
১০.পরিমিত খাবার খাওয়া:- একবারে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ না করে অল্প অল্প করে বারবার খাবার অভ্যাস গ্রহণ করুন। সারা দিনের অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টার খাবারকে ৫-৬ বারে করে গ্রহণ করুন। সেখানে তিনবার প্রধান খাবার যেমন- ভাত,ডাল,সবজি,আমিষ জাতীয় খাবার খান ও দুই-তিনবার হালকা নাশতা জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।
১১. অঙ্কুরিত মুগ ডাল: ভারতের ডাক্তারদের চিকিৎসা মতে, অঙ্কুরিত মুগ ডাল খেলে আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে অনেকাংশে।
১২.ফল:- ওজন কমাতে কোনো কোনো ফলের গুনাগুন জানা উচিত। তরমুজ,কলা, আপেল, আঙ্গুর,বরই, নাশপাতি, জাম্বুরা,বেরি এসকল ফলে এমন কিছু খাদ্য উপাদান আছে যা আপনার বাড়তি চর্বি কমানোর জন্য খুবই উপকারী।
১৩.সাগুদানা: আগে আমরা জ্বর হলে সাগুদানা খেতাম। ভাবতাম এটা রোগীর পথ্য। কিন্তু না সাগুদানাতে আছে এন্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ক্যালসিয়াম ও লোহা যা আপনার শরীরে থ্রি ওমেগা পুরনে সহায়তা করবে। যা আপনার বাড়তি মেদ থেকে দূরে রাখতে পারে।
১৪.আদা চা:আদা চা আপনার শরীরের জন্য কতটা যে উপকারী। এক গবেষণায় জানা গেছে আদার রস শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে অনেক বেশি উপকারে আসবে। তাই চিনি ছাড়া আদা চা সেবন করুন।
১৫. মশলা জাতীয়:- গোলমরিচ,দারুচিনি, লবঙ্গ কিন্তু মেদ কমাতে পারে। এটা আমাদের শরীরে মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়। এসকল মশলা জাতীয় উপাদান আমাদের শরীরের মেদ কমানোর জন্য উপকারী।
মহিলাদের পেটের মেদ কমানোর উপায়:
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে পেটের মেদ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মহিলাদেরই দেখা যায়। যেটা অধিকাংশ মহিলাদের সৌন্দর্যতা নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট কারণ। কিছু ডায়েট এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে মহিলারা পেতে পারেন একটা ফিটনেস ফিগার। ধৈর্য ধরে এর পিছনে লেগে থাকলে অবশ্য সুফল পাবেন। তার আগে জেনে নেয়া যাক মহিলাদের কি কি কারনে শরীরে মেদ জমতে পারে:-
১. মানসিক চাপ: সংসার জীবনে অনেক মহিলারা আছেন যারা নানা সমস্যার কারণে মানসিক চাপে ভোগেন। এদের রক্তে কটিসল হরমানের মাত্রা দিন দিন বেড়ে গিয়ে শরীরে মেদ জমাতে সাহায্য করে।
২. কোষ্ঠকাঠিন্য: সাধারণত অনেক মহিলাদের সময়মত খাদ্যাভাস না থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যায় ভোগেন। কোষ্ঠকাঠিন্য খুব কঠিন একটা ব্যাধি। ঠিক মতো বর্জ্য বের না হওয়ার ফলে পেটের চর্বি বাড়তে পারে।
৩. বসে বসে কাজ করার অভ্যাস: আধুনিক প্রযুক্তির যুগে অধিকাংশ মহিলাদের সকল কাজ সহজ হয়ে গেছে। আধুনিক সুযোগ সুবিধা ভোগ করার ফলে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে, হেঁটে হেঁটে বা দৌড়ে দৌড়ে কাজ করার প্রবণতা অনেকাংশে কমে গিয়েছে। এর ফলে তাদের কঠোর পরিশ্রম করতে না। বসে বসে কাজ করার ফলে এসব মহিলাদের পেটে খুব তাড়াতাড়ি চর্বি জমতে শুরু করে।
৪. হরমোন পরিবর্তন: সাধারণত যখন মহিলাদের ৪০ পার হয় তারপর থেকে হরমোনের পরিবর্তনের সম্মুখীন হতে পারেন। তখন পেটের চারপাশে চর্বির একটা মোটা আবরণ তৈরি হয় । ফলে মহিলাদের ভুঁড়ি বেড়ে যাওয়ার প্রবণতা থাকে।
তলপেটের মেদ কমানোর উপায়:
১. দড়ি লাফ: আপনি ঘরে বসে দড়িতে লাফ দিয়ে আপনার অবাঞ্চিত মেদ কমাতে পারেন।
২. লেবু চা: সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে চায়ের মতো করে খেতে হবে।
৩. ব্যায়াম করা: সব সময় কায়িক পরিশ্রমে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে।
৪.চিনি বর্জন:-শরীরের বাড়তি মেদ কমাতে হলে অবশ্যই চিনি বা চিনি দিয়ে তৈরি করা খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকুন।
৫. টক ফল:- টক জাতীয় ফল শরীরের বাড়তি মেদ হওয়া থেকে বাঁচায়। প্রতিদিন অল্প অল্প টক জাতীয় ফল খাওয়া উচিত।
৬.গুরুপাক খাবার বর্জন:- অতি মশলাযুক্ত খাবার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।তাই মশলা জাতীয় খাবার কম খান।
৭. পেটের ব্যায়াম:- পেটের মেদ কমানোর জন্য যে সকল ব্যায়াম আছে তা করার চেষ্টা করতে হবে। ক্যালরি ক্ষয় করতে পেটের ব্যায়াম করা কার্যকর।
পেটের মেদ কমানোর উপায় ঔষধ
আমরা অসুখ হলে ঔষধ খাই। পেটের মেদ কমানোর জন্য যদিও কোনো ঔষধ খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু এমন একটি ঔষধ আছে যেটার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। যার কথা শুনলে আপনি সত্যিই আশ্চর্য হয়ে যাবেন সেটা হচ্ছে ভিটামিন “ডি”। ভিটামিন “ডি”এর অভাবে শরীরে মেদ জমতে সাহায্য করে। সূর্যের আলো এবং ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বাজারে মেদ কমানোর সেসব ঔষধ বেশি পাওয়া যায় পাওয়া যায়:-
- হালাক্স ট্যাবলেট খেতে পারেন।
- গ্রিন টি নিয়মিত সেবন করুন।
- আরো খেতে পারেন ফাইটোলাকা বেরী ট্যাবলেট।
ব্যায়াম ছাড়া পেটের মেদ কমানোর উপায়
- ১. বাড়তি খাবার পরিহার:-
পরিমাণ মতো খেতে হবে। অতিরিক্ত ভোজন স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর তা মনে রাখা উচিত।
- হাঁটাহাঁটি করা:-
অনেকে আছেন ব্যায়াম করতে পারেন না বিভিন্ন সমস্যার কারণে। তারা নিয়ম করে এক দু ঘন্টা যদি হাঁটাহাঁটি করে তাহলে শরীরে বাড়তি মেদ জমে না।
- ফ্যাট ফ্রী খাবার :-
কোন খাবারে ফ্যাট আছে তা জানা জরুরী। ফ্যাট ফ্রী খাবার সবসময় যে শরীরের জন্য উপকারী তা কিন্তু নয়। চিনির তৈরি খাবার বর্জন করতে হবে।
- অপর্যাপ্ত ঘুম:-
ঠিকমতো ঘুম না হলেও শরীরে মেদ জমার সম্ভাবনা থাকে। অনিয়মিত ঘুমের কারণে ক্ষিদা লাগতে পারে যার জন্য বাড়তি খাবার খেয়ে মেদ জমতে পারে।
পেটের চর্বি কমানোর সহজ ব্যায়াম
পেটের চর্বি কমানোর জন্য সহজ কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন।
- সাইকেল চালানো
- সাঁতার কাটা
- আস্তে আস্তে না হেঁটে একটু শরীরে ঘাম ঝরিয়ে হেঁটে চলুন। দেখবেন যেনো আবার অতিরিক্ত জোরে হেঁটে দম বন্ধ করার মতো যেনো না হয়।
- টক দই ও লো ফ্যাট জাতীয় খাবার খেতে পারেন।
- আস্তে আস্তে দৌড়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন।
পেটে চর্বি কেনো হয়
- বাসি খাদ্য খাবার খাওয়ার ফলে পেটে অতি দ্রুত চর্বি জমে।
- ফ্যাট যুক্ত যে কোনো খাবারের জন্য পেটে চর্বি জমবেই।
- শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিনের অভাবে মেদ বাড়ে।
- রাত্রে ঠিকমত ঘুম না হওয়ার ফলে ও মেদ বাড়তে পারে।
- সময়মতো খাওয়া-দাওয়া না করলে মেদ বাড়ে।
- পেটে মেদ বাড়ার সবথেকে বড় কারণটি হলো অতিরিক্ত শুয়ে-বসে অর্থাৎ অলসতা জীবন কাটানোর ফলে।
উপরোক্ত অভ্যাসগুলো আমাদের শরীরে মেদ জনিত সমস্যার মুখোমুখি এনেছে। এই অভ্যাসগুলো বর্জন করলেই আমাদের পেটে চর্বি জমার আগেই রক্ষা পাবো।
পরিশেষে
এই পোস্টের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি কি করে সহজ উপায়ে পেটের চর্বি কমানো সম্ভব। এগুলো ফলো করলে আপনার শরীরে কার্যকর ভূমিকা পালন করে আপনাকে মেদহীন স্বাস্থ্য উপহার দিবে। যখন এটি কার্যফল দেখাবে এমনকি আপনার অনেকদিনের লালিত সবচেয়ে একগুঁয়ে পেটের চর্বি হারানোর জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। তখনই আপনার ভ্রান্ত ধারণা দূর হবে। স্বাস্থ্য সুরক্ষার কিছু পদ্ধতি আছে, যেটা আপনার অনেক পুরনো মেদ বা চর্বি থেকে সম্পূর্ণরূপে আপনার পেটকে ফিরিয়ে আনতে পারে।
আরো পড়ুন –